২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস ভাইরাল, যা জানাল শিক্ষা বোর্ড
সম্প্রতি ফেসবুকে ২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পাঠ্যসূচি (সিলেবাস) সম্পর্কিত যে চিঠি ভাইরাল হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা বোর্ডের চেয়ারমান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পাঠ্যসূচি সম্পর্কিত যে চিঠি প্রচারিত হয়েছে, যা ঢাকা বোর্ড থেকে ইস্যুকৃত নয়। ২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুরোধও করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
মন্তব্য করুন
আসিফ নজরুলের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পরিণতি ভোগ করতেই হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
আওয়ামী লীগের সমর্থকদের উদ্দেশে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দেওয়া সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, আসিফ নজরুল ভাইয়ের ওপর হামলে পড়া এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পরিণতি মাফিয়া দলের এই জঙ্গি উত্তরাধিকারদের ভোগ করতেই হবে।
সেইসঙ্গে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনের অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, খতিয়ে দেখতে হবে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ মিশনের যেকোনো গাফিলতি, মাননীয় উপদেষ্টার যথাযথ নিরাপত্তা কিংবা প্রটোকলের ঘাটতি আছে কিনা।
এর আগে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির মিটিং যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তিনি দেশে ফিরছিলেন।
উপদেষ্টা গাড়ি থেকে বিমানবন্দরে নামার পর কয়েকজন লোক এসে তাকে ঘিরে ধরেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সুইজারল্যান্ড শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান ছিলেন। জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টাকে বিরক্ত ও হেনস্তা করেন তারা। তখন তারা জয়বাংলা, জয়বন্ধু শ্লোগানও দেন।
আরটিভি/আরএ/এআর
আ.লীগের মিছিলের ডাক, কড়া হুঁশিয়ারি আসিফ মাহমুদের
গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি তুলে রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়ায় আওয়ামী লীগকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, গণহত্যাকারী ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক লেখেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার মতো দলটির কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের প্রচেষ্টাকে বরদাস্ত করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি
উল্লেখ, শহীদ নূর হোসেনের স্মরণে ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রোববার বিকেল ৩টায় রাজধানীর জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আরটিভি/আরএ
মেট্রোরেলের টিকিটের নকশা বদলের ব্যাখ্যা দিলো ডিএমটিসিএল
মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের নকশা বদলের ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
রোববার (১০ নভেম্বর) ডিএমটিসিএলের ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-সিপি-৭ মোট-৩ লাখ ১৩ হাজার একক যাত্রার টিকিট এবং মোট ৮ লাখ ২৫ হাজার ৫০০টি এমআরটি পাস সরবরাহ করে। একক যাত্রার টিকিট এবং এমআরটি পাসের ডিজাইন একই রকম হওয়ায় যাত্রী সাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
এমআরটি পাসধারী যাত্রী এক্সিট গেটে কার্ড টাচ করে বের হয় এবং একক যাত্রার টিকিটধারী যাত্রীকে টিকিট এক্সিট গেটের স্লটে প্রবেশ করাতে হয়। উভয় কার্ডের ডিজাইন একই রকম হওয়ায় একক যাত্রার টিকিটধারী যাত্রী এমআরটি পাসধারী যাত্রীকে অনুসরণ করে একক যাত্রার টিকিটধারী যাত্রী টিকিটটি এক্সিট গেটের স্লটে প্রবেশ না করিয়ে টাচ করায় এক্সিট গেট অ্যালার্ম প্রদান করে এবং সাময়িক সময়ের জন্য অকার্যকর হয়ে যায়। ফলে এক্সিট গেটে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
ডিএমটিসিএল জানায়, এরই মধ্যে দুই লাখেরও বেশি একক যাত্রার টিকিট হারিয়ে গেছে। একক যাত্রার টিকিটধারী যাত্রী টিকিটটি স্লটে জমা না দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিজাইন একই রকম হওয়ায় এক্সিট গেটে কর্তব্যরত ব্যক্তি একক যাত্রার টিকিটধারীকে বাধা দিতে বিভ্রান্ত হয় এবং এতে যাত্রী হয়রানিসহ জটিলতার সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া একক যাত্রার টিকিট এবং এমআরটি পাস এর মধ্যে পার্থক্য করার জন্য এর আগে ৫০ হাজার একক যাত্রার টিকিটের রং পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু তাতেও সুফল পাওয়া যায়নি। একক যাত্রার টিকিটের পরিমাণ কমে যাওয়ায় নতুন টিকিট সংগ্রহের এবং ডিজাইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়। এ অবস্থায় ডিএমটিসিএল ২০ হাজার একক যাত্রার টিকিট জাপানের সনি কোম্পানি থেকে এনেছে। গত সোমবার স্টেশনগুলোতে নতুন টিকিট ছাড়া হয়। মূলত যাত্রীদের সুবিধার জন্য একক যাত্রার টিকিট এবং এমআরটি টিকিটের যাত্রীদের টিকিটের মধ্যকার বিভ্রান্তি দূর করা এবং যাত্রী ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করার জন্য একক যাত্রার টিকিটে পরিবর্তন আনা হয়।
এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া গত সরকারের আমলে শুরু হয় এবং ডিজাইন চূড়ান্ত হয় ও সরবরাহ আদেশ প্রদান করা হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রাপ্ত এমআরটি একক যাত্রা কার্ডসমূহ যাত্রীদের সুবিধার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। আশা করি এমআরটি একক যাত্রার কার্ড সংক্রান্ত চলমান বিভ্রান্তির অবসান হবে।
