• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নিউইয়র্কে বসেই স্বামী হারানোর খবর পেলেন খালিদের স্ত্রী
নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার স্ত্রী শামীমা জামান সন্তানসহ নিউইয়র্কে আছেন। সেখানে বসেই জেনেছেন জীবনসঙ্গী হারানোর কথা। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসায় বুকে ব্যথা অনুভব করার পরপর জ্ঞান হারালে খালিদকে কমফোর্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার প্রথম নামাজে জানাজা রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নেওয়া হবে খালিদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে। সেখানে জানাজা শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার তাকে দাফন করা হবে। আশির দশকের প্রথম দিকে জনপ্রিয় ব্যান্ড চাইমের মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন খালিদ। ব্যান্ডটির হয়ে বেশ কিছু অ্যালবামে গেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে নব্বই দশকে সলো ক্যারিয়ারেও সফলতা পান। ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণে ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’, ‘নাতি খাতি বেলা গেল’, ‘কীর্তনখোলা নদী’, ‘ঘুমাও’– এর মতো বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ। প্রিন্স মাহমুদ, জুয়েল-বাবুর সুরে তার গানগুলো শ্রোতাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে আগেই। তবে ২০১০ পরবর্তী সময়গুলোতে গানে অনিয়মিত ছিলেন খালিদ। দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান নিউইয়র্কে। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে শোবিজ অঙ্গনে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৩

জাকারবার্গের স্ত্রীর লকেট হারানোর পর উধাও হয় ফেসবুক!
ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়েতে যোগ দিয়েছেন দেশ-বিদেশের বড় বড় ব্যক্তিত্বরা। বিয়েতে ছিলো তিন দিনের প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, ইভাঙ্কা ট্রাম্পসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বড় বড় ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। আর সেখানেই ঘটে স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের লকেট হারানোর ঘটনা। শনিবার ( ৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, একজন রেডিট প্ল্যাটফর্মে গিয়ে বিষয়টি শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমার বন্ধু আম্বানি অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে থাকা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করেছিল। বন্ধুটি আমাকে জানিয়েছে চলমান উৎসবের মধ্যেই মার্ক জুকারবার্গের স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের গলার লকেট হারিয়ে যায়। এতে প্রি-ওয়েডিং ব্যাশের মধ্যেই ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। জুকারবার্গ দম্পতির সঙ্গে সেখানে উপস্থিত অতিথিরা সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে দুলটির সন্ধান করে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। পরে লকেটটি ফিরে পেয়েছেন কি না সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। এই ঘটনা সামনে আসতে না আসতেই তাতে মজার মজার সব মন্তব্য পড়েছে। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, এই দুল হারানোর ঘটনাটাই নাকি ৫ মার্চে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম উধাও হওয়ার প্রধান কারণ। আরেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, একজন অতিথি তার গয়না হারাচ্ছেন, কেউ খাবারের বিষয়ে অভিযোগ করছেন এবং অন্যরা কী পোশাকে পরবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন; সব মিলিয়ে আর পাঁচটা ভারতীয় বিয়ের মতোই ছিল আম্বানিদের এই অনুষ্ঠান। জুকারবার্গকে চমকে দিয়েছিল অনন্তর হাতে থাকা একটি দামি ঘড়িও। আম্বানিদের ছোট ঠেলে একটি নীলকান্তমণি লাগানো রবিলন ঘড়ি পরেছিলেন। যা নিজের বিশেষত্বের জন্য বিখ্যাত। এর আনুমানিক মূল্য ২.২ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় রুপিতে তা প্রায় ১৮.২ কোটি)।  বিলাসবহুল ঘড়িটি ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ এবং তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানকে অভিভূত করে। জুকারবার্গ ঘড়ির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘আমি সত্যিই ঘড়ির প্রতি আগ্রহী নই একেবারেই, কিন্তু এটা দেখার পরে মনে হচ্ছে আমিও ঘড়িতে আগ্রহী হতে পারি।’
