জাতীয় পতাকার অবমাননা: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমালোচনা
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা নিয়ে ফটোসেশন করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষক। তবে সেই পতাকার মাপ ঠিক না হওয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা।
সমালোচনার মূল কারণ জাতীয় পতাকার লাল গোল বৃত্তটি পরিবর্তন হয়ে চারকোনা করা হয়েছে। এতে করে পরিবর্তন হয়েছে পতাকার প্রকৃত মাপ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকারীদের অনেকে বলছেন, মানুষ গড়ার কারিগর যে শিক্ষকরা তারাই যদি পতাকার নকশা পরিবর্তন বা বিকৃত করে তাহলে শিক্ষার্থীরা কী শিখবেন।
মাসুদ হাসান লিখেছেন, শিক্ষকরা যদি এমন করেন, আমরা শিখব কী?
আতিকা রহমান নামের একজন লিখেছেন, এতজন সিনিয়র শিক্ষক তাও আবার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের, তাদের মাথায় কি একবারও আসলো না যে লাল কাপড়টা চারকোনা কেন? এটা জাতীয় পতাকার নকশা না? ছবি তোলার সময় একবার তাকায় দেখলো না যে কার সামনে দাঁড়িয়েছি! এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি।
অনেকেই শিক্ষকদের ফটোসেশনের ওই ছবি পোস্ট করে বিচার দাবি করছেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ অনুযায়ী জাতীয় পতাকা মাপের সুনির্দিষ্ট বিবরণে দেখা যায়-
‘জাতীয় পতাকা’ গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকিবে।
লাল বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যরে এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হবে। পতাকার দৈর্ঘ্যের নয়-বিংশতিতম অংশ হতে অঙ্কিত উলম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবর্তী বিন্দু হতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার
পরস্পর ছেদ বিন্দুতে বৃত্তের কেন্দ্র বিন্দু হবে। অর্থাৎ পতাকার দৈর্ঘ্যের বিশ ভাগের বাম দিকের নয় ভাগের শেষ বিন্দুর ওপর অঙ্কিত লম্ব এবং প্রস্থের দিকে মাঝখান বরাবর অঙ্কিত সরল রেখার ছেদ বিন্দু হলো বৃত্তের কেন্দ্র।
পতাকার সবুজ পটভূমি হবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট গ্রীন এইচ-২ আর এস ৫০ পার্টস এবং লাল বৃত্তাকার অংশ হবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট অরেঞ্জ এইচ-২ আর এস ৬০ পার্টস।
জিএ
মন্তব্য করুন