ফেসবুক নিয়ে বিড়ম্বনায় আজহারী, ভক্তদের কাছে চেয়েছেন সমাধান
ফেসবুক নানা সময়ই তার পলিসি পরিবর্তন করে। তাতে অনেকেই সাময়িক অসুবিধায় পড়েন। এবার সে রকমই অসুবিধায় পড়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
বৃহস্পতিবার তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জানান, তার পেজের রিচ একেবারেই কমে গেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে তার ভক্তরা তার স্ট্যাটার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
এমনকি সি-ফার্স্ট করে রাখার পরেও তার স্ট্যাটাস পৌঁছাচ্ছে না ভক্তদের কাছে। এজন্য মিজানুর রহমান আজহারী এর সমাধান চেয়েছেন। কী করলে রিচ আগের অবস্থায় ফিরতে জানতে চেয়েছেন শুভাকাঙ্খীদের কাছে।
এমকে
মন্তব্য করুন
এবার ভুয়া ভুয়া ধ্বনিতে বইমেলা থেকে বিতাড়িত হিরো আলম
মুশতাক-তিশা দম্পতি ও ড. সাবরিনার পর এবার অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে আলোচিত ইউটিউবর আশরাফুল হোসেন আলমকে (হিরো আলম) বিতাড়িত করা হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে তাকে ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘ছিঃছিঃ’ ধ্বনি দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে মেলার দর্শনার্থীরা।
জানা গেছে, বইমেলার একুশতম দিনে ‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, আমরা সমাজকে বদলে দিব’ বইয়ের লেখক হিরো আলম মেলায় আসেন। যখন বইটি হাতে নিয়ে পাঠকদের বই কিনতে উৎসাহিত করছিলেন হিরো আলম, তখন একদল দর্শনার্থী তাদের দুয়োধ্বনি দিয়ে তাড়া করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহয়তায় তিনি মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যান।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত মুস্তাক-তিশা, সাবরিনাকে একইভাবে বের করে দেয় সাধারণ দর্শনার্থী ও পাঠকেরা।
‘একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা ও আত্মবিকাশের দিন’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, মায়ের ভাষার অধিকার ও রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বীর বাঙালি জাতির লড়াই-সংগ্রাম আর বীরত্বের গৌরবগাঁথা অধ্যায়। শহিদের রক্তে রঞ্জিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্ম-বিশ্লেষণের দিন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা লিখেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় স্ট্যাটাসে লিখেছেন, পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসন ও শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিসত্তা বিনির্মাণের প্রথম সোপান। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে না হতেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’ কেড়ে নিতে চায়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হয়ে ওঠে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার ছাত্র-জনতা।
পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট ও হরতালের আহ্বান করা হয় উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই হরতাল কর্মসূচির নেতৃত্ব প্রদান করেন। যার ফলে তার ওপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয় এবং ওইদিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠন করা হয়। সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ২৪ জন নেতৃবৃন্দকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক এই উপদেষ্টা আরও লেখেন, ১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু আটকাবস্থায় গোপনে বৈঠক করে ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি ১৯৫২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জেল হাসপাতালে থেকে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি হরতাল ডেকে গণপরিষদ ঘেরাও করার পরামর্শ দেন।
পরবর্তীতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে জানিয়ে পোস্টে সজীব ওয়াজেদ লেখেন, কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত সংঘবদ্ধ ছাত্র-জনতাকে কোনোভাবেই দাবিয়ে রাখা যায়নি। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাংলার আকাশ-বাতাস। ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অগণিত শহিদের রক্তে। ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখে। তবে জেলে অবস্থানকালেই বঙ্গবন্ধু ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রতিষ্ঠা’ ও ‘রাজবন্দীদের মুক্তি’র দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অনশন করেছিলেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের ওই পোস্টে সকল ভাষা শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে জয় লিখেছেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’
বিয়ে করছেন ফারাজ করিম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় ও বিভিন্ন দুর্যোগকালীন মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানো তরুণ ফারাজ করিম চৌধুরী বিয়ে করতে চলেছেন। বেশ কয়েক দিন ধরে তার বিয়ে নিয়ে চলছে ব্যাপক চর্চা। অবশেষে সব চর্চা শেষ হতে চলেছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের একটি মসজিদে ইসলামী শরিয়াহমতে সাদামাটাভাবে তাদের বিয়ে হবে।
জানা গেছে, বিয়েতে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন আলেমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রংপুরের একটি সাধারণ পরিবারের তরুণীকে বিয়ে করছেন ফারাজ। এ ছাড়া আগামী ১ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজানে নিজ বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে সর্বসাধারণের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেছিলেন, সাদামাটাভাবে মসজিদে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। সেই কথা তিনি রাখতে চলেছেন।
এর আগে ফারাজ করিমের একটি বিয়ের কার্ড ও কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে তার বিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল আরও বেড়ে যায়। এরপর থেকে নেট দুনিয়ায় তার বিয়ের গুঞ্জন রটে। বেশ কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলে নানা আলোচনা।