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৬

‘প্রিয়জন হারানোর বেদনাকেও হার মানিয়েছে ফেসবুক’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয় তিনি। মাঝে মধ্যেই নানান ইস্যুতে নিজের মতামত কিংবা অনুভূতি শেয়ার করেন এই অভিনেতা। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাতে হঠাৎ ফেসবুক বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ ব্যবহারকারীর মতো তারকাদের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে বেশির ভাগ  ব্যবহারকারীই ভেবেছিলেন— ফেসবুক হ্যাকড হয়েছে। অন্য সবার মতো অভিনেতা চঞ্চলের অবস্থাও একই। পরে অবশ্য জানতে পারেন, সবার একই সমস্যা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করতেও দেরি করেননি চঞ্চল। এদিন রাতেই তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন এই অভিনেতা।  পাঠকদের সুবিধার জন্য চঞ্চলের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরে হলো— ‘প্রথমে যখন ফেসবুকে ঢুকতে পারছিলাম না, ভেবেছিলাম হ্যাক হয়েছে। অনেক খারাপ লাগছিল। যখন জানতে পারলাম সবারই একই অবস্থা, তখন বেশ ভালো লেগেছিল। মনে মনে ভাবছিলাম, যাক সারা পৃথিবী থেকে একটা জঞ্জাল বিদায় হলো। এরপর যখন ফেসবুক ফিরে পেলাম, তখন মনে হলো, এই এক ঘণ্টার ফেসবুক হারানোর শোক অনেকের কাছে অতি প্রিয়জন হারানোর বেদনাকেও হার মানিয়েছে, হায়রে ফেসবুক। কোন নেশায় আক্রান্ত পুরো দেশ, পুরো বিশ্ব। আমিও এর বাইরে নই। এর থেকে কি আমরা কিছু শিখতে পারলাম? সবাই একটু ভাবুন। এখনও আমরা সবাই পরীক্ষা করে দেখছি, অ্যাকাউন্টটা ঠিক আছে তো? ধন্য তুমি জাকারবার্গ। ভদ্রলোক হয়তো সৎ উদ্দেশ্যেই জিনিসটা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু কথা একটাই, ফেনসিডিল ছিল কাশির সিরাপ, পরে সেটা হয়ে গেল নেশার দ্রব্য।’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত নয়টার পর থেকে হঠাৎই বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মেটার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ মেসেঞ্জারে প্রবেশ ও ব্যবহার করতে সমস্যা দেখা দেয়। আর এ কারণেই ব্যবহারকারীদের মধ্যে তৈরি হয় আতঙ্ক। যদিও এর কিছু সময় পরেই ঠিক হয়ে যায় সব। 
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৯

ট্রাফিকের হাতে ক্ষতিকর লেজার লাইট, বাড়ছে দৃষ্টি হারানোর শঙ্কা  
সন্ধ্যা নামতেই প্রতিদিন ময়মনসিংহ নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ে সবুজ রঙের ক্ষতিকর আলোকরশ্মি। যানজট নিয়ন্ত্রণে এই আলোকরশ্মির ব্যবহার করছে খোদ ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের যানজট নিয়ন্ত্রণে কর্মরত সদস্যরা। এতে ট্রাফিক সিগনাল ও যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক সদস্যদের সুবিধা হলেও দৃষ্টি হারানোর শঙ্কা বাড়ছে সাধারণ মানুষ ও যান চালকদের। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ, অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলে।   সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর গাঙ্গিনাপাড় ট্রাফিক মোড়, নতুন বাজার, পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, শম্ভুগঞ্জ বাজার মোড়, রহমতপুর বাইপাস, মাসকান্দা বাইপাস মোড়সহ নগরীর সড়ক ও মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক সিগনাল ও যানজট নিয়ন্ত্রণে সন্ধ্যা নামতেই ব্যবহার হচ্ছে ক্ষতিকর লেজার লাইট। অথচ এই লাইট ব্যবহারে রয়েছে আইনগত বিধিনিষেধ। কিন্তু ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত খোদ পুলিশ সদস্যরাই মানছে না এই বিধিনিষেধ। ফলে পুলিশের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে পাড়া-মহল্লার শিশু-কিশোরদের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ছে এই ক্ষতিকর লেজার লাইট। প্রকাশ্যে খোলা বাজারে বিক্রিও হচ্ছে নগরীর অলিগলি বা মেলার স্টলগুলোতে। যা ব্যবহারে মনের অজান্তেই নীরবে ক্ষতি করে চলছে মানুষের দৃষ্টি শক্তির।       