ফেসবুক পোস্টে যে বার্তা দিলেন সারজিস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর মুন্সীগঞ্জ জেলা দিয়ে শুরু হবে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম এ তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দেখা হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ।’
রোববার থেকে শুরু হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর। যেখানে আমাদের একটি সমন্বয়ক টিম প্রত্যেকটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবে।’
পোস্টে তিনি জানান, ঢাকা বিভাগীয় সফরের প্রথম জেলা হিসেবে রোববার মুন্সীগঞ্জে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। জেলার সরকারি হরগঙ্গা কলেজ মাঠে বিকেল ৩টায় শুরু হবে এ সভা।
মন্তব্য করুন
‘ধনের মানুষ মানুষ নয়, মনের মানুষই মানুষ হয়’
প্রচলিত ধারণা অনুসারে যার ধনসম্পদ বেশি, সে বড় বলে বিবেচিত। অর্থসম্পদ মানুষকে সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে সাহায্য করে, নিজেকে বড় বলে ভাবার সুযোগ তৈরি করে দেয়। কিন্তু অর্থসম্পদ বেশি হলেই যে কেউ বড় বলে বিবেচিত হবে, তা নয়। যার মন বড়ো অর্থাৎ যিনি উদার, পরোপকারী, সৎ, তিনিই যথার্থ বড় মাপের মানুষ। এক গর্ভবতী নারীর জীবন বাঁচাতে রক্ত দিয়ে এমনই এক নজির গড়লেন আটো চালক তরিকুল ইসলাম তরিক।
সোমবার (৭ অক্টোবর) ফেসবুক গ্রুপ ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, প্রায় দুবছর আগে বিয়ে করেছেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবক খালেদ মাহমুদ খান সোহাগ। শারীরিক নানা প্রতিবন্ধকতার তার দুই পা অচল। চলাফেরা করেন হুইল চেয়ারে। গর্ভবতী স্ত্রী আয়েশা খান স্বাস্থ্যগত জটিলতা থাকায় গত ৩ অক্টোবর দুপুর ১২ টায় স্ত্রীকে জরুরি ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের সোনিয়া ক্লিনিকে ভর্তি করান। ভর্তিতে দেরি হওয়া ও রোগীর অবস্থা বিবেচনায় সিজারের সময় নির্ধারিত হয় ওই দিন সন্ধ্যায়। তার স্ত্রীর সিজারের দায়িত্বে থাকা ডা. সাদিয়া সিদ্দিকা ইথার জানান, সন্ধ্যার মধ্যে দুই ব্যাগ এ নেগেটিভ রক্ত লাগবে। এরপর গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না সোহাগ।
গত ১ অক্টোবর থেকেই সোহাগ পূর্ব প্রস্তুতিস্বরূপ পরিচিতজনসহ ফেসবুকের মাধ্যমে রক্তের সন্ধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সোহাগের হয়ে রক্ত চেয়ে ফেসবুকে একাধিকবার পোস্ট দিতে দেখা গেছে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরসহ আরও অনেককেই, তবুও মিলেনি প্রত্যাশিত গ্রুপের রক্ত।
সোহাগ বলেন, ইতঃপূর্বেই আমি এ নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত চেয়ে ফেসবুকে অনেক গ্রুপ, পেজে পোস্ট শেয়ার করেছি। তা থেকে অনেকেই আশা দিলেও বাস্তবে পাওয়া যাচ্ছিলো না কাউকেই। গত ৩ অক্টোবর দুপুরেও যখন কোনোভাবেই গর্ভবতী স্ত্রীর জন্য রক্তের জোগাড় হয়নি তখন এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়ি। কোনো কূল কিনারা না পেয়ে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করি বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র প্ল্যাটফর্মের কর্ণধার গিরিধর দে-র সাথে।
