• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাল আমদানি না করায় সাশ্রয়ী হয়েছে ডলার 
ডলার সংকট মোকাবিলায় চাল আমদানির বিপরীতে জোর দেওয়া হচ্ছে কৃষকের কাছ থেকে বেশি হারে ধান সংগ্রহকে। এরই মধ্যে চাল আমদানি খাত থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এতে সাশ্রয় হবে কমপক্ষে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিগত মৌসুমগুলোয় উৎপাদন ভালো হওয়ায় এই আমন মৌসুমের সংগ্রহ পর্যন্ত চাল আমদানির প্রয়োজন নেই। এর পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণেও চাল আমদানি না করে খাদ্য পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ২০২১-২২ অর্থবছরে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হলেও এরপর গত ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) হিসাবে চলতি অর্থবছরে মোট ৪ কোটি ১২ লাখ টন চাল উৎপাদন হতে পারে। এর মধ্যে বোরো ২ কোটি ৯ লাখ টন, আউশ ৩০ লাখ টন ও আমন ১ কোটি ৭০ লাখ টন। আর দেশে চালের চাহিদা ৩ কোটি ৫০ লাখ টনের কাছাকাছি। সেই হিসেবে দেশে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত আছে।  জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসেবে বিশ্ববাজারে চালের বাড়তি দামের কারণে গত এক বছরে বাংলাদেশে কোনো সেদ্ধ চাল আমদানি হয়নি। যেখানে ২০২১ ও ২০২২ সালে দেশে ৮ থেকে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হয়েছিল। আর তাতে সাশ্রয়ী হয়েছে বিপুল পরিমাণ ডলার।  গত বছর বাংলাদেশে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ কোটি ৭৭ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে চালের উৎপাদন ছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগ বলছে, এভাবে ২০১৮ সাল থেকেই বাংলাদেশে চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে। চলতি বছরেও উৎপাদনের এই ধারাহিকতা রক্ষা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, বিগত বছরেও চাল আমদানির প্রয়োজন হয়নি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানির তথ্য বলছে গত বছরের জুলাই থেকে এই বছরের ৭ মার্চ পর্যন্ত কোন চাল আমদানি করা হয়নি।  বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুসারে মাথাপিছু ১৫২ কেজি চালের প্রয়োজনীয়তা ধরে নিয়ে আমাদের বার্ষিক চালের চাহিদা নিরূপণ করা যায়। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ আছে। তাতে বার্ষিক খাদ্যচাহিদা দাঁড়ায় ২ কোটি ৫৮ লাখ মেট্রিক টন চাল। এর সঙ্গে বীজ ও অপচয় এবং পশুখাদ্য বাবদ ১৫ শতাংশ যোগ করে মোট চালের প্রয়োজন দাঁড়ায় ২ কোটি ৯৬ লাখ টন বা প্রায় ৩ কোটি টন। দৈনিক চালের চাহিদা আরও বেশি বিবেচনায় নিয়ে মাথাপিছু দৈনিক আধা কেজি বা বার্ষিক জনপ্রতি ১৮২ দশমিক ৫ কেজি হিসেবে চালের চাহিদা দাঁড়ায় ৩ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। বীজ, অপচয় ও পশুখাদ্য হিসেবে আরো ১৫ শতাংশ যোগ করা হলে মোট চাহিদা দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে চালের উৎপাদন ছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে মজুত আছে ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন।   বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিস্টিটিউটের (বিআরআরআই) পলিসি গবেষণার প্রজেকশন অনুযায়ী, ২০৩০ সালে বাংলাদেশে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টন, ২০৪১ সালে ৫ কোটি ৪১ লাখ টন এবং ২০৫০ সালে ৬ কোটি ৯ লাখ টন চালের প্রযোজন হবে। বিআরআরআই -এর মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর জানিয়েছেন, ২০৩০ সালে ৪২ লাখ টন, ২০৪০ সালে ৫৩ লাখ টন এবং ২০৫০ সালে ৬৫ লাখ টন চালে উদ্বৃত্ত থাকবে। এই বাড়তি উৎপাদন আমাদের যে কোনো ঝুঁকি মোকাবিলায় বাফার স্টক হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মাথাপিছু দৈনিক চাল গ্রহণের পরিমাণ ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম হয়েছে। শহরাঞ্চলে মাথাপিছু চাল গ্রহণের পরিমাণ ২৮৪ দশমিক ৭ গ্রাম, যা জাতীয় গড় থেকে ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। ১৭ কোটির মানুষের প্রতিদিনের হিসাব ধরে বছরে প্রয়োজন হয় প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টন চাল। শুধু ভাত হিসেবে এ চাল মানুষ গ্রহণ করে। এর বাইরে বিভিন্ন পোলট্রি ফিড, বীজসহ অন্যান্য প্রয়োজনে চাল ব্যবহার হয় ১ কোটি টন। সবমিলে প্রয়োজন ৩ কোটি ৬০ লাখ টন। কিন্তু গত বছরে উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ১৩ লাখ টন।   বিআরআরআই -এর কর্মকর্তারা বলেছেন, বিআরআরআই ইতিমধ্যে রাইস ভিশন ২০৫০ প্রণয়ন করেছে, যাতে ২০৩০, ২০৪১ এবং ২০৫০ সালে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিপরীতে চালের উৎপাদন প্রক্ষেপণ করা হয়েছে এবং তা অর্জনে ব্রি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কৌশলপত্র প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি হারে আমাদের ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে যা নিশ্চিত করে যে আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্ত।          তাহলে এত চাল কোথায় যায়, আমদানি কেন করতে হয় তাহলে প্রশ্ন উঠেছে এরপরও কেন সরকারকে চাল আমদানি করতে হয়। এ বিষয়ে ধান বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে। তাদের তথ্য আদমশুমারিতে যুক্ত হয়নি। এরা যে ভাত খায়, সে চাল আমাদের দেশেই উৎপাদিত হয়। আবার চালের একটি অংশ বীজের জন্য রাখতে হয়। নানা কারণে চালের অপচয় হয়। ব্যক্তিগতভাবে অনেক কৃষক নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে চাল মজুত করেন, যেটি হিসাবেও নেই। ব্যবসায়ীদের কাছেও মজুত থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালের হিউম্যান কনজাম্পশন (সরাসরি ভাত) ছাড়াও নন-হিউম্যান কনজাম্পশন (অন্যান্য কাজে) আছে। হিউম্যান কনজাম্পশন হিসাবে উদ্বৃত্ত ঠিকই আছে। তবে নন-হিউম্যান কনজাম্পশনও বাড়ছে। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ চাল নন-হিউম্যান কনজাম্পশনে ব্যয় হয়ে যায়। অর্থাৎ মানুষের ভাত গ্রহণ ছাড়াও অন্যান্য কাজে চালের ব্যবহার আছে।কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিনিয়ত গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১১৫টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এতে আগের চেয়ে ফলন ও উৎপাদন বাড়ছে। অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। মো. শাহজাহান কবীর বলেন, মাথাপিছু দৈনিক চাল গ্রহণের হিসাব বিবেচনায় নিলে ১৭ কোটির মানুষের প্রয়োজন হয় প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ টন চাল। শুধু ভাত হিসেবে এ চাল মানুষ গ্রহণ করে। এর বাইরে বিভিন্ন পোলট্রি ফিড, বীজসহ অন্যান্য প্রয়োজনে চাল ব্যবহার হয় এক কোটি টন। কিন্তু গত বছর উৎপাদন হয়েছে চার কোটি ১৩ লাখ টন। ফলে চাল আমদানির প্রয়োজন নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে চাল আমদানি করতে হয় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে। বিশেষ করে যেকোনো ঝুঁকি মোকাবেলা ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার চাল আমদানি করে থাকে।  
১৩ ঘণ্টা আগে

পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : রওশন এরশাদ
পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে পার্টির চেয়ারম্যানের বাসভবনস্থ কার্যালয়ে কো-চেয়ারম্যানদের জরুরি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রওশন এরশাদ বলেন, কলমের খোঁচায় যখন তখন যে কাউকে বহিষ্কার-অব্যাহতি দেওয়া রহিত করা হয়েছে। পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পার্টিতে নতুন ধারা সূচিত হয়েছে। এখন আর এক ব্যক্তির এক কথায় দল পরিচালিত হবে না। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি ছিল, পার্টিতে গণতন্ত্রের পূর্ণ চর্চা প্রতিষ্ঠা করা। তাদের সেই দাবির প্রতি শ্রদ্ধা ও সমর্থন রেখেই গঠিত গঠনতন্ত্র দশম সম্মেলনে অনুমোদন দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, দশম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকধারা অব্যাহত রেখেই গঠিত হয়েছে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র। গঠনতন্ত্র মেনেই গঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। আর পার্টিও চলবে সেই ধারা মেনে। সভায় জাতীয় পার্টির কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশিদ, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কো-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাহিদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভরায় ও রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
১৮ ঘণ্টা আগে

‘অন্যায়ের শিকার হয়েছে বার্সেলোনা’
কয়েক দিন আগেই পিএসজির কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে বার্সেলোনা। এবার লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে শিরোপা থেকে দূরে সরে গিয়েছে কাতালানরা। তবে হারের পর লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ। তার দাবি, অবিচারের শিকারের হয়েছে বার্সা। রোববার (২২ এপ্রিল) রাতে এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকে ৩-২ গোলে হেরে ফিরতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। এদিন ম্যাচের ২৮তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল বার্সা। কর্নার থেকে আসা বলে লামিন ইয়ামালের ব্যাক ফ্লিক গোললাইন থেকে ঠেকান রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। রেফারি গোলের বাঁশি না বাজালেও গোলের জন্য আবেদন করতে থাকেন বার্সার খেলোয়াড়রা। কিন্তু লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি নেই। তাই ভিএআর দেখে বল গোললাইন অতিক্রম করেনি বলে সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।   ম্যাচ শেষে লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকায় তাই ক্ষুব্ধ জাভি বলেন,লা লিগার মতো টুর্নামেন্টে গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাটা অস্বস্তিকর। এটিকে বিশ্বসেরা লিগে পরিণত করতে হলে এই প্রযুক্তি লাগবেই।  গোললাইন প্রযুক্তি না থাকায় বার্সা অন্যায়ের শিকার হয়েছে বলেও মনে করেন জাভি। তিনি বলেন, কী হয়েছে তা সবাই দেখেছে। আমি আর কী বলব? এজন্য লিগ কর্তৃপক্ষ আমাকে শাস্তি দিতে পারে। কিন্তু ছবি তো আছে। আজ মনে হচ্ছে আমরা পুরোপুরি অবিচারের শিকার হয়েছি।  ‘আমি ম্যাচের আগেও বলেছিলাম, আশা করি রেফারি সঠিক সিদ্ধান্তই দেবেন। কিন্তু এমনটা ঘটেনি। তবে আমরা খুব ভালো খেলেছি। আমাদের তিন পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল।’ ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগ তো বটেই, এমনকি দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলেও রয়েছে গোললাইন প্রযুক্তি। অথচ লা লিগার মতো টুর্নামেন্টে এই প্রযুক্তি নেই। নিজে গোলরক্ষক বলেই হয়তো এ নিয়ে চুপ থাকতে পারেননি বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের-স্টেগান।  ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, গোললাইনে যা ঘটেছে, তা নিয়ে আসলে বলার ভাষা নেই। এটা ফুটবলের জন্যই অস্বস্তিকর। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালা হয় এখানে, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিসের জন্যই নেই। অথচ এই প্রযুক্তি অন্যান্য লিগে আছে, আমাদের এখানে কেন নেই বুঝতে পারছি না। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৪

ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবাজারের অবৈধ দোকান
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবাজারে গড়ে ওঠা অবৈধ ও অস্থায়ী দোকান।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সম্পত্তি বিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত হয় এ কার্যক্রম।  ডিএসসিসির মুখপাত্র আবু নাছের জানান, নতুন করে মার্কেট করার লক্ষ্যে এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ এপ্রিল অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া রাজধানীর সবচেয়ে পুরনো ও জনপ্রিয় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারকে আধুনিক রূপদান এবং সেখানে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। বঙ্গবাজারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে ‌‌বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান।  ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও বেজমেন্ট ছাড়াও থাকবে মোট আটটি ফ্লোর। ১.৭৯ একর জায়গার ওপর নির্মিত হতে যাওয়া বহুতল ভবনে থাকবে তিন হাজার ৪২টি দোকান। প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০-১০০ স্কয়ার ফুট। ভবনটিতে থাকবে আটটি লিফট, এর মধ্যে চারটি থাকবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য। আর বাকি চারটি কার্গো লিফট থাকবে মালামাল ওঠা-নামানোর জন্য।  ভবনটি নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা। গত বছরের ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ৩ হাজার ৮৪৫ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০৩ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় বলেও উল্লেখ করা হয়। পরে পুড়ে যাওয়া মার্কেটের ফাঁকা স্থানে শামিয়ানা ও ছোট ছোট চৌকি বসিয়ে কোনোমতে ব্যবসা পরিচালনা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৫

