• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
হাতিয়ায় হেলমেট বাহিনীর তাণ্ডব, ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর
সবার মাথায় হেলমেট, হাতে দেশীয় অস্ত্র। ৩০-৪০ জনের একটি দল। মোটরসাইকেলযোগে বাজারে এসে থামেন। গভীর রাত, কিছু বুঝে উঠার আগেই একটি নির্মাণাধীন ভবন ভেঙে চুরমার করে দেন। বড় বড় হ্যামার ও হাতুড়ির আঘাতে মুহূর্তে ভেঙে মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নির্মাণ করা ভবনটি। হাতুড়ি ও হ্যামার দিয়ে ভবন ভাঙার আওয়াজে সবাই ঘুম থেকে জেগে উঠেন।  বাজারের পাশে বসবাস করেন দোকানের মালিক। ভবন ভাঙচুরের আওয়াজ শুনে সবার মত ছুটে  আসেন দোকানের মালিক ও পরিবারের সদস্যরা। এ সময় পিটিয়ে আহত করা হয় পরিবারের তিন নারী সদস্যকে। পরে আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালী হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের সেন্টার বাজারে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ভাঙচুর করা ভবনের মালিক সেন্টার বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী হাজী আলী আহাম্মদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এর আগে রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। হাজী আলী আহাম্মদ জানান, এরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী। সবার সঙ্গে অস্ত্র ছিল। আমি ও আমার ছেলেরা আওয়াজ শুনে এগিয়ে এলেও অস্ত্রের মুখে দাঁড়াতে পারিনি। কিন্তু সন্ত্রাসীরা আমার ছেলের বউ ও আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে। ঘটনার সময় জাহাজমারা পুলিশকে বারবার কল করেও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ আসে। এর আগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় তার ভাই ইসমাইলসহ বাজার কমিটির দায়িত্বশীল অনেকে জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।  স্থানীয়রা জানান, হাজী আলী আহাম্মদের সঙ্গে তার ভাইদের জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। একাধিকবার তাদের মালিকানা নিয়ে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হয়। নতুন এ ভবন ভাঙচুরের ঘটনা পূর্বের বিরোধের কারণে ঘটেছে বলে অনেকে ধারণা করছেন। রোববার রাতে বাজার পাহারার দায়িত্বে থাকা জাহের উদ্দিন জানান, ৩০-৪০ জনের একটি দল। সবাই হেলমেট  ও মুখোশ পরা ছিল। কেউ ভয়ে তাদের সামনে আসতে সাহস পায়নি। দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল তাদের কাছে। সম্পূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা পর্যন্ত তারা বাজারে অবস্থান করেন। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ আসেন। এ ব্যাপারে জাহাজমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দেবাশীষ সরকার বলেন, আমরা ঘটনাটি শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে যায়। এর আগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়