• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যেভাবে দিন কাটছে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’র সেই রইছের (ভিডিও)
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ সিনেমায় রইছ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন অভিনয়শিল্পী বিজয় চৌধুরী। নব্বইয়ের থেকে শূন্য দশকের দর্শকমাত্রই রইছকে চেনেন। সেই সিনেমাটির ওই দৃশ্য দেখে আজও দর্শকের চোখে পানি চলে আসে। আলোচিত সেই ছবির দৃশ্যে দেখা যায় বুড়ির (সুচরিতা) ঘরে আত্মগোপনে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে এসেছে পাকিস্তানি হানাদাররা। মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে নিজের বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী পুত্রসন্তান রইছকে উৎসর্গ করেন মা। রইছের হাতে বন্দুক ধরিয়ে দিয়ে ঘরের বাইরে পাঠান; বাড়ির আঙিনায় রইছের বুক ঝাঁজরা করে চলে যায় হানাদাররা। আমগাছের তলায় রইছের নিথর দেহ পড়ে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে পাঠিয়ে নিথর সন্তানকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বুড়ি। মাত্র একটি দৃশ্যে অভিনয় করে আজও দর্শকদের মনে রয়ে গিয়েছেন বিজয়। ১৯৯৩ সালে পরিচালক রায়হান মুজিবের ‘প্রেমপ্রীতি’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে বিজয়ের। মাঝে আরও দু-তিনটি সিনেমা করলেও রইছকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। ১৯৯৭ সালে ‘লাট ভাই’-এর পর আর কোনো সিনেমায় পাওয়া যায়নি তাকে। মাঝে আড়াই দশকে আর কোনো সিনেমা করেননি। টুকটাক নাটক করলেও নিয়মিত নন। অভিনয়ের বাইরে মূলত ব্যবসায়ী হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। দু-তিন বছর ধরে তৈরি পোশাক রপ্তানি করছেন তিনি। চার বন্ধুর সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসে অফিস নিয়েছেন। বিভিন্ন কারখানা থেকে সোয়েটার নিয়ে কলকাতায় রপ্তানি করছেন তারা। এর আগে মতিঝিলে ‘উনুন’ নামে একটি রেস্তোরাঁ ছিল বিজয়ের। প্রায় এক যুগ ধরে রেস্তোরাঁটি পরিচালনা করেছেন তিনি। করোনাভাইরাসের মধ্যে সেটি বন্ধ করে পোশাক রপ্তানি ব্যবসায় হাত দেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন বিজয় চৌধুরী। তিনি ও তাঁর স্ত্রী সালমা চৌধুরীর সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে সাবিত চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন, গত বছর বিয়ে করেছেন সাবিত। মেয়ে ফিওনা আজাদ উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছে। বিজয়ের বাবা মোহাম্মদ মনির চৌধুরী একজন অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, মা মিনা চৌধুরী গৃহিণী। বিজয়রা তিন ভাই ও এক বোন। দুই ভাই আয়ারল্যান্ডে থিতু হয়েছেন।    
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়