• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাজনৈতিকভাবে পুলিশের ব্যবহার বন্ধ হলে কমবে অপরাধ (ভিডিও)

খান আলামিন, আরটিভি নিউজ

  ১০ আগস্ট ২০২০, ১৩:৫৭
police, crime,
ফাইল ছবি

পুলিশে অপরাধ করলে বদলি কিংবা প্রত্যাহারই নয়, কঠোর শাস্তির বিধানের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। রাজনৈতিকভাবে পুলিশের ব্যবহার বন্ধ হলে অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অপরাধ ব্যক্তির দায় হলেও, সংঘবদ্ধ অপরাধের মধ্য দিয়ে এই ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে কিনা সেটি যাচাই করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

করোনাকালে পুলিশের যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছিলো তাতে কালিমা দিয়েছে কক্সবাজারে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহার মৃত্যুর ঘটনা। যদিও এই ঘটনায় তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। টেকনাফ থানার ওসি-ইন্সপেক্টরসহ সাতজন এখন কারাগারে। ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যার ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেমের বেলায়ও নেয়া হয়েছিলো এমন তড়িৎ ব্যবস্থা।

কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, বদলি কিংবা সাময়িক বরখাস্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে ব্যবস্থা গ্রহণের মাত্রা। এটি শাস্তি নাকি স্বস্তি এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা কিংবা অপরাধ বিশেষজ্ঞরা একে নানাভাবে দেখছেন। বলছেন, এটি চাকরি বিধি অনুযায়ীই হয়ে থাকে। তবে এতে প্রকৃত সমস্যা রয়েই যায়। আর এসবের পেছনে রাজনীতিকেই দায়ী করছেন তারা।

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, যদি কোনও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তাহলে তাকে প্রত্যাহার করাটা জরুরী হয়ে পরে। তদন্ত নিরপেক্ষ করার জন্য। এতে করে কি হবে, থানায় যারা সাক্ষী দেবে তারা যেন নির্ভয়ে সাক্ষী দিতে পারে।

এ কে এম শহীদুল হক আরও বলেন, কিছু মানুষের কারণে পুরো বাহিনীর ইমেজ নষ্ট হয়ে যাবে।এটা ঠিক নয়।

অপরাধ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, এখন একটা লোক অপরাধ করার পরেও যদি পিপিএম, বিপিএন পায়, তাহলে আসলেই দুঃখ জনক। মানবাধিকার কর্মী মনজিল মোরসেদ বলেন, আমরা কোথাও কোথাও এমনও শুনতে পাই, যে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আইজিপিকে পাত্তা দিতে যায় না। এই সাহস বা ক্ষমতা তারা কথায় পায়। এক ক্ষমতা তারা রাজনৈতিকভাবে পায়।

তিনি আরও বলেন, এই সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে। তাদের জনসম্মুখে না রেখে অফিশিয়াল কাজে নিযুক্ত করলে এই ধরণের অপরাধ কমবে বলে আমি মনে করি। যারা এই ধরণের কাজ করবে তাদের কঠিন আইনের মধ্যে আনা দরকার।

অপরাধ ঘটলেই পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, অপরাধের দায় বাহিনীর নয়; ব্যক্তির। তবে সংঘবদ্ধ অপরাধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা মনে করেন, পুলিশের সকল কর্মকর্তাকেই জবাবদিহিতার আওতায় আনা, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা ও অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির বিধান রেখে এই বাহিনীর আইন সংস্কার করা হলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। পুরো বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেটা কেউ চায় না। তবে জনগণের বাহিনী সম্পর্কেই নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। কাজের মধ্য দিয়ে সেই ধারণা পরিবর্তন করতে হবে বলে মনে করেন তারা।

এসএ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh