• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ময়মনসিংহ-কুমিল্লার ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে : সিইসি
কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের ২৩১টি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ভোটগ্রহণ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, ২৩১টি নির্বাচন হয়েছে। অধিকাংশই উপনির্বাচন। ময়মনসিংহে পূর্ণাঙ্গ, কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে উপনির্বাচন সকাল ৮টায় নির্বাচন শুরু হয়েছে এবং বিকেল ৪টায় শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় দু-চারটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ১৮টি অপ্রীতিকর ঘটনায় ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, কুমিল্লায় উল্লেখযোগ্য দু-একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা নির্বাচনটা ম্যানেজ করার জন্য নির্বাচন কমিশনারদের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনো অভিযোগ আমরা এখনও পাইনি যে, প্রভাব খাটানো হয়েছে বা হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলি হয়েছে। তবে কেন্দ্রের ভেতরে ভোট প্রভাবিত হয়নি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, প্রত্যেক প্রার্থীই কম বেশি শক্তি প্রয়োগ করেছে। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যারা এই কাজটি করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা বলেছিলাম, যাকে পাওয়া যায় তাকেই যেন গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ পাইনি। কুমিল্লায় বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৩৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ময়মনসিংহে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিকেল ৪টার পরও সেখানে একটা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। ভোটকেন্দ্রের বাইরে যে ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা হয়। সার্বিকভাবে আমরা বলতে পারি ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৯

নির্বাচন হয়ে গেছে বলেই দায়িত্ব শেষ নয় : সিইসি
‘নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে বলেই দায়িত্ব শেষ হয়েছে এমন নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে বলেই দায়িত্ব শেষ হয়েছে এমন নয়। আগামীতে যারা আসবে তাদের জন্য একটা ক্ষেত্র তৈরি করে যেতে হবে। আজকের গণতন্ত্র আদর্শিক গণতন্ত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিরাষ্ট্র গড়ে ওঠার পর গণতন্ত্রের বিকাশ হয়েছে । তিনি বলেন, আমাদের কাজ হলো ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। সেদিক থেকে নির্বাচন কমিশনের ওপর বড় দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।  এনআইডি কার্ড প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এনআইডির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। এটা এখন অপরিহার্য। এনআইডি সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা এখন অনেকটাই সুষ্ঠু অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। সম্পত্তি বেহাত করার জন্য যে এনআইডি কার্ড করা হয়, আমি হয়তো ভুল করে দিতে পারি, কিন্তু সচেতনভাবে অপরাধের সঙ্গে অংশ হিসেবে যদি এটা আমরা করে থাকি, তাহলে আমাদের টলারেন্স জিরো হবে। আমরা ওই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে হস্তান্তর করতে দ্বিধান্বিত হব না। তিনি বলেন, এখন এনআইডির বাই প্রোডাক্ট হয়ে গেছে ভোটার কার্ড। এনআইডির বিষয় আজ নয়, আজ ভোটার দিবস। কীভাবে এটি বর্তমান পর্যায়ে এলো এটি ইতিহাসের একটা বিষয়। ভোটারের বিষয় যখন হয় তখন প্রতিনিধিত্বের বিষয় আসে। আমরা ইতিহাস বেশি জানি না। আগে কলোনি ছিল, তার আগে রাজত্ব ছিল, ভোটাধিকার ছিল না। ব্রিটিশরা এসে ভোটাধিকার দিলো। সবচেয়ে বড় নির্বাচন হয় প্রথম ১৯৩৫ সালে। তিনি আরও বলেন, ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ। ভোটকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল বঙ্গবন্ধুর ডাকে। আমরা স্বাধীনতা পেলাম। এরপর সংবিধান পেলাম, যেখানে নির্বাচনের বিষয়টা আছে। নির্বাচন করতে গেলে ভোটারের প্রয়োজন হয়। এতে ভোটারের রায়েই যেন প্রতিনিধিত্ব আসে সেটাই লক্ষ্য ছিল। সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাদেশা সুলতানা, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ সংস্থাটির সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
০২ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৯

