• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’: হোয়াইট হাউস
ইসরাইলি অবরোধের কারণে ত্রাণবাহিনী ট্রাকের প্রবেশে বাধা ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলে আরও সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় দুর্ভিক্ষের চরম ঝুঁকি রয়েছে। উত্তর গাজায় এর ঝুঁকি ও উপস্থিতি উভয়ই রয়েছে। সম্ভবত অন্তত কিছু অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ রয়েছে। এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’ বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। যদিও গাজায় দুর্ভিক্ষ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছে ইউএসএআইডি। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়ের গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে মার্কিন মূল্যায়নের ওপর ব্রিফিং করেছেন। এর আগে ইউএসএআইডি প্রধান সামান্থা পাওয়ার বলেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে বলে মূল্যায়ন করাটা ‘বিশ্বাসযোগ্য’। জ্যঁ-পিয়েরে পাওয়ারের মন্তব্য সরাসরি সম্বোধন করেননি। কিন্তু তিনি বারবার বলেছেন, গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি ‘আসন্ন’। তার এই বক্তব্য পাওয়ারের মূল্যায়নকে লঘু করে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, ‘আমরা গাজায় মানবিক সহায়তার’ পরিমাণ বাড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় সাহায্য বহনকারী ট্রাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। তিনি বলেছেন, আমরা জানি গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তাই আমরা অবশ্যই এই ধরনের প্রতিবেদনগুলো নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গাজায় সেই সাহায্য আরও বেশি বেশি করে পাঠাতে আমরা চব্বিশ ঘণ্টা, চব্বিশ ঘণ্টাই কাজ করে যাচ্ছি। গাজায় সাহায্যের প্রবাহ আরও বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকবে’। এদিকে গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে। ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার (১০ এপ্রিল) আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৯

সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
হোয়াইট হাউসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা হুমকি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হতে পারে এ সাক্ষাতে৷ মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসে জাপানের সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট৷ এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন এবং উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পাওয়া হুমকি মোকাবিলায় জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করবেন দেশ দুটির দুই শীর্ষ নেতা৷ ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৬০ সালের পর সামরিক খাতে এবারই ওয়াশিংটন ও টোকিওর মধ্যে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখা যাবে৷ হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন, এই দুই নেতা আমাদের সামরিক বাহিনীর সমন্বয় ও একীকরণের বিষয়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর ঘোষণা দেবেন বলে আশা করছি৷ কিশিদার সফরে যা থাকছে স্ত্রী ইউকোকে নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন কিশিদা৷ তাই হোয়াইট হাউসে তাদের স্বাগত জানানোর সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দেখা গেছে ফার্স্ট লেডি জিলকেও৷ বুধবার রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আগে জিল বাইডেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দেশগুলো এমন একটি বিশ্বের অংশীদার যেখানে আমরা ধ্বংসের বদলে সৃষ্টি, রক্তপাতের পরিবর্তে শান্তি এবং স্বৈরাচারের বদলে গণতন্ত্রকে বেছে নিই৷ বুধবার দেশ দুটির মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ এরপর বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী৷ বৈঠক শেষে রোজ গার্ডেনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসবেন দুই নেতা৷ বৃহস্পতিবার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইনসের মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন জো বাইডেন৷ সেখানে উপস্থিত থাকবেন ফিলিপাইনসের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস৷ প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের পর দ্বিতীয় জাপানি নেতা হিসাবে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন কিশিদা৷ এরপর তিনি যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে বিশেষ নৈশভোজে৷ গত বছরের আগস্টে সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন কিশিদা৷ সেবার সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল৷ গত মাসে জাপানের নিপ্পন স্টিলের কাছে ইউএস স্টিল বিক্রির বিরোধিতা করেছিলেন বাইডেন৷ এ ঘটনায় কিশিদার সঙ্গে তার সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল৷ যা এখন সম্পূর্ণ বদলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫০

