চীনের ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য সুখবর
চীনা ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সুখবর আসছে। স্বল্পমেয়াদি দেশটির ভিসা নিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে না।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকার চীনা দূতাবাস।
এতে বলা হয়েছে, চীনের ভিসা প্রত্যাশীদের আরও সুবিধার জন্য একক বা ডাবল এন্ট্রি স্বল্পমেয়াদি ভিসার (১৮০ দিনের কম থাকা) ক্ষেত্রে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ সাল পর্যন্ত ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ থেকে ছাড় দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
সাকিবকে নিয়ে গুঞ্জন, শিশিরের দীর্ঘ স্ট্যাটাস
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নীরব থেকে এমনিতেই তোপের মুখে রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে সাকিবের সঙ্গে দেখা গেছে অন্য এক নারীকে। বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে থাকা সেই নারীকে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কন্যা ও বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামাল বলে দাবি করছেন নেটিজেনরা।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাতভর নানান সমালোচনা হয়েছে। এমনকি সাকিবের সঙ্গে স্ত্রী উম্মে শিশিরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জনও চাউর হয়েছে। সেই শঙ্কা অবশ্য বেড়েছে শিশিরের কারণেই। সাকিবের সঙ্গের অনেক ছবিই ডিলেট করেছেন তিনি। তবে সকালেই ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে সাকিবের পক্ষ নিয়েছেন শিশির। তিনি জানিয়েছেন, সাকিব এক অসাধারণ বাবা এবং স্বামী। এমনকি এই দম্পতির সম্পর্কের বর্তমান অবস্থানের কথাও জানিয়েছেন সাকিবপত্নী।
স্ট্যাটাসের শুরুতেই শিশির লিখেছেন, ‘আপনার হয়তো তার (সাকিব আল হাসান) ক্যারিয়ার এবং পছন্দ নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে, তা আমি অস্বীকার করব না। প্রত্যেকেরই বাকস্বাধীনতা আছে। কিন্তু দয়া করে এটি আমাদের সম্পর্কের সঙ্গে মেশাবেন না। সে একজন অসাধারণ স্বামী এবং বাবা। সে সবসময়ই আমার প্রতি বিশ্বস্ত ও সৎ ছিল আর এমন কিছু করবে না যা আমাকে আঘাত করে। সে এমন মানুষ, যে আমার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল।’
শিশির লিখেছেন, ‘আমি তার বাইরে ঘোরাফেরা নিয়ে সবসময়ই জানি আর বেশির ভাগ সময় তার সঙ্গেই থাকি। ১৩ বছর আগে আমি যে মানুষটির সঙ্গে আলাপ করেছিলাম, সে এখনও সেই একই মানুষ আছে। জীবনসঙ্গী হিসেবে সে ১০০ তে ১০০ পাওয়ার মতোই। আর আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের সুন্দর একটি পরিবার আছে।’
এরপরেই অনলাইনে গুঞ্জন না ছড়াতে অনুরোধ জানিয়েছেন সাকিবপত্নী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি বা ভিডিও পুরো ঘটনা বর্ণনা করে না। শিশিরের বক্তব্য, ‘যারাই এমন করছেন, তাদের প্রতি আমি বলতে চাই এসব করে আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না।’
শিশির লিখেছেন, ‘আমি চুপ থাকতে চাই কারণ সত্যটা আমার ভেতরেই আছে। কিন্তু কিছু অপ্রয়োজনীয় ফোনকল এবং মেসেজের কারণে আমি বিষয়টা পরিষ্কার করতে চেয়েছি। তার এখন পাকিস্তান সিরিজে নজর দেয়ার সময় আর আমি আমার পরিবারের দিকে নজর দেবো। আমরা সবসময়ই টিম হয়ে ছিলাম, আর তেমনই থাকব ইনশাআল্লাহ।’
ওই স্ট্যাটাসের সঙ্গে নিজের পারিবারিক ছবিও যুক্ত করেছেন শিশির। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার কোনো পোস্ট বা ছবি ডিলেট করিনি। কেবল তা প্রাউভেট করে রেখেছি। আর ছবি বা পোস্ট কখনো কোনো সম্পর্ককে বিচার করতে পারে না।’
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের খবর সত্য নয়
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, ‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পদত্যাগ করেছেন, এমন খবর মিথ্যা ও গুজব।’
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল লেখেন, ‘আমার নাম ব্যবহার করে কিছু অপপ্রচার হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি রিজাইন (পদত্যাগ) করেছেন বলে যে খবর আমার ছবি ব্যবহার করে প্রচার হচ্ছে, তা ভুয়া।’
এর আগে, বুধবার (১৪ আগস্ট) আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, বিচার বিভাগের সব কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির হিসাব আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘দুঃখিত ও লজ্জিত’ সোলায়মান সুখন
খন্দকার মোহাম্মদ সোলায়মান যিনি সোলায়মান সুখন নামেই পরিচিত একজন জনপ্রিয় প্রেরণাদায়ী বক্তা এবং উদ্যোক্তা। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অনেকটাই নিশ্চুপ ছিলেন তিনি। তার এই নীরবতার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচিত ও বুলিংয়ের হচ্ছেন তিনি। তাই এবার নিজের ফেসবুকে পেইজে দুঃখ প্রকাশ করে মেসেজের অটো রিপ্লাই সেট করে রেখেছেন তিনি।