বিসিবির নতুন দায়িত্বে হাবিবুল বাশার
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নারী বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে উইমেনস উইংয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। দায়িত্ব পাওয়ার পর তাকে অভিনন্দন জানান, বিসিবি পরিচালক ও উইমেনস উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি ও বাংলাদেশ নারী দলের ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। জাতীয় দলকে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন বাশার। এরপর জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবেও কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। সদ্যবিদায়ী প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর পাশাপাশি তার সঙ্গেও মেয়াদ শেষে আর চুক্তি নবায়ন করেনি বিসিবি। গত কয়েক বছর থেকে নানান ইস্যুতে নির্বাচক প্যানেল থেকে নান্নু এবং বাশারের পদত্যাগের জন্য দাবি করে আসছিলেন ক্রিকেটভক্তরা। তবে পদত্যাগ না করলেও অবশেষে নির্বাচকের পদ হারান তারা। কিন্তু নির্বাচক না হলেও অন্য পদে তাদেরকে রাখা হবে বলে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এবার নতুন দায়িত্ব পেলেন বাশার।  এদিকে বাশারের পর নান্নুকেও বোর্ডের বড় কোনো পদে দেখা যেতে পারে। গুঞ্জন আছে, তাকে টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান হিসেবে দেখা যেতে পারে। দেশের ক্রিকেটে এই দুই ক্রিকেটারের অবদান বিবেচনায় তাদেরকে বোর্ডে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান ক্রীড়ামন্ত্রী পাপন। সে সময়ে পাপন বলছিলেন, বোর্ড আমাদের ক্রিকেটে তাদের অবদান স্বীকার করেছে। আমরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছি, তাদের কাজে আমরা খুবই খুশি। আমরা তাদের হারাতেও চাই না। সেজন্য বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা তাদের বোর্ডের অন্য পদে আমাদের সঙ্গে রাখব।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫২

রওশনপন্থীদের কমিটি আমলে নিতে নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি
নির্বাচন কমিশনে থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) কমিটি পরিবর্তন করে রওশনপন্থীদের কমিটিকে আমলে নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে চিঠি দিয়েছে দলটির একাংশ। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রওশন এরশাদের ঘোষিত কমিটির মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ সিইসিকে এ চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৮ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং একাদশ সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের গুলশানস্থ বাস ভবনে জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এক জরুরি বর্ধিত সভায়, সর্ব সম্মতিক্রমে পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, এ সভায় তুমুল হর্ষধ্বনি ও করতালির মধ্যে উপস্থিত সব নেতাদের ঐকান্তিক দারির প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতাবলে পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং পার্টি চেয়ারম্যান তার ক্ষমতা বলে কাজী মো. মামুনুর রশীদকে অন্তর্বর্তীকালীন (পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া অবধি) জাতীয় পার্টির মহাসচিব নিয়োগ করেছেন। এ ছাড়া বর্তমানে নিবন্ধন নম্বর-১২ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এবং মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ জাতীয় পার্টির দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করা হবে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৫

বর্তমান কমিশন ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে: ইসি হাবিব
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন ভবিষ্যতে সবার জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আহসান হাবিব খান। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইসি মো. আহসান হাবিব বলেন, আমরা ইমানের সঙ্গে কাজ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সফল হয়েছি। স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছেছি, এ স্থান থেকে চাইলেই কেউ নামতে পারবে না। আমাদের কার্যক্রম ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। অনুষ্ঠানে আরেক নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা একটি ভালো নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সহযোগিতা করেছে। সবাই একসুরে সুন্দর নির্বাচনের জন্য কাজ করায় তা সফল হয়েছে। এখন মান সম্মানের সঙ্গে চলে যেতে পারবো। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর এবং আনিছুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।  এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৪

নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে : সিইসি
নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর থেকে জনগণের আস্থা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আর নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতার জন্য রাজনীতিবিদদের আস্থা জরুরি বলে মত দিয়েছেন তিনি।   বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে এ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সফলতা নিয়ে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সিইসি। এ সময় তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় জাতি সংকট থেকে উঠে এসেছে। তবে এটি স্থায়ী সমাধান নয়। নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সরকারের সহায়তা ছাড়া এত বড় কর্মযজ্ঞ সফল করা সম্ভব ছিল না। আমাদের অপবাদ, বদনাম দুটোই নিতে হবে। উদ্বেগ, সংকট থেকে জাতি উঠে এসেছে। তবে এটা স্থায়ী সমাধান নয়। রাজনীতিবিদদের যদি আস্থা না থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন খুব যে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে তা কিন্তু নয়। একটি বড় দল শুধু বর্জন করেনি, প্রতিহত করতে চেয়েছিল। নির্বাচন উঠিয়ে আনায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে। আমরা স্বস্তিবোধ করছি। তবে নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৩

