• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
এবার হিন্দি ছবি আমদানিতে স্টার সিনেপ্লেক্স
বছরে ১০টি হিন্দি ছবি আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য ও তথ্য মন্ত্রণালয়। গত বছর শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এই যাত্রা। এরপর ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’, ‘জওয়ান’, ‘অ্যানিম্যাল’ ও ‘ডানকি’ মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশে। ছবিগুলো কমবেশি দর্শক হলে টেনেছে। ছবিগুলো আমদানি করেছে অনন্য মামুনের অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট ও কিবরিয়া ফিল্মস। ‘ডানকি’র পর দীর্ঘদিন হিন্দি ছবি আমদানি বন্ধ ছিল, বিরতির পর এবার হিন্দি ছবি আমদানিতে এগিয়ে এসেছে স্টার সিনেপ্লেক্স।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভারতে মুক্তি পাবে টাবু, কারিনা কাপুর খান ও কৃতি শ্যানন অভিনীত ‘ক্রু’। একই দিনে বাংলাদেশে স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখাগুলোতেও মুক্তি পাবে ছবিটি। ভারতীয় কোনো ছবি আমদানির বিপরীতে একটি দেশীয় ছবি ভারতে পাঠাতে হয়। প্রসূন রহমানের ‘ঢাকা ড্রিম’-এর বিনিময়ে ‘ক্রু’ আনছে স্টার সিনেপ্লেক্স। এরই মধ্যে সরকারের দুই মন্ত্রণালয় (বাণিজ্য ও তথ্য) থেকে অনুমতি পেয়েছে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে হলিউডসহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ছবি আমদানি করে বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশে প্রদর্শন করে আসছে স্টার সিনেপ্লেক্স। স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও বিপণন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ আহমেদ জানান, সরকারের অনুমতিক্রমে যাবতীয় প্রক্রিয়া মেনে একই দিনে ‘ক্রু’ মুক্তি দেবেন তাঁরা। মেজবাহ আহমেদ বলেন, ‘আমরা তো হলিউড, কোরিয়ান, জাপানি, টার্কিশ ছবি এনে প্রদর্শন করি নিয়মিত। হিন্দি ছবি আনার অনুমতি যেহেতু আছে, কেন আনব না? এই দেশে হিন্দি ছবির দর্শক আছে। সামনেই রোজার ঈদ। যেহেতু উৎসবে হিন্দি ছবি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আছে, তাই সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ঈদের আগের সপ্তাহে ‘ক্রু’ চালাবে। ঈদে বাংলাদেশি ছবির প্রদর্শনী শেষে ফের ছবিটি দেখাবে তারা।  হাস্যরসাত্মক ছবি ‘ক্রু’র পরিচালক রাজেশ কৃষ্ণান। টাবু, কারিনা কাপুর ও কৃতি শ্যানন ছাড়াও ছবিতে আছেন পাঞ্জাবি অভিনেতা-গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ ও স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান কপিল শর্মা। তিন বিমানবালাকে নিয়ে গল্প। কীভাবে তারা স্বর্ণের বার চুরি করে তা নিয়েই কাহিনি।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৫

হিন্দি সিনেমা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অস্ত্র রাখেন শিক্ষক রায়হান
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষ সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফকে শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে ডিবির পরিদর্শক জুলহাজ উদ্দীন বলেন, একজন শিক্ষক হয়েও রায়হান শরীফ কেন, কী কারণে অস্ত্র-গুলি নিজের সংগ্রহে রাখতে গেলেন, তার প্রকৃত কারণ বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান শরীফ জানিয়েছেন, ভারতের একটি হিন্দি সিনেমা দেখেই মূলত নিজের কাছে এমন অস্ত্র রাখার পরিকল্পনা করতে শুরু করেন তিনি। তিনি বলেন, রায়হান শরীফ দীর্ঘদিন ধরেই রায়হান অস্ত্রের ব্যাপারে খোঁজ নেন। তবে উপযুক্ত সোর্স না পাওয়ায় তার পরিকল্পনা সফল করতে একটু সময় লেগে যায়। গত বছরের সেপ্টেম্বরের দিকে রাজশাহী শহরে তার পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকায় এক অস্ত্র কারবারির সঙ্গে পরিচয় হয়। রায়হান নিজেই কুষ্টিয়ায় গিয়ে প্রথমে একটি অস্ত্র কেনেন। গত ডিসেম্বরে আবার কুষ্টিয়া গিয়ে ওই একই ব্যক্তির কাছ থেকে আরেকটি অস্ত্র কেনেন। সেখান থেকেই তিনি গুলিও কেনেন। তিনি অনলাইনে ছবি দেখে বিদেশি চাকু সংগ্রহ শুরু করেন। শখের বশে অস্ত্র, গুলি ও চাকু কিনে সংগ্রহ করতেন রায়হান শরীফ। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আরও কিছু অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা ছিল তার। অস্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ কোনো কাজ করার ছক রায়হানের ছিল কি না, এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। গত ৪ মার্চ বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনের পায়ে গুলি করেন প্রভাষক রায়হান শরীফ। ওই শিক্ষকের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও ৮১টি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রায়হানের বিরুদ্ধে সদর থানায় দুটি মামলা হয়েছে। অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ মার্চ আদালত তার (রায়হান) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫০

হিন্দি সিনেমার প্রভাবে টালিউডে মন্দা, ঢাকামুখী কলকাতার নায়িকারা
সময়ের স্রোতে কলকাতার সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রি তার জৌলুস হারাচ্ছে। চলছে সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা। এ মন্দা সময়ে ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করতে চাচ্ছেন টালিউডের বেশিরভাগ অভিনেত্রী। ওপার বাংলার বেশিরভাগ নায়িকাই এখন ঢাকার বাজারে এসে রাজত্ব করতে চাচ্ছেন।   সাম্প্রতিক সময়ে টালিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীরা ঢালিউডে পাড়ি জমাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই কাজের ক্ষেত্রে যোগ্যতা, পরিস্থিতি, অবস্থান মিলিয়ে একটা অলিখিত লড়াই চলতে থাকে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী টালিউডে কাজ করছেন। প্রকাশ্যে না বললেও তাদের নিয়ে টালিউডের অনেক অভিনেত্রীর ক্ষোভের কথা অজানা নয়। স্বস্তিকা মুখার্জি তো ঢাকায় এসে এক ধরনের ক্ষোভ ঝেড়েই বলেছেন, কলকাতায় বাংলাদেশের শিল্পীরা যত সুযোগ পান, সে তুলনায় বাংলাদেশে আমাদের কাজের সুযোগ বেশ কম। কিন্তু আসলেই কি তাই? কলকাতার অভিনেত্রীরা ঢাকামুখী হচ্ছেন তার একটা বড় কারণ টালিউড ইন্ডাস্ট্রির চলমান মন্দা। কোটি কোটি রূপি লগ্নি করেও লাভের মুখ দেখছেন না সেখানকার প্রযোজকরা। যে কারণে শুধু টালিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীরা নয়, বড় বড় প্রযোজক সংস্থাও বাংলাদেশের সিনেমা এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করছে। যার অন্যতম উদাহরণ ওপার বাংলার ভেঙ্কটেশ ফিল্মের বাংলাদেশের প্রযোজকদের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগ করা। কলকাতার যেসব অভিনেত্রী ঢাকাই সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তাদের বেশিরভাগই টলিউডে ব্যর্থ হয়েই ঢালিউড মুখী হয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম কৌশানী মুখার্জি এবং সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। কেউ কেউ আবার টালিউডের একটি সিনেমাতেও ডাক না পেলেও ঢালিউডে মোটা অঙ্কে পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। যেমন— ইধিকা পাল। এছাড়া হিন্দি সিনেমার আগ্রাসনে টলিউড ইন্ডাষ্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এবং একের পর এক সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে ব্যর্থ হওয়ায় ওপার বাংলার বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী এপার বাংলার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে ধর্ণা দিচ্ছেন। সবকিছুর পরও কিছু বিষয় নিয়ে শঙ্কিত হতে দেখা গেছে দেশীয় কলাকুশলী ও চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের। যার মধ্যে, বাজার দখল হয়ে যাওয়ার ভয় অন্যতম। এখন দেখার বিষয়, টালিউড অভিনেত্রীদের ডুবতে বসা ক্যারিয়ার এদেশে এসে কূল কিনারা করতে পারে কিনা।  
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়