• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হাওরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলনেও কৃষকের মুখে হাসি নেই
কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত ইটনা উপজেলায় এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্বল্প সার, কীটনাশক প্রয়োগে আশানুরূপ মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন হলেও বাজার সিন্ডিকেটের কারণে কাঙ্ক্ষিত দাম না-পাওয়ায় কুমড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষিরা। হাওরে পাইকার না আসায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া। কাঙ্ক্ষিত দাম ও সবজি পচন রোধে হাওরে হিমাগার নির্মাণের দাবি কৃষকদের। ইটনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৭৪০ একর জমিতে সুইট বল, ইউলোকার্ট, ওয়ান্ডার গোল্ড ও বারী মিষ্টি কুমড়া-১ জাতের মিষ্টি কুমড়া আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর ব্যাপক ফলন হলেও, কাঙ্ক্ষিত দাম না-পাওয়ায় হতাশায় ভুগছে কৃষকরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পতিত ও অনুর্বর জমিতে কম খরচ ও পরিশ্রমে বেশি লাভের আশায়, মহাজনী সুদের টাকা নিয়ে সবজি চাষ করেন কৃষকরা। উৎপাদিত পণ্য যথাসময়ে বিক্রি ও ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের ঝুঁকিতে রয়েছে কৃষকরা কয়েক শত কৃষক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বড়িবাড়ি, রায়টুটি, বাদলা ও এলেংজুরী, মৃগা ও ধনপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাড়ে ৭০০ প্রান্তিক কৃষক ৪৭০ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছে। গত বছরের হিসেবে এবার চাষ ও উৎপাদন বেড়েছে। একর প্রতি ১৮-২০ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধনুনদীর তীরে বড়িবাড়ি ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জমিতে আবাদে পরে আছে পরিপক্ব মিষ্টি কুমড়া। অনেক পচা কুমড়া তুলে নিয়ে নদীতে ফেলছেন কৃষকরা। কৃষকরা জানান, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে হাওরাঞ্চলের সবজি কিনতে গড়িমসি ও কম দাম দিচ্ছে। এতে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক পরিবারগুলো। এই ব্যাপারে কৃষি বিপণন বিভাগের সহায়তা চান তারা। কৃষক আবদুল কাদির বলেন, বেশি লাভের জন্য ধার-কর্জ করে এবার সাড়ে চার একর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছি। ভালো ফলন হইছে, কিন্তু বেচা-বিক্রি করতে পারি না। ৬ লাখ বিক্রির আশা করছি, বিক্রি হইছে ৩ লাখ টাকা। এখন পাইকার আসেনা, পচন ধরেছে কুমড়ায়। কৃষক রাজ্জাক মিয়া বলেন, কুমড়া ৭-৮ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু হাওরের বিভিন্ন হাট-বাজারে চার-পাঁচ গুণ বেশি দরে বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। সবজি চাষে কৃষক থেকে ফড়িয়াদের লাভ বেশি। হাওরে হিমাগার থাকলে সুবিধামত সময়ে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারতাম সবজি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ উজ্জ্বল সাহা বলেন, আমিও বিভিন্ন সূত্রে শুনেছি মিষ্টি কুমড়া চাষিরা তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারছে না। আমরা সারা বছর কৃষকদের উৎসাহিত করে উৎপাদন বাড়ায়। উপযুক্ত দাম না পান এতে উৎসাহ হারাবে কৃষক। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দামের বিষয়ে সরকারি সহযোগিতা কামনা করি। 
২০ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৪

শেষ হাসি হাসলেন তারানা হালিম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে মহিলা সংরক্ষিত আসনে নিজেদের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। সেই তালিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী তারানা হালিম। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। এবার শোবিজের অনেক অভিনেত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মননোয়নপত্র কিনেছিলেন। সেই কাতারে ছিলেন, নায়িকা অপু বিশ্বাস, নিপুণ, সাবা, ঊর্মিলাসহ আরও অনেকে। তবে সবাইকে পিছনে ফেলে বিজয়ী হলেন তারানা হালিম।   তারানা হালিম ২০০৯ সালে প্রথম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিরও সদস্য ছিলেন। তিনি ১৪ জুলাই ২০১৫ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে আগামী ১৪ মার্চ ভোটের দিন রেখে ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। তিন দিনে দলীয় ফরম কিনেছেন ১৫৪৯ জন নারী। মোট সাত কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়। নিয়ম অনুযায়ী এবার ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ৪৮টি পাবে আওয়ামী লীগ (স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোটাসহ)। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- রেজিয়া ইসলাম, দ্রোপৌদী দেবি, আশিকা সুলতানা, রোকেয়া সুলতানা, কোহেলি কুদ্দুস, জেবিন মাহবুব, রুনু রেজা, ফরিদা আকতার, ফারজানা সুমি, খালেদা বাহান, নাজনীন নাহার, ফরিদা ইয়াসমিন, উম্মে ফারজানা, মাহফুজা সুলতানা, পারভীন জামান, অ্যারোমা দত্ত, অনিমা মুক্তি, মাসুদা সিদ্দিক, বেগম শামসুন্নাহার, মেহের আফরোজ চুমকি। এর আগে, বুধবার ( ১৪ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৯