এ নিয়ে নগরীর গাঙ্গিনাপাড় ও পাটগুদাম এলাকায় কথা হয় কয়েকজন অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে। অটোরিকশাচালক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ট্রাফিক পুলিশের লেজার লাইট চোখে পড়লে কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। এরপর চোখ স্বাভাবিক হলেও অস্বস্তি লাগে অনেকক্ষণ পর্যন্ত। মোশারফ হোসেন নামে অপর এক অটোরিকশাচালক বলেন, এই লাইটের আলো চোখে পড়লে খুব খারাপ লাগে। কিন্তু এইটা ক্ষতিকর কি না, তা আমি জানি না। তবে চোখ অনেক সমস্যা করে, আমি নিজেই এর প্রমাণ পেয়েছি।     এ সময় মোটরসাইকেলচালক ও বেসরকারি চাকরীজীবী তানভীর আহম্মেদ বলেন, লেজারের আলো চোখে পড়লে গাড়ির ব্রেক না কষে কোনো উপায় নেই, তখন চোখে আর কিছু দেখা যায় না। এতে হঠাৎ করে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। তাছাড়া লেজারের আলো চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলেই আমি জানি কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ ব্যবহার করলে আমাদের কিছু বলার থাকে না।   একই ধরনের মতামত দিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মো. ফেরদৌস হাসান।   তিনি বলেন, লেজারের আলোকরশ্মি চোখের রেটিনার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে চোখের ম্যাকুলা বার্ন হয়। ফলে চোখে কম দেখাসহ স্থায়ী অন্ধত্বের শঙ্কা রয়েছে। কেউ উদ্দেশ্য করে এই আলোকরশ্মি চোখে মারলে চোখ ডেমিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। তাই লেজার লাইট ব্যবহারে সতর্কতা অপরিহার্য।       একই বক্তব্য মমেক হাসপাতালের একাধিক চক্ষু বিশেষজ্ঞের। তাদের ভাষ্য লেজার লাইটের আলো চোখে এসে পড়লে চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। যা স্বাভাবিক হতে সময় লাগে কয়েক মিনিট। এতে অনেক সময় চোখ জ্বালাপোড়াসহ স্থায়ী অন্ধত্বের ঝুঁকি তৈরি হয়।   এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক (যানবাহন) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, লেজার ব্যবহারের কারণে পথচারী ও যান চালকদের ক্ষতি হয়। তাই এক সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে লেজার লাইট ব্যবহার করা হলেও এখন করা হয় না। অনেক আগেই লেজার ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও যদি কিছু থাকে সেগুলোও অতি দ্রুত ক্লোজ করা হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৫

ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অপসারণের দাবি জানিয়ে পার্লামেন্টে চিঠি দিয়েছেন দেশটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।  ৪০ জনেরও বেশি সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা, খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা এই দাবি জানিয়েছেন। এতে ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, নেতানিয়াহুকে ইসরায়েলের ‘অস্তিত্বের’ জন্য হুমকি মনে করছেন ওই নাগরিকরা। তাই দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে তারা চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে নেতানিয়াহুর ইসরায়েলের বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমিয়ে সংশোধনী আনার বিতর্কিত প্রচেষ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করেছে দাবি করা হয়। এর ফলেই ৭ অক্টোবরের হামলা হয়েছে।   চিঠিতে বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, নেতানিয়াহু এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, যার ফলে ১ হাজার ২০০–এর বেশি ইসরায়েলি এবং অন্যদের নৃশংস গণহত্যা, সাড়ে ৪ হাজারের বেশি আহত এবং ২৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশি এখনো হামাসের হাতে বন্দি। এসব হতাহতের রক্ত নেতানিয়াহুর হাতে লেগে আছে। চিঠিটি বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ এবং শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) আইনসভা নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাকে  পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ইসরায়েলের বৈদেশিক এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবার চারজন সাবেক পরিচালক, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দুই সাবেক প্রধান এবং তিনজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রয়েছেন।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৯

