• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হ্যাটট্রিক করে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪৮ ধাপ লাফ ফারিহার
অভিষেক হ্যাটট্রিকে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা। এরপর দীর্ঘ বিরতি শেষে ক্যারিয়ারের সপ্তম ম্যাচ খেলতে এসে ফের হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন তিনি। এতে বিশ্ব ক্রিকেটের পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রথম এবং সব মিলিয়ে তৃতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুটি হ্যাটট্রিক করেন ফারিহা ইসলাম। গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের শেষ ওভারে এলিস পেরি, সোফি মলিনু ও বেথ মুনিকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন বাঁ-হাতি এই পেসার। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। এর আগে, ২০২২ সালে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে অভিষেকে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। ফারিহা ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে ফাহিমা খাতুনের হ্যাটট্রিকের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এবার র‌্যাঙ্কিংয়েও বড় লাফ দিলেন বাংলাদেশি এই পেসার। র‌্যাঙ্কিংয়ে এক লাফে ৪৮ ধাপ এগিয়েছেন ফারিহা। আইসিসির সবশেষ হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিংয়ে এখন তার অবস্থান ৮৭ নম্বরে। এ ছাড়া বাংলাদেশের আরেক বোলার নাহিদা আক্তার দুই ধাপ এগিয়ে ২৪তম স্থানে উঠে এসেছেন। ৫ ধাপ এগিয়ে ১৬ নম্বরে রাবেয়া খান। র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার তিনিই। তবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের সোফি এক্লেসটোন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৮

ঠাকুরের ফাইফারে ভর করে হ্যাটট্রিক জয় লখনৌয়ের
রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে হেরে এবারের আইপিএল শুরু করেছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। তবে পরের তিন ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। চতুর্থ ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সকে রানে হারিয়ে হ্যাটট্রিক জয়ের স্বাদ পেয়েছে লোকেশ রাহুলের দল।   রোববার (৭ এপ্রিল) আগে ব্যাট করে গুজরাটকে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দেয় লখনৌ। জবাব দিতে ১৩০ রানেই গুটিয়ে যায় গতবারের রানার্স আপরা। এতে ৩৩ রানের জয় পায় লখনৌ। পাঁচ উইকেট শিকার করে এই ম্যাচের অন্যতম নায়ক ইয়াস ঠাকুর। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে গুজরাটের দুই ওপেনার সাই সুদর্শন এবং শুভমান গিল। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। ২১ বলে ১৯ রান করে শুভমান আউট হলে ৫ বলে ১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন অভিজ্ঞ কেইন উইলিয়ামসন। ২৩ বলে ৩১ রান করেন সুদর্শন। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি বিআর শারাথও। ২ বলে ৫ রান করে শারাথ আউট হলে সাত রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গুজরাট। এরপর গুজরাট শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন বিজয় শঙ্কার এবং দর্শন নালকান্ডে। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। বিজয় ১৭ রান এবং ১১ বলে ১২ রান করে আউট হন দর্শন। ৩ বলে শূন্য রান করেন রশিদ খান। কিন্তু এক প্রান্ত থেকে লড়াই করতে থাকেন রাহুল তাওয়াতিয়া। ২৫ বলে ৩০ রান করে এই বাঁহাতি ব্যাটার আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় গুজরাট। শেষ দিকে ২ বলে ৪ রান করে নুর আহমেদ আউট হলেও ৭ বল থাকতেই ১৩০ রানে অলআউট হয় গুজরাট। এতে ৩৩ রানের জয় পায় লখনৌ। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকার করেন ইয়াস ঠাকুর। এ ছাড়াও কুর্নাল পান্ডিয়া তিনটি, নাভিন উল হক এবং রবি বিষ্ণই একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি লখনৌ। দলীয় ১৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ইনিংসের চতুর্থ বলেই সাজঘরে ফেরেন কুইনটন ডি কক (৬)। ৭ বলে ৭ রান করে ফেরেন দেবদূত পাডিক্কেল। মার্কাস স্টোইনিসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন লোকেশ রাহুল। ৩১ বলে ৩৩ রান করে রাহুল আউট হলেও ৪০ বলে ফিফটি তুলে নেন স্টোইনিস। ৪৩ বলে ৫৮ রান করে আউট হন এই অজি ব্যাটার। আইয়ুস বাদোনি করেন ১১ বলে ২০ রান। এরপর ব্যাট চালাতে থাকেস নিকোলাস পুরান। শেষ পর্যন্ত পুরানের ২২ বলের ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের লড়াকু পুঁজি পায় লখনৌ সুপার জায়ান্টস।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৬

