• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৯
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোল্লাসহ শীর্ষস্থানীয় ৯ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, উড্ডয়নের পরপরই হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায় এবং এতে জেনারেল ওগোল্লাসহ ৯ জন সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর দুই সেনা বেঁচে গেছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থলে তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে। জেনারেলের মৃত্যু আমাদের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। উল্লেখ্য, ওগোল্লা ১৯৮৪ সালে কেনিয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেন। ডেপুটি মিলিটারি চিফ হওয়ার আগে ওগোল্লা কেনিয়ার বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন। গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট তাকে পদোন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান করেন। সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি  
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৫

এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি ইইউ যুদ্ধজাহাজ, চক্কর কাটছে হেলিকপ্টার
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাইজ্যাক করা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ওপর নজর রাখছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন নেভাল ফোর্সের (ইইউএনএভিএফওআর) একটি যুদ্ধজাহাজ। এই মুহূর্তে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজটির বেশ কাছাকাছি অবস্থান করছে ইইউ নেভাল ফোর্সের জাহাজটি। পাশাপাশি তাদের হেলিকপ্টার ঘন ঘন চক্কর কাটছে জিম্মি জাহাজটি ঘিরে।  প্রসঙ্গত, সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের দমনে ‘অপারেশন আটলান্টা’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইইউএনএভিএফওআর। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে নিজেদের এক্স অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ জিম্মি এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে তাদের কার্যক্রমের তিনটি ছবি ও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ‘অপারেশন আটলান্টা’। তার মধ্যে একটি ছবিতে ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি থেকে বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজটিকে দেখা যাচ্ছে। জাহাজটির দিকে তাকিয়ে আছেন ইইউ নেভাল ফোর্সের দুই সদস্য। যা যুদ্ধজাহাজটি থেকে এমভি আবদুল্লাহ’র খুব কম দূরত্বকেই নির্দেশ করে।  অপর দুটি ছবি ও একটি ভিডিওতে যুদ্ধজাহাজ থেকে ইইউ নেভাল ফোর্সের একটি হেলিকপ্টারকে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়। এর আগেই গত ১৪ মার্চ এক বিবৃতিতে ইইউ নেভাল ফোর্স জানায়, ‘অপারেশন আটলান্টা’র আওতায় তাদের একটি যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছে। বাংলাদেশি ও সোমালিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে তারা। এরপর ১৮ মার্চ রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধারে একযোগে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির পুলিশ ও বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা। তবে, নাবিকদের নিরাপত্তাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ এবং সরকার। তাই এর আগে ইইউ নেভাল ফোর্স জিম্মি জাহাজটি উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তাব দিলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম তখন বলেছিলেন, ‘আমরা ইইউ নেভাল ফোর্সকে অভিযান পরিচালনার অনুমতি দিইনি। তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করছি, কীভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নাবিক ও ক্রুদের কোনো ক্ষতি ছাড়াই জাহাজটি উদ্ধার করা যায়।’ এ ছাড়া ছিনতাই হওয়া জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে ‘মধ্যস্থতাকারী’ নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল জাহাজের মালিক কবির গ্রুপ।  এরই মধ্যে জানা গেছে, ইইউ নৌবাহিনীকে অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে জিম্মি নাবিকদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে জলদস্যুরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান জানান, ইইউ নৌবাহিনীর চাপে নাবিকদের এখন ২৪ ঘণ্টাই জাহাজের ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি-টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে তারা। সর্বশেষ বুধবার প্রথমবারের মতো জলদস্যুরা জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি জানান, তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জিম্মি জাহাজ থেকে যোগাযোগ করেছে জলদস্যুরা। সেইসঙ্গে কথা হয়েছে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেনের সঙ্গেও। তবে, কী আলাপ হয়েছে, তা জানাতে রাজি হননি কবির গ্রুপের এ কর্মকর্তা। শুধু বলেছেন, জলদস্যুরা যেহেতু যোগাযোগ শুরু করেছে, সুতরাং সমঝোতার সুযোগ তৈরি হয়েছে।  এদিকে অভিযান পরিচালনা করে জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে বাংলাদেশি মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, ‘সোমালিয়া কোস্ট লাইনের ভেতরে এমন অভিযান খুব ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সোমালিয়া কোস্টের ভেতর যতগুলো জাহাজ ছিল আজ পর্যন্ত কোনো জাহাজ শান্তিপূর্ণ নেগোসিয়েশন ছাড়া মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। মাল্টিজ জাহাজ রুয়েন, যেটি ভারতীয় বাহিনী কয়েকদিন আগে উদ্ধার করেছে, সেটিও যদি তাদের কোস্ট থেকে বের না হতো, তবে উদ্ধার করা সম্ভব হতো না।’ ‘অপারেশন আটলান্টা’ তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত জলদস্যুতার ঝুঁকি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৫টি নৌযানে ছিনতাই ও ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়েছে দস্যুরা। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছোট নৌযান। বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে তিনটি। তবে সর্বশেষ শুধু বাংলাদেশি জাহাজটিই এখন সোমালিয়ার দস্যুদের কাছে জিম্মি রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদ্দেশে রওনা হয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। মোগাদিসু থেকে এক হাজার ১১১ কিলোমিটার পূর্বে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করে বাণিজ্যিক কার্গো জাহাজটিকে প্রথমে নেওয়া হয় সোমালিয়ার গারাকাড এলাকায়। উপকূল থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা হয় সেটিকে। এরপর আবার অবস্থান বদলে আবদুল্লাহকে নেওয়া হয় গদবজিরান উপকূল এলাকায়। সেখান থেকে সরিয়ে নোঙর করা হয় উপকূলের মাত্র সাড়ে ৭ কিলোমিটার দূরে। তারপর আরও এগিয়ে উপকূলের পৌনে তিন কিলোমিটার দূরত্বে নেওয়া হয়েছে। জাহাজটিতে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজটি গত তিনদিন ধরে সেখানেই নোঙর করা আছে। 
২২ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৭

সেনাবাহিনীর ‘আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ মোতায়েন হচ্ছে কঙ্গোয়
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন কন্টিনজেন্ট বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিটের প্রথম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে মোতায়েন হতে যাচ্ছে। জাতিসংঘ সদর দপ্তরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই কন্টিনজেন্টকে প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণ শেষে অপারেশনাল এলাকায় নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। কন্টিনজেন্ট তিনটি অত্যাধুনিক এমআই ১৭১ শাহ হেলিকপ্টার নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। শনিবার (২ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আইএসপিআর জানায়, তিন দশকের বেশি সময় ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়টি কন্টিনজেন্ট বর্তমানে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে মোতায়েন রয়েছে।   সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি এবং আন্তরিক প্রচেষ্টায় মিশন কন্টিনজেন্টগুলোকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদিতে সজ্জিত করা সম্ভব হয়েছে।   সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শান্তিরক্ষী মিশনে সার্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও আত্মত্যাগ প্রদর্শনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধানের অভিজ্ঞ দিক-নির্দেশনা ও সামরিক কূটনীতির ফলে এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং মোতায়েন সম্ভব হচ্ছে।   বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্জনের নেপথ্যে রয়েছে সেনাসদস্যদের আন্তরিকতা, নিরলস পরিশ্রম, উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম, ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা ও আত্মত্যাগ।   উন্নত পেশাদারত্ব ও ক্রমাগত সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দেশের অর্জিত সুনাম, পতাকা সমুন্নত, দেশের সম্মান ও গৌরব বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
০২ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৭

হেলিকপ্টার পাচ্ছে পুলিশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশ বাহিনীকে দুটি হেলিকপ্টার দেওয়া হবে। জনগণের জানমাল রক্ষায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে পুলিশকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয়। তারা যেন দ্রুত প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে পারে সেজন্য দুটি হেলিকপ্টার দেওয়া হবে। এ ছাড়া পুলিশের বার্ষিক প্যারেডের জন্য ঢাকার আশপাশে বড় পরিসরের মাঠ পেতে পারে এই বাহিনী। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে কল্যাণ প্যারেডের বৈঠকে অংশ নেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত পুলিশের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশপাশে ভবন নির্মাণ হওয়ায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠ ছোট হয়ে গেছে। বার্ষিক প্যারেডের জন্য আরও বড় মাঠ দরকার। সে জন্য তিনি ঢাকার আশপাশে বড় পরিসরে জায়গা দেখতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেন। যাতে এই জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্যে পুলিশের বার্ষিক প্যারেড অনুষ্ঠিত হতে পারে। পুলিশ বাহিনীকে আরও দক্ষ ও যুগোপযোগী স্মার্ট পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে এবার হবে স্মার্ট পুলিশ। আমাদের পুলিশ বাহিনীও হবে স্মার্ট বাহিনী। ১৫ বছর আগের বাংলাদেশের তুলনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে। এই যাত্রাকে নিয়ে যেতে হবে ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের দিকে। সকালে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৪০০ পুলিশ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে অসমসাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৩৫ পুলিশ সদস্য পেয়েছেন ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’ এবং ৬০ জন পেয়েছেন ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’। গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পেয়েছেন ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)’ এবং ২১০ জন পেয়েছেন ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)’।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১২