আরটিভি/এমএ-টি
‘ছাত্রলীগ আসবে ভয়ংকর রূপে’ লেখা ডিজিটাল বোর্ড নিয়ে যা জানা গেল
সামাজিক মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবারও আসবে ভয়ংকর রূপে, সাবধান’ লেখা একটি ডিজিটাল বোর্ড ভাইরাল হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠনের এমন হুঁশিয়ারিতে এরই মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ডিজিটাল স্ক্রলিং বোর্ডের লেখা এটি। বিষয়টি নিয়ে কলেজের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। মামলারও প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে হয়েছে কমিটিও গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকলেও আওয়ামী লীগ বা তার সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজশাহীতে কোন কর্মসূচি করতে পারেনি। এরই এক ফাঁকে বিকেলে ৫ টার পর রাজশাহী কলেজের ডিজিটাল বোর্ডে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বার্তা ভেসে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভও করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
রাজশাহী কলেজ প্রশাসন জানিয়েছে, আইটি বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন ডিভাইস হ্যাক করে এ বার্তা প্রচার করা হয়েছে। অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী বলেন, ‘কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবদুল মতিনকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমিটিকে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে ব্যবস্থা নেবেন তারা।
কলেজ প্রশাসন আরও জানায়, এঘটনায় রোববার নগরের বোয়ালিয়া থানায় জিডি করা হয়েছে। এখন সন্দেহভাজন একজনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। কে বা কারা এটি করেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির জানান, তারা এ ঘটনায় বিস্মিত। কে বা কারা এটির সঙ্গে জড়িত, সেটি জানতে তার কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের পর জানা যাবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহীর সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার জানান, আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের রাজপথে আসার সাহস নেই। তারা মানুষকে ভয় ভীতি দেখাতে চাই। রাস্তায় আছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। পারলে তারা প্রকাশ্যে আসুক।
আরটিভি/এসএপি
বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে: হাসনাত
রাজনীতিবিদরা হাত মেলাচ্ছে। আর তাই বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ফেসবুকে এক পোস্টে এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন হাসনাত।
তবে তিনি কোন ঘটনায় এমন হতাশ হলেন তা তুলে ধরেননি। তার লেখাটা ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত। ‘রাজনীতিবিদরা হাত মেলাচ্ছে, আর বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে।’
মন্তব্য খোলাসা না করলেও তার ফেসবুক অনুসরণকারীরা রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপগুলো নিয়ে সন্দেহ এবং হতাশা প্রকাশ করে মন্তব্য করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত আব্দুল্লাহ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একদফা (শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি) হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাদের (রাজনৈতিক দলগুলোর) সংবিধানপ্রীতি, মুজিবের ছবি সরানোর কারণে আমরা দেখলাম যে, গত ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য এই সংবিধানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা একটি দলের মাঝে এখন একটা প্রীতি দেখা যাচ্ছে। দেখলাম যে একটা বক্তব্য দেওয়া হয়েছে যে, এটা (শেখ মুজিবের ছবি সরানো) ঠিক হয়নি। মোস্তাকের সঙ্গেও তুলনা করা হচ্ছে যে, মোস্তাক এই কাজ করেছিল।
রাজনীতির অগ্রজ এবং অনুজের মাঝে বিভাজন তৈরি হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, এই বিষয়গুলো দুঃখজনক। এই সংবিধানের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি। অথচ এই সংবিধানের অধীনে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকেই সরকার শপথ নিচ্ছে। এই বিষয়গুলো কোথাও না কোথাও বিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটে ঘাটতি তৈরি করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে গত রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি লাল করে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘সাঈদ, ওয়াসিম মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। ১৩৪শে জুলাই, ২০২৪’।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা মঙ্গলবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন, কেউ অপরাধ করলে ইতিহাস ও জনগণ তা সিদ্ধান্ত নেবে। আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণমনা দল বিএনপি নয়। মুজিবের ছবি সরিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি। বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো ঠিক হয়নি। খন্দকার মোশতাকও তার ছবি নামিয়েছিলেন আর জিয়াউর রহমান আবার টাঙিয়েছিলেন সেই ছবি।
যদিও কিছুক্ষণ পর আবার বিবৃতি দিয়ে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন তিনি। আগের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত: ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।