স্বেচ্ছাশ্রমে দেশ ও সমাজের কল্যাণে একযুগ ধরে কাজ করা উদ্যোক্তা, সংগ্রাহক ও সমাজ উন্নয়ন সংগঠক গিরিধর দে ঘটনার বিস্তারিত জেনে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। এরপর যোগাযোগ করেন টাঙ্গাইলে থাকা “বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র” এর সদস্য লেখক মন্নুজান মুন্নী ও টাঙ্গাইলে অবস্থানরত স্থানীয় রক্তদাতা সংগঠনগুলোর সাথে। মুন্নী নিজে রক্ত জোগাড় করে দিতে না পারলেও কোনো ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত কিনে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এগিয়ে আসে আরেক সদস্য তানভীর সরকার টুটুল। গিরিধরের অনুরোধে তৎক্ষণাৎ ব্লাড ব্যাংকে যান রক্তের খোঁজে কিন্তু কোথাও পাওয়া যায় না। অবশেষে কোথাও জোগাড় করতে না পেরে ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’ প্ল্যাটফর্মের ১২ লক্ষাধিক সদস্য বিশিষ্ট ফেসবুক গ্রুপে অন্তঃসত্ত্বা এক মায়ের জীবন বাঁচাতে টাঙ্গাইলের মানুষদের খোঁজ করে বিস্তারিত লিখে এ নেগেটিভ গ্রুপের ২ ব্যাগ রক্ত চেয়ে পোস্ট করেন গিরিধর।
তার আহ্বানে অনেকে রক্ত দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে আগ্রহীদের বেশিরভাগ ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকায় তাদের কাছ থেকে রক্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর গ্রুপে গিরিধরের পোস্ট নজরে আসে টাঙ্গাইলের নিম্ন পেশাজীবী তরিকুল ইসলাম তরিকের। তিনি পোস্টের বিস্তারিত জেনে যোগাযোগ করেন। রক্ত দিতে প্রস্তুত বলে জানান। পোস্টটি পড়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে ছুটে যান তরিক। বিকাল চারটায় তার রক্ত সংগ্রহ করা হয়। তারিক টাঙ্গাইল সদরের পাঁচ কাহনিয়া গ্রামের দাইন্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও পেশায় একজন অটোচালক। সেদিনও অটো নিয়ে ক্লিনিক থেকে ২০ মিনিটের দুরুত্বে ছিলে তিনি। ফেসবুকে পোস্ট পড়েই তরিক তৎক্ষণাৎ ফোন করেন এবং রক্ত দিতে ছুটে আসেন। রক্ত সংগ্রহ করা হয় তার। এছাড়াও সেদিন পোস্ট পড়ে রক্ত দিতে হাসপাতালে ছুটে আসেন পলাশ গোস্বামী নামের আরও এক ব্যক্তি।
অবশেষে রক্ত পাওয়ার পর অপারেশন শুরু হয়। সফলভাবে অপারেশন সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে খালেদ মাহমুদ খান সোহাগ ও আয়েশা খান দম্পতির কোল জুড়ে সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে পৃথিবীতে আসে এক ফুটফুটে মেয়ে সন্তান। পরদিন ৪ অক্টোবর বিকালে সোনিয়া ক্লিনিকে মা ও শিশুকে দেখতে যান টাঙ্গাইলে বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্রর সদস্য মন্নুজান মুন্নী। এসময় তিনি সবার খোঁজখবর নেন এবং নবজাতক শিশুকে কোলে নিয়ে দোয়া ও শুভ কামনা জানান।
খালেদ মাহমুদ খান সোহাগ জানান, তাদের মেয়ের নাম রেখেছেন আনায়া আশরীন খান (সোহা)। নবজাতক ও তার মা উভয়ই সুস্থ আছে। সকলে কাছে তাদের মেয়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র প্ল্যাটফর্ম এবং তার কর্ণধার গিরিধর দে, রক্তদাতা তরিকুল ইসলাম তরিক ও প্ল্যাটফর্মটির সদস্য মন্নুজান মুন্নী, পলাশ গোস্বামী, তানভীর সরকার টুটুল সহ সকল সদস্যদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।’
আরটিভি/এসএপি
জাতীয় পার্টিকে সংলাপে ডাকা প্রসঙ্গে যা বললেন সারজিস ও হাসনাত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতীয়পার্টির সংলাপ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে নিজ নিজ ফেসবুক পেজ এ বিষয়ে পোস্ট দিয়েছেন তারা।
ফেসবুক পোস্টে সারজিস লিখেছেন, জাতীয় পার্টির মতো মেরুদন্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদেরকে প্রধান উপদেষ্টা কিভাবে আলোচনায় ডাকে?
