• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নকল ট্যাং প্রস্তুতকালে হাতেনাতে আটক কারখানা মালিক 
রোজা ঘিরে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নকল ভোগ্যপণ্য তৈরির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন অসাধু চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমনই একটি চক্রের সন্ধান পেয়ে রাজধানীর পূর্ব বাড্ডায় একটি কারখানায় অভিযান চালায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালস নামে কারখানাটিতে কাপড়ের রং আর চিনি মিশিয়ে নকল ট্যাং তৈরি হচ্ছিল ওই সময়। শুধু ট্যাংই নয়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর, মটরভাজা, ডিটারজেন্ট ও হারপিকসহ বিভিন্ন পণ্যের ভেজাল সংস্করণ তৈরির মহাযজ্ঞ নজরে পড়ে অভিযানিক দলের। সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয় কারখানাটির মালিক আনোয়ার হোসেনকে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পূর্ব বাড্ডা আলিফনগর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে বিএসটিআই। অভিযানের নেতৃত্ব দেন পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটির উপপরিচালক রেজাউল হক। অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গোপন সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালসের কথা জানতে পারি। এরপর আজ অভিযানে এসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ট্যাং, চানাচুর, ডিটারজেন্ট, মটর ভাজাসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করতে দেখি। আমাদের কর্মকর্তারা বাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছে, এখানে উৎপাদিত কোনো পণ্যই ব্যবহার উপযোগী নয়। এখানে ভয়াবহ আরেকটি বিষয় পেয়েছি তা হলো তারা একইসঙ্গে সফট ড্রিংকস, চানাচুর তৈরির পাশাপাশি একজায়গায় ডিটারজেন্ট-হারপিকও তৈরি করছিল, যা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। রেজাউল হক বলেন, রোজার মাসে রোজাদারদের অন্যতম একটি পানীয় হলো শরবত, যা বিভিন্ন রকমের ট্যাং দিয়ে তৈরি করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের মালিকও রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বড় প্রস্তুতি নিয়ে রাতদিন ট্যাং তৈরি করছিল। এই প্রতিষ্ঠানের ট্যাং যদি কেউ রোজা রেখে খায়, তাহলে তাদের পেটের পীড়া থেকে শুরু করে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ট্যাংয়ে তারা যে রংটি ব্যবহার করছে, সেই রংয়ের কোথাও ফুডগ্রেড উল্লেখ ছিল না। তারা কাপড়ের রং ব্যবহার করছিল বলে আমাদের ধারণা। বিএসটিআই উপপরিচালক আরও বলেন, আমরা সোমবারই আমাদের একটি টিমকে গোপনে পাঠিয়েছি, তারা এসে প্রতিষ্ঠানটি শনাক্ত করে যায়। তারা অনেক আগে দুই-তিনটি পণ্য তৈরির অনুমোদন নিয়েছিল, যার মেয়াদও ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। 
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৭

ধর্ষণ চেষ্টার সময় ইউপি সদস্য হাতেনাতে ধরা
নওগাঁর পত্নীতলায় এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টাকালে আনারুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ইউপি সদস্যকে (মেম্বার) হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।   বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নির্মইল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।   আনারুল ইসলাম শ্যামপুর গ্রামের আমেজ উদ্দিনের ছেলে। জানা যায়, নির্মইল ইউনিয়নের গোবিন্দবাটি গ্রামে ওই নারীর বাবার বাড়ি। স্বামীর সঙ্গে তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পরে নিজের বাবা-মার সঙ্গেই থাকতেন। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম ওই বাড়িতে যান। এরপর গল্পের ছলে নারীর দাদী ও ছোট ভাইকে পান ও সিগারেট আনতে বাহিরে গ্রামের দোকানে যেতে বলেন। এই সুযোগ নিয়ে তিনি নিজ ঘরেই জোর করে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে গ্রামের লোকজন এসে ইউপি সদস্য আনারুলকে আটক করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পত্নীতলা থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় রাতেই ওই নারী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সকালে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেল হাজতে পাঠান হয়েছে এবং ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নওগাঁ সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫১

কারাবন্দিকে গাঁজা দিতে এসে হাতেনাতে ধরা নারী
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) গাঁজা নিয়ে কারাবন্দির সঙ্গে দেখা করতে এসে হাতেনাতে ধরা খেয়েছেন তাসলিমা বেগম নামে এক নারী। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। ওই নারী নিজেকে মো. আল আমিন লিটন নামে এক বন্দির খালা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, বন্দি আল আমিন লিটনের খালা পরিচয়ে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে আসেন তসলিমা বেগম। সাক্ষাৎকক্ষে প্রবেশকালে গেটে তল্লাশি কাজে নিয়োজিত নারী কারারক্ষীরা তার দেহ তল্লাশি করে আনুমানিক ১১০ (একশত দশ) গ্রাম গাঁজা পায়। পরে নিয়ম অনুযায়ী উপস্থিত সবার সামনে সেই গাঁজা পুড়িয়ে ফেলা হয়। তিনি আরও জানান, সাক্ষাৎকক্ষে ওই নারীর কাছ থেকে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় কারাগারে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে সাজা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২০

রেললাইনের স্লিপার খোলার সময় হাতেনাতে যুবক আটক
জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনায় রেললাইনের স্লিপার প্লেট ও পিন খুলে নেওয়ার অভিযোগে শাকিল মিয়া (২৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।  শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নান্দিনা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। জামালপুর জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটক শাকিল মিয়া সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নে বাঁদেচান্দি এলাকার মুনতাজ আলীর ছেলে। জানা গেছে, ঢাকা-জামালপুর রেলপথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নান্দিনা রেলওয়ে স্টেশনের অপারেশন সুরক্ষিত যাতায়াত এলাকা থেকে তাকে আটক করেন রেলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা। জামালপুর জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট মিজানুর রহমান বলেন, রেললাইনের পিন খুলে স্লিপার তুলে ফেলা অবস্থায় হাতেনাতে শাকিল নামে ওই যুবককে আটক করেছেন আনসার সদস্যরা। তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি রেললাইনের ক্লিপ উদ্ধার করা হয়েছে। রেললাইনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করেন। আটক যুবককে জামালপুর রেলওয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। জামালপুর রেলওয়ে থানার ওসি মো. মাহ্বুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় একটি চুরির মামলা হয়েছে। এ ছাড়াও আটক ব্যক্তি মাদকাসক্ত কিনা তা যাচাই করে দেখা হবে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়