• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। ২০১০ সালে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে সৈকতের অভিষেক হয়। পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লাল-সবুজের প্রথম প্রতিনিধি হিসেবে ১০০-এর বেশি ম্যাচ পরিচালনার কীর্তি গড়েছেন তিনি।  আইসিসি নারী ওয়ানডে ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের মতো কীর্তিও আছে তার। কয়েকদিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই আইসিসি আম্পায়ারদের ‘ইমার্জিং’ প্যানেলে প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার দৌড়েও এগিয়ে ছিলেন তিনি। অবশেষে আম্পায়ারদের শীর্ষস্থানে জায়গা পেলেন বাংলাদেশি এই আম্পায়ার। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরুষদের ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১০টি টেস্ট, ৬৩টি ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। অন্যদিকে মেয়েদের ক্রিকেটে ১৩ ওয়ানডে এবং ২৮ টি-টোয়েন্টিতেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমার দেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এই প্যানেলে আসতে পারাটা আমার জন্য বিশেষ। আমার ওপর যে আস্থা রাখা হয়েছে তার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবো। কয়েক বছর ধরে আমি অভিজ্ঞতা পেয়েছি এবং সামনে দিনের চ্যালেঞ্জ নিতেও প্রস্তুত আছি। আইসিসি এলিট প্যানেল আম্পায়ার : কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবরো (ইংল্যান্ড), নীতিন মেনন (ভারত), এহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত (বাংলাদেশ), রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)। আইসিসি এলিট প্যানেল ম্যাচ রেফারি : ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), জেফ ক্রো (নিউজিল্যান্ড), রঞ্জন মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা), অ্যান্ড্রু পাইক্রফট (জিম্বাবুয়ে), রিচি রিচার্ডসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত)।
২২ ঘণ্টা আগে

২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি 
জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।  সোমবার (২৫ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী তাদের দেশীয় দোসরদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ‘অপারেশন সার্র্চলাইট’ নামে যে গণহত্যা চালিয়েছিল তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লংঘন। এ নৃশংস গণহত্যার চিত্র দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছিল। এছাড়া নানা দালিলিক প্রমাণ দ্বারা এ গণহত্যা প্রমাণিত। কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীর বেশি পার হয়ে গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে একাত্তরের সেই ভয়াল গণহত্যার স্বীকৃতি মেলেনি, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের অবজ্ঞা হিসেবে চিহ্নিত করেন বক্তারা। ‘১৯৭১ এর গণহত্যা ও বিশ্ব স্বীকৃতি’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির মন্ডলীর সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক।  জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদসহ ক্লাবের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপ-কমিটির আহবায়ক জুলহাস আলম। প্রধান অতিথি শাহজাহান খান বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা জাতীয় স্বীকৃতি পেতে ৪৭ বছর লেগেছে, যা অত্যন্ত দু:খজনক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে দীর্ঘদিন যেসব সরকার ক্ষমতায় ছিল তারা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। তারা সুপরিকল্পিতভাবে ২৫ মার্চের কালরাতে সংঘটিত হওয়া গণহত্যার ইতিহাসকেও মুছে ফেলতে চেয়েছে। তিনি বলেন, গণহত্যার জাতীয় স্বীকৃতি মিললেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি। সেজন্য দেশের সাংবাদিক সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গণহত্যার ইতিহাসকে আরো বেশি করে তুলে ধরতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ২৫ মার্চের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তথ্য উপাত্তসহ  নতুন প্রজন্মের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে যে সব বধ্যভ‚মি রয়েছে সেগুলোর তথ্য উপাত্তসহ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে উপস্থাপন করতে হবে। সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রতি বছর এ ধরণের আয়োজন করে আসছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যাকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় তার প্রতিটি মানদÐে ২৫ মার্চের গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি রাখে। এ দাবির সঙ্গে সাংবাদিক সমাজ একাত্মতা প্রকাশ করছে।   সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, দেশের বধ্যভ‚মিগুলোর করুণ অবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এখনও কোনো জেনোসাইড মিউজিয়াম স্থাপন করা যায়নি, যা অত্যন্ত দু:খজনক। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জাতীয় পর্যায়ে আরো বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে। আরও বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সদস্য চপল বাশার, মাহফুজা জেসমিন প্রমুখ। আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো: আশরাফ আলী,  কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, সদস্য কাজী রওনাক হোসেন ও কল্যাণ সাহা।  
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯

