• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘নিপুণ বিষয়টি নিয়ে অনুতপ্ত’
নানান আলোচনা-সমালোচনায় ছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৩ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। সেবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন পীরজাদা শহীদুল হারুন। নির্বাচনে নিপুণ আক্তার পরাজয়ের পর ‘চুমু দিতে চাওয়ার’ অভিযোগ করেন তার  বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এবারের নির্বাচনে সেই নিপুণের প্যানেল থেকেই নির্বাচন করছেন হারুন! তিনি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচনে লড়ছেন। হারুন বলেন, গতবার আমার বিরুদ্ধে নিপুণ যে অভিযোগ করেছিলেন সেটি কিন্তু অন্যের কথা শুনে। সে নিজের কানে শোনেননি। সুতরাং সেটি ছিল একদম ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ। এমন কোনো কথাই হয়নি। এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। দীর্ঘদিনের অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজের সূত্র ধরে আমার অভিজ্ঞতা থেকে শিল্পীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব। নিপুণ তার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছিল কি না, জানতে চাইলে এই অভিনেতা বলেন, নিপুণ বিষয়টি নিয়ে অনুতপ্ত। তিনি আমাকে বলেছে অন্যের কথা শুনে বিশ্বাস করেছিল। যখন আপনি সত্যটা প্রকাশ করবেন তখন আর পা ধরে মাফ চাইতে হয় না। আমি নিপুণকে মাফ করে দিয়েছি। গেল নির্বাচনে একমাত্র শিল্পী ছাড়া এফডিসিতে আর কেউ প্রবেশের অনুমতি পায়নি। যার কারণে হারুনকে এফডিসিতে অবাঞ্ছিত করে সব সংগঠন। সেই বিতর্ক নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি সমিতি এফডিসিকে ভাড়া দেয়। শিল্পী সমিতিও তার ব্যতিক্রম নয়। গত বছর নির্বাচনের দিন সবার এফডিসিতে প্রবেশের অনুমতি চাইলে কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি। মহামরি করোনার কারণে তখন তারা অনুমতি দেয়নি সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে। সরকার থেকেও বাধা নিষেধ ছিল। এখানে নির্বাচন কমিশনের হাত ছিল না। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণ জানিয়ে হারুন বলেন, নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছি অনেক দিন ধরেই। প্রথমে ভোটার হিসেবে অংশ নেই। পরবর্তীতে ৫ বার নির্বাচন পরিচালনা করেছি। গত নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এবার প্রার্থী হয়ে অংশ নিচ্ছি। জয়ের আশা নিয়েই নির্বাচনে এসেছি। তবে হেরে গেলেও ভেঙে পড়ব না। কারণ আমরা যারা খেলোয়ার জয় পরাজয় মেনে নিয়েই নির্বাচনে যেতে হয়। নির্বাচিত হলে সাধারণ সদস্যদের নিয়ে কাজ করব। জানা গেছে, পীরজাদা হারুন মিশা-ডিপজলের প্যানেল থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। এই প্যানেল থেকে ফিরিয়ে দেওয়ায় তিনি নিপুণের প্যানেলে নির্বাচন করছেন। প্রসঙ্গত , বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী ১৯ এপ্রিল। এদিন এফডিসিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মিশা-ডিপজলের বিপরীতে কলি-নিপুণ লড়ছেন। 
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৫

করোনায় আক্রান্ত হলেন ডিবিপ্রধান হারুন
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে হারুন অর রশীদ জানান, হঠাৎ করে করোনা আক্রান্ত হলাম। সুস্থতার জন্য দোয়া চাই। জানা গেছে, করোনা পজিটিভ আসার পর বর্তমানে বাসায় বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। এদিকে, আজ (মঙ্গলবার) থেকে পুলিশ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য ভিআইপিদের প্যান্ডেলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের কথা ছিল হারুনের।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০১

চাবির জন্য চিঠি দেয়াকে রিজভীর অস্বাভাবিকতা বললেন হারুন
দারোয়ানের কাছে চাবি রেখে পুলিশকে চিঠি দেওয়ার ঘটনাকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অস্বাভাবিকতা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ডিবি অফিসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডিবিপ্রধান বলেন, রিজভী সাহেব কী বলেন, ঠিক নেই। তিনি হয়তো ভুলে গেছেন তার অফিসের দারোয়ানের কাছে চাবি ছিল। আবার পুলিশকে চিঠি দেন, এটা তার অস্বাভাবিকতা। তিনি আরও বলেন, পুলিশ রাজনীতির অংশ না। তার অসংলগ্ন কথাবার্তা নাটক, পুলিশকে নিয়ে মনগড়া কথা বলা ঠিক না। গত ১১ জানুয়ারি সবুজবাগের বাসাবো এলাকায় নাদিম নামের এক বাক প্রতিবন্ধীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবির মতিঝিল বিভাগ। এ বিষয়ে হারুন অর রশীদ জানান, সবুজবাগের বেশকিছু জায়গা মাদকের হটস্পট হয়ে উঠেছে। অনেক মাদক ব্যবসায়ীর নাম পাওয়া গেছে, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোনো ভবন মাদক ব্যবসা ও সেবনের জন্য ব্যবহার করা হলে মালিককেও আইনের আওতায় আনা হবে, যোগ করেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৫

প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন ডিবিপ্রধান হারুন
নির্বাচনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সোমবার (৮ জানুয়ারি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজের ফেসবুকে ফুল দেওয়া একটি ছবি পোস্ট করেন। এ সময় হারুন লিখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা স্যার ৮ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানাই।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১টায় পর্যন্ত ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৭টির ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ২২৩টিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫১টি বা তার বেশি আসনে যে দল জয়ী হন তারাই সরকার গঠন করেন। যেহেতু আওয়ামী লীগ ১৫১টির বেশি আসনে বিজয়ী হয়েছে। ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এর আগে, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য ১৫ ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়