হাশেমের পরিবারের মুখে হাসি ফোটালেন সন্দ্বীপের ইউএনও
সন্দ্বীপের মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. হাশেম। স্ত্রী ও দু্ই মেয়ে নিয়ে তার সংসার। ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে অভাব অনটনে সংসার চালিয়ে আসছেন হাশেম। সম্বল বলতে মাথা গোজার জন্য বসত ভিটা ছাড়া কিছুই নেই। এদিকে পুত্র-সন্তানহীন হাশেমের বড় মেয়ে প্রতিবন্ধী। বড় মেয়ে প্রতিবন্ধী হওয়ায় ছোট মেয়েকে বিয়ে দিতে বন্দোবস্ত করলেও আর্থিক সংকটে পেরে উঠতে পারছিলেন না। এলাকার স্থানীয় এক সমাজকর্মীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী। তিনি মানবিক সহায়তা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সন্দ্বীপের অনেক প্রবাসী বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন।  অসহায় হাশেমকে সন্দ্বীপের আমানউল্লাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার ক্যাপ্টেন আজাদুর রহমান একটি অটোরিকশা উপহার দেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার উপস্থিতিতে হাশেমের হাতে চাবি তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া প্রবাসী ও বিত্তবানদের প্রেরিত অর্থ ৮০ হাজার টাকা হাশেমের মেয়ের নামে কৃষি ব্যাংক সন্দ্বীপ শাখায় ডিপোজিট করে রাখা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোরশেদ আলম চৌধুরী আরটিভিকে বলেন, হাশেম খুবই অসহায়ভাবে দিনতিপাত করছে। তার বাড়িতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। হাশেমের সহায়তায় সন্দ্বীপের বিত্তবানরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে তাতে আমি মুগ্ধ। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি হাশেম স্বাবলম্বী হতে পারবে। অটোচালক হাশেম আরটিভিকে বলেন, জীবনে কেউ আমাকে এভাবে সহযোগিতা করেনি৷ ইউএনওর মাধ্যমে ক্যাপ্টেন আজাদ ভাই এর কাছ থেকে অটোরিকশা পেয়েছি। মেয়ের বিয়ের জন্য ৮০ হাজার টাকা পেয়েছি। এ ঋণ আমি শোধ করতে পারবো না। যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৪

টাঙ্গাইলে শীতার্তদের মুখে হাসি ফোটালো বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার
টাঙ্গাইলে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার চৌরাকররা পাঠাগার প্রাঙ্গণে অর্ধশতাধিক পরিবারের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল পেয়ে চৌরাকররা গ্রামের না ষাটোর্ধ্ব মনোয়ারা বেগম বলেন, এই ঠান্ডায় আমাদের কেউ একটা কাপড়ও দেয় নাই। ঠান্ডায় খুব কষ্ট করতাছি। আমরা গরিব মানুষ, ট্যাহা পয়সা নাই। কম্বল পেয়ে আমি খুব খুশি হইছি। আল্লায় আমারে ঠান্ডা থিকা বাঁচাইলো। দুই সন্তান নিয়ে শীতবস্ত্র নিতে এসেছেন জহুরা বেগম। অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এই নারী। গরম কাপড় পেয়ে তার যেন আনন্দ আর ধরে না। খুশি হয়ে বলেন, ‘সন্তানদের নিয়ে কয়েকদিন ধরে শীতে খুব কষ্ট করছি। ঠান্ডার কোনো কাপড়চোপড় নাই। কোনো মতে এ্যাহন ঠান্ডা থেইকা বাঁচুম। বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, সামাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সাধ্যমত আর্তমানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তবেই মানবিক পৃথিবী গড়ে উঠবে। এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহজাহান। এ সময় পাঠাগারের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, মো. রাকিব হোসেন, লিখন আহমেদ, নূর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৭

