• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পদত্যাগেই সমস্যার সমাধান হবে না (ভিডিও)

আতিকা রহমান

  ২৪ জুলাই ২০২০, ১৩:০১
Regent and GKG Hospital
ফাইল ছবি

কেবল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে যাওয়া-আসাতেই সমাধান নয়। দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে ঢেলে সাজাতে হবে পুরো স্বাস্থ্য বিভাগকে। এমন পরামর্শ দিয়ে এ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা এবং অতিমাত্রায় দলীয়করণ পুরো স্বাস্থ্য খাতকে চরম বিশৃঙ্খল করে তুলেছে। এ থেকে মুক্তি পেতে শুদ্ধি অভিযান চালানোর তাগিদ দিলেন তারা।

করোনার মহামারিতে অন্য সমস্যার পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্য খাত কতটা নাজুক অবস্থায় আছে তার চিত্র সবার সামনে উঠে এসেছে। সম্প্রতি কোভিড-১৯ ভুয়া সার্টিফিকেট হাসপাতালগুলোর সাথে চুক্তি, রিজেন্ট ও জিকেজি হাসপাতালের অনিয়ম, চেয়ারম্যানদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় আরও স্পষ্ট হয়েছে এ খাতের দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খল অবস্থা। প্রকাশ পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিও। এসব কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। আরেকজন পরিচালককেও অব্যাহতি দেয়া হয়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু পদত্যাগেই সমস্যার সমাধান হবে না। অনিয়ম দূর করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালাতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, এটা একটা সিস্টেম স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর। একটা সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে। কোন কাজ কোনভাবে চলবে। আর তারা হবেন সিস্টেম স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউা এর নাট বল্টু। এগুলোর মধ্যে কোনো গোপনীয়তা রাখা উচিৎ নয়। এখন আমরা বুঝতে পারছি। গোপনীয়তা রাখলেই এসব দুর্নীতি হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, এটাতে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে এটা ভাবার কোনো কারণ নাই। কেননা এই স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি বহুদিনের একটা অব্যবস্থাপনা এবং এর শিকর বহুদূর বিসৃত। দুর্নীতি যেদিকে হয় সে জায়গাগুলোর দিকে হাত দিতে হবে। এর সাথে ভেতরের ও বাইরের বহুলোক জড়িত আছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, চুক্তি ও ব্যয়ের হিসাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা আনা জরুরি। বিভিন্ন যে ক্রয় চুক্তিগুলো হয় সেগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে।

এ সেক্টরে উচ্চ পর্যায়ে নিয়োগের বিষয়ে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখার পরামর্শ দিলেন তারা। স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি না হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে, তাই এই খাতে আরও বেশি নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসএ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, চলতি বছরে ২৪
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ নির্দেশনা
আড়াই মাসে ডেঙ্গুতে ২০ মৃত্যু, পরিস্থিতি আরও খারাপের শঙ্কা
X
Fresh