সোলায়মান সুখনের ফেসবুকে পেজে দেখা যায় কেই তাকে মেসেজ দিলে তিনি তার রিপ্লাইয়ে লিখছেন, ‘গালি প্রাপ্য সেটা মেনে নিয়ে শুধু একটা কথাই বলবো গত ১১ জুলাই মেধার পক্ষে ভিডিও পোস্ট করার পর থেকে অনেক হুমকি আর চাপ মোকাবেলা করে নিজেকে এবং পরিবারকে সেফ করে রাখতে হয়েছে। আমি আমার জায়গা থেকে অনিয়ম নিয়ে বছরের পর বছর কথা বলার চেষ্টা করেছি তবে ছাত্ররা যে বলিন্ঠিতার সাথে পরিবর্তন শুরু করতে পেরেছে আমরা আগের প্রজন্ম সেটা পারি নি।’
একই সঙ্গে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে দুঃখ ও লজ্জা প্রকাশ করেন।
সোলায়মান সুখন ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন নৌবাহিনীর সাথে। পরে ঢাবি থেকে আইবিএ করে বাংলাদেশের মাল্টিন্যাশনাল জবে জয়েন করেন। বর্তমানে ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন নগদের চিফ পাবলিক রিলেশন বিভাগের পরিচালক। ফেসবুকে ৫ মিলিয়ন ফলোয়ারের মালিক সুখন করেছেন প্রায় ৬০০ এর বেশি পাবলিক সেশন।
দোকান ভাঙচুরের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ধরা, সেই দুজনের পরিচয় মিলেছে
মোটরসাইকেলে করে একটি দোকানের সামনে আসেন দুই ব্যক্তি। এদের একজনের হাতে কুড়াল, আরেকজনের হাতে রামদা ছিল। এগুলো দিয়ে তারা দোকানের সাটারে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায় একটি গাড়িতে করে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এসেই দুই সেনাসদস্য ওই দুই ব্যক্তির ওপর অস্ত্র তাক করলে তারা হাঁটু গেড়ে কানে ধরে আত্মসমর্পণ। এরপর তাদের আটক করে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। গত বুধবার (১৪ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। এরপর শনিবার (১৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত ১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দোকান ভাঙচুরের সময় তাদের সিনেম্যাটিক কায়দায় আত্মসমর্পণ করিয়ে আটক করে সেনাবাহিনী।
জানা গেছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর একপক্ষের কর্মীরা অপর পক্ষের দোকান ভাঙচুরের সময় ঘটনাটি ঘটে। আটককৃতরা হলেন বোয়ালমারীর যুবদল কর্মী মো. টুটুল হোসেন (২৮) ও দুখু মিয়া (৩০)। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থকরা এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন শামসুদ্দিন মিয়া। এর প্রতিবাদে ওইদিনই বিকেলে বোয়ালমারী পৌরসভায় অবস্থিত খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থক উপজেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সঞ্জয় সাহার কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুই ছেলেসহ আহত হন সঞ্জয় সাহা। এ ঘটনায় তিনি বোয়ালমারী উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. আজিজুল শেখকে প্রধান করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ওই দুই ব্যক্তিকে সেনাবাহিনী আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে সঞ্জয় সাহার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে অশোভন আচরণ, ক্ষমা চাইলেন সেই তরুণী
সম্প্রতি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ফারজানা সিথি নামের এক তরুণী। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। নেটিজেনরা ওই তরুণীকে দোষারোপ করে ফেসবুকে কমেন্ট করছেন, অনেকে তার ভিডিও বা ছবি পোস্ট করে নিন্দা জানাচ্ছেন। অপরদিকে তরুণীর অশোভন আচরণ ও বাগবিতণ্ডার সময় শান্ত থাকায় সেনা কর্মকর্তার প্রশংসা করেন অনেকে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন ফারজানা সিথি।
রোববার (১৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় ওই তরুণী বলেন, সবাইকে বলছি আমার গতকালের ব্যবহার নিয়ে খুবই দুঃখিত। এই রকম ব্যবহার আমার কোনোভাবেই করা উচিত হয়নি। আমি বাংলাদেশ আর্মির কাছে খুবই দুঃখিত। আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।
ফারজানা সিথি আরও বলেন, সিচুয়েশন, টাইমিং এবং সেখানে যে কার্যকলাপ হতে যাচ্ছিল তার ব্যাপারে আমি সচেতন ছিলাম না। আবেগে মাথা গরম করে ফেলছিলাম বুঝতে পারিনি।
এদিকে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সেনা কর্মকর্তার পেশাদারিত্ব এবং ধৈর্যের পরিচয় দেওয়ায় সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের আরও আস্থা, বিশ্বাস, নির্ভরতা ও ভালোবাসা জন্ম দিয়েছে। সেজন্য সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান তার প্রশংসা করেছেন এবং তাকে পুরস্কৃত করেছেন।
কে এই ফারজানা সিথি, জানা গেল অজানা তথ্য
‘আপনারা কি কোটার পুলিশ?’ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করে বিশেষিত হয়েছিলেন অগ্নিকন্যা, কুইন, বাঘিনী ও আয়রন লেডি হিসেবে। তবে সম্প্রতি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে ফের আলোচনায় এসেছেন ফারজানা সিথি নামের এক তরুণী।
গত শুক্রবার (১৬ আগস্ট) শাহবাগ থানায় সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যব্যয় করে ভাইরাল হন ফারজানা সিথি। এরপর প্রশ্নে উঠে কে এই ফারজানা সিথি?
ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা গেছে, ফারজানা সিথির বাড়ি যশোর। তিনি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘দ্য হাংগার প্রজেক্ট, বাংলাদেশ’এর বরগুণা সদরের সাধারণ সম্পাদক। তবে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। যদিও তিনি নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সাইন্স’এর ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফারজানা সিথিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে প্রচার করা হলেও, ১৫৮ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক তালিকার নাম পাওয়া যায়নি।
এদিকে সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে ফারজানার উগ্র আচরণের ভিডিও রীতিমত ট্রল ও মিম ম্যাটেরিয়ালে পরিণত হয়েছে। তার এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের সমালোচনা করতে দেখা যায় নেটিজেনদের। এরই মধ্যে সিথির ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও শুরু হয়ে গেছে সমালোচনা। তার পোশাক, চলাফেরা ও জীবন-যাপন নিয়ে করা হচ্ছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তার বিভিন্ন সময়ের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিভিন্ন নির্মাতা ও ফটোগ্রাফি হাউজের বিভিন্ন ফটোশুট ও ভিডিওগ্রাফিতে অংশ নিতে দেখা যায় ফারজানা সিথিকে।
তবে এক ভিডিও বার্তায় সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে অশোভন আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ফারজানা সিথি। তিনি বলেন, ‘সবাইকে বলছি আমার ওই দিনের ব্যবহার নিয়ে খুবই দুঃখিত। এই রকম ব্যবহার আমার কোনোভাবেই করা উচিত হয়নি। আমি বাংলাদেশ আর্মির কাছে খুবই দুঃখিত। কিন্তু সিচ্যুয়েশন, টাইমিং এবং সেখানে যে কার্যকলাপ হতে যাচ্ছিল তার ব্যাপারে আমি সচেতন ছিলাম না। আবেগে মাথা গরম করে ফেলেছিলাম বুঝতে পারিনি।’
অন্যদিকে, উসকানি ও অপমানের মুখেও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার জন্য প্রশংসায় ভাসছেন সেই সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আশিক। সেনাবাহিনীর প্রধানের কাছ থেকে পেলেন সম্মানসূচক ‘সেনা গৌরব পদক’।
ছাত্র-জনতার ওপর কারা গুলি চালিয়েছে জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর কারা গুলি চালিয়েছে জানায়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পরিদর্শক মজনু।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ নিয়ে পোস্ট দেন তিনি। সেই পোস্ট নিয়েই শুরু হয় তোলপাড়।
এসআই মজনুর ফেসবুক আইডি নাম ‘মিসির আলী’। তিনি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, গত ১৯ জুলাই রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও এসপি নিজেই রাইডকার দিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালান। অথচ এখন পর্যন্ত দায়ের করা পাঁচ মামলার কোনোটিতেই তাদের নাম আসেনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এসআই মজনু।
তিনি সাংবাদিক ও আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে লেখেন, প্রতিদিন আদালতে যত মামলা হচ্ছে, তার ঘটনাস্থল সিটি বাজারের সামনে, যেখানে রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি রংপুরের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের রায়ট টিম গুলি চালায়। অথচ যারা ঘটনাস্থলে ছিল না, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।
এসআই মজনু আরও দাবি করেন, এত এত ফুটেজ আর মিডিয়া কাভারেজ থাকা সত্বেও যা করা হচ্ছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বৈষম্যবিরোধী মনোভাবাপন্ন অধস্তনদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়টি মানবিকভাবে প্রকাশ ও প্রচার করার অনুরোধ জানান তিনি।
পোস্টে আরও লেখা হয়- ঈশ্বর ক্ষমতাশালী। এসপি, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার এরাও প্রভাবশালী ও প্রতাপশালী। এ কারণেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে গুলি করেও মামলা থেকে অব্যাহতি পান তারা।
রংপুর জেলা ও মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেলেও পোস্টটি শেয়ার করেন এসআই মজনু।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই রংপুর সিটি বাজারের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন পলিটেকনিক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহির। এরপর তাহির হত্যা মামলায় আসামি করা হয় এসআই মজনুকে। এখন পর্যন্ত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ঘটনায় পাঁচটি হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলার কোনোটিতেই নেই রংপুর জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় প্রশাসনের কেউ।