• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিদ্যুৎ বিভাগের আশ্বাসের পরও ভূতুরে বিলের কবল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না গ্রাহকরা (ভিডিও)

শরিয়ত খান, আরটিভি নিউজ

  ০৫ আগস্ট ২০২০, ১৭:১৪

বিদ্যুৎ বিভাগের আশ্বাসের পরও ভূতুরে বিলের কবল থেকে মুক্তি পায়নি সাধারণ গ্রাহকরা। জুলাই মাসেও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পাওয়ার অভিযোগ করেন অনেক গ্রাহক। বিল সমন্বয়ও এখনো শুরু হয়নি। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিআইআরসি জানায় এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতিকে বিদ্যুৎ বিভাগের চরম দায়িত্বহীনতা বলে অভিযোগ করেন বিশেষজ্ঞরা।

অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ডেসকোর গ্রাহকরা জানান, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার বিদ্যুৎ বিল আসতো মাসে ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা। অথচ মার্চ মাসে আসে ১ হাজার ২৯৫ টাকা, এপ্রিলে ১ হাজার ৫৬৬ টাকা আর সবশেষ জুন মাসে তার বিল এসেছে ৮ হাজার ৫৩৩ টাকা। কর্তৃপক্ষের কাছে অতিরিক্ত বিলের ব্যাপারে অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি তারা। এরমধ্যেই আসে জুলাই মাসের ২ হাজার ৬৯৪ টাকার বিল। ফলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় তারা।

এমন অভিযোগ আরও অনেক গ্রাহকের। জুলাই মাসে বিদ্যুৎ বিভাগ সমস্যা সমাধান করে বিল সমন্বয়ের আশ্বাস দিলেও সে কার্যক্রম শুরু হয়নি এখনও। তারা বলেন, ডেসকোর কর্মকর্তারা বলেন আপনারা চলে যান। লাইনে দাড়ায়ে লাভ নেই। যা বিল আসছে তাই দিতে হবে।

অতিরিক্ত বিলের ব্যাপারে যে সকল গ্রাহক অভিযোগ করেনি বা জানাননি তাদের টাকা কিভাবে সমন্বয় করা হবে সে সিদ্ধান্তও নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

---------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে না এলে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হবার শঙ্কা বাংলাদেশের
---------------------------------------------------------------

ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাওসার আমির আলী বলেন, অভিযোগ না করলে কিভাবে ঠিক করব? যদি আমাদের চোখে ভুল ধরা পরে তাহলে আমরা অভিযোগ ছাড়াই ঠিক করে দিব।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিআইআরসি) সদস্য বজলুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিলগুলো সমন্বয় করার কথা ছিল। এখন কি করেছে না করেছে, এটার রিপোর্ট আমাদের কর্মকর্তারা না দিলে তো আমি কিছু বলতে পারছি না। এক সপ্তাহের মধ্যে ভূতুরে বিল সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।

এই যখন পরিস্থিতি তখন বিদ্যুৎ সচিবের দাবী সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।

এদিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি বিল আদায় করা অবৈধ বলে মনে করেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব। প্রয়োজনে তারা আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানান প্রতিষ্ঠানটির জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

আর ভূতুরে বিল তৈরির দায়ে অভিযোগের আঙুল ডিপিডিসির যে আইসিটি ও প্রকিউরমেন্ট শাখার দিকে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বরং তাদের বাইরে রেখেই অন্য শাখার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এসএ/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh