• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে কারণে হোয়াইট হাউসে বাইডেনের ইফতার আয়োজন বাতিল হলো
পবিত্র রমজানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইফতারের আয়োজন বাতিল করেছে হোয়াইট হাউস। বিষয়টির সঙ্গে জড়িত এমন দুজন বলছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে বাইডেনের সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে কয়েকজন মুসলিম মার্কিনি আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে এ আয়োজন বাতিল করতে হয়েছে। খবর আল জাজিরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা আল-জাজিরাকে বলেছে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ইফতারের আয়োজনটি বাতিল করা হয়। এর আগে, মুসলিম কমিউনিটির সদস্যরা হোয়াইট হাউসের এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে নেতাদের সতর্ক করে দেন। কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্সের (সিএআইআর) উপ-পরিচালক অ্যাডওয়ার্ড আহমেদ মিচেল আল জাজিরাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে যেতে রাজি হওয়া আমন্ত্রিতরাসহ অনেকে উপস্থিত না হওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে। আহমেদ মিচেল আরও জানান, আমেরিকান মুসলিম জনগোষ্ঠী বেশ আগেই বলেছিল, যে হোয়াইট হাউস গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণকে ক্ষুধায় মারতে ও হামলা চালিয়ে মেরে ফেলতে ইসরায়েল সরকারকে সক্রিয় সমর্থন দেয়, তার সঙ্গে খাবার খাওয়াটা হবে একবারেই অগ্রহণযোগ্য।  সোমবার (১ এপ্রিল) মার্কিন গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে, হোয়াইট হাউস মুসলিম কমিউনিটির জন্য ইফতারের আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরই হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, তারা ইফতারের আয়োজন নয় বরং শুধু মুসলিম সরকারি কর্মীদের জন্য এক ভোজের আয়োজন করবে। আর মুসলিম আমেরিকান কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে আলাদা একটি সাক্ষাতের ব্যবস্থা করবে। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরেই প্রভাবশালী মুসলিম আমেরিকান প্রতিনিধিদের নিয়ে ইফতারের আয়োজন করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা। পবিত্র রমজানে হোয়াইট হাউসে ইফতারের অনুষ্ঠান করার বিষয়টি সেখানে অন্য ধর্ম ও সংস্কৃতির অনুষ্ঠান আয়োজনেরই এক প্রতিফলন। এমন আয়োজন স্থানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরনের উৎসবের অনুভূতি দেয় এবং ঐতিহ্যগতভাবে এটি সংবাদকর্মীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। এদিকে মুসলিম আমেরিকান অধিকারকর্মীদের কয়েকজন বলেছেন, সাক্ষাতের এ আয়োজন হবে একসঙ্গে ‘ছবি তোলার এক সুযোগমাত্র’। তাদের যুক্তি, মুসলিম জনগোষ্ঠীর লোকজন ছয় মাস ধরেই তাদের অবস্থান জানিয়ে আসছেন।  আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইন সংগঠনের পরিচালক (উন্নয়ন) মোহাম্মদ হাবেহ আল জাজিরাকে বলেন, আমাদের কটা বৈঠক হলো, তাতে কতজন গেলেন, কতটা আলাপ-আলোচনা চলছে—এসব কোনো বিষয় নয়। হোয়াইট হাউস (নীতি) বদলাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মোহাম্মদ হাবেহ গুরুত্ব দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ না করলে মুসলিম আমেরিকান কমিউনিটির প্রতি তিনি যে যত্নবান, সেটি দাবি করতে পারবেন না। 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪১

ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ নয়: হোয়াইট হাউস
জর্ডানে ইরানের মদত পুষ্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে বলে পেন্টাগনের অভিযোগ। কিন্তু ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়, জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ইরানকে কীভাবে জবাব দেওয়া হবে তা ঠিক করবেন প্রেসিডেন্ট নিজে। কবে কীভাবে একাজ করা হবে তা সম্পূর্ণ প্রেসিডেন্টের হাতে। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না আমেরিকা। ফলে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবে না যুক্তরাষ্ট্র। বরং যে পরিমাণ ক্ষতি ইরানের মদত পুষ্ট গোষ্ঠী করেছে, সেভাবেই তাদের জবাব দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। বস্তুত, রোববারের এই আক্রমণের পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, ইরানকে এর জবাব দেওয়া হবে। পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইরান যুদ্ধে যেতে চাইছে, এমনটা তাদের মনে হচ্ছে না। আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধে না গেলেও যোগ্য জবাব তেহরানকে দেওয়া হবে। এবং তা অতি দ্রুতই দেওয়া হবে। এদিন সিং একটি নির্দিষ্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর নামও বলেছেন। তার বক্তব্য, যারা জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে, তাদের নাম কাতাইব হেজবোল্লাহ। তারা যে আক্রমণ চালিয়েছে, তাতে ইরানের মদত স্পষ্ট। আমেরিকার হাতে নির্দিষ্ট প্রমাণ আছে। যদিও ইরান এই হামলায় তাদের যোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। জর্ডানও জানিয়েছে, ঘটনাটি তাদের এলাকায় হয়নি। সীমান্তের অন্য ধারে সিরিয়ার ভিতর ঘটেছে। আমেরিকা অবশ্য নির্দিষ্ট করে জানিয়েছে, সীমান্তে জর্ডানের দিকে তাদের যে ঘাঁটি আছে সেখানেই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। সোমবার মৃত সৈনিকদের পরিচয়ও প্রকাশ করেছে পেন্টাগন। আমেরিকার রিসার্ভ ফোর্সের সেনাদের মৃত্যু হয়েছে রোববারের ড্রোন আক্রমণে। তাদের বেস জর্জিয়ায়। এর মধ্যে ২৪ বছরের এক নারী আছে। তার বাবা দেহ চিহ্নিত করেছেন। ওই নারী স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। এদিকে আহতের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়েছে বলে এদিন জানিয়েছে পেন্টাগন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৫