যে কারণে হোয়াইট হাউসে বাইডেনের ইফতার আয়োজন বাতিল হলো
পবিত্র রমজানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইফতারের আয়োজন বাতিল করেছে হোয়াইট হাউস। বিষয়টির সঙ্গে জড়িত এমন দুজন বলছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে বাইডেনের সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে কয়েকজন মুসলিম মার্কিনি আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে এ আয়োজন বাতিল করতে হয়েছে। খবর আল জাজিরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা আল-জাজিরাকে বলেছে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ইফতারের আয়োজনটি বাতিল করা হয়। এর আগে, মুসলিম কমিউনিটির সদস্যরা হোয়াইট হাউসের এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে নেতাদের সতর্ক করে দেন। কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্সের (সিএআইআর) উপ-পরিচালক অ্যাডওয়ার্ড আহমেদ মিচেল আল জাজিরাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে যেতে রাজি হওয়া আমন্ত্রিতরাসহ অনেকে উপস্থিত না হওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে। আহমেদ মিচেল আরও জানান, আমেরিকান মুসলিম জনগোষ্ঠী বেশ আগেই বলেছিল, যে হোয়াইট হাউস গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণকে ক্ষুধায় মারতে ও হামলা চালিয়ে মেরে ফেলতে ইসরায়েল সরকারকে সক্রিয় সমর্থন দেয়, তার সঙ্গে খাবার খাওয়াটা হবে একবারেই অগ্রহণযোগ্য।  সোমবার (১ এপ্রিল) মার্কিন গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে, হোয়াইট হাউস মুসলিম কমিউনিটির জন্য ইফতারের আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরই হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, তারা ইফতারের আয়োজন নয় বরং শুধু মুসলিম সরকারি কর্মীদের জন্য এক ভোজের আয়োজন করবে। আর মুসলিম আমেরিকান কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে আলাদা একটি সাক্ষাতের ব্যবস্থা করবে। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরেই প্রভাবশালী মুসলিম আমেরিকান প্রতিনিধিদের নিয়ে ইফতারের আয়োজন করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা। পবিত্র রমজানে হোয়াইট হাউসে ইফতারের অনুষ্ঠান করার বিষয়টি সেখানে অন্য ধর্ম ও সংস্কৃতির অনুষ্ঠান আয়োজনেরই এক প্রতিফলন। এমন আয়োজন স্থানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরনের উৎসবের অনুভূতি দেয় এবং ঐতিহ্যগতভাবে এটি সংবাদকর্মীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। এদিকে মুসলিম আমেরিকান অধিকারকর্মীদের কয়েকজন বলেছেন, সাক্ষাতের এ আয়োজন হবে একসঙ্গে ‘ছবি তোলার এক সুযোগমাত্র’। তাদের যুক্তি, মুসলিম জনগোষ্ঠীর লোকজন ছয় মাস ধরেই তাদের অবস্থান জানিয়ে আসছেন।  আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইন সংগঠনের পরিচালক (উন্নয়ন) মোহাম্মদ হাবেহ আল জাজিরাকে বলেন, আমাদের কটা বৈঠক হলো, তাতে কতজন গেলেন, কতটা আলাপ-আলোচনা চলছে—এসব কোনো বিষয় নয়। হোয়াইট হাউস (নীতি) বদলাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মোহাম্মদ হাবেহ গুরুত্ব দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ না করলে মুসলিম আমেরিকান কমিউনিটির প্রতি তিনি যে যত্নবান, সেটি দাবি করতে পারবেন না। 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪১

বৈশ্বিক পোশাকখাতের পাওয়ার হাউস বাংলাদেশ : ডব্লিউইএফ
বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্প বৈশ্বিক পোশাকখাতের পাওয়ার হাউসে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থা (ডব্লিউইএফ)। সম্প্রতি ডব্লিউইএফ ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য থেকে টেক্সটাইল পাওয়ার হাউসে অতিক্রম করণ আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য শিক্ষার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পের পাওয়ার হাউসে পরিণত হওয়ায় বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নেমেছে এবং মোট দেশজ উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারমুখী নীতি, বেসরকারিকরণ, বাণিজ্য উদারীকরণ এবং কৌশলগত বৈদেশিক