হাসনাত তার পোস্টে লিখেছেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব।’
এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত তিনটি সংসদ বাতিলের দাবি জানান হাসনাত।
আরটিভি/এসএপি
ফিরে যাওয়ার আগে যে বার্তা দিলেন আজহারি
জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি দেশ ত্যাগ করেছেন। যাওয়ার আগে তিনি এক বার্তায় বলেন, দেশে খুব লম্বা সময় অবস্থান না করলেও শিগগিরই ফিরবো।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে এক স্ট্যাটাস দেন তিনি।
মাওলানা আজহারি কোনো পূর্বঘোষিত বার্তা ছাড়াই দেশে যেমন এসেছেন, ঠিক তেমনি ফিরে গেছেন। এতে অবশ্য তার ভক্তরা অবাক হয়েছেন। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরবেন।
জানা যায়, গত ২ অক্টোবর দেশে এসেছিলেন মাওলানা আজহারি। নয় দিনের মাথায় আবার মালয়েশিয়া ফিরে গেছেন। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে কয়েকটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছেন।
যাবার আগে দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশিরভাগ সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরনার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে-দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশাকরি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সাথে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইলো।
তিনি আরও লিখেন, আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরব ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটি-সহ সবকিছু অনুকূল হলে, পুরো দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়তো কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর।
নিজের কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে আজহারি লিখেন, আমি এ-জমিনে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই পরিকল্পিতভাবে। তাই আগের মতো জেলায় জেলায় গণহারে তাফসির প্রোগ্রাম করতে চাচ্ছি না। আউটডোর প্রোগ্রাম সীমিত করে, কিছু ইনডোর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে চাই। পাবলিক ইভেন্ট ছাড়াও একাডেমিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাজে যুক্ত হতে চাই। এসব স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। শীঘ্রই এসব প্রকল্পের ঘোষণা আসবে ইনশাআল্লাহ। দু’আয় রাখবেন।
চার বছর আগে আজহারি মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে এখানেই এ বছরের তাফসির প্রোগ্রামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই, মার্চ পর্যন্ত আমার বাকি প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হল। রিসার্চের কাজে আবারও মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে আবারও দেখা হবে ও কথা হবে ইনশাআল্লাহ।’
তবে অনেকের ধারণা, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে লক্ষ্মীপুরে তার এক মাহফিলে ১২ জন ভারতীয় নাগরিকের ধর্মান্তরের ঘটনা আলোচনার সৃষ্টি করে। লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া গ্রামে আজহারির মাহফিলে একই পরিবারের মোট ১২ জন সদস্য এক সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করা আলোচিত এই হিন্দু পরিবারটি এসেছিল ভারত থেকে। বাংলাদেশ পুলিশ ১২ জনকেই আটক করে ভারতে ফেরত পাঠায়।
আরটিভি/এএইচ/এআর
মোদির দেওয়া স্বর্ণমুকুট উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে প্রতিমার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণের মুকুট চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় চোর ধরিয়ে দিতে পারলে বা তার সঠিক সন্ধান দিতে পারলে সন্ধানদাতাকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই পুরস্কারের ঘোষণা দেন তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ফেসবুক পেইজে দেওয়া ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরি: চোরকে ধরিয়ে দিতে বা কোনো সন্ধান বা শনাক্তে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশকে সহায়তার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা মহোদয় মুকুটের সন্ধানকারীকে বিশেষ পুরস্কারে পুরস্কৃত করিবেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৪৭ মিনিট থেকে ২টা ৫০ মিনিটের মধ্যে স্বর্ণের মুকুটটি চুরি হয়। এ ঘটনার পর মন্দিরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এক যুবককে মুকুটটি চুরি করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে পূজা শেষে পুরোহিত দিলীপ কুমার ব্যানার্জি সেখানে সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকারের কাছে মন্দিরের চাবি দিয়ে বাড়ি যান। এ সময় মন্দির প্রাঙ্গণে রেখাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখান থেকে ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার মুকুট চুরির ঘটনা ঘটে।
সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকার বলেন, দুপুরে একটি অন্নপ্রাশনের পূজা শেষ করে পুরোহিত বাবু মন্দিরের চাবি আমার কাছে দিয়ে বাড়িতে চলে যান। এরপর আমি পূজার কাজে ব্যবহৃত বাসনপত্র ধোয়ার জন্য পাশের টিউবওয়েলে যাই। পরে সেখান থেকে ১ থেকে ২ মিনিট পরে এসে দেখি প্রতিমার মাথার মুকুটটি নেই। পরে আমি মন্দিরে থাকা সবাইকে বিষয়টি জানাই।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান জানান, যশোরেশ্বরী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় জড়িতকে ধরতে সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্ত চলছে।
আরটিভি/এসএইচএম
মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন আজহারী