দিল্লিকে বিধ্বস্ত করে কলকাতার হ্যাটট্রিক জয়
চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। টানা তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে তারা। দিল্লিকে ১০৬ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দলটি। বুধবার (৩ মার্চ) আগে ব্যাট করতে নেমে দিল্লিকে ২৭৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় কলকাতা। জবাব দিতে ১৬৬ নেমে রানেই গুটিয়ে যায় দিল্লি। এতে ১০৬ রানে বিশাল জয় পায় কলকাতা।  বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় দিল্লি। ৭ বলে ১০ রান করে পৃথ্বী শা আউট হলেও শূন্য রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন মিচেল মার্শ এবং অভিষেক পোরেল। দিল্লি শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৩ বলে ১৮ রান করে স্বদেশি স্টার্কে শিকার হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর ক্রিসটান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ঋষভ পান্থ। ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন দিল্লির অধিনায়ক। ২৫ বলে ৫৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের বলেই ডাক আউট হন অক্ষর প্যাটেল এতে ১২৬ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দিল্লি। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন স্টাবস। এরপর বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি তিনি। ৩২ বলে ৫৪ রান করে ফেরেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ৬ বলে ৭ রান করে আউট হন সামিত কুমার। শেষ পর্যন্ত রাসিক সালাম (১) এবং এনরিচ নরকিয়া ৪ রানে আউট হলে রানেই গুটিয়ে যায় দিল্লি। এতে ১০৬ রানের বিশাল জয় পায় কলকাতা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ভারুণ চক্রবর্তী ও ভাইভাব আরোরা তিনটি করে উইকেট শিকার করেন । এ ছাড়াও মিচেল স্টার্ক দুটি, আন্দ্রে রাসেল ও সুনিল নারিন নেন এক করে উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব শুরু করে কলকাতার দুই ওপেনার ফিট সল্ট এবং সুনিল নারিন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি সল্ট। ১২ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ইংলিশ ব্যাটার। কিন্তু অপর প্রান্তে ঝড় তুলতে থাকেন নারিন। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। তৃতীয় উইকেটে পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন অঙ্কক্রিস রঘুভানশি। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারেই ১৩৫ রান তুলে নেয় কলকাতা। সেই সঙ্গে সেঞ্চুরি খুবই কাছে পৌঁছে যায় নারিন। তবে ১৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ৩৯ বলে ৮৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। নারিন সেঞ্চুরি না পেলেও ২৫ বরে ফিফটি তুলে নেন রঘুভানশি। ২৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর কলকাতা শিবিরে হাল ধরেন আন্দ্রে রাসেল এবং শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৬তম ওভারেই দুইশত রানের কোটা পার করে পশ্চিমবঙ্গের দলটি। ১১ বলে ১৮ রান করে আইয়ার আউট হলে ৮ বলে ২৬ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন রিঙ্কু সিং। ২০তম ওভারে প্রথম দুই বলে দুর্দান্তভাবে রাসেল ও রামানদীপ সিংকে আউট করেন ইশান্ত। ১৯ বলে ৪১ রান করেন রাসল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৭২ রানের বিশাল পুঁজি পায় কলকাতা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৫

ইতিহাসগড়া হ্যাটট্রিক করে যা বললেন ফারিহা