বিনিয়োগ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ও শিল্প প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার মূল চাবিকাঠি ছিল। ডব্লিউইএফ’র ব্লগে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) ম্যানুফ্যাকচারিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড সাপ্লায়ার ফাইন্যান্সের গ্লোবাল ম্যানেজার ফেমি আকিনরেবিয়ো বলেছেন, যেহুতু বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় এবং ভ্যালু চেইনে আরোহণ করতে চায়, সে জন্য আফ্রিকা পোশাক শিল্পের পরবর্তী সীমানা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যা একই ধরনের আন্তর্জাতিক সমর্থন থেকে উপকৃত হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সত্তরের দশকের শুরুতে ৯ মাস যুদ্ধের পর পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। সে সময় দেশটি অত্যন্ত দরিদ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। তখন দেশেটির অর্থনীতির মুলভিত্তি ছিল পাট, যা জনগণকে খাদ্য যোগাতেও অক্ষম ছিল। এরপর ১৯৭৪ সালে দেশটি এমন একটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে যাকে ‘পরমাণু হামলার পরের সকালের মতো’ বর্ণনা করেছিলেন ওই সময় দেশটিতে সফররত বিশ্বব্যাংকের একজন অর্থনীতিবিদ। এর কিছু বছর পর বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য একটি সরকারী প্রচারণা ফলপ্রসূ হয়েছিল। যা দেশটির কৃষি অর্থনীতিকে টেক্সটাইল এবং পোশাক উৎপাদনে পাওয়ার হাউসে রূপান্তরিত করেছে। এ শিল্পকে এমন একটি অলৌকিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রত্যাবর্তন হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে যা আজ উন্নয়নশীল দেশগুলো অনুকরণ করার চেষ্টা করছে। আকিনরেবিয়ো বলেন, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির মূলে রয়েছে দেশটির শিল্পের বেসরকারিকরণ, বাণিজ্য উদারীকরণ ও বাজারমুখী নীতি। রেডি-টু-ওয়্যার পোশাক বৃদ্ধির ‘ইঞ্জিন’ হয়ে সুতির টি-শার্ট, প্যান্ট, পুলওভার এবং ডেনিম তার প্রিয় স্পট হয়ে উঠেছে। গত এক দশকে দেশটি তার অর্থনীতিকে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম দেশে উন্নীত করেছে। লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করেছে এবং দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর আগে দেশটির অর্থনীতি বার্ষিক ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল, জিডিপি বেড়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০ ডলারে উন্নীত হয়েছিল, যা ভারতকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশই আসে শুধু পোশাক থেকে। চূড়ান্তভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের লক্ষ্য উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়া। আর এর মুল অস্ত্র দেশটির পোশাক খাত। তবে সফল শিল্পায়ন নীতির জন্য ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য বাংলাদেশ। এগুলোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা এবং রফতানি অঞ্চলগুলোতে যন্ত্রপাতি আমদানির শুল্কমুক্ত অনুমতি দেওয়া। আইএফসি‘র এ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ৩ হাজার ৫০০টিরও বেশি কারখানায় ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করেছে। দেশটি ১৬৭টি দেশে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। পোশাক কাটা, সেলাই ও একত্রিত করা কঠিন এবং ক্লান্তিকর ও সস্তা শ্রমের ওপর নির্ভর করে সাধারণত রফতানি-নেতৃত্বাধীন বৃদ্ধির মডেলগুলো চিরকাল স্থায়ী হয় না। তবে বাংলাদেশ সাফল্যের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে রয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ আসেন ফেমি আকিনরেবিয়ো। সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে মূলত নারী শ্রমশক্তির আধিপত্য রয়েছে, যাদের কাজে কারখানার ফ্লোর থেকে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি উপকৃত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএফসি) কর্মসূচি কারখানায় কাজের পরিবেশ উন্নত করেছে, লিঙ্গ বৈচিত্র্যকে উন্নত করেছে এবং নারীদের জন্য ব্যবস্থাপনার সুযোগ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই অভিন্ন সমৃদ্ধির সামাজিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী। প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের নারীরা বেশি শিক্ষিত, দেশটির তিন-চতুর্থাংশ নারী শিক্ষিত। প্রতিবেশিদের তুলনায় দেশটির নারীদের শিক্ষা গ্রহণ, উচ্চ বেতনের চাকরি এবং স্বাস্থ্যবান সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামান্য সহায়তায় উন্নয়নের সামাজিক ও টেকসই সুফল পোশাক উৎপাদনকারী দেশগুলোর পরবর্তী ক্লাস্টারে স্থানান্তরিত হবে।  সূত্র : ডব্লিউইএফ ওয়েবসাইট
