• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কান উৎসবে বিচারক হয়ে যাচ্ছেন ঢাকার ঋতি
একাধারে তিনি সাংবাদিক, চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার সাদিয়া খালিদ ঋতি। এবারও তিনি আসন্ন কান চলচ্চিত্র উৎসবের ফিপ্রেসকি জুরি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। জানা যায়, এর আগে তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবার কানের জুরি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৭৭তম কান উৎসব থেকে দ্বিতীয়বার ডাক পাওয়া প্রসঙ্গে ঋতি বলেন, কান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। জুরি হিসেবে দ্বিতীয়বার আমন্ত্রণ পাওয়া একটি অবিশ্বাস্য সম্মান। জুরি বোর্ডে আমাদের চলচ্চিত্র সমালোচকদের নিয়মিত উপস্থিতি বিশ্ব চলচ্চিত্রকে ইউরোকেন্দ্রিক লেন্স থেকে সরে এসে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে। জানা যায়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস এঞ্জেলেস থেকে চিত্রনাট্যে পড়াশোনা শেষ করে ঋতি বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবের জুরির দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইতালি, ভারত, ইংল্যান্ড, নেপাল, ফ্রান্স, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে। তিনি দেশের ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং ওয়েস্ট মিটস ইস্ট স্ক্রিনপ্লে ল্যাবের সহ-প্রধান। ঋতি ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক ভোটার এবং ২০২০ সালে বার্লিনালে ট্যালেন্টসে প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র সমালোচক হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ফিল্ম ইন্ডিপেনডেন্ট এবং লোকার্নো ওপেন ডোরস এর সাথে মেন্টরশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে চার্লস ওয়ালেস ফেলোশিপের অংশ হিসাবে তিনি ২০২৩ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পরাবাস্তব চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে ফিল্ম স্টাডিজ বিষয়ে পড়ান।   চিত্রনাট্যকারের ভূমিকায় ঋতিকে দেখা গিয়েছে নুরুল আলম আতিকের ওয়েব সিরিজ ‘আষাঢ়ে গল্প’তে। তার দুটো শর্ট ফিল্ম অস্কার কোয়ালিফাইং ফেস্টিভালে অংশ নিয়েছে। ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব ১৪-২৫ মে, ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হবে ফ্রান্সের কান সৈকতে। এর আগে বাংলাদেশ থেকে আহমেদ মুজতবা জামাল ২০০২, ২০০৫ এবং ২০০৯ সালে কান উৎসবে ফিপ্রেসকি জুরি ছিলেন।
১৪ ঘণ্টা আগে

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনিবন্ধিত অনলাইন!
দেশে অনলাইন নিবন্ধন শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগ থেকেই। তবে যেসব অনলাইন নিবন্ধনভুক্ত নয় তাদের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে এখন থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা (সাংবাদিক) বলছেন নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনারাই বলছেন কিছুটা দরকার ডিসিপ্লিনের (শৃঙ্খলা) জন্য। স্বাধীনতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা লিমিটলেস (সীমাহীন)। যে কারণে কিছুটা ডিসিপ্লিনের অভাবও হয়ে গেছে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরেও অনেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন। এখানে গণমাধ্যম এতোটাই মুক্ত, উন্মুক্ত এবং স্বাধীন যে, নিবন্ধন ছাড়াও চলতে পারে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাগত সাংবাদিকরাই বলছেন, এটা করা দরকার। কিন্তু আমরা এগুলো করি না। যেটা প্রমাণ করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। এটা মুক্ত না, উন্মুক্ত।  তিনি বলেন, একটা ডিসিপ্লিন আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট (এগিয়ে) করার জন্য। তিনি বলেন, অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়। এটা একটা ভালো দিক— সাংবাদিক মহলই চাচ্ছেন একটি শৃঙ্খল ডিসিপ্লিনযুক্ত সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে আপনাদের সাথে একমত। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, তবে একইসাথে আমি মনে করি, নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির প্রশ্ন আসে না। আমরা এগুলোর পক্ষে না, আমরা করতে চাই না। আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি না। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের এখন ৪২৬টি নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল আছে। এরমধ্যে ২১৩টির মূলধারার গণমাধ্যমে আছে—ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। আর ২১৩টি কেবল অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আরও কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।  তিনি জানান, নতুন কেউ অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিয়ে আসতে চাইলে তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সময় দেওয়া দরকার। আর যারা অনিবন্ধিত, আমি মনে করি, অবৈধভাবে কোনো কিছু সঠিক না, তারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবো। আর এটা আপনাদের (সাংবাদিক) দাবি। আমি কিন্তু বলছি না। কাজেই আমি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি। ‌‌তিনি আরও বলেন, আমি চাই না, সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি ঘোষণা দিলাম যে, অনিবন্ধিত অনলাইন বন্ধ করে দেবো, কালকে হেডলাইন করে পরের দিন আলাপ হবে, সরকার তো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরছে। সেটা আমি চাই না। সাংবাদিকরাই এমনটা বলছেন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৪

মান্নার মৃত্যু মানে চলচ্চিত্রের অর্ধেক মৃত্যু হয়ে গেছে : মিশা সওদাগর (ভিডিও)
জগতে কিছু মানুষ থাকেন যাদের কোনো মৃত্যু হয় না। বেঁচে থাকেন তাদের কর্ম দিয়ে। চিরকাল অমর হয়েই থাকেন মানুষের মনের মণিকোঠায়। তেমনই একজন অভিনেতা ছিলেন নায়ক মান্না। তিনি ছিলেন খেটেখাওয়া মানুষের নায়ক। অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কথা বলতেন সাধারণ জনগণের। রোববার (১৪ এপ্রিল) তার জন্মদিন। আরটিভির পক্ষ থেকে এই নায়কের জন্মদিনের শুভেচ্ছা।  নতুন মুখের সন্ধানে প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে সিনেমার জগতে যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নার। ক্যারিয়ারের শুরুতে একক নায়ক হওয়ার সৌভাগ্য তার হয়নি। এ জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। কাশেমমালার প্রেম সিনেমাটি হিট হওয়ার পর মান্নার জীবনের গল্প বদলে যায়। তারপর মান্না হয়ে উঠেছিলেন ঢাকাই সিনেমার যুবরাজ। এদিকে নতুন মুখের সন্ধানে প্রতিযোগিতার দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। নায়ক মান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন অনেক ছবিতে। এই নায়কের জন্মদিনে আরটিভির সঙ্গে কথা হয় মিশা সওদাগরের।  মিশা বলেন, আমার দৃষ্টিতে মান্না মহানায়ক। আর মহানায়ক বলার কারণ এই যে আমাদের চলচ্চিত্রের অনেকের পক্ষে অনেক কিছু করাই সম্ভব হয়নি, যা মান্নার পক্ষে করা সম্ভব হয়েছে। মুখের সন্ধান থেকে মানা আসার পর তিন দুই নাম্বার হিরো, দুই নাম্বার হিরো থেকে নিজেকে চলচ্চিত্রের অপরিহার্য নায়কে পরিণত করেছিল। ও যখন প্রথম প্রযোজনা সংস্থা থেকে ছবি নির্মাণ শুরু করেন প্রথম সিনেমাতেই পরিচালক কাজী হায়াতকে নেন। তাছাড়া একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিল সেটি হলো মৌসুমী আর শাবনূরকে কেউ এক সিনেমায় নিতে পারেনি কখনো। কিন্তু সেটিই করে দেখিয়ে ছিলো নায়ক মান্না। ‘দুই বধূ এক স্বামী’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন মৌসুমী-শাবনূর। নায়ক মান্নাকে বাংলা চলচ্চিত্রের গবেষক উল্লেখ করে এই খল অভিনেতা বলেন, মৌসুমী-শাবনূরকে এক করার ফলে দুই নায়কার দর্শকই সিনেমাটি দেখেছে। যার ফলে ছবিটি সুপার হিট হয়েছে। তাছাড়া বড় বড় নির্মাতা নিয়ে মান্না সব সময় কাজ করতেন। চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক বেশি চর্চা করতেন তিনি। চলচ্চিত্র নিয়ে মান্না যেই কথাগুলো বলতো অনেক চিন্তাভাবনা করে বলত। একটা সময় চলচ্চিত্রে পাইরেসি ও অশ্লীলতা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। আর সেই সময় মান্না এককভাবে জীবন দিয়ে লড়ে গেছেন উল্লেখ করে মিশা বলেন, ছবি পাইরেসি বন্ধে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করেছে। কোথাও পাইরেসি হচ্ছে এমন খবর শুনে দেয়াল টপকিয়ে জীবন বাজি রেখে সেখানে গিয়ে তা প্রতিহত করেছে। পরে পাইরেসির সঙ্গে জড়িতদের ধরে এনেছে, পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছে। এ ছাড়া তিনি অশ্লীল ছবি বন্ধে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে গেছেন। বলতে গেলে এখন তার সেই যুদ্ধের ফল ভোগ করছে। এটা শতভাগ সত্য যে তিনি পাইরেসি ও অশ্লীলতা বন্ধে একেবারে শীর্ষে থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। চলচ্চিত্রের যেকোন ক্রান্তিলগ্নে মান্না একা দাড়িয়ে গেছে। আক্ষেপ নিয়েই এই দর্শকপ্রিয় অভিনেতা বলেন, মান্নার মৃত্যু মানে চলচ্চিত্রের অর্ধেক মৃত্যু হয়ে গেছে। অনেকেই বলে ইন্ডাস্ট্রি কোমায় আছে কিন্তু আমি বলবো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি একদম শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ মান্না থাকলে বাংলা চলচ্চিত্রের এমন হাল হতো না। প্রসঙ্গত, জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ঢালিউডের এই মহাতারকা। মান্নার পরিবারের দাবি, ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মামলা এখনো চলমান। মান্না অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে দাঙ্গা, লুটতরাজ, তেজি, আম্মাজান, আব্বাজান, বীর সৈনিক, শান্ত কেনো মাস্তান, বসিরা, খল নায়ক, রংবাজ বাদশা, সুলতান, ভাইয়া, টপ সম্রাট, চাঁদাবাজ, ঢাকাইয়া মাস্তান, মাস্তানের ওপর মাস্তান, বিগবস, মান্না ভাই, টপ টেরর, জনতার বাদশা, রাজপথের রাজা, এতিম রাজা, টোকাই রংবাজ, ভিলেন, নায়ক, সন্ত্রাসী মুন্না, জুম্মান কসাই, আমি জেল থেকে বলছি, কাবুলিওয়ালা ইত্যাদি। মান্না তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পাশাপাশি আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

‘ভাইরাল হওয়াই এখন মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে’
বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন মনে করেন বাংলাদেশে এখন ভাইরাল হওয়া সবচেয়ে বড় বিপণন কৌশল হয়ে উঠেছে৷ এক্ষেত্রে ন্যায়-অন্যায় নিয়ে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বলে মনে করেন শিল্পী আফজাল হোসেন৷ গণমাধ্যমের সম্প্রসারণ, নতুন পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয় শিল্পীদের উত্থানে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেশি কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে৷ টেলিভিশন, থিয়েটারের বাইরেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তার লাভ করেছে দর্শকদের সঙ্গে শিল্পীদের যোগাযোগ৷ রুপালি পর্দার বাইরেও তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনুসারীরা৷ তবে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে দুই ধরনের মনোভাবই রয়েছে৷ অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, আমার কাছে মনে হয় পরিবর্তন মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা আমাদের থাকা উচিত৷ এক টকশো-তে বিনোদনের একাল ও সেকাল, বিনোদনের মান নিয়ে আলোচনায় অতিথি ছিলেন শিল্পী ও নির্মাতা আফজাল হোসেন এবং অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলোয়ার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, আমার ফলোয়ার্স অনেক আছে কিন্তু কতজন আমাকে পছন্দ করে বা আমার ভক্ত সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই৷ বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেটা ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুক যা হোক৷ যারা আমাকে আমার কাজের জন্য পছন্দ করে তারা আমি যেমন, যে কাজ করছি সেগুলো দেখেই আমাকে পছন্দ করেন৷ তারা যে সবাই আমার ফলোয়ার্সের মধ্যে আছে বা সবাই আমাকে ফলো করছে সবসময় এমন নয়৷ আমি এই পার্থক্যটা দেখেছি৷ দর্শক নির্বাচন ও সে অনুযায়ী কনটেন্ট নির্মাণের প্রসঙ্গে আফজাল হোসেন বলেন, আমরা একটা পজিটিভ সময়ে কাজ করতে পেরেছি৷ কাজ করার আগে যদি ভাবতে হতো, আমাদের অনেক বড় জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে হবে, তাহলে অনেকগুলো ভালো কাজ হতো না৷ গণমাধ্যম, নির্মাতাদের দর্শক ধরার প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন অনেক টেলিভিশন এলো, তখন আর অনুষ্ঠান থাকলো না৷ অনুষ্ঠান দর্শককে খাওয়ানোর বিষয় তৈরি হলো৷ আজমেরী হক বাঁধনের অভিনীত সিনেমা রেহানা মারিয়াম নূর প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে কান উৎসবে মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলো৷ তবে ছবিটি ব্যবসা সফল কিনা সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, সুপার ডুপার হিট বলতে যা বুঝায় তা অবশ্যই ছিল না৷ একটি মোবাইক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া বিপণন কৌশল নিয়ে প্রশ্ন ছিল দুই অতিথির কাছে৷ এ বিষয়ে বাঁধন বলেন, আমাদের মুখ্য বিষয় হচ্ছে ভাইরাল হতে হবে৷ এত কনটেন্ট এত বিজ্ঞাপন, এত খবর, এত কিছু পৃথিবীতে ঘটে যাচ্ছে এখন এটা একটা মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি আমরা কীভাবে ভাইরাল করবো একটা কিছু৷ মানুষ চিন্তা করছে তার কাজটা কয়জন দেখছে, কয়টা ক্লিক হচ্ছে, ভিউ হচ্ছে এটার জন্য তারা অস্থির হয়ে যাচ্ছে৷ আফজাল হোসেন মনে করেন, শুধু বিজ্ঞাপন নয় যে যেখানে আছে সেই অবস্থায় যা খুশি তা করতে পারে৷ এক্ষেত্রে প্রশ্ন করার মানুষ নাই৷ যদি প্রশ্ন কেউ করে থাকে, করে ফেলে তাহলে আক্রমণ করার মানুষেরও অভাব হয় না৷ বলেন, কোনটি ন্যায় কোনটি অন্যায় সেটাও আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না৷ তবে ভাইরাল হওয়া দোষের কিছু নয় এমনটা মনে করেন তিনি৷ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, জনপ্রিয় করে তোলার মাধ্যমে ভাবনায় যদি একটা বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব হয় এর মতো অসাধারণ সৃজনশীলতা আর হতে পারে না৷ যখন মানুষ ঐ অসাধারণত্ত্বকে স্পর্শ করতে পারে না তখন খুব সাধারণ বিষয় নিয়ে এসে মানুষ হৈ চৈ ফেলে দেয় এবং এটাকে আমরা ভাইরাল বলি৷ এটা আসলে সাফল্য নয়৷ বরং এই বিষয়গুলো মানুষকে দিনে দিনে নিম্নগামী করে৷
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২২

‘ময়দান’-এ মুগ্ধ হয়ে যা বললেন সৌরভ গাঙ্গুলী
ভারতে মুক্তি পেয়েছে অজয় দেবগন অভিনীত সিনেমা ‘ময়দান’। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মুক্তি পাওয়া এ সিনেমায় কিংবদন্তি  রহিম সাহেবের ভূমিকায় অজয়ের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বাইশ গজের মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলী।  বনি কাপুর প্রযোজিত সিনেমাটি নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করেছেন সৌরভ। ক্যাপশনে লিখেছেন, কেউ ‘ময়দান’-এর দুর্দান্ত সিনেম্যাটিক অভিজ্ঞতা মিস করবেন না। ভারতের কিংবদন্তি ফুটবল কোচ সৈয়দ আবদুল রহিম এবং ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগকে যে দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে, তা দেখে আমি মুগ্ধ। আইকনিক ভারতীয় ফুটবল তারকাদের বড়পর্দায় জীবন্ত হয়ে ওঠার সাক্ষী রইলাম। এই স্পোর্টস ড্রামা মাস্ট ওয়াচ!  Don't miss out on the cinematic experience of #Maidaan, a captivating portrayal of India's legendary football coach, Syed Abdul Rahim, and the golden era of Indian football. Witness the iconic Indian football stars brought back to life on the big screen in this must-watch Indian… pic.twitter.com/Y0nSaGDlVf— Sourav Ganguly (@SGanguly99) April 13, 2024 অমিত শর্মা পরিচালিত এই সিনেমায় ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ অর্থাৎ ১৯৫২ থেকে ১৯৬২ সময়কালে আবদুল রহিম কীভাবে ভারতীয় ফুটবলকে বিশ্ব মানচিত্রে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল, তা প্রকাশ পেয়েছে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২

মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর
টাঙ্গাইলের মধুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই বন্ধু।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার কাকরাইদ এলাকায় মোটরসাইকেল-প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরেক বন্ধু। তাৎক্ষণিক হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, তিন বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন। কাকরাইদ এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা ময়মনসিংহগামী একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। আহত আহত হন দুইজন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।  তিনি আরও জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেক জনের মৃত্যু হয়। অপরজনের অবস্থাও আশংকাজনক।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৯

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, তরুণ গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় প্রতিবেশী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃত মো. নাহিদ হোসেন (২৩) উপজেলার হরণী ইউনিয়নের বয়ারচর গ্রামের নুরু বেপারী বাড়ির মো. বেলালের ছেলে।   শুক্রবার (১২ এপ্রিল) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের আজাদনগর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মো. গোলাম মোর্শেদ।     প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসামি ভিকটিমকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ৭ এপ্রিল বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ভিকটিমের মা পারিবারিক প্রয়োজনে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। এ সময় নির্যাতিতা কিশোরী তার নিজ বসতঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। কাজ শেষে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা নিজ ঘরে এসে ভিকটিমের কান্না দেখে কারণ জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম জানায় বিকেল ৪টার দিকে বসতঘরের দরজা খোলা থাকায় নাহিদ ঘরে প্রবেশ করে তাকে একা পেয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।  প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরে এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরীর মা বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আসামি পলাতক ছিলেন। র‍্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫০

‘সোনার চর’ হাউসফুল, উচ্ছ্বসিত হয়ে যা বললেন জায়েদ খান
ঈদ মানেই দেশের হলগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা। এর মধ্যে অন্যতম সিনেমা হলো জায়েদ খান অভিনীত ‘সোনার চর’। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও সিনেমাটি দেখতে হাউসফুল দর্শক হয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। এদিকে ‘সোনার চর’ হাউসফুল হওয়ায় ব্যাপক উচ্ছ্বসিত জায়েদ।  ‘সোনার চর’ দিয়েই দীর্ঘ এক যুগ পর তার অভিনীত কোনো সিনেমা ঈদে মুক্তি পেল। ঈদের দ্বিতীয় দিন কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমাসে দুপুরে ‘সোনার চর’র শো হাউসফুল হয়।  সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে সেই অনুভূতিই শেয়ার করেছেন জায়েদ। তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম দর্শকরা আমার সিনেমা গ্রহণ করবেন। আমি নিজের সেরাটা দিয়েছি। সিনেমাটি হাউসফুল গেছে শুনে ভালো লাগছে। ঈদের দিন থেকেই দর্শকের ভালো সাড়া পাচ্ছি।  হলে সিনেমাটি দেখার পর জায়েদের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন দর্শকেরা। আইরিয়ানা নামে এক সিনেমাপ্রেমী বলেন, ফেসবুকে প্রচার দেখেই জায়েদের সিনেমাটি দেখার আগ্রহ হয়। উনি কেমন অভিনয় করেন দেখার ইচ্ছা ছিল। তার অভিনয় অনেক ভালো লেগেছে।  আরেক দর্শক বলেন, কোনো সিনেমা দেখার প্ল্যান ছিল না। সামনে দেখলাম ‘সোনার চর’। আগে কখনও জায়েদের সিনেমা দেখা হয়নি। প্রথমবার দেখলাম। উনি অনেক ভালো অভিনয় করেন। প্রসঙ্গত, জায়েদ অভিনীত ‘সোনার চর’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন জাহিদ হাসান। জায়েদ খান ছাড়াও সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন— ওমর সানী, মৌসুমী, স্নিগ্ধা, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন প্রমুখ।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৪

ঈদ আসলে এখন মনে হয় বড় হয়ে গিয়েছি : ইভানা