মালয়েশিয়া প্রবেশের সময় বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে মিজানুর রহমান আজহারীকে। এরপর স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টার দিকে তাকে দেশটিতে প্রবেশ করতে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এ বিষয়ে শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
পোস্টে আজহারী বলেছেন, মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন পয়েন্টে ভেরিফিকেশনে একটু সময় নিয়েছিল। আমি ঠিক আছি। গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে মালয়েশিয়া যাওয়ার ঘোষণা দেন মিজানুর রহমান আজহারী।
পোস্টে তিনি লেখেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশির ভাগ সময় পরিবারের সাথেই কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে-দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেওয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশা করি, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সাথে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইলো।
তিনি আরও লেখেন, আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরবো ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটিসহ সবকিছু অনুকূল হলে, দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়তো কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে, সবকিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর’।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন জনপ্রিয় এই ইসলামি বক্তা। তবে, কয়েক দিনের মাথায় শুক্রবার ফের দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়া চলে যান তিনি।
আরটিভি/এসএ
বিয়ে করলেন হাসনাত, সারজিসের শুভেচ্ছা
বিয়ে করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হাসনাতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরেক সমন্বয়ক ও হাসনাতের বন্ধু সারজিস আলম।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে হাসনাতের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে সারজিস লিখেছেন, আল্লাহ পৃথিবীতে আমাদের জন্য যা দিয়েছেন তার সবই নেয়ামত। তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নেয়ামত হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী। আজ থেকে তুমি তেমনই একজন স্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করছো।
শুভকামনা জানিয়ে সারজিস আরও লিখেছেন, দাম্পত্য জীবন সুখের হোক। আল্লাহ তোমাদের জীবনকে বরকতময় করে তুলুন।
এর আগে গতকাল (শুক্রবার) হাসনাত আব্দুল্লাহ মজার ছলে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। পোস্টে হাসনাত লিখেন, শুনলাম আজ রাতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের গায়ে হলুদ, সারজিস আলমের বিয়ে আর নাহিদ ইসলামের মেজ ছেলের সুন্নতে খৎনা।
তবে ওই পোস্টটি মজার ছলে করলেও নিজের ঠিকই বিয়ে সারলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
প্রসঙ্গত, হাসনাত আব্দুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।
আরটিভি /এএ/এসএ
পূজামণ্ডপে গীতা পাঠের ব্যাখ্যা দিলেন সেই জামায়াত নেতা
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমীর রাতে একটি পূজামণ্ডপে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র গ্রন্থ গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ঘটনার ৫ মিনিটের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এবার তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের এ শুরা সদস্য।
শনিবার (১২ অক্টোবর) এক ভিডিও বার্তায় মন্দিরে গীতা পাঠের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন তিনি।
১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় অধ্যাপক মতিয়ার রহমান বলেন, প্রিয় এলাকাবাসী, আমার সালাম ও শুভেচ্ছা নেবেন। আমি মো. মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী। আমি গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায় যাতে করে নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের ধর্মীয় পূজা উৎসব পালন করতে পারে তার জন্য কোটচাঁদপুর পৌরসভা ও এলাঙ্গি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করতে যাই। সেখানে মানবসেবা, অমুসলিমদের অধিকার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও নির্বিঘ্নে তারা যেন পূজা অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন—এই মর্মে তাদেরকে আশ্বস্ত করি। ইসলাম যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে শান্তির ধর্ম এবং গোটা মানবজাতির ধর্মীয় নাগরিক, মানবিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণ করে, তার স্বপক্ষে বিভিন্ন প্রকারের বক্তব্য প্রদানকালে বেদব্রহ্ম থেকেও কিছু শ্লোক পাঠ করে শোনাই।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করে বিশেষ রাজনৈতিক মহল জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এ বিষয়ে অন্য কিছু ভাববার বা ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই। বিদায়ের সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুই হাত তুলে আমাকে অভিবাদন জানালে আমিও তাদের দুই হাত তুলে অভিবাদন জানাই।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বক্তব্যের একপর্যায়ে গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করেন অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। সে সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা উলুধ্বনি দেন ও শঙ্খ বাজান। আগামীতে নির্বাচিত হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব পালনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এ জামায়াত নেতা।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর