• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে ৮২ হাজার কোটি টাকা : সিপিডি
সরকার ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বড় অংকের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের চলমান ধারা পর্যবেক্ষণ করে অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার (১৬ মার্চ) ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। ফাহমিদা খাতুন বলেন, এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্ন ও স্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে। এই প্রেক্ষিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা যেটা আমরা দেখতে চাই বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই। তিনি বলেন, বাজেট প্রণয়ন হয় এক বছরের জন্য। বাজেটে যে নির্দেশনা থাকবে সেগুলো যেন চ্যালেঞ্জগুলো মেটাতে পদক্ষেপ নিতে পারে। মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো, টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীলতা রাখা ও দরিদ্র মানুষের স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটই হবে- কীভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়। যেমন, গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে, যা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বিগত দিনের ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায়, রাজস্ব ঘাটতি আগের মতোই চলমান থাকবে যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছি। ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকারি ব্যয়ে সংযম লক্ষ্য করছি। ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ দেখতে পাচ্ছি। গত বছর ২৭ শতাংশের মতো ছিল। যেখান থেকে আরও কমেছে। নিজস্ব আর্থিক ব্যবস্থা ও আইএমএফের পরামর্শে ব্যয় কমেছে। ওই সময় বাজেট ঘাটতি বেশ কমেছে, বাজেট ঘাটতি ৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। যেখানে গত অর্থবছরের এই সময়ে ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর বাজেট ঘাটতি পূরণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যক্তিখাতে ঋণ প্রবাহ কমে গেছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহর ও গ্রামে দুটো জায়গায় বেশি ছিল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, সরকারি ব্যয় কোথায় করব, প্রাধিকার পরিষ্কার করতে হবে। বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপ মাথায় রেখে সেখান থেকে রেহাই দেওয়ার বিষয়টি মনে রাখা উচিত। পণ্যমূল্য কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ও অর্থব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। সেইসঙ্গে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৮

‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ছয় মাসে লেনদেন ৬ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা’
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (১ জুলাই থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত) মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৯২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় এমপি মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজার ৯০০ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন (১ হাজার ২৯০ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছে ২ হাজার ৪২৫ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য থেকে ১ হাজার ৬১০ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার, সৌদি আরব থেকে ১ হাজার ৬০১ দশমিক ২২, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ হাজার ৩৩২ দশমিক ৬৩ এবং ইতালি থেকে এসেছে ৯০০ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স। অপরদিকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ বি এম আনিছুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারি উদ্যোগে চালু থাকা ১৮টি পার্কে দেশি-বিদেশি ১৯২টি প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত বেসরকারি সেক্টর থেকে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়