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। সাধারণ মানুষ তো বটেই ঈদের খুশি সবার সাথে ভাগ করার জন্য তারকারাও মুখিয়ে থাকে এই দিনটির জন্য। শত ব্যস্ততার মাঝেও তারকারা এ সময় নিজের পরিবারকে সময় দেন। ঘুরতে যান বন্ধুদের সাথে। আরটিভির ঈদ আয়োজনে ঈদ সহ নানা বিষয় নিয়ে কথা হলো বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী ইভানার সাথে।  আরটিভি : ঈদ কোথায় করলেন?  ইভানা: ঈদ ঢাকাতেই করেছি। আর এখন ঈদ নিয়ে তেমন পরিকল্পনা থাকে না। ছোট বেলায় আগে অনেক প্লেন করতাম। মেহেদী দিবো, চাঁদরাতে ঘুরবো, ঈদের দিন ঘুরবো। কিন্তু এখনকার ঈদ নিয়ে তেমন কিছুই করা হয়না। কারণ কাজিনদের অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। এবার ঈদটা আমার জন্য অনেক স্পেশাল কারণ তিন বছর পর মা বাংলাদেশে এসেছে। ঈদে মায়ের হাতের রান্না খেয়েছি অনেক বছর পর।  আরটিভি : তারকা হওয়ার আগের ঈদ ও এখনকার ঈদে কি পার্থক্য?  ইভানা : তারকা হওয়ার আগের ঈদ গুলোই ভালো ছিল। আসলে এক একটা বয়স থাকে। বয়সের সাথে সাথে পারিপার্শ্বিক অবস্থাও পরিবর্তন হয়। ঈদ আসলে এখন মনে হয় বড় হয়ে গিয়েছি। আগে সালামি নিতাম এখন দিতে হয়। সত্যি কথা বলতে এখন আর আগের মত ঈদ ঈদ ভাইভটা পাইনা। আমি খবুই সাধারণ মানুষ। আমি নিজেকে কখনোই তারকা মনে করি না। হয়তো মানুষ ভালোবাসে পছন্দ করে বলেই তারকা বলে ডাকে। আমি নিজেকে কখনোই বড় কিছু মনে করিনা। আমি খুব সাধারণ ভাবেই জীবন কাটাই।  আরটিভি : ঈদ নিয়ে মজার কোন স্মৃতি? ইভানা: ঈদ নিয়ে অনেক ছোট বেলার মজার স্মৃতি আছে। ছোটবেলায় যৌথ পরিবার ছিলো। তখন অন্যরকম আনন্দে ঈদ কাটতো। প্রতিটা বাসায় গিয়ে সবার কাছ থেকে সালামি নিতাম। কে কত কার থেকে সালামি পেয়েছি সেটি গুনতাম। সালামির টাকা দিয়ে কি কিনবো টা প্লেন করতাম। আব্বুকে নিয়ম করে দিয়েছিলাম আমাকে সবচেয়ে বেশি সালামি দিতে হবে। আম্মু গৃহিনী ছিলো তাও আম্মুর থেকে সালামি নিতাম। আম্মু আবার আমারকে বলতো কে কত সালামি দিয়েছে? সেই টাকা গুলো দিতে কিন্তু আমি দিতাম না। আসলে ঈদ নিয়ে মজার স্মৃতি বলে শেষ করা যাবে না। আর এখন আমার কাছে ঈদের আনন্দ মানে কাজ দেখে দর্শকদের ভালোবাসা পাওয়াটা।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

কানাডার হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন বুমরাহ!
জাসপ্রিত বুমরাহকে ভারতের পেস ইউনিটের প্রাণভোমরা বলা হয়। চোট বা বিশ্রামের কারণে দলে এই পেসার না থাকলে ম্যান ইন ব্লুদের বোলিং আক্রমণকে দুর্বলই মনে হয়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। তবে এই পেসারই জানালেন, এক সময়ে কানাডার হয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার কথা। সেখানে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টাও শুরু করেছিলেন তিনি। তবে সফল হয়নি সেই পরিকল্পনা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দিয়ে ভাগ্য খুলে তার। ২০১৩ মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে আইপিএলে খেলার সুযোগ হয় বুমরাহর। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে ২০১৬ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সম্প্রতি স্ত্রী সানজানা গনেশানকে নিয়ে জিও সিনেমার একটি ভিডিওতে হাজির হন বুমরাহ। সেখানে স্ত্রী তাকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি তো কানাডায় গিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিলে?’ জবাবে বুমরাহর ভাষ্য, ‘ক্রিকেট খেলে বড় হতে কে না চায়? ভারতের প্রতিটি সড়কেই অন্তত ২৫ জন খেলোয়াড় আছে, যাদের স্বপ্ন ভারতের হয়ে খেলা। (তাই) আপনাকে বিকল্পও কিন্তু ভাবতে হবে। সেখানে (কানাডা) আমাদের আত্মীয় থাকেন। আমি ভাবতাম পড়াশোনা শেষ করে যাব সেখানে। পুরো পরিবার নিয়েই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল শুরুতে, পরে ভিন্ন সংস্কৃতির দেশে মা যেতে চাইলেন না।’ এই পেসার বলেন, ‘আমি খুব ভাগ্যবান যে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগিয়েছে। নইলে কে জানে, আমি কানাডা দলে খেলার চেষ্টা করতাম কি না, পাশাপাশি অন্য কিছুও হয়তো করতাম। ভালো লাগছে যে আমি ভারত দল ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে খেলছি।’
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়