প্রসঙ্গত, ফারাজ করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর ছেলে।
জানা গেল ফারাজ করিমের হবু স্ত্রীর পরিচয়
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় ও বিভিন্ন দুর্যোগকালীন মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানো তরুণ ফারাজ করিম চৌধুরী বিয়ে করতে চলেছেন। বেশ কয়েক দিন ধরে তার বিয়ে নিয়ে চলছে ব্যাপক চর্চা। অবশেষে তা শেষ হতে চলেছে। আফিফা আলম নামের রংপুরের এক তরুণীকে বিয়ে করতে চলেছেন তিনি।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের একটি মসজিদে ইসলামী শরিয়াহমতে সাদামাটাভাবে তাদের বিয়ে হবে।
জানা গেছে, বিয়েতে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন আলেমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ১ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরায় নিজ বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে সর্বসাধারণের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে। রংপুরের একটি সাধারণ শিক্ষিত পরিবারের তরুণী আফিফা আলমকে বিয়ে করছেন ফারাজ। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুরে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার বিষয়ে পড়ালেখা করছেন আফিফা।
প্রসঙ্গত, ফারাজ করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম-৬ আসনের ৫ বারের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর ছেলে। তার দাদা ছিলেন সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধী দলীয় নেতা (লিডার অফ দা অপজিশন) ও পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী।
মসজিদে বিয়ে করলেন ফারাজ করিম চৌধুরী
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেশ পরিচিত নাম ফারাজ করিম চৌধুরী। কয়েক দিন ধরে তার বিয়ে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। অবশেষে সব চর্চা শেষ করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ফারাজ। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশান-১ সংলগ্ন মহাখালীর মসজিদ-এ গাউসুল আজমে ইসলামি শরিয়ামতে সাদামাটাভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফারাজ করিম চৌধুরীর আকদ। এতে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন আলেমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বিষটি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফারাজ লিখেছেন, আজ ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং (শুক্রবার) ঢাকার মসজিদ-এ গাউসুল আজমে ইসলামিক শরীয়াহ অনুযায়ী আমি ফারাজ করিম চৌধুরীর সাথে আফিফা আলমের আকদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১ মার্চ ২০২৪ ইং (শুক্রবার) সন্ধা ৭ টায় বাড়িতে আমার স্ত্রীকে নিয়ে আসার কথা রয়েছে ৷ এদিন আমার বাড়ীতে আপনারা আমন্ত্রিত (চট্রগ্রাম রাউজান গহিরা বক্স আলী চৌধুরী বাড়ী)।
জানা গেছে, রংপুরের একটি সাধারণ (শিক্ষিত) পরিবারের তরুণীকে বিয়ে করছেন ফারাজ। এ তরুণ দেশজুড়ে বিভিন্ন দুর্যোগকালীন মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থা অর্জন করেন। ফেসবুকেও রয়েছে তার লাখ লাখ ফ্যান ফলোয়ার।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করেন ফারাজ করিম চৌধুরী। চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান তিনি। চারপাশের নানা রকম অনিয়মের বিপরীতে অবিরাম ছুটে চলেছেন এই স্বপ্নবাজ তরুণ। একের পর এক ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরে দেশেজুড়ে অর্জন করেছেন তুমুল জনপ্রিয়তা।
এক জনমে আর কত কষ্ট বাকি তোমার, লামিশার বাবাকে ডিআইজি
রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে পুলিশ সদরদপ্তরে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাসিরুল ইসলামের মেয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী লামিশা ইসলাম মারা গেছেন।
‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’- মৃত্যুর আগে লামিশা তার বাবাকে ফোন করে এই শেষ কথা বলেছিলেন। লামিশার চাচা রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মেয়ের আকুতির সামনে অসহায় বাবা মেয়েকে হারিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে লামিশার মা আফরিনা মাহমুদ মিতু মারা গেলেও মেয়ের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেননি নাসিরুল। তার বাঁচার অবলম্বন দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে। তার যে শোক তাতে একইভাবে মর্মাহত তার সহকর্মীরাও। এমনই একজন নাসিরুলের জ্যেষ্ঠ সহকর্মী পুলিশের ডিআইজি রুহুল আমিন শিপার। যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নাসিরুলকে নিয়ে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন। ‘অগ্নিপরীক্ষা’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে নাসিরুলের জীবনের কঠিন পথের নানা দিক তুলে ধরেছেন তিনি।
পাঠকদের জন্য ডিআইজি রুহুল আমিন শিপারের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
#অগ্নি_পরীক্ষা
প্রায় বছর ছয়েক আগের কথা। নাসির পাথরের মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। বিএসএমএমইউ (পিজি) হাসপাতালের ডি ব্লক-এর সামনে একটা ফ্রিজার ভ্যানে ওর স্ত্রীর মরদেহ রাখা। বিয়ের আগে ওরা মামাতো ফুপাতো ভাই-বোন ছিল।
নাসিরের জিম্মায় ছোট্ট দুটি মেয়ে রেখে ভাবি একা চলে গেলেন। একটু পরে তখনকার আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী স্যার এলেন। এরপর দাফনের জন্য নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হলো মরদেহ।
২২তম বিসিএস ব্যাচের অফিসার অতিরিক্ত ডিআইজি নাসির পদার্থবিদ্যা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। আমার পাশের ফজলুল হক হলে থাকতো। এখনো আমরা একই কম্পাউন্ডে থাকি এবং একই অফিসে কাজ করি। কয়েক বছর আগের কথা। তখন বেনজীর আহমেদ স্যার র্যাবের মহাপরিচালক। পুলিশ সদরদপ্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নাসিরের একটা প্রেজেন্টেশন দেখে প্রকাশ্যে বলে ফেললেন, ইউ আর সো ইন্টেলিজেন্ট। কিন্তু আমি তোমাকে চিনি না কেন?
