• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জিকে শামীমদের সিন্ডিকেট আজ এ দূরাবস্থার জন্য দায়ী

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২১ এপ্রিল ২০২০, ১৪:১৩
জিকে শামীমদের সিন্ডিকেট আজ এ দূরাবস্থার জন্য দায়ী
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম

জেলা হাসপাতালগুলো দূরাবস্থা দেখে লুটপাট ও দুর্নীতিবাজদের ওপর চটেছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিগত ১২ বছরে কত বরাদ্ধ স্বাস্থ্য খাতে দিয়েছেন আর তা কোন কালোগর্তে (ব্ল্যাক হোল) হারিয়ে গেছে তা খবর নেয়ার সময় এসেছে। ৩ মেয়াদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নাই। তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ যদি সঠিকভাবে ব্যবহার হতো তাহলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহেও সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ অন্তত ১০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউ থাকার কথা।’

তিনি লিখেন…
ফেনী জেলার কোনো হাসপাতালে আইসিইউ নাই। পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহেও তাই। অবাক হয়ে গেলাম। এই আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা? লোকজন যাবে কোথায়? শুধু ঢাকা? করোনাকে কেন্দ্র করে ফেনী হার্ট ফাউন্ডেশন বা ডায়াবেটিক হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে আইসিইউ স্থাপন করা যায় কিনা সে ব্যাপারে নিজাম হাজারী এমপির সাথে আলোচনাক্রমে খোঁজ খবর নিই। ৩ কোটি টাকার মধ্যে ৫ শয্যাবিশিষ্ট ভেন্টিলেশন সুবিধাসহ আইসিইউ স্থাপন করা সম্ভব বলে জানতে পারি। এতো কম টাকার জন্য জেলা পর্যায়ে হাসপাতালসমূহে আইসিইউ নাই। এটা ভাবতেও অবাক লাগছে।
জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিগত ১২ বছরে কত বরাদ্ধ স্বাস্থ্য খাতে দিয়েছেন আর তা কোন কালোগর্তে (ব্ল্যাক হোল) হারিয়ে গেছে তা খবর নেয়ার সময় এসেছে। ৩ মেয়াদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নাই। তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ যদি সঠিকভাবে ব্যবহার হতো তাহলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহেও সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ অন্তত ১০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউ থাকার কথা।
সব সেক্টরের সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতায় জিকে শামীমদের সিন্ডিকেট আজ এ দূরাবস্থার জন্য দায়ী। জিকে শামীমরা ব্যবসায়ী, তারা তাদের ব্যবসার সুবিধার জন্য কর্তাব্যক্তিদের ব্যবহার করতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যারা এমপি, মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে এবং সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সৎভাবে কার্য সম্পাদনের মুচলেকা দিয়ে চাকরিতে ঢুকে লুটেরাদের লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন নিজে লাভবান হয়েছেন।
তাদের না ধরে জিকে শামিমদের জেলে পুরে সমস্যার সমাধান হবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের জিকে শামীমদের এবং তাদের লুটপাট চিহ্নিত করে তাদের পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। বিএমএ এবং স্বাচিপ কে অনুরোধ করব ডাক্তারদের নিয়োগ- বদলি, ডিপার্টমেন্টাল প্রসেসিংয়ের দিকে নজর না দিয়ে লুটপাটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। প্রত্যেকটা হাসপাতালে বাজারের প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা করুন। প্রত্যেকটা টেন্ডারের সর্বনিন্ম মূল্যের সাথে বাজার মূল্য মিলিয়ে দেখুন। অনিয়ম এবং মূল্যের ব্যাপক ফারাক দেখলে সেখানেই প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ করুন। এদেশ শুধু মন্ত্রী - সচিব- ডিজির নয়। এ দেশ আমাদের সবার। আজ করোনা সংক্রমণের এ পর্যায়ে এসে অবশ্যই বুঝতে পারছেন সাধারণ রোগীদের থেকে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশী বিপদসংকুল অবস্থায় আছেন। সঠিক সময়ে বিএমএ এবং স্বাচিপ এ বিষয়ে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এমন বেহাল অবস্থা হয়ত হত না। কারণ বিএমএ এবং স্বাচিপ নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যে কোনো সময় যে কোনো নিয়ম- অনিয়মের বিষয়ে জানানোর ক্ষমতা রাখেন। অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম এর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • সোশ্যাল মিডিয়া এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গরমে শিশুর যত্নে যা করবেন
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা
তীব্র গরমে ফেসবুকে ভাইরাল আবুল খায়েরের সেই বিজ্ঞাপন!
রাজধানীতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
X
Fresh