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাত্তাই পাচ্ছে না বাংলাদেশ নারী দল। ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হওয়ার পর এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে বাংলার মেয়েরা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৮ রানে পরাজয় দেখেছে টাইগ্রেসরা।  হতাশাময় ম্যাচের অন্যপ্রান্তে বাংলাদেশের জন্য ভিন্ন এক আশার আলোর ঝিলিক দেখা গেছে। ইনিংসের শেষ তিন বলে অজিদের এলিসা পেরি, সোফি মলিনেক্স এবং বেথ মুনিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন টাইগ্রেস পেসার ফারিহা তৃষ্ণা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় বোলার হিসেবে দ্বিতীয়বার হ্যাটট্রিক করলেন তৃষ্ণা। এদিকে ম্যাচ শেষে নিজের খুশির কথা জানিয়েছেন তৃষ্ণা। তার দাবি, দল জিতলে আনন্দ আরও বেশি হতো। সংবাদ সম্মেলনে তৃষ্ণার ভাষ্য, ‘শুরুটা ভালো ছিল। আশাবাদী ছিলাম যে ম্যাচটা ভালোভাবে শেষ করতে পারব। শেষ পর্যন্ত কিন্তু চেষ্টা করেছি। প্রত্যাশা ছিল ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। অনেক দিন পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলাম। ভালো কিছু করার, দলকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মাথায় চলছিল যে জায়গায় করব। আল্লাহ সহায় হলে যদি কিছু হয়।’  এই পেসার আরও বলেন, ‘আফসোস তো অবশ্যই আছে। দলের অর্জন বড় হলেই নিজের অর্জনের আনন্দটা বেশি হয়। দল জিতলে এ আনন্দটা হয়তো আরও ভালোভাবে উদযাপন করা যেত। দলই সবার আগে। ভালো তো লাগেই। দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকটা করতে পেরেছি। অর্জন করতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর অশেষ রহমতে হ্যাটট্রিকটা করতে পেরেছি।’
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৫

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দুই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হ্যাটট্রিক ফারিহার
বিশ্ব ক্রিকেটের পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রথম এবং সব মিলিয়ে তৃতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুটি হ্যাটট্রিক করলেন ফারিহা ইসলাম। হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের শেষ ওভারে এলিস পেরি, সোফি মলিনু ও বেথ মুনিকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই পেসার। এর আগে, ২০২২ সালে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে অভিষেকে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। ফারিহা ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে ফাহিমা খাতুনের হ্যাটট্রিকের অভিজ্ঞতা রয়েছে। মিরপুরে তখন হ্যারিস ও ওয়ারেহামের শো চলছিল। সফরকারীরা যেভাবে খেলছিল, তাতে মনে হচ্ছিল দুইশ পেরিয়ে যাবে দলীয় পুঁজি। তবে ইনিংসের ১২তম ওভারে ওয়ারেহাম প্যাভিলিয়নে ফিরলেই পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। পরের ওভারে ফাহিমার জোড়া আঘাতে অ্যাশলেই গার্ডনারের পর ফেরেন হ্যারিস। তবে ইনিংসের মূল নাটকীয়তা তখনও বাকি। ইনিংসের শেষ ওভারে আক্রমণে আসেন ফারিহা। তার ওভারেই প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান পেরি। পরের দুই বলে আসে ২ রান। চতুর্থ বলে ওয়াইড লং অফে স্বর্ণার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পেরি। পরের বলে পয়েন্টে ধরা পড়েন মলিনু। শেষ বলে অ্যারাউন্ড দ্য লেগে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বোল্ড হন মুনি। তাকে বোল্ড করেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন টাইগ্রেস পেসার। নারীদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে জোড়া হ্যাটট্রিকের মালিক এখন তৃষ্ণা। এর আগে, উগান্ডার কনসুলেট আওয়েকো ও হংকংয়ের ক্যারি চ্যানের এই কীর্তি গড়েন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৪

হার্দিকের নেতৃত্বে মুম্বাইয়ের হ্যাটট্রিক হার
চলমান আইপিএলের শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বাইয়ের। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে ভর করে প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছিল তারা। ঘরের মাঠে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ছয় উইকেটে হেরেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। এতে আসরে হ্যাটট্রিক হারের তিতো স্বাদ পেয়েছে হার্দিকের দল। সোমবার (১ এপ্রিল) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজস্থান র‌য়্যালসকে ১২৭ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় মুম্বাই। জবাব দিতে নেমে ২৭ বল এবং ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় রাজস্থান। এতে টানা তিন জয়ের স্বাদ পেলো তারা। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রাজস্থান। ৬ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। স্যামসনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার জশ বাটলার। ১০ বলে ১২ রান করে রাজস্থান আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন বাটলার। ১৬ বলে ১৩ রান করে বাটলার আউট হলেও রাজস্থান শিবিরে হাল ধরেন রাইয়ান পরাগ। ১৬ রান করে অশ্বিন আউট হলেও ৩৮ বলে ফিফটি তুলে নেন পরাগ।  শেষ পর্যন্ত শুভাবম ডুবের ৬ বলে ৮ রান এবং পরাগের ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৪ রানে ভর করে ২৭ বল এবং ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজস্থান। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় ধাক্কা খায় মুম্বাই। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার ডাক হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ইনিংসের প্রথম ওভারে রোহিত শর্মা এবং নামান ধীরকে এবং তৃতীয় ওভারে দেওয়াল্ড বেভ্রিসকে শিকার করেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। এতে দলীয় ১৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে মুম্বাই। এরপর তিলক ভার্মাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকে ঈশান কিষান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ১৪ বলে ১৬ রান করে ঈশান আউট হলেও তিলকে সঙ্গ দেন হার্দিক। ২১ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন মুম্বাই অধিনায়ক। ৬ বলে তিন রান করে পিযুস চাওলা। ইনিংস বড় করতে পারেনি তিলকও। ২৯ বলে ৩২ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ২৪ বলে ১৭ রান করেন অজি ব্যাটার টিম ডেভিড।  শেষ পর্যন্ত বুমরাহর ৯ বলে ৮ রান এবং আকাশ মাধওয়ালের ৫ বলে ৪ রানে ভর করে নয় উইকেটে ১২৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় মুম্বাই। রাজস্থানের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও নানড্রে বুর্গার দুটি ও আভিশ খান নেন এক উইকেট। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪১

মুলতানকে কাঁদিয়ে ইসলামাবাদের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়
জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে পর্দা উঠেছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) নবম আসরের। ফাইনালে সুলতান মুলতান এবং ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের লড়াই দিয়ে পর্দা নেমেছে টুর্নামেন্টের। ফাইনালে মুলতান সুলতানসকে দুই উইকেটে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তুলেছে ইসলামাবাদ। সোমবার (১৮ মার্চ) শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ইসলামাবাদকে ১৬০ রানের লক্ষ্য দেয় মুলতান। জবাব দিতে নির্ধারিত ওভারে দুই উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় ইমাদ-শাদাবরা।  চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো করেন ইসলামাবাদের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিং মুনরো। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি মুনরো। ১৩ বলে ১৭ রান করে আউট হন তিনি। ১০ রান করে ফেরেন আঘা সালমানও। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি শাদাব খানও। ৮ বলে ৪ রান করে দলের অধিনায়ক বিদায় নিলে চাপে পড়ে ইসলামাবাদ। এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন গাপটিল। ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই কিউই ব্যাটার। পরের বলে রান আউট হন তিনি। ২২ বলে ৩০ রান করে আউট হন আজম খানও। ৩ বলে ৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন হায়দার আলী। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে ১ করা ফাহিম আশরাফকে ফিরিয়ে ইসলামাদকে চাপে ফেলে মুলতান। শেষ ১২ বলে ইসলামাবাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯ রান। ১৯তম ওভারে ১১ রান তুলে ম্যাচ সহজ করে ইমাদ ওয়াসিম। শেষ পর্যন্ত ইমাদের ১৭ বলে ১৯ রান এবং নাসিম শাহর ৯ বলের ১৭ রানের ইনিংসে ভর করে দুই হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। মুলতান সুলতানসের হয়ে খুশদিল শাহ ও ইফতেখার আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও ডেভিড উইলি, মোহাম্মদ আলী এবং উসামা মীর একটি করে উইকেট শিকার করেন এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মুলতানের। ৬ বলে ৬ রান করে ওপেনার ইয়াসির খান আউট হলে ৩ বলে ৬ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ডেভিড উইলি। উসমান খানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি মুলতান দলপতি। ২৬ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি জনসন চালর্সও। ৪ বলে ৬ রান করে আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। তবে পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন উসমান খান। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন এই তারকা ব্যাটার। ৪০ বলে ৫৭ রান করে উসমান আউট হলে উইকেট মিছিল শুরু করে বাকিরা। খুশদিল শাহ (১১), উসামা মীর (৬), আব্বাস আফ্রিদি (১) এবং শূন্য রান করে ফেরেন ক্রিস জর্দান। শেষ দিকে ব্যাট হাতে একাই লড়াই করেন ইফতেখার আহমেদ। এই ডান হাতি ব্যাটারের ২০ বলের হার না মানা ৩২ রানের ইনিংসে ভর করে নয় উইকেটে ১৫৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় সুলতান মুলতান। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকার করেন ইমাদ ওয়াসিম। তিন উইকেট শিকার করেন শাদাব খান। পিএসএলের উদ্বোধনী আসরে ২০১৬ সালে প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিলো ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০২৪ সালে তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুললো আসরের সব থেকে সফল দলটি।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ০২:১৯

হ্যাটট্রিক জয়ের পর ব্রাজিলের হার
টানা তিন জয়ে আগেই প্যারিস অলিম্পিকে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছিল ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক ভেনেজুয়েলার সঙ্গে হোঁচট খেয়েছে সেলেসাওরা। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এস্তাদিও ন্যাসিওনাল স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়ালার সঙ্গে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে র‍্যামন মেনেজেসের শিষ্যরা। স্বাগতিকদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন তেলাস্কো। অন্যদিকে সেলেসাওদের হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি এসেছে অ্যালেক্স স্যান্ডারের পা থেকে। এ ছাড়া ব্রাজিলের রিকেলমির আত্মঘাতী গোল করে স্বাগতিকদের স্কোর এগিয়ে দিয়েছেন। এদিন ম্যাচ শুরু থেকেই সমান আধিপত্য দেখায় উভয় দল। সেলেসাওরা কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা না পেলেও ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে নেন তেলাস্কো। এরপর ম্যাচের ৩১তম মিনিটের নিজের জোড়া পূরণ করেন এই মিডফিল্ডার। সেলেসাও যুবারা কোনো প্রতিরোধ না গড়তে পারলে ২-০ ব্যবধানের লিড নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক যুবারা।  বিরতি থেকে ফিরে ব্রাজিলের রিকেলমির কল্যাণে ব্যবধান বাড়ে ভেনেজুয়েলার। এরপর একাধিক চেষ্টা করেও গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। তবে ম্যাচের একদম শেশ মুহূর্তে গোল করে ব্যবধান কমান ব্রাজিলের অ্যালেক্স স্যান্ডার। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ। তবে এই ম্যাচটি সেলেসাওদের জন্য কেবলই আনুষ্ঠানিকতা ছিল। কেননা, তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে এখন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে সেলেসাওরা। ‘এ’ গ্রুপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই প্যারিস অলিম্পিকে যাচ্ছে তারা। প্রসঙ্গত, গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বলিভিয়াকে ১-০ গোলে হারায় ব্রাজিল। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের পর ইকুয়েডরের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায় তারা। দুটি গ্রুপে কনমেবল প্রাক-অলিম্পিক টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রত্যেক গ্রুপে পাঁচটি করে দল আছে। দুই গ্রুপ থেকে দুটি করে চারটি দল অলিম্পিক বাছাইয়ের চূড়ান্ত পর্বে সুযোগ পাবে। সেখান থেকে সেরা দুটি দল অলিম্পিকে জায়গা করে নেবে। অলিম্পিক বাছাইয়ের চূড়ান্ত পর্বে ব্রাজিলের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েও উঠেছে। এবার চতুর্থ দল হিসেবে স্বাগতিকরা এই পর্বে জায়গা করে নিলো। এখান থেকে সেরা দুটি দল প্যারিস অলিম্পিকে খেলবে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫১