এরপর বেনজীর স্যার আইজিপি হয়ে পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কারে হাত দিলেন। এআইজি রিক্রুটমেন্ট হিসেবে মেধাবী নাসির একটা অসাধারণ নিয়োগ কাঠামো তৈরি করে দেয়। যেখানে চাইলেও দুর্নীতি কিংবা পক্ষপাতিত্ব করা প্রায় অসম্ভব। বর্তমানে সেই কাঠামোতেই নিয়োগ চলছে।
দুই মেয়ে নিয়ে নাসিরের একার সংসার। একদিন শুধু বলেছিলাম, আর বিয়েশাদি করলে না? একটু হেসে মাথা নেড়ে ও বললো, না, স্যার।
ওর মেয়েরা খুবই মেধাবী। বড় মেয়ে সম্ভবত ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ফার্স্ট গার্ল ছিল। কলেজ শেষ করে সে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিল।
নাসিরের জীবনে ছয় বছর আগের সেই রাত আবার ফিরে এলো। গতরাতে (২৯ ফেব্রুয়ারি) আগুন লাগার সময় বেইলি রোডের সেই রেস্তোরাঁয় ওর বুয়েট পড়ুয়া মেয়েটা ছিল। সে আর ফেরেনি, চলে গেছে জীবনের ওপারে।
বছর ছয়েক আগে স্ত্রী মরে যাওয়ার রাতে নাসিরের সেই চেহারার কথা স্পষ্ট মনে আছে আমার। এবার অবশ্য ওর সাথে দেখা হয়নি। মেয়ের মরদেহ নিয়ে ফরিদপুরের পথে আছে সে।
ওকে ফোন দিতে মন চাইছে না। তাই হোয়াটসঅ্যাপে শুধু নিচের মেসেজটা দিয়েছি- ‘নাসির, আমার অন্তরটা ছিঁড়ে যাচ্ছে। বাসায় বসে এখন কাঁদছি। এক জনমে আর কত কষ্ট বাকি তোমার?’
নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত, রোবটের চরিত্র নিয়ে সমালোচনা
নারী সাংবাদিকের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের নিজেদের প্রযুক্তিতে তৈরি পুরুষ রোবট। এতে রোবটটির চরিত্র নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। গত ৪ মার্চ রোবটটিকে প্রথম প্রদর্শনীর জন্য আনা হলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ওই নারী সাংবাদিক রোবটটির সামনে দাঁড়িয়ে লাইভ করছে। এমন সময় রোবটটির হাত ওঠে গিয়ে সাংবাদিকের শরীর স্পর্শ করে।
Saudi Arabia unveils its man shaped AI robot Mohammad, reacts to reporter in its first appearance pic.twitter.com/1ktlUlGBs1— Megh Updates (@MeghUpdates) March 6, 2024
বিষয়টি অনেকে সামাজিক মাধ্যমে মজা করে বলেছেন, রোবটটি ‘চরিত্রহীন’। একজন এক্স ব্যবহারকারী বলেছেন, রোবটটিকে প্রদর্শনীর জন্য যিনি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনিই এমনটি করতে শিখিয়েছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণেই এমনটি ঘটেছে।
প্রদর্শনীতে রোবটটি নিজের পরিচয় দিয়ে বলে, পুরুষের শারীরিক গঠনের সে প্রথম রোবট। সৌদি আরব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জগতে নিজেদের অর্জন প্রদর্শনের জন্য জাতীয় প্রকল্পের অংশ হিসেবে তাকে তৈরি করেছে।