গত রোববার (১০ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে সদ্য শপথ নেওয়া মাহফুজ আলম এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ’৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। তবে মানুষের ভেতরে জুলাই স্পিরিট যতদিন থাকবে তাকে আর কোথাও দেখা যাবে না।’
আরটিভি/এএইচ/এসএ
যে কারণে ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গেছে ফেসবুক
সম্প্রতি #WeAreNahid হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গেছে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক। এর মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীসহ অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের পাশে দাড়ানোর বার্তা দিচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ, মো. আবু বাকের মজুমদার, আবদুল কাদেরসহ বেশ কয়েকজন এটি ব্যবহার করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
মূলত, নাহিদ ইসলামকে নিয়ে কে বা কারা এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সেই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই তাদের এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার। সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) মহাপরিচালক পদের নিয়োগপত্রে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সুপারিশসহ সই করা ছবি ভাইরাল হয়েছে।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিষয়টি অসত্য এবং আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ১৫ অক্টোবরের নিয়োগ ২২ অক্টোবরই বাতিল করা হয়েছিল। সুপারিশকৃত গোপন নথির ছবি যারা পেয়ে যায় তাদের কাছে বাতিলকৃত প্রকাশ্য নোটিশটি অজানা থাকার কথা না। তারপরও যেকোনো মূল্যে অসত্য প্রচার করে বিতর্কিত করাটা এই সময়ের রাজনীতি।
তিনি আরও লিখেছেন, মূলত আওয়ামী বিরোধী ও আন্দোলনের পক্ষের একটি গ্রুপ এই ব্যক্তির সুপারিশ করেছিল। পরবর্তীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা উনার একাডেমিক এক্সেলেন্সি দেখে এনআইবি পদে নিয়োগ দেন। কিন্তু ঐ ব্যক্তির রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড জানার পরে সঙ্গে সঙ্গেই উনার নিয়োগ বাতিল করা হয়। গত মাসের ঘটনা। বাতিল করার ঘোষণাটিও সকলে অবগত আছেন।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চলমান হল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে নাহিদ ইসলামকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সচিবালয়ের সামনে ছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ।
শিক্ষার্থীরা জানান, এই স্লোগান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই দিয়ে আসছিলেন। মূলত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে এই স্লোগান দেওয়া হয়েছে। নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে নয়। তারা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চান তাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন হোক। এ জন্যই ‘আর্মি হবে ঠিকাদার’ বলা হয়েছে।
এক ফেসবুক পোস্টে আকরাম হোসাইন রাজ ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে লিখেছেন, সরাসরি সম্মুখে উচ্চস্বরে ‘সব শালারা বাটপার’ বলার স্বাধীনতা আনার জন্যই নাহিদরা বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের নাহিদ ইসলাম ভাই।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফি লিখেছেন, ডিবি অফিসে পিছন সাইট লাল নাহিদ ভাইয়েরই হয়েছিল। ডিবি হারুনের বানানো স্ক্রিপ্ট প্যান্ট পরেও পড়তে পারেনি সে। লুঙ্গি পরে পেপার হাঁটুর ওপরে রেখে বানানো স্ক্রিপ্ট পড়েছিল নাহিদ ইসলাম।
ছাত্র আন্দোলনে অ্যাক্টিভিস্ট আশরেফা খাতুন তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, বড় ভাই নাহিদ ইসলামকে ভরসা করি। ভাইয়ের ভুলত্রুটির সমালোচনা আমরাই করবো, কিন্তু ষড়যন্ত্র করতে দেব না কাউকে। আমি যদি এই আন্দোলনে কাউকে সামনে থেকে দেখে সাহস পেয়ে থাকি সেটা নাহিদ ভাই। পূর্ণ আস্থা রাখছি উনার ওপর।
আরটিভি/এসএপি-টি
সাবধান করলেন সারজিস আলম, কারণ কী?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে তাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টাকারীদের সাবধান করেছেন সমন্বয়ক এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ বার্তা দেন।
সারজিস আলম বলেন, নাহিদ, ‘আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই রাজপথে নেমেছিল। DGFI, DB'র পাশবিক অত্যাচার, কোনো কিছুই এদের টলাতে পারেনি। হাসনাতরা আরও ৩ মাস আগেই বলেছিল ‘we are open to be killed’. মাহিন সরকার, আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই৷ শেখ হাসিনার পুরো রেজিমের ভয় এদেরকে লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান ওদের পূর্ববর্তী করাপ্টেড সিস্টেম নিয়ে ছিল সেটা বুঝেছি। সহযোদ্ধাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকতে পারে সেটা নিয়েও সমস্যা নেই। ন্যায়ের পক্ষে রাজপথের লড়াই সংগ্রাম মিনিটের মধ্যে আবার অমাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করবে এটা আমরা বিশ্বাস করি। যখনই সংকট এসেছে আমার এই সহযোদ্ধারাই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে এসেছে।’
সমন্বয়ক সারজিস বলেন, ‘কিন্তু এজেন্ট হিসেবে ভেতরে ঢুকে এদের কাউকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নোংরা প্রচেষ্টা যদি করা হয় তবে সেটা কখনো সফল হবে না। এই বন্ধন এমনি এমনি তৈরি হয়নি। হাতে হাত রেখে রাজপথে ঘাম ঝরিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে, জীবনের মায়া ত্যাগ করে একসাথে লড়াই করে এই বন্ধন তৈরি হয়েছে। সাবধান!’
আরটিভি/এসএপি