সরিষার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ফলন ধানের চেয়ে বেশি হবে বলে আশা করছেন সরিষা চাষিরা। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও আট ইউনিয়নের চাষিরা বর্তমানে সরিষার পরিচর্যা নিয়ে ব্যাপক সময় পার করছেন। জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ করতে পারলেই কৃষকদের দুশ্চিন্তা দূর হবে। মাঠে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখে খুশি কৃষকরা। সরেজমিনে জেলার শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিস্তীর্ণ মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে রঙিন দেখা গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর শ্রীপুর উপজেলায় ২৮৯ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হলেও টরি-৭, বারি-১৪, বীনা-৯ সহ কয়েক জাতের আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অনেকেই আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ করেছেন। এতে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। উপজেলার বলদিঘাট গ্রামের চাষি ফজলুল হক বলেন, দেশে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েই চলছে, তাই তেলের চাহিদা মেটাতে আমি সরিষার চাষ করছি। প্রতি বছর নিজেদের জন্য ১০ শতক জমিতে সরিষা চাষ করতাম। কিন্তু স্থানীয়দের চাহিদা পূরন করতে এবার আরো ১র শতক বেশি সরিষার চাষ করেছি। তেলের চাহিদা মেটাতে আমি বেশি করে সরিষার চাষ করছি। কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধাই কৃষক রমিজ উদ্দীন জানান, জমি তৈরি করা থেকে ফলন ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ৭ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। যদি আবহাওয়া ভালো থাকরে তিনি প্রায় ২০ মণ সরিষার পাবেন বলে আশা করছেন। উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট গ্রামের চাষী আব্দুল জলিল জানান, অল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি মৌসুমে সরিষার ফলনও হয়েছে বেশ। রোদে শুকিয়ে গুদামজাত করে পরে বিক্রি করতে পারলে সরিষার বাজারদর আরো বেশি পাওয়া যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কিন্তু সংসারে টাকা খরচের কারণে ফসল তুলার সাথে সাথেই বিক্রি করে দিতে হবে। পৌরসভার উজিলাব গ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দিন বলেন, বারি-১৭ গাছের উচ্চতা হয় দেড় থেকে ২ ফুটের মতো। আগে সরিষা গাছ বড় হলেও ফলন কম হতো। নতুন জাতের ছোট আকারের এ সরিষা গাছের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত সরিষা আসছে। বীজ বপনের ৭০ দিনের মধ্যেই খেত থেকে সরিষা সংগ্রহ করা যায়। এবার প্রতি বিঘা জমি থেকে ৬-৭ মণ সরিষা উৎপাদনের আশা করছেন। আশা করছি অন্য বছরের তুলনায় এবার সরিষার ফলন ভালো হবে। চাষি জামাল উদ্দিন জানান, বিঘা প্রতি জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা। মণ প্রতি সরিষা বিক্রি করা যায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দরে। গড়ে প্রতি বিঘাতে সাত মণ সরিষা উৎপাদন হলে বিঘা প্রতি ১৫-১৬ হাজার টাকা লাভ করা যায়। সরিষা আবাদে সেচের প্রয়োজন না হওয়ায় কম সময়ে সরিষা আবাদ করা যায়। তবে, সরিষার বড় শত্রæ জাব পোকা হলেও এবার এ পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে না। একাধিক কৃষক জানান, অন্যান্য ফসলের মতো সরিষা আবাদে তেমন শ্রমের প্রয়োজন হয় না। জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ ও মাড়াই করে ফসল ঘরে তোলার জন্য পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি নারী, বৃদ্ধ ও শিশু সদস্যরাও নিয়মিতভাবে কাজ করেন। চাষীরা এবার বাজারদর বেশি পাওয়ার আশা করছেন অনেকেই। শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, শ্রীপুর উপজেলায় সরিষা চাষাবাদে কৃষকেরা প্রথম দিকে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। তবে তারা যখন জানতে পারলেন স্বল্প খরচে বেশি ফসল উৎপাদন করা যায়। পরেই তারা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে উন্নত জাতের বীজ বিতরণ ও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া জমিতে সরিষার আবাদ করলে ওই জমিতে সরিষার পাতা পড়ে জমির খাদ্য চাহিদা অনেকাংশে মিটিয়ে থাকে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১

বিজয়ের হাসি হাসতে পারলেন না মাহি
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদি হলেও শেষ পর্যন্ত ৮ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন মাহি।  রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দেওয়া বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, মাহির প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক চৌধুরী পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৮৪৬ ভোট। আর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ৭৪ হাজার ২৬১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার ২১৮ জন। বরেন্দ্রর পোড়ামাটি তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা নিয়ে রাজশাহী-১ সংসদীয় আসন। আসনটির তিনবারের নৌকা প্রতীকের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এবারও তিনি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান। মাহিও চেষ্টা করেছিলেন নৌকার মাঝি হতে। নৌকা প্রতীক না পেয়ে তিনি ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। আসনটিতে মোট ১১ জন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদিকে ভোটের দিন সকালেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন এই নায়িকা। কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন। এ সময় কেন্দ্রের নানান বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন তিনি। ওই সময় তিনি বলেন, ভোটারদের সবার সঙ্গে কথা বলছি, তারা উৎসবমুখর পরিবেশে আছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো দেখা যাচ্ছে। বাইরে আরও মানুষ অপেক্ষা করছেন। তবে মেয়েদের উপস্থিতিই বেশি দেখতে পাচ্ছি। এখন বেলা যতো বাড়বে ততো বেশি বোঝা যাবে। নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে মাহি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক কেন আমি মেনে নেব। পাশাপাশি আল্লাহ না করুক আমি যদি ফেলও করি, আগামীকালকে এলাকাজুড়ে শোডাউন করব। কারণ, আমার এলাকার জনগণদের আমি জানান দিতে চাই, নির্বাচনে পাশ করলেও আপনাদের সঙ্গে থাকতাম। হেরে গেলেও আপনাদের পাশে আছি আমি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়