• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
একাধিক পদে নিয়োগ দেবে কাস্টম হাউজ
কাস্টম হাউস ঢাকা গ্রেড ভিত্তিক ২টি শূন্য পদে ৩ জনকে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: কাস্টম হাউস ঢাকা ১. পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর পদসংখ্যা: ১টি বেতন: ১১,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড-১১) যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি ২. পদের নাম: ড্রাফটসম্যান -২ পদসংখ্যা: ২টি বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) যোগ্যতা: এসএসসি সহ ডিপ্লোমা ইন ড্রাফটসম্যানশিপ চাকরির ধরন: অস্থায়ী কর্মস্থল: কুর্মিটোলা, ঢাকা বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩২ বছর। আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা কাস্টম হাউজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।  আবেদন শুরু: ২১ মার্চ ২০২৪ তারিখ সকাল ১০টা থেকে। আবেদন ফি: টেলিটক প্রি-পেইড সিমের মাধ্যমে ১ নং পদের জন্য ৩৩৫ টাকা, ২ নং পদের জন্য ২২৩ টাকা অফেরতযোগ্য হিসেবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে। আবেদনের শেষ সময়: ৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
২১ মার্চ ২০২৪, ১০:৪১

এবার ১০০ হাউজ অব ডেলিগেটসের সম্মাননা পেল ডব্লিউইউএসটি
গত বছরের জানুয়ারিতে ৪০ জন সিনেটরের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি পাবার পর এবার জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ভার্জিনিয়ার ১০০ জন হাউজ অব ডেলিগেটস বিশেষ সম্মাননা জানালো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ডব্লিউইউএসটিকে।  গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট সেভেনের ডেলিগেটস ডেমোক্রেট দলের ক্যারেন কিইস গামাররা তার উপস্থাপনায় তুলে ধরেন এই বিশ্ববিদ্যালের কথা। জানান, চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে অসাধারণ গতিতে এগিয়ে চলছে ডব্লিউইউএসটি। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার বিস্তার এবং ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানিয়া অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডেলিগেটস ক্যারেন কিইস গামাররা। তার উপস্থাপনা শেষ হতেই স্পিকার ডন স্কটের নেতৃত্বে ১০০ জন ডেলিগেটস ও গ্যালারিতে উপস্থিত অতিথিরা তুমুল করতালির মাধ্যমে সম্মননা জানান ডব্লিউইউএসটির প্রতিনিধি দলকে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ, আবুবকর হানিপ ও ফারহানা হানিপের জৈষ্ঠ্য কন্যা সাইবার সিকিউরিটির শিক্ষার্থী নাফিসা নওশিন, বিজনেস অব স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক রবিনসন, স্কুল অব বিজনেস ফ্যাকাল্টি প্রফেসর সালমান ইলবাদর, জেনারেল এডুকেশন অ্যান্ড সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেস এর অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর ড. হুয়ান লি, মার্কেটিং ডিরেক্টর হোসে উর্তেগা, স্টুডেন্ট সাকসেস ও ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ, ক্যারিয়ার সার্ভিস ও আইটি ম্যানেজার আমিত গুপ্তা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেলিন ইগিত এবং ইনফরমেশন টেকনলজির মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো: নাঈম হাসান।  ডব্লিউইউএসটির উচ্চ শিক্ষা বিস্তার ও এগিয়ে চলার কথা অবগত আছেন ভার্জিনিয়ার ৪৮তম অ্যাটর্নি জেনারেল জেসন মিয়ারেস। তাই নিজের ব্যস্ত সময় থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের জন্য সময় তুলে রেখেছিলেন আলাদা করে। দুপুর আড়াইটায় কমনওয়েলথ অব ভার্জিনিয়ার বারবারা জনস বিল্ডিংয়ে নিজ দপ্তরে ডব্লিউএসটি টিমকে আমন্ত্রণ জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে উৎসাহ প্রদান করেন এবং ধন্যবাদ জানান তিনি। এ সময় রিপাবলিকান দলের এই অ্যাটর্নি জেনারেলের হাতে একটি স্বারক তুলে দেয় ডব্লিউইউএসটির প্রতিনিধি দল। পরে ফটোসেশনের মাধ্যমে শেষ হয় এই বৈঠক।  এদিকে এশিয়ান কমিউনিটি নিয়ে বহু বছর ধরে সফলতার সঙ্গে ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে কাজ করে আসছে এমন চারটি সংগঠনের আয়োজনে একটি মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠান ছিল সন্ধ্যায়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়ার ৭৪তম গভর্নর রিপাবলিকান দলের গ্লেন ইয়ংকিন। সেইসঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন সিনেটর ও হাউজ অব ডেলিগেটস। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ১৩ সদস্যের দলটিও আমন্ত্রিত ছিলো বিশেষভাবে। ভার্জিনিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কথা উঠে আসে গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিনের বক্তৃতায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন নতুন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে কীভাবে দারুণ ভূমিকা রাখছে সেসব উঠে আসে তার কথায়।  গভর্নরের কথা ধরে উদাহরণ হিসেবে ডব্লিউইউএসটির সফলতার কথা উঠে আসে ডিস্ট্রিক সেভেনের ডেলিগেটস ক্যারেন কিইসের কথায়।  ডব্লিউইউএসটির কার্যক্রম নিয়ে অবগত আছেন জানিয়ে নিজের স্টেটে শিক্ষা সেবায় অসাধারণ ভূমিকা রাখায় ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ককে সাধুবাদ জানান গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন। সাদরে গ্রহণ করেন ডব্লিউইএসটির স্বারক। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা কামনা করেন গভর্নর। ডিনারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন। তবে এমন সম্মাননা পাবার দিনটিকে সঠিক পথে চলার স্বীকৃতি হিসেবে ধরে নিয়ে নতুন উদ্যমে পথচলার উৎসাহ উদ্দীপনা হিসেবে নিয়ে রিচমন্ড থেকে ভার্জিনিয়ায় ফিরে আসে ডব্লিউইএসটি টিম।  ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতিতে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। ঘটেছে দ্রুত প্রসার, শিক্ষার্থীদের কাছে হয়ে ওঠে জনপ্রিয়। তিন বছরের ব্যবধানে মাত্র ৩০০ থেকে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০০।  এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে লেখাপড়া করছে বিশ্বের ১২১ দেশের শিক্ষার্থী। আর এ সবকিছুর বিবেচনায় জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে টানা দ্বিতীয় বছরে মিলেছে এমন সম্মাননা।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:২৩

কুবির হাউজ টিউটরের পদত্যাগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলের হাউজ টিউটর পদত্যাগ করেছেন। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুলছুম আক্তার স্বপ্না। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগ পত্রে তিনি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল প্রভোস্টের স্বেচ্ছাচারিতা, অসহিষ্ণু আচরণ এবং অশিক্ষক সুলভ আচরণের প্রতিবাদে আমি কুলছুম আক্তার স্বপ্না হাউজ টিউটর পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করছি। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা এবং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার এবং গত ৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মসহ আট কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভুঁইয়া। এ ছাড়া গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছিলেন সহকারী প্রক্টর ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর ও ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুল হাসান।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩০

হাউজ অব কমন্সে বিতর্কিত রুয়ান্ডা বিল পাস
নিজ দলের ভেতরের বিদ্রোহ ব্যর্থ করে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে সফলভাবে নিজেদের রুয়ান্ডা বিল পাস করাতে সক্ষম হয়েছে ঋষি সুনাক সরকার। ঋষি সুনাক সরকার যুক্তরাজ্যে আশ্রয়-প্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠিয়ে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা করেছে। সরকারের ওই পরিকল্পনা আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া আটকাতে এই বিলটি প্রস্তাব করা হয়। বুধবার হাউজ অব কমন্সে তা ৩২০-২৭৬ ভোটে পাস হয়। রুয়ান্ডা নিরাপদ দেশ নয়, তাই আশ্রয় প্রত্যাশীদের সেদেশে পাঠিয়ে দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে বলে যুক্তরাজ্য সরকারের বিতর্কিত এই রুয়ান্ডা প্ল্যান গত বছর আটকে দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার পাস হওয়া বিলটি যদি আইনে পরিণত হয় তবে বিচারকরা রুয়ান্ডাকে তৃতীয় নিরাপদ দেশ হিসেবে বিবেচনা করতে বাধ্য হবেন। যেহেতু বিলটি হাউজ অব কমন্সে তৃতীয় ও চূড়ান্ত বাধা অতিক্রম করে গেছে, তাই এখন সেটি উচ্চ কক্ষ হাউজ অব লর্ডসে পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদন পেলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। পার্লামেন্টারি বিতর্কে কী বলা হয়েছে? বিরোধী দলের নেতা কেইর স্টারমার বিলটির ভিন্ন একটি প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাজ্য সরকার তাদের রুয়ান্ডা প্ল্যানের অংশ হিসেবে আশ্রয় প্রত্যাশী যে পাঁচ হাজার জনকে রুয়ান্ডা পাঠিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেছিল তাদের প্রায় ৮৫ শতাংশের খোঁজ এখন আর তাদের হাতে নেই বলে স্বীকার করেছে সুনাক সরকার। স্টারমার প্রশ্ন তোলেন, সরকার তাদের খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছে কিনা। বলেন, এই নীতি নিয়ে বিতর্কের আগেই তো এটি ব্যয়বহুল ও অকার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটা কোনো পরিকল্পনা নয়, এটা প্রহসন। শুধুমাত্র এই সরকারই এমন একটি অপসারণ নীতিতে কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড অপচয় করতে পারে, যেটি আদতে কাউকে অপসারণ করে না। রুয়ান্ডা পলিসি কী? রুয়ান্ডা প্ল্যান অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য সরকার সে দেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেবে। সেখানে তারা যুক্তরাজ্যে বসবাসের কোনো সম্ভাবনা ছাড়াই আশ্রয় চাইতে পারবে। এই প্ল্যান মূলত ২০২১ সালে করা, যখন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন এবং ঋষি সুনাক ছিলেন তার অর্থমন্ত্রী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরপরই এই পরিকল্পনা করা হয়। কারণ, ব্রেক্সিটের পরও যুক্তরাজ্যে বৈধ এবং অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলেছে। অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীরা বিশেষ করে ফ্রান্স থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে। বুধবার যে বিলটির উপর ভোট হয়েছে, সেটির লক্ষ্য মূলত সরকারের এই পরিকল্পনাটিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানোর সুযোগ সীমিত করে দেওয়া। তবে সরকার এ-ও বলেছে যে, তারা পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব তা সূক্ষ্মভাবে যাচাই করে দেখছে। তাছাড়া, রুয়ান্ডা স্পষ্ট করেই বলেছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন হবে না এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই কেবল তারা কোনো চুক্তিতে অগ্রসর হবে। যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে তিন হাজার তিনশ কোটি টাকা রুয়ান্ডাকে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের দাবি, এই নিয়ম চালু হলে অভিবাসন প্রত্যাশীরা আর যুক্তরাজ্যে আসবেন না।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৭

বাংলাদেশের নির্বাচন ও ড. ইউনূস ইস্যুতে যা বলল হোয়াইট হাউজ
বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া বা আকাঙ্ক্ষার কিছুই পরিবর্তন হয়নি। এ ছাড়া বাইডেন প্রশাসন বিশ্বজুড়ে কার্যকর এবং গতিশীল গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতাকে সমর্থন করে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছে দেশটি। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি এসব কথা জানিয়েছেন। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচন শেষ হয়েছে, বিরোধীদের দমনপীড়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচনা হচ্ছে। দ্য গার্ডিয়ান এই নির্বাচনকে ‘বিরোধীদের ওপর নির্মম দমনপীড়নে আচ্ছন্ন’ বলে চিহ্নিত করেছে। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ‘বাইডেনের গণতন্ত্র প্রচারের সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দিল বাংলাদেশ’। ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা আপনি বলেছিলেন। নির্বাচনের আগে আপনারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি ঘোষণা করেছিলেন। গণতন্ত্র প্রচারে বাইডেন প্রশাসনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? জবাবে জন কারবি বলেন, আমরা অবশ্যই এখনো বিশ্বজুড়ে কার্যকর ও প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বে বিশ্বাস করি এবং বাংলাদেশি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমাদের ইচ্ছার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের এ প্রত্যাশার মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আরেক প্রশ্নে বলা হয়, নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম ও কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন, নতুন বছরের প্রথম দিন তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তা করা হয়েছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে ইউনূসের অসামান্য অবদানের কথা বিবেচনা করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন কি এই বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছেন? জবাবে কিরবি এর সরাসরি কোনও উত্তর না দিয়ে প্রশ্নটি গ্রহণ করার কথা জানান।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়