ইয়েমেনে হামলা বন্ধে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ 
ইয়েমেনে একযোগে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বিমান হামলা করায় হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। রাতেই এ বিক্ষোভ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় তাদের হাতে বিভিন্ন স্লোগানে সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ছিল। যাতে লেখা ছিল, ‘লেট ইয়েমেন লাইভ’ তথা ইয়েমেনকে বাঁচতে দাও এবং ‘হ্যান্ডস অব ইয়েমেন’ তথা ইয়েমেন থেকে হাত সরাও। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ডব্লিউটিটিজি টিভি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিক্ষোভের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিরোধী কোড পিঙ্ক এবং উত্তর জোট এ বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। জোটটি এ সংক্রান্ত পোস্টও এক্সে দিয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে রাতে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। এর আগে ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে এ হামলা চালায় দেশ দুটি। কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। শুক্রবারের এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয় দেশ দুটির সেনাবাহিনী। হুতিদের লক্ষ্য করে রাজধানী সানার হুদাইদাহে হুতি লোহিত সাগর বন্দর, ধামার ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইয়েমেনের রাজধানী সানায়ে বার্তা সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সাংবাদিকরা চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনলেও যুদ্ধবিমানের কোনো চিহ্ন দেখতে পাননি। হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে চলাচলের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করায় ‘আমার নির্দেশে’ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডের সমর্থনে হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলায় পাল্টা হুমকি দিয়েছে হুতি। হুঁশিয়ারি দিয়ে এতে বলা হয়- যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে এজন্য চরম মূল্য দিতে হবে। হুতিরা ইয়েমেনের বেশির ভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। এই যোদ্ধারা ইসরায়েল অভিমুখে জাহাজগুলো লক্ষ্যবস্তু করে তাদের মিত্র হামাসকে সমর্থন করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র গত মাসে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলা মোকাবিলা করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক জোট গঠন করেছে। তাদের হামলা কিছু শিপিং লাইনকে দক্ষিণ আফ্রিকার চারপাশে দীর্ঘ সমুদ্রপথ বেছে নিতে এবং লোহিত সাগরকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে বাধ্য করেছে। সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালায়। গত কয়েক দিন এ ঘটনা বাড়িয়ে ‍দিয়েছে হুতিরা। হুতিরা বলেছে, ইসরায়েল গাজায় সংঘাত বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা তাদের হামলা চালিয়ে যাবে।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩১

বাংলাদেশের নির্বাচন ও ড. ইউনূস ইস্যুতে যা বলল হোয়াইট হাউজ
বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া বা আকাঙ্ক্ষার কিছুই পরিবর্তন হয়নি। এ ছাড়া বাইডেন প্রশাসন বিশ্বজুড়ে কার্যকর এবং গতিশীল গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতাকে সমর্থন করে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছে দেশটি। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি এসব কথা জানিয়েছেন। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচন শেষ হয়েছে, বিরোধীদের দমনপীড়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচনা হচ্ছে। দ্য গার্ডিয়ান এই নির্বাচনকে ‘বিরোধীদের ওপর নির্মম দমনপীড়নে আচ্ছন্ন’ বলে চিহ্নিত করেছে। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ‘বাইডেনের গণতন্ত্র প্রচারের সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দিল বাংলাদেশ’। ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা আপনি বলেছিলেন। নির্বাচনের আগে আপনারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি ঘোষণা করেছিলেন। গণতন্ত্র প্রচারে বাইডেন প্রশাসনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? জবাবে জন কারবি বলেন, আমরা অবশ্যই এখনো বিশ্বজুড়ে কার্যকর ও প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বে বিশ্বাস করি এবং বাংলাদেশি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমাদের ইচ্ছার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের এ প্রত্যাশার মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আরেক প্রশ্নে বলা হয়, নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম ও কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন, নতুন বছরের প্রথম দিন তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তা করা হয়েছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে ইউনূসের অসামান্য অবদানের কথা বিবেচনা করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন কি এই বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছেন? জবাবে কিরবি এর সরাসরি কোনও উত্তর না দিয়ে প্রশ্নটি গ্রহণ করার কথা জানান।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়