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে হেলিকপ্টার ভূপাতিত করল আরাকান আর্মি!
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি করেছে আরাকান আর্মি। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের চিন রাজ্যের পালেতওয়া শহরে ভয়াবহ লড়াইয়ের সময় আরাকান আর্মি জান্তাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করে। এর একাধিক ছবিও তারা প্রকাশ করেছে। এসব ছবির মধ্যে হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের কয়েকটি ছবি সামনে এসেছে। আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিয়াং থুখা ইরাবতীকে বলেছেন, পালেতওয়া শহরে তীব্র লড়াইয়ের সময় আমরা একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছি। আমরা গুলি করার পর হেলিকপ্টারটি পাই পাহাড়ের ঘন জঙ্গলের মধ্যে গিয়ে পড়ে। এই পাহাড়ের পাশে কাঙ্খা পাহাড়ে জান্তাবাহিনীর একটি ঘাঁটিও ছিল। ঘাঁটিটি দখলের পর আমরা ওই হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাই।  চলতি জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আরাকান আর্মি চিন রাজ্যের পালেতওয়া শহর দখল করে নেয়। তার আগে টানা দুই মাস ধরে জান্তাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৪

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা মারা গেছেন। তিনি দুই মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৪ বছর বয়সী পিনেরা তার নিজের হেলিকপ্টারটি উড়িয়েছিলেন। তার সঙ্গে আরও তিনজন আরোহী ছিলেন। চিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর লাগো র‍্যাঙ্কোর কাছে একটি হ্রদে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এতে পিনেরা মারা গেলেও বাকি তিন আরোহী বেঁচে গেছেন। দুর্ঘটনার সময় হেলিকপ্টারটি কে চালাচ্ছিলেন তা জানা যায়নি। এদিকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরার মৃত্যুতে দেশটিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে সামরিক শাসনের অবসানের পর ২০১০ সালে সেবাস্তিয়ান পিনেরা চিলির প্রথম রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চিলির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৮ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৮

মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে গুলি, বাংলাদেশি আহত
মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির নজরুল ইসলাম টিটু নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, রোববার সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে হেলিকপ্টারে একাধিকবার চক্কর দিতে দেখা যায়। তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালায়। এ সময় হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে টিটু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, নিজ ঘরের সামনে অবস্থানকালে তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকার টিটু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলি এসে তার পায়ে বিদ্ধ হয়। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, রোববার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে প্রবীর ধরসহ (৫৮) স্থানীয় তিন বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গোলাগুলির সময় একটি মর্টারশেল সীমান্ত অতিক্রম ওই এলাকার একটি বাড়িতে এসে পড়ে। রোববার সকাল থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের ৯৫ জন বিজিপি সদস্য বিজিবির ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯

কর্মসূচি স্থগিত  / ঘন কুয়াশার কারণে ফিরে এলো রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার
নিজ জেলা পাবনায় সোমবার (১৫ জানুয়ারি) চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের যাওয়ার কর্মসূচি থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে।     পাবনার জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পাবনার উদ্দেশে রওনা দিয়ে ১২টা ৪০ মিনিটে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার মানিকগঞ্জ পর্যন্ত এসে ঘন কুয়াশার মধ্যে পড়ে। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপতির বহনকারী হেলিকপ্টারটি মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরে যায়। রাষ্ট্রপতি পাবনায় আসতে না পারায় সোমবারের সফর স্থগিত করা হয়। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি পাবনায় আসতে পারেন। তবে কখন আসবেন সেটা জানানো হয়নি। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পাবনায় রাষ্ট্রপতির ৪ দিনের সফর নির্ধারিত ছিল। মঙ্গলবার ও বুধবার বেলা ১১টায় স্থানীয় কর্মসূচিতে যোগদান শেষে বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারি দুপুর তিনটা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে পাবনা ছাড়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতির। গত এক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত প্রচণ্ড শীতে পদ্মা-যমুনা তীরবর্তী পাবনার জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সোমবার সকাল থেকে পাবনায় প্রচণ্ড ঠান্ডার সঙ্গে কুয়াশা বৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে হিমেল বাতাস। গত ৪ দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫

নির্বাচনে সহায়তায় দুর্গম পাহাড়ে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট বাক্স ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট জনবল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ভোটকেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে।  সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দ্বারা উড্ডয়ন কার্যক্রম পরিচালনা চলমান এবং সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে বুধবার থেকে নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন শুরু করেছে সশস্ত্র বাহিনী। আরও পড়ুন : টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী!   আইএসপিআর জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী বুধবার থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে।  নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে “ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার” এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মেট্রোপলিটন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থান  ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন।  সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন করা সম্পন্ন হয়েছে। সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।  আরও পড়ুন : ঘোড়ায় চড়ে ভোট চাইলেন সাঈদ খোকন   সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সাথে এবং উপকূলীয় ৪টি উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।  বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারের সহায়তায় দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্র সমূহে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা প্রদান করবে। এ ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। 
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়