‘কক্সবাজারকে সমৃদ্ধ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে’
পর্যটন শিল্পের বিকাশে সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে কক্সবাজারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, একটি মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে কক্সবাজারকে উন্নত ও সমৃদ্ধ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমডোর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এ সময় কউক সদস্য প্রকৌশলী লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলমসহ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত জোন, কউক ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৩

‘হজ ব্যবস্থাপনাকে বিশ্বের মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চাই’
‌‘বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে আমরা বিশ্বের মধ্যে একটি মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চাই’ বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) আয়োজিত আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের হজ ব্যবস্থাপনাকে স্মার্ট করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হজ এ প্রত্যয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে আমরা বিশ্বের মধ্যে একটি মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘সরকার হজযাত্রীদের কল্যাণে সম্ভাব্য সব ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে বদ্ধপরিকর। আল্লাহর মেহমানদেরকে আমরা যথাযথ সম্মানের সঙ্গে হজব্রত পালন করানোর জন্য যাবতীয় উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত। এক্ষেত্রে হাবের সহযোগিতা প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো দুর্বলতা থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং এর সম্ভাব্য সমাধানের সকল পথ বের করতে হবে। কী কী পদক্ষেপ নিলে হজযাত্রীরা আরেকটু বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেগুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে।’ ফরিদুল হক খান বলেন, ‘গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ করে হজ ব্যবস্থাপনায় নানান ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আশকোনা হজক্যাম্প হজযাত্রীদের জন্য উপযোগী করা হয়েছে। ই-হজ ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে। জেদ্দা হজ টার্মিনালে বাংলাদেশ প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে রেকর্ডসংখ্যক ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৩৫ জন হজযাত্রী হজব্রত পালন করেছেন।’
১৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৫

কেজিতে নয়, পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রির নির্দেশ
নাটোরে তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি না করে পিস হিসেবে বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।  রোববার (১৭ মার্চ) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বাজার তদারকি অভিযান থেকে এ নির্দেশনা দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর। এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বলেন, রোববার থেকে কোনো ব্যবসায়ী কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন না। কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত বছর জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে সকল মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীকে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি না করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এবার আবারও ব্যবসায়ীরা জমি থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনে বাজারে তা কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন এবং ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম নির্ধারণ করছেন।  তিনি আরও বলেন, বাজার তদারকি অভিযানে শহরের নিচাবাজারের দুটি ফলের দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিপণী বিতানে ঘুরে ঘুরে পণ্যের সঠিক মূল্য প্রদর্শন এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

‘কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে’
কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  রোববার (১০ মার্চ) সকালে কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  এ সময় দেশ ও দেশের অর্থে কেনা প্রতিটি জিনিসের যত্ন নিতে কোস্ট কার্ডের প্রতি আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। এর আগে, সকাল ১০টার দিকে কোস্টগার্ডের সদর দপ্তরে পৌঁছান শেখ হাসিনা। পরে শেরেবাংলা নগরে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে ভি-স্যাটনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা, নবনির্মিত পাঁচটি স্টেশন, ১টি আউটপোস্ট উদ্বোধন করেন। এদিকে, বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা, নাবিক ও অসামরিক ব্যক্তিদের পদক দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ১০ জন করে পাচ্ছেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক এবং প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বর্তমানে দেশের সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় কাজ করছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষা, বনজ সম্পদ রক্ষা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ রক্ষাসহ নানা কাজ বাহিনীটি করে যাচ্ছে।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৩

ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে নতুন কীর্তি অ্যান্ডারসনের
বয়সটা ৪১ পেরিয়েছে অনেক আগেই। তবে এখনও বল হাতে নিজের দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। এবার প্রথম পেস বোলার হিসেবে ৭০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই ইংলিশ পেসার। ধর্মশালা টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসে দুই উইকেট শিকার করে এই কীর্তি গড়েন তিনি। এই টেস্টে খেলতে নামার আগে জেমস অ্যান্ডারসনের টেস্ট উইকেট সংখ্যা ছিল ৬৯৮টি। শুভমান গিলকে বোল্ড করে মাইলফলকের আরও কাছাকাছি যান এই পেসার। এরপর কুলদীপ যাদবকে ফিরিয়ে ৭০০তম টেস্ট উইকেটের এলিট ক্লাবে নাম লেখালেন অ্যান্ডারসন। সবমিলিয়ে তিনি তৃতীয় বোলার। তার আগে মুত্তিয়া মুরালিধরন ও শেন ওয়ার্ন এই ক্লাবের সদস্য হয়েছেন। এর আগে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ৭০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুরালিধরন। টেস্টে ৭০০ উইকেট পেতে এই লঙ্কান স্পিনারের লেগেছিল ১১৩ টেস্ট। ওয়ার্ন মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন নিজের ১৪৪তম ম্যাচে। আর অ্যান্ডারসনের লাগল ১৮৭ ম্যাচ। ৮০০ উইকেট নিয়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় সবার ওপরে আছেন মুরালিধরন। ৪১ বছর বয়সী অ্যান্ডারসনের সামনে এখন ৭০৮ উইকেট নেওয়া ওয়ার্ন। ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে ২০০৬ সালে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে ৭০০ টেস্ট উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছিলেন ওয়ার্ন। বছর খানেক পরই এই এলিট ক্লাবে নাম লেখান মুরালিধরন। লঙ্কান এই স্পিনার বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ব্যাটসম্যান সৈয়দ রাসেলকে আউট করে ৭০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছান। এরপর দীর্ঘ ১৭ বছর পর ৭০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন এই ইংলিশ পেসার। দুই স্পিনারের এমন কীর্তিতে প্রথম পেসার হিসেবে যোগ দিলেন অ্যান্ডারসন।  আরেকটি দিক থেকেও অনন্য অ্যান্ডারসন। ৪১ বছর বয়সী এই ইংলিশ পেসার সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ হিসেবে ৭০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ওয়ার্ন ও মুরালির দুজনেই ৭০০ উইকেট পেয়েছেন ৪০ বছরের কম বয়সে।  
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৮

স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরকে নিয়োগের দাবি
স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেওয়াসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে তরুণ আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষানীতি, কওমি মাদরাসার শিক্ষা পদ্ধতি-স্বীকৃতি ও বৃহৎ এ জনগোষ্ঠীর শিক্ষাগত যোগ্যতার কার্যকারিতার প্রস্তাবনা দিয়েছেন তারা। বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কওমি মাদরাসা ও দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এসময় তারা শিক্ষানীতি গঠন ও বাস্তবায়ন কমিটিতে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সমাদৃত চিন্তাবিদ আলেমদের রাখার দাবি জানান। একইসঙ্গে শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনও বিষয় না রাখারও দাবি জানিয়েছেন তারা। সভায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামবান্ধব শিক্ষানীতি প্রণয়ন,‌ দশম শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা,‌ নূরানী মাদ্রাসাগুলোর সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য কওমি মাদরাসা স্বীকৃত বোর্ডগুলো থেকে নিবন্ধনকে চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব দেন তরুণ আলেমরা। এছাড়াও ২০১২ সালে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির জন্য গঠিত কওমি কমিশনের প্রণীত শিক্ষা কারিকুলামের আলোকে কওমি স্বীকৃতি পূর্ণ বাস্তবায়ন করা,‌ ছাত্র শিক্ষকের মধ্যকার শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্ক, আদর্শ মানুষ ও সমাজ গঠনে মাদরাসার অবদানকে সর্বময় করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা,‌ কওমি শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া‌ এবং কওমি শিক্ষার্থীদের দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহির্বিশ্বে পড়ালেখার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