মুক্তিপণের বিষয়ে কথা না বলতে অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে : জাহাজের মালিকপক্ষ
কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, আমি উদ্ধার প্রক্রিয়া হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মনোনীত প্রতিনিধি। আমাদের সঙ্গে ওদের কনফারেন্সিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। সেই অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু শেয়ার করতে পারব না। কারণ এটা আমি সই করেছি। রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে তিনি এসব কথা বলেন। মেহেরুল করিম বলেন, উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আমরা আমেরিকান নিয়ম মেনেছি এবং ইউকে (যুক্তরাজ্য) ও সোমালিয়ার নিয়ম মেনেছি। ফাইনালি কেনিয়ার নিয়মও মেনেছি। সবার সঙ্গে আমাদের অ্যাগ্রিমেন্ট করা আছে এ বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। তবে আমি আবার বলি, আমরা সবকিছু আইন মেনে করেছি। এদিকে উদ্ধারের পরপরই জাহাজ মুক্ত করতে দস্যুদের কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে এবং কীভাবে এসব টাকা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন ওঠে। তবে এ বিষয়ে জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর উড়োজাহাজ থেকে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে ওঠে দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে তারা আশেপাশে কেউ আটক করছে কি না সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজটি থেকে দস্যুরা নেমে যায়।   নানা উৎকণ্ঠার পর অবশেষে মুক্ত হয়েছেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক। বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।  গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫১

এবার ঈদযাত্রায় যানজট ও দুর্ঘটনা কম হয়েছে : বিআরটিএ চেয়ারম্যান
গত কয়েকবছরের তুলনায় এবার সড়ক-মহাসড়কে যানজট কম হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনাও কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিন। নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা অনেক নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হয়েছে। যানজট ও দুর্ঘটনা এবার কম ছিল। ফিরতি যাত্রায় যেন এমন নির্বঘ্ন হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। তিনি বলেন, ভাড়ার তালিকা আপডেট করে আমরা প্রতিটি কাউন্টারে দিয়েছি। তারপরেও কিছু কিছু পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিকে, এদিন দুপুরে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে সেজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পালন করেছি।  তিনি বলেন, গত ৮ এপ্রিল খুলনা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে জন্ম নেওয়া নবজাতক শিশুকে রেলওয়ের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের যে সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল তার সবই দিয়েছি।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫১

ধানখেতে আছড়ে পড়া বিমানটি নেওয়া হয়েছে যশোরে
নড়াইলের বিলের মধ্যে ধানখেতে আছড়ে পড়া বাংলদেশ বিমানবাহিনীর সেই প্রশিক্ষণ বিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের তারাশি গ্রামের ধানখেত থেকে হেলিকপ্টারে করে বিমানটি চারখাদা স্কুল মাঠে আনা হয়। সেখান থেকে বিমানবাহিনীর একটি ট্রাকে করে যশোর ঘাটিতে নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, বুধবার দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের তারাশি গ্রামের ধানখেতে এটি পড়ে। বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটির নম্বর ২৭২০। প্রশিক্ষণ বিমানটি যশোর বিমানবন্দর থেকে ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড আকাশে উড়ে। স্থানীয় লোকজন জানার, তারাশি গ্রামের ওপর দিয়ে বিমানটি উড়ছিল। অনেক নিচে চলে আসায় খুব কাছে আসা বিমানটি দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে ধানখেতে আছড়ে পড়ে বিমানটি। এ ঘটনার পরপরই একটি হেলিকপ্টার এসে বিমানে থাকা ২ পাইলটকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় ওই বিমানে থাকা দুজন পাইলটই অক্ষত অবস্থায় ছিলেন। বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এসে দুজন পাইলটকে উদ্ধার করে যশোর নিয়ে যায়। বিমানটি হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিমানবাহিনীর কেউ দুর্ঘটনার বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। বিকেলে বিমানবাহিনীর একটি টেকনিক্যাল টিম এসে বিমানটি খুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। নড়াইল সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম জানান, ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ধানখেতে বিমানটি জরুরি অবতরণ করে। পরে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এসে ২ পাইলটকে নিয়ে গেছে। তারা হলেন স্কোয়াড্রন লিডার নাদিম ও স্কোয়াড্রন লিডার মাহফুজ। বিমানে থাকা ২ স্কোয়াড্রন লিডার সুস্থ আছেন।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৫

ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছে স্বস্তিকার
সাইবার হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ফেসবুক পেজ হ্যাক হওয়ার কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। পাশাপাশি ভক্তদের সতর্ক থাকার অনুরোধও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। ইনস্টাগ্রামে স্বস্তিকা লিখেছেন, আমার ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছে। আমার টিম সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছে। যদি আপনারা কোনো অবমাননাকর বা অশ্লীল পোস্ট দেখতে পান, দয়া করে এড়িয়ে যাবেন। জেনে নিন সেটি আমি নই। সাধারণত তথ্য চুরির জন্যই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে থাকে হ্যাকাররা। যার মধ্যে অন্যতম হলো ফেসবুক। মাঝে মধ্যেই এই হ্যাকিংয়ের শিকার হন তারকারা। এবার সেই জালে আটকা পড়েছেন স্বস্তিকা। সম্প্রতি ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে দ্যুতি ছড়িয়েছেন স্বস্তিকা। ‘শিবপুর’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ব্ল্যাক লেডি হাতে নেটমাধ্যমে ছবিও পোস্ট করেন স্বস্তিকা।  ক্যাপশনে লিখেছেন— ‘আমার খুব ভালো লাগছে। এটা প্রত্যেক বছর আমার অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এটা আমার ৫ নম্বর ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। আরও একডজন হলে তবেই আমি ক্ষান্ত হব।’   পাশাপাশি পুরস্কারের জন্য সিনেমাটাগ্রাফার প্রসেনজিৎ চৌধুরীসহ টিমের সকলকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন স্বস্তিকা। প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে স্বস্তিকা অভিনীত সিনেমা ‘লাভ সেক্স অউর ধোঁকা টু’। এটি নির্মাণ করেছেন দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনেমায় স্বস্তিকা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন—  মৌনি রায়, উরফি জাভেদসহ আরও অনেকে।  সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৯

বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব শক্তিশালী হয়েছে : শি জিনপিং
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দনপত্র পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অভিনন্দনপত্রে শি বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দনপত্র পাঠান চীনের প্রেসিডেন্ট। এক বার্তায় এ তথ্য জানায় ঢাকায় চীন দূতাবাস। অভিনন্দনপত্রে শি লিখেছেন, গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ অবিচলভাবে স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে। অর্থনীতি এবং জনগণের জীবিকার উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ‘সোনার বাংলার’ স্বপ্ন বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অর্জন সাধিত করেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন এবং বাংলাদেশ ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। দুই দেশের বন্ধুত্ব শক্তিশালী থেকে আরও শক্তিশালী হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে  দুই দেশ দৃঢ় ও গভীর রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ ব্যবহারিক সহযোগিতা উপভোগ করেছে, এতে দুই দেশের জনগণ উপকৃত হয়েছে। শি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে প্রস্তুত। এছাড়া চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে প্রস্তুত।   স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর লি কিয়াং ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই ই।
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৬

দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তি সন্নিবেশ করা হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তি সন্নিবেশ করা হয়েছে। তিনি বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাট দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট অ্যাকশন’ যথোপযুক্ত, সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে ১০০ বছর মেয়াদি বদ্বীপ পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। পর্যায়ক্রমে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন ও ২০৪১ সালে একটি উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তি সন্নিবেশ করেছে। ফলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্যান্য চরম আবহাওয়ার বিভিন্ন মেয়াদি পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আগাম পূর্বাভাস প্রদানে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ ও প্রভাব থেকে উত্তরণের জন্য পরিবেশের বিপর্যয় রোধ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহায়ক কৌশল নির্ধারণ, প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, জলবায়ুর পরিবর্তনের অভিঘাত সহিষ্ণু বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণে বাংলাদেশ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার আবহাওয়ার বিদ্যমান পর্যবেক্ষণাগারগুলোর সঙ্গে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস সেবার মান উন্নয়নে আরও সাতটি নতুন কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার স্থাপনসহ কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করেছে। এছাড়াও ৫টি আবহাওয়া ভূপৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণাগার, ১৩টি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ৩টি স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড রিসিভিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ও বজ্রঝড়ের সতর্কবার্তা প্রদানসহ নিরাপদ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে জয়দেবপুরে একটি আধুনিক ডপলার রাডার স্থাপন করা হয়েছে এবং রংপুরে অপর একটি ডপলার রাডার স্থাপনের কাজ চলমান আছে। বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের সার্বিক সফলতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, সকলে মিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আজীবন স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়