• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

সাবেক ওসি প্রদীপের কাছে জিম্মি ছিল পুরো টেকনাফ সাংবাদিক মহল

শাহীন শাহ, টেকনাফ

  ১২ আগস্ট ২০২০, ১৪:২৭
ওসি প্রদীপের কাছে জিম্মি ছিল পুরো টেকনাফ সাংবাদিক মহল

টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ছিলেন সেখানকার সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি। যা চাইতেন তাই করতেন। তার নির্যাতনের হাত থেকে বাদ যায়নি গণমাধ্যমকর্মীরাও। ওসি প্রদীপ ও তার সহযোগীদের অপকর্ম নিয়ে প্রতিবেদন করলে শিকার হতে হতো অমানুষিক নির্যাতনের। শুধু তাই নয়, কথা না শোনায় মিথ্যা মামলায় জেল খাটতে হয়েছে অনেককে।

টেকনাফ থানা পুলিশের অপকর্ম নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন দৈনিক কক্সবাজার বাণীর সাবেক সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খান। অভিযোগ আছে, এই অপরাধে গত ২১ সেপ্টেম্বর টেকনাফ থানা পুলিশ তাকে রাজধানীর মিরপুর থেকে আটক করে নিয়ে যায়। থানায় আটকে রেখে তার ওপর অমানসিক নির্যাতন চালায় তৎকালীন ওসি প্রদীপ।

পরে ফরিদুলকে নিয়ে সাজানো অভিযানে কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়ার বাড়ি থেকে অস্ত্র, ৪ হাজার পিস ইয়াবা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদের বোতল উদ্ধার দেখায় টেকনাফ থানা পুলিশ। সেই মামলায় ১১ মাস ধরে কারাগারে ফরিদুল মোস্তাফা।

কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, ফরিদুল মোস্তফা খানকে সবাই ভালো মানুষ হিসেবে চেনেন। প্রায় দুই শতাধিক সংবাদকর্মী কক্সবাজার আছে। তারা সবাই জানেন তার তেমন আর্থিক সচ্ছলতা ছিল না। আমিও মনে করি তার মামলাটি আবার তদন্ত হওয়া উচিত।

টেকনাফ থানা পুলিশের হয়রানির শিকার আরেক সাংবাদিক নুরুল করিম রাসেল। পেশাগত কাজে থানায় তথ্য সংগ্রহে গেলে বেশ কয়েকবার অপদস্থ হন টেকনাফ প্রেসক্লাবের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সংবাদ সংগ্রহের জন্য থানায় গেলে নানারকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হত। এছাড়া প্রদীপের কিছু কথিত সাংবাদিক আছে যাদের তিনি লালনপালন করতেন। তাদের কারণে সৎ সাংবাদিকরা ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না।

স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক সামী জাবেদ বলেন, চলতি বছরের ৮ জুন টেকনাফ পৌরসভায় লকডাউনের চিত্র ধারণ করতে গিয়ে আমি পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হই। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তারা আমাকে লাঠি দিয়ে পেটায়।

ফরিদুল মোস্তফা, সামী জাবেদের মতো আরও অনেক সংবাদকর্মী এবং বিভিন্ন পেশা শ্রেণির মানুষ বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। এসব নির্যাতনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন সাবেক ওসির প্রদীপ কুমার দাশ।

এক সংবাদকর্মী বলেন, সংবাদ সংগ্রহের কাজে আমদের অনৈতিকভাবে বাধা দেয়া হত। আমাদের ফোন কেড়ে নেয়া হত। পুরো টেকনাফের সংবাদকর্মীদের জিম্মি করে রেখেছিল তিনি।

কক্সবাজার জেলার সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সায়ীদ আলমগীর বলেন, আমি যদি থানায় যেয়ে তাদের কোনও সারা না পাই বা আমরা কোনও কথা বলতে না পারি তাহলে আমার নিরাপত্তা কোথায়?

এসব বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানান সচেতন মহল।

এসএ/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গৃহবধূকে নির্যাতনের পর হত্যা, স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক
কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতাকে নির্যাতন, জেলা সভাপতির বহিষ্কার দাবি
‘জুলুম-নির্যাতন করে বিরোধীদল নিশ্চিহ্ন করা যাবে না’
যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত 'স্কুইড গেম' অভিনেতা
X
Fresh