• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মহাসড়কে হাটবাজার অপসারণ ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ দেশের সব মহাসড়ক থেকে হাটবাজার অপসারণ ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর বিআরটি প্রকল্প শেষ হতে কেন এত সময় লাগছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ দেশের সব মহাসড়ক থেকে হাটবাজার অপসারণ ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর বিআরটি প্রকল্প শেষ হতে কেন এত সময় লাগছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আরও পড়ুন : লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর   মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারাদেশের মহাসড়কে থাকা স্থাপনা, হাটবাজার, ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), হাইওয়ে পুলিশের প্রধানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে রোববার এ বিষয়ে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনারি নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া। আরও পড়ুন : ‘নির্বাচন শেষ হলেও দেশবিরোধীদের চক্রান্ত শেষ হয়নি’   এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারা দেশের মহাসড়ক-সড়কে থাকা অবৈধ স্থাপনা, হাটবাজার, ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম এ রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে এবার রুল জারি করলেন হাইকোর্ট। আইনে মহাসড়কের সংরক্ষণ রেখার মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার কথা বলা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, “সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত, মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ, হাটবাজার বসানো বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মহাসড়কের কোনো অংশ ব্যবহার করা যাবে না।” আইনের ভাষ্য অনুযায়ী, মহাসড়কের উভয় পাশের ভূমির প্রান্তসীমা থেকে ১০ মিটার অথবা সরকার কর্তৃক গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্ধারিত রেখাকে “সংরক্ষণ রেখা” হিসাবে ধরা হয়। আইনে “সংরক্ষণ রেখা” বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ এই আইনের তোয়াক্কা না করেই মহাসড়কে চলছে হাটবাজার। ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রের বরাতে মহাসড়কের হাটবাজার নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম যুগান্তর। সেখানে বলা হয়, সারাদেশের ৮,৮৮৭টি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ছোট-বড় ১০,০০০ এর বেশি দোকান নিয়ে অন্তত ২৭৫টি স্থায়ী, অস্থায়ী এবং অবৈধ হাটবাজার গড়ে উঠেছে। এসব হাটবাজার ঘিরে পণ্য পরিবহন, থ্রি-হুইলারের চলাচল, বাস-ট্রাকস্ট্যান্ড ও মানুষের চলাফেরা কমাচ্ছে সড়কের গতি। যত্রতত্র মানুষের রাস্তা পারাপারে ঘটছে দুর্ঘটনা, মরছে মানুষ। আরও পড়ুন : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী শহর দখলের দাবি আরাকান আর্মির   বিভিন্ন সময় মহাসড়কসংলগ্ন দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও কিছুদিন পরই বিভিন্ন পক্ষের সমঝোতায় তা আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এবার এসব হাটবাজার অপসারণে হাইকোর্ট রুল জারি করলেন।     
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়