• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
যৌন হয়রানি : আরও দুই জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের ওপর। আর তাকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিভাগটির চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের ওপর। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের ওই শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘২০২১ সালে আমার বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান ও অভিযুক্ত শিক্ষক আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমকে হাত-পা কেটে হত্যা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আমাকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। অনার্সের ফাইনালের ভাইভায় আমাকে ফেল করানো হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছি না, আমাকে একঘরে করা হয়েছে। কখন আমাকে মেরে ফেলা হয় সেটা জানি না। শুধু আমি না, আমার পরিবারকেও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে এবং হেনস্তা করছে। বর্তমান এ অবস্থা থেকে বাঁচতে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।’ এ বিষয়ে ডিবি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এর আগে এ ছাত্রী বিভিন্ন জায়গায় বিচার দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বিচার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। মিমের অভিযোগ পেয়েছি। তার নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা নিশ্চিতের চেষ্টা করবো। তাকে হুমকি-ধমকি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে ডিবির সাইবার টিম।’ তিনি জানান, ‘আরও কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা ছাত্রকর্তৃক যৌন হয়রারির শিকার হলে ডিবিতে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন।’
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩১

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা / অভিযুক্ত শিক্ষককে অব্যাহতি, সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার
শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে অব্যাহতি ও শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অবন্তিকার আত্মহত্যার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। উপাচার্যের নির্দেশে ডাকা হয় জরুরি বৈঠক। সেখানেই গৃহীত হয় এসব সিদ্ধান্ত।  বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে আইন অনুষদের ডিন ড. মাসুম বিল্লাহকে।’ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত। আমাদের পুরো আইন বিভাগ মর্মাহত। মেয়েটি খুব ভালো ছিল, সত্যিকার অর্থেই মেধাবী ছিল। কিছু বলার ভাষা নেই। আমি মাত্র জানলাম আমাকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সত্যিকারের ঘটনা বের করে আনার জন্য, যেন দোষীরা শাস্তি পায়। এদিকে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করছেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। তিনি বলেছেন, এর সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। মেয়েটার সঙ্গে দেড় বছর আগে আমাদের কথা হয়েছে ছেলেটার বিষয় নিয়ে। আমি চাই এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আর যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অবন্তিকার সঙ্গে কোনও প্রকার যোগাযোগ করিনি। এমনকি ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা কোনও জায়গাতেই কানেক্টেড না আমি। আমাকে দোষী প্রমাণের জন্য এভিডেন্স লাগবে। এভিডেন্স ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা। 
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৪:১০

যৌন হয়রানি : তদন্তে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্তে কমিটি গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১০ দিন সময় বেঁধে দিয়ে ক্লাসে ফিরেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দশ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হলে আবারও ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ ভবন প্রাঙ্গণে একটি সংবাদ সম্মেলনে করে এ কথা জানান শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা ক্লাসে ফিরে যান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিভাগের ত্রয়োদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিজ খান। তিনি বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচারিক প্রক্রিয়া এগিয়ে না নেওয়া, অথবা এতে কোনোরূপ অবহেলা, পক্ষপাত অথবা স্বচ্ছতার ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়, অথবা কোনো মহল বিচার প্রক্রিয়াকে কোনোভাবে প্রভাবিত করছে বলে প্রতীয়মান হয়, তাহলে পুনরায় ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে ফিরতে বাধ্য হব।  গত ১০ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে প্রক্টরের কাছে লিখিত দেন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী। যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে কিছু অডিও রেকর্ড ও মেসেজের স্ক্রিনশট জমা দেন তিনি। ওই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ নামেন বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক নাদির জুনাইদের অফিস কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের তালায় সিলগালা করে দেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি তারা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন। শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের জন্য তাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না, এমন লিখিত নিরাপত্তার আশ্বাস চান বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে।  গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক নিরাপত্তা দেওয়ার লিখিত আশ্বাস দেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ । এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা রোববার থেকে রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিলেন। অভিযোগ অস্বীকার করে আসা অধ্যাপক নাদির জুনাইদ অবশ্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পেছনে ‘অন্য কিছু’ দেখছেন। বিভাগের পরবর্তী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার আগে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণের’ শিকার হচ্ছেন বলে তার ভাষ্য।   
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৭

ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক নারী শিক্ষার্থী। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী। এতে ওই শিক্ষার্থী অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিভিন্ন হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরেন। লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষক নাদির জুনাইদ তাকে প্রায়ই অরুচিকর কথাবার্তা বলতেন। রাতে কল করে নানা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাও বলতেন। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তাবও দিতেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, শিক্ষক নাদির জুনাইদ তাকে প্রায়ই বাসায় ডাকতেন। তিনি বিষয়টি নানান চতুরতায় এড়িয়ে যান। তার হয়রানিতে ওই শিক্ষার্থী একপর্যায়ে মানসিক ট্রমায় ভুগতে থাকেন। রাতে ঘুমাতে পারতেন না তিনি। এ জন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রায়ই ঘুমের ওষুধ সেবন করতেন। গত বছরের শুরুতে তিনি মানসিক কাউন্সিলিংও করেন। অধ্যাপক নাদির জুনাইদের হয়রানি থেকে বাঁচতে তৃতীয় বর্ষে থাকাকালে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, মাস্টার্স না করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়বেন বলেও অভিযোগপত্রে ‍উল্লেখ করেন ওই শিক্ষার্থী।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪

পুলিশের হয়রানি বন্ধের দাবি বাজুসের
স্বর্ণালংকার পরিবহনের সময় প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি, বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাজুসের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন কোনো ধরনের হয়রানি না করে সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। একইসঙ্গে বাজুসের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ছয়টি প্রস্তাবনাও দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বাজুস প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।  বৈঠক শেষে বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, বাজুসের কিছু সমস্যা নিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। মন্ত্রী অতীতেও সুন্দর ভূমিকা রেখেছেন, আগামীতেও তিনি আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা স্মার্ট জুয়েলারি ব্যবসায়ী হতে চাই। এ জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন নীতিমালা দিয়েছেন। সেই নীতিমালা অনুযায়ী আমরা স্বর্ণ রপ্তানি করতে পারব, আমদানি করতে পারব। এই আমাদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু আইনগত প্রতিবন্ধকতা আছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা স্বর্ণের মূল্যটা নির্ধারণ করতে পারি না। ডা. দিলীপ কুমার আরও বলেন, বাজুস যেভাবে কাজ করছে তাতে আগামী দিনে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো আমরা নিরসন করতে পারব। আমাদের মূল সমস্যা ছিল স্বর্ণ পরিবহনের ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় পুলিশি হয়রানি হয়, তাঁতীবাজারে আমাদের একটি ছোট, বড়, মাঝারি শিল্প কারখানায় অর্নামেন্টস তৈরি হয়। সেখানে পুরাতন স্বর্ণ নিয়ে নতুন স্বর্ণ তৈরি হয়ে আসে, আসা-যাওয়ার সময় আমাদের কিছুটা হয়রানি হতে হয়। যে বিষয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় জুয়েলারি শিল্পের অনেক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান হওয়ার বাজুসের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতেও বাজুসের যেকোনো সমস্যা সমাধানে তার আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। বৈঠকে বাজুসের পক্ষ থেকে ছয়টি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। প্রস্তাবনাগুলো হলো, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সে বাজুসের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে চোরাচালান বিরোধী কার্যক্রমে বাজুসের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটিতে বাজুসের জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করা।এছাড়া সারা দেশে জুয়েলারি দোকানে এ যাবৎকাল অনেক চুরি ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব ঘটনায় বর্তমান আইন অনুযায়ী সাধারণ চুরির মামলা হিসেবে থানা গ্রহণ করে। স্বর্ণ একটি মূল্যবান ধাতু। তাই আইন পরিবর্তন করার জন্য প্রস্তাবনা পেশ করে বাজুস। পাশাপাশি অতীতে সংঘটিত অপরাধ তদন্তে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও জানানো হয়। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বর্ণ পরিবহনের ক্ষেত্রে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা প্রায়ই হয়রানির শিকার হয়। এ ক্ষেত্রে স্বর্ণালংকার পরিবহনের সময় প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি, বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাজুসের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে কোনো হয়রানি না করে, তার যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে বাজুস। বৈঠকে বাজুসের সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ, মো. রিপনুল হাসান, মাসুদুর রহমান, মো. জয়নাল আবেদীন, সমিত ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ ও কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।  
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৮

অভিযোগের কয়েক মাসের মাথায় পর্ন তারকার মরদেহ উদ্ধার
সিনেমায় যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগের কয়েক মাসের মাথায় নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পর্ন তারকা থাইনা ফিল্ডসের মরদেহ। গত ৬ জানুয়ারি পেরুর ট্রুজিলোর নিজ বাড়ি থেকে ২৪ বছর বয়সী থাইনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এখনও তার মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি। এই পর্ন তারকার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন সহকর্মী ও নির্মাতা আলেজান্দ্রা সুইট।  তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। থাইনার মৃত্যুতে আমি শোকাহত। এদিকে ইনস্টাগ্রামে এক বার্তায় আলেজান্দ্রা সুইট লিখেছেন, ‘বন্ধুরা আপনাদের থাইনা ফিল্ডসের জন্য প্রার্থনা করতে বলব।’  এদিকে মৃত্যুর আট মাস আগে এই পর্ন তারকা দাবি করেছিলেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমায় বেশ খারাপভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে থাইনা বলেছিলেন, আমি প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমায় কাজ শুরুর পর যৌন হয়রানি এবং অপব্যবহারের শিকার হয়েছি। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন আমাকে দিয়ে যা খুশি তাই করতে পারবে। বিষয়গুলো নিয়ে আমি বাড়িতে এসে খুব কাঁদতাম। এ অভিনেত্রী বলেন, আমার সঙ্গে এমনটা অনেকবার হয়েছে। একজন নারী হওয়া এবং প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমায় কাজ করা বেশ কঠিন কাজ। যখন কিনা সমাজ আক্ষরিক অর্থে কঠোর হয়। সামাজিকমাধ্যমে প্রায় দুই লাখেরও বেশি অনুসারী ছিল থাইনার। তিনি যেসব প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন, সেসব প্রতিষ্ঠান এই তারকার মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছে।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়