নির্বাচনে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে : সিইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার (৮ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সিইসি। তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন এ তথ্যে ভুল হয়েছে, ভোটের এ হার নিয়ে সমালোচনাকারীদের তথ্য-প্রমাণ নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হলো। যদি আপনারা মনে করেন সেটাকে আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় শতভাগ আসনের ফলাফল ঘোষণা শেষে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে দলটি টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে। রোববার দিনগত রাত ৪টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন থেকে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ২৯৮টি আসনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৩টি আসন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ পর্যন্ত ৬১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি এবার পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। যে ২৬টি আসনে তারা আওয়ামী লীগের কাছে ছাড় পেয়েছিল তার অনেকগুলোতেই জামানত হারিয়েছে। এর বাইরে আওয়ামী লীগেরই নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি জোট থেকে বেরিয়ে আসা কল্যাণ পার্টি জয় পেয়েছে একটি আসনে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জন, তুলনামূলক কম ভোটারের উপস্থিতি হলেও রোববার মোটাদাগে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। এক প্রার্থীর মৃত্যুতে একটি আসনের ভোট পিছিয়ে যাওয়ায় এদিন ভোট হয় ২৯৯ আসনে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৯

এতটা ভালো ভোট হবে আশাও করিনি : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতটা ভালো ভোট হবে আশাও করিনি। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সিইসি বলেন,  এবারের নির্বাচন আয়োজনে বিরোধীতা ছিল। সেটাকে অতিক্রম করে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচনে তেমন কোনো সহিংসতা হয়নি। আল্লাহর রহমতে একজনও মারা যাননি। ফলে ভোট নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে কিছু জায়গায় অনিয়ম হয়েছে, সেক্ষেত্রে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। সবদিক থেকে নির্বাচনটা মোটামুটি সুনিয়ন্ত্রিত ছিল। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য ১৫ ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৬

৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে : সিইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সকালে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থা দেখেছি। কোথাও সহিংসতার মতো গুরুতর ঘটনা ঘটেনি। কিছু কিছু অভিযোগ এসেছি, ব্যালটে সিল মারার। আমরা সেগুলো ক্রস চেক করে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা গ্রেপ্তার করেছি, মামলা করেছি। শেষ মুহূর্তে একজনের প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভোটের এখনও চূড়ান্ত পার্সেন্টেজ হয়নি। তবে আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটি বাড়তে পারে, না-ও বাড়তে পারে। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য ১৫ ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৩

জাল ভোট নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি সিইসির
নির্বাচনে কোথাও কারও পক্ষে জাল ভোট দিলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রার্থিতা বাতিল ও প্রয়োজনে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় নির্বাচন নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। সিইসির ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন কেবল ভোটগ্রহণ শুরুর অপেক্ষা। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ও ভোটারদের নির্বাচন বিষয়ে বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে। নির্বাচনের দায়িত্ব নিয়োজিত সব কর্মকর্তাকেও সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আইন ও বিধিবিধান যথাযথভাবে পালন ও প্রয়োগ করতে হবে। দায়িত্ব পালনে অসততা, ব্যত্যয় ও অবহেলা সহ্য করা হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রার্থী, ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সর্বসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশীশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রার্থীতা বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব প্রকার নির্বাচনী অনিয়ম-অনাচার প্রতিহত করতে আহ্বান জানান। এর আগে, সবশেষ গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৮টায় ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে মাঠে নেমেছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন আনসার, এপিবিএন এবং কোস্টগার্ড। এ ছাড়া ৩ জানুয়ারি থেকে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সাড়ে সাত লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যা গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এক লাখ ৩০ হাজার বেশি। এবার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের বাড়তি ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়