হ্যাটট্রিক জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে আগে থেকে ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে স্বাগতিকরা। এতে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই হ্যাটট্রিক জয় নিয়ে সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। রোববার (২৮ জানুয়ারি) কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কাকে ১১৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ১১৩ রান তুলতে পারে লঙ্কানরা। এতে ১ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের অধিনায়ক সুমাইয়া আকতার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৪ রান করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেছেন রাবেয়া খান। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন দেওমি বিহঙ্গ বিজেরত্নে, শাসিনি জিমহানি বিজয়ারত্না ও মানুদি দুলানসা নানায়াক্কারা। বাংলাদেশের দেয়া ১১৫ রানের জবাবে ধীর গতিতে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা। উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু পায় তারা। দুই ওপেনার নেথমি পূর্ণা সেনারত্না ও দেওমি বিহঙ্গ বিজেরত্নে যোগ করেন ৫৬ রান। ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে বিজেরত্নেকে ফেরান রাবেয়া। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করেন লঙ্কান ওপেনার। ম্যাচের শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ রান। তবে ওভারের প্রথম বলটি ‘নো’ হয় এবং সবমিলিয়ে ২ রান আসে। আর ফ্রি হিট বলে ২ রান দেন স্পিনার জান্নাতুল মাওয়ার। ফলে এক বলে ৪ রান খরচ করায় ম্যাচ থেকে দূরে সরে যায় বাংলাদেশ।  তবে পরের ৫ বলে মাত্র ২ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার। ফলে ১ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২০

অভিজ্ঞতায় ভরা বরিশালের হ্যাটট্রিক হার
বিপিএলের দশম আসর মাঠে গড়ানোর আগে শিরোপার লড়াই ফরচুন বরিশালকে এগিয়ে রেখেছিল বিশ্লেষকরা। কারণ, দলটিতে বিদেশি তারকা ছাড়াও দেশের ক্রিকেট সবচেয়ে অভিজ্ঞ তিন (তামিম,মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ) খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছিল বরিশাল। তবে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে যে যোজন যোজন পার্থক্য রয়েছে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বরিশালে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। চলতি আসরের প্রথম ম্যাচে রংপুরকে হারালেও পরের তিন ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) টস জিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তারা। ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালকে ১৯৪ রানের বড় লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তুলতে পারে বরিশাল। এতে ১০ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও পাকিস্তানি তারকা ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ। ১৭ বলে ৩৯ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। স্বদেশি বিলাল খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন তামিম। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কার্টিস ক্যাম্ফারকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৩০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন সৌম্য সরকার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। ৪ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ইয়ানিক ক্যারিয়াহ। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ে জন্য লড়াই করতে থাকে বরিশাল। ১৬ বলে ৩৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে মিরাজ আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল। ২২ বলে ২৩ রান করে আউট হন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত আব্বাস আফ্রিদির ৮ বলে ১১ রান এবং ওয়েল্লালাগে ৪ বলে অপরাজিত ১১ রানের ভর করে সাত উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তুলতে পারে বরিশাল। এতে ১০ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন কার্টিন ক্যাম্ফার। দুই উইকেট শিকার করেন বিলাল খান। এ ছাড়া এক উইকেট নেন আল আমিন।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়