অমল বোসকে হারানোর ১২ বছর
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা অমল বোস। পুরো নাম অমলেন্দু বিশ্বাস। বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রা শুরুর পর থেকেই টিভি নাটকে তিনি ছিলেন একজন পরিচিতি মুখ। পরবর্তীতে কাজ করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রেও। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে ‘নানা-নাতি’ কৌতুক নাটিকার মধ্য দিয়ে দৈনন্দিন জীবনের নানা অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশের দর্শকদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেন ‘নানা’ অমল বোস। গুণী সেই অভিনেতাকে হারানোর এক যুগ হয়ে গেল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি)। ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকায় মারা যান তিনি। এদিন সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অমল বোসকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন। ১৯৪৩ সালে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় জন্ম নেওয়া অমল বোসের অভিনয়ে প্রবেশ যাত্রা মঞ্চ দিয়ে। অভিনয় পাগল এই মানুষটি ১৯৬৬ সালে ‘রাজা সন্যাসী’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। চলচ্চিত্র, মঞ্চ এবং টেলিভিশন সব মাধ্যমেই তিনি ছিলেন জনপ্রিয় এবং ভালোবাসার মানুষ। সত্তরের দশকে পরিচালনায়ও নাম লিখিয়েছিলেন অমল বোস। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘কেন এমন হয়’।  ‘রাজা সন্ন্যাসী’ ছাড়াও ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘মহুয়া’, ‘সোনালি আকাশ’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘গুনাই বিবি’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘অবিচার’, ‘আজকের প্রতিবাদ’, ‘আমি সেই মেয়ে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘অজান্তে’, ‘মন মানে না’, ‘কাজের মেয়ে’, ‘আমি তোমারি’, ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘সন্তান যখন শত্রু’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘তোমার জন্য পাগল’, ‘মিলন হবে কতো দিনে’, ‘ক্ষেপা বাসু’, ‘মন’, ‘ভালোবাসা কারে কয়’, ‘হঠাৎ বৃষ্টি’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘মায়ের সম্মান’, ‘রং নাম্বার’, ‘কুসুম কুসুম প্রেম’সহ শতাধিক সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। 
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৫

ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে আ.লীগ : রিজভী 
ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ডামি সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার (১৪ জানুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। আরও পড়ুন : নিজে কোনোদিন দুর্নীতি করিনি, করতেও দেব না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী   রিজভী বলেন, আগে ভোটকেন্দ্রে গরু-ছাগলসহ চতুষ্পদ প্রাণীরা বিচরণ করলেও এবারের নির্বাচনে নতুন সংযোজন বানর। আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থীরাও এই নির্বাচনকে তামাশার নির্বাচন বলে অভিহিত করেছে। তিনি বলেন, এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ কৃত্রিম আনন্দ-ফুর্তিতে মেতে থাকার চেষ্টা করলেও তাদের মনে শান্তি নেই। প্রতিনিয়ত তাদের মনে ক্ষমতা হারানোর ভয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তারা এখন ষড়যন্ত্র তথ্য খুঁজছেন। আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতায় সুর পাল্টাচ্ছে চাপদাতারা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   রিজভী আরও বলেন, একদলীয় একতরফা ভুয়া নির্বাচনে ভোটাররা যায়নি। ৭ জানুয়ারিতে জনগণ আপনাদের চূড়ান্তভাবে লালকার্ড দেখিয়েছে। জাল ভোট ও অনিয়মের হাজারো চিত্র ভাইরাল হয়েছে। শিশুরাও দেদার সিল মেরেছে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়