‘দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেছি’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মহিববুর রহমান মহিব বলেছেন, ৬৫ সনের ভয়াবহ বন্যায় আমি আমার ভাই, বোনকে হারিয়েছি। বাড়ি ঘর হারিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দুর্যোগ প্রবণ এলাকার মানুষ হিসেবে আমাকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে আমি কাজ শুরু করেছি। আমি এই মন্ত্রণালয়কে এমনভাবে সাজাতে চাই যাতে এটি বাংলাদেশের একটি স্মার্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে ওঠে। আগামী বছরের বাজেটে দেশের দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে যথাযথ বরাদ্দ দেওয়া হবে।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে সিপিপি, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্বুদ্ধকরণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের সমস্ত মুজিব কেল্লাকে শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করে তুলতে ইতিমধ্যে আমি আমার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি। যাতে প্রতিটি মুজিব কেল্লা সর্বদা ব্যবহার হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আগামী দিনগুলোতে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে আপনাদের সম্পৃক্ত করা হবে। যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবক অসহায়, দুস্থ রয়েছেন তাদের ঈদ, কোরবানিতে প্রনোদনার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়া মৃত স্বেচ্ছাসেবক ও অসুস্থ সেচ্ছাসেবকদের সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য আমরা চিন্তাভাবনা করছি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম, উপসচিব ফারুক হোসেন, কেয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস্টার রামদাস, সিপিপি'র মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম, আই ও এম এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস্টার আব্দুস সাত্তার ইসোয়েভ, জাগো নারী ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক হোসনেয়ারা হাসি, দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম এনডিসি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন প্রমূখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিপিপি'র পরিচালক প্রশাসন মো. আহমেদুল হক। এর আগে ৯ জন অসুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের আর্থিক প্রণোদনা এবং ১০ হাজার জেলেদের মাঝে জীবন রক্ষাকারী বয়া বিতরণ করা হয়। পরে অনুষ্ঠানের স্থলে সিপিবি স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্যোগে মাঠ মহড়া ও রাখাইন শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৭

প্রধান নির্বাচক হিসেবে যাকে চেয়েছিলেন সুজন
নানান সমালোচনা আর বিতর্কের পর প্রধান নির্বাচক হিসেবে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অধ্যায় শেষ হয়েছে। জায়গা হারিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও। নতুন প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তবে বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন দাবি ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনের। বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পরও বিষয়টি নাকি তিনি জানতেনই না। এমনকি বোর্ডও তাকে কিছুই জানায়নি। তাই নিজের পদে থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুজন আশা করেছিলেন, হাবিবুল বাশার সুমনই প্রধান নির্বাচক হবেন।  তার ভাষ্যমতে, হ্যাঁ, আমি আশা করেছিলাম সুমনই হবে। কেন হয়নি, যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা সিদ্ধান্তের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন, তারাই বলতে পারবেন। আমি অবশ্যই মনে করি সুমন যোগ্য ছিল। সুজন যোগ করেন, ও (সুমন) বাংলাদেশের সফল ক্যাপ্টেন ছিল, সফল ক্রিকেটার ছিল। এতো বছর দলের সঙ্গে কাজ করেছে। আমি আশা করেছিলাম, নান্নু ভাইকে না রাখা হলে ও-ই প্রধান নির্বাচক হবে। যে সিদ্ধান্ত বোর্ড দিয়েছে, আমাদের সম্মান জানাতে হবে। এদিকে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা জানিয়েছে, বোর্ডের অন্য কোনো ভূমিকায় বাশারদের কাজে লাগানো হবে। এ বিষয়ে সুজনের মন্তব্য, কোথায় লাগানো যেতে পারে, এটা এখনই বলা যাবে না। ওদের ক্রিকেট মেধা নিয়ে আমরা অনেকভাবে কাজ করতে পারি। হয়ত অন্য কোনো ম্যানেজেরিয়াল পোস্টে কিংবা আমি জানি না…। গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নিয়োগ সম্পর্কে বিসিবির এই পরিচালকের মন্তব্য, আমি তো ক্লিয়ার করলাম আমি জানি না কিছু। আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান আমি জানিই না, ক্রিকেট অপারেশন্স সিলেক্টর নিচ্ছে, কে হচ্ছে। খুবই অবাক করার মতো। আমার এই পজিশনে থাকার প্রয়োজন কি, সেটাও জানি না আসলে। সুজন যোগ করেন, লিপু ভাইয়ের অনেক ক্রিকেট মেধা। আমাদের অনেক সিনিয়র। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেকদিন ধরে দেখছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন, আবাহনীর অধিনায়ক ছিলেন। উনাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। উনি আসাতে ভালো হতে পারে। নির্বাচক হতে পারেন বা এমন কিছু আমি আগে শুনিনি। খুবই চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত এসেছে বিসিবি থেকে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়