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৪

পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে হোয়াইট হাউস
হোয়াইট হাউস বলেছে, পাকিস্তানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের সময় ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও দমনের খবরে তারা উদ্বিগ্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, আমরা উদ্বিগ্ন, ভোটারদের দমন পীড়ন ইত্যাদি বিষয়ে আমরা পাকিস্তান থেকে যেসব প্রতিবেদন শুনেছি তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ জানাচ্ছি। সুতরাং, আমরা পাকিস্তানের পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। হোয়াইট হাউসে জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগের সমন্বয়ক জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি যতটুকু বুঝেছি, এখনো ভোট গণনা হচ্ছে, তাই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এখনো এসব হিসাব দেখছেন। এক প্রশ্নের জবাবে কিরবি বলেন, আমি এই প্রক্রিয়ার আগে কোন কথা বলব না। ভারতীয় আমেরিকান কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি, যিনি হাউস চায়না কমিটির কো-চেয়ার, বিজয়ীর স্বীকৃতি বিলম্বিত করার জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে কৃষ্ণমূর্তি বলেন, বৃহস্পতিবারের নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভোট কারচুপি ও সহিংসতায় লিপ্ত রয়েছে এমন অসংখ্য খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফলে অবশ্যই দেশটির জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হতে হবে, সেনাবাহিনীর নয়। প্রতিটি ভোট যাতে সুষ্ঠু ও নির্ভুলভাবে গণনা করা হয় এবং যেকোনো মূল্যে সহিংসতা প্রতিরোধ করা যায় তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো জরুরি। কৃষ্ণমূর্তি বলেন, যেহেতু আমরা পাকিস্তানের ফলাফল পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছি, তাই আমি স্টেট ডিপার্টমেন্টকে এই অভিযোগগুলো পুরোপুরি পর্যালোচনা না করা পর্যন্ত বিজয়ীকে স্বীকৃতি দিতে বিলম্ব করার আহ্বান জানাচ্ছি।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৪

ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ নয়: হোয়াইট হাউস
জর্ডানে ইরানের মদত পুষ্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে বলে পেন্টাগনের অভিযোগ। কিন্তু ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়, জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ইরানকে কীভাবে জবাব দেওয়া হবে তা ঠিক করবেন প্রেসিডেন্ট নিজে। কবে কীভাবে একাজ করা হবে তা সম্পূর্ণ প্রেসিডেন্টের হাতে। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না আমেরিকা। ফলে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবে না যুক্তরাষ্ট্র। বরং যে পরিমাণ ক্ষতি ইরানের মদত পুষ্ট গোষ্ঠী করেছে, সেভাবেই তাদের জবাব দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। বস্তুত, রোববারের এই আক্রমণের পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, ইরানকে এর জবাব দেওয়া হবে। পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইরান যুদ্ধে যেতে চাইছে, এমনটা তাদের মনে হচ্ছে না। আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধে না গেলেও যোগ্য জবাব তেহরানকে দেওয়া হবে। এবং তা অতি দ্রুতই দেওয়া হবে। এদিন সিং একটি নির্দিষ্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর নামও বলেছেন। তার বক্তব্য, যারা জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে, তাদের নাম কাতাইব হেজবোল্লাহ। তারা যে আক্রমণ চালিয়েছে, তাতে ইরানের মদত স্পষ্ট। আমেরিকার হাতে নির্দিষ্ট প্রমাণ আছে। যদিও ইরান এই হামলায় তাদের যোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। জর্ডানও জানিয়েছে, ঘটনাটি তাদের এলাকায় হয়নি। সীমান্তের অন্য ধারে সিরিয়ার ভিতর ঘটেছে। আমেরিকা অবশ্য নির্দিষ্ট করে জানিয়েছে, সীমান্তে জর্ডানের দিকে তাদের যে ঘাঁটি আছে সেখানেই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। সোমবার মৃত সৈনিকদের পরিচয়ও প্রকাশ করেছে পেন্টাগন। আমেরিকার রিসার্ভ ফোর্সের সেনাদের মৃত্যু হয়েছে রোববারের ড্রোন আক্রমণে। তাদের বেস জর্জিয়ায়। এর মধ্যে ২৪ বছরের এক নারী আছে। তার বাবা দেহ চিহ্নিত করেছেন। ওই নারী স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। এদিকে আহতের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়েছে বলে এদিন জানিয়েছে পেন্টাগন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়