• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
দিল্লি হাইকোর্টে মুক্তির আবেদন করলেন কেজরিওয়াল
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশকে অবৈধ বলে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) তিনি এ আবেদন করেন। খবর এনডিটিভির। এছাড়া ইডি হেফাজতে থাকাকালে নিজ দল আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন তিনি।  চিঠিটি পড়ে শোনান তার স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল। এতে তিনি বলেন, আপনারা সমাজের জন্য কাজ চালিয়ে যান। বিজেপির কাউকে ঘৃণা করবেন না। তারা সবাই আমাদের ভাইবোন। ভারতের ভেতরে ও বাইরে অনেক শক্তি রয়েছে, যেগুলো আমাদের দেশকে দুর্বল করে তুলছে। কোনো কারাগারই বেশি দিন আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি শিগগিরই বেরিয়ে আসব এবং প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করব। কেজরিওয়াল চিঠিতে আরও বলেন, কারাগারের ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকি না কেন, আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের সেবার জন্য উৎসর্গ করেছি। রক্তের প্রতিটি ফোঁটা দেশের জন্য বিলিয়ে দিয়েছি। এদিকে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর বিজেপি সরকার আম আদমি পার্টির নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির নেতা ও দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৫

এবার হাইকোর্টে লাশের সুরক্ষা ও কঙ্কাল চুরি রোধে রিট
এবার হাইকোর্টে সারাদেশের কবরের লাশ সুরক্ষা ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যাদের লাশ ও কঙ্কাল চুরি হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান বলেন, লাশ ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে বাংলাদেশে কোনো আইন নেই। বিশ্বের অনেক দেশেই এ সংক্রান্ত আইন আছে। কিন্তু লাশ সুরক্ষায় বাংলাদেশে কোনো আইন করা হয়নি। তিনি বলেন, লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় নিউজ এসেছে। শত শত লাশ ও কঙ্কাল চুরি হয়েছে। লাশ চুরি করে বিক্রি করা হয়। কঙ্কাল চুরি করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিক্রি করা হয়। এমনটি পাচারেরও খবর আসছে গণমাধ্যমে। এজন্য আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্ট বেঞ্চে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪

হোটেল-রেস্টুরেন্টে অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
হোটেল ও রেস্টুরেন্টে হয়রানিমূলক অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) এ রিট আবেদন করা হয়। রিটে হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মালিকরা সব শর্তপূরণে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোঁরায় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এসব অভিযানে ৮৭২ জনকে গ্রেপ্তার এবং ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮৮৭টি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেইলি রোডের ঘটনার পর ধানমণ্ডি, খিলগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকম অনিরাপদ পরিবেশে ভবনজুড়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার বিষয় নিয়ে আলোচনায় ওঠে। এসব অভিযানে আবাসিক ভবনে নিয়মের বাইরে গিয়ে বানানো রোস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এসব অভিযানে। কোথাও কোথাও গ্রেপ্তার ও জরিমানাও করা হচ্ছে। রাস্তার পাশে ছোট খাবারের দোকান থেকেও অনেককে আটক করছে পুলিশ। ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সরকারি সংস্থাগুলোর চালানো এসব অভিযানের সমালোচনা করে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি একে ‘হয়রানি’ বলছে। ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকার হোটেল-রেস্তোঁরা, ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও রাসায়নিকের গুদামে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। 
১১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫২

ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত প্রশ্নে হাইকোর্টে শুনানি
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এ শুনানি করা হয়। আদালত অবশ্য আজকের শুনানি মুলতবি করে ১০ মার্চ পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। বুধবার (৬ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদতের বেঞ্চে এ শুনানি করা হয়। শুনানিতে বিবাদী করা হয় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং শীর্ষ কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহানকে। পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে তারা জামিন রয়েছেন। শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় তাদেরকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। হাইকোর্টের শুনানিতে কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিভাগের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল আদালত সাজা স্থগিত করতে পারে না। শুধু জরিমানার আদেশ স্থগিত করতে পারে। শুনানির সময় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অপর ৩ জনের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। তারা আগামী ১০ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার ৩ সহকর্মীকে। শ্রম আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন ড. ইউনূস। আপিল করায় দেওয়া হয় এক মাসের জামিন। জামিনের সময় শেষ হওয়ায় আবারও ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ড. ইউনূসসহ অন্যান্যরা। তাদের পক্ষে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী জামিন চান আইনজীবী। তবে আপত্তি তোলা হয় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। পরে উভয় পক্ষের যুক্তি তর্ক আমলে নিয়ে আদালত দিন-তারিখ উল্লেখ না করে জামিন মঞ্জুর করে। এদিন ড. ইউনূস বলেন, আপনারা আজকের এই ছবিটা তুলে রাখুন। দুর্নীতি দমন কমিশনের বটতলায় আমরা সবাই। এটা ঐতিহাসিক একটা ছবি। এটা আজকে-কালকে পত্রপত্রিকায় বের হবে। কিন্তু এটা যুগ যুগ ধরে নানা বইতে প্রকাশিত হবে। আপনারা সেই ইতিহাসের সাক্ষী। তিনি বলেন, এটা এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, দেশের মধ্যেও সীমাবদ্ধ নয়, সারা দুনিয়ার মানুষ লক্ষ্য করছে এই বিচারে কি হলো। আমরা যা যা করছি তা সবই তারা দেখছে। তিনি আরও বলেন, এই যে ঘটনাগুলো ঘটছে তার পক্ষে লিখুন, বিপক্ষে লিখুন কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু এটা রেকর্ডেড। জাতির ইতিহাসের একটা অংশ হয়ে যাবে। এটার জন্য কি আমরা গর্ববোধ করব, নাকি অপরাধবোধ করব? এ রকম একটা সন্তানকে এমন অপরাধে অপরাধী কেন করলাম? এগুলোর জবাব থেকে মুক্তি নেই।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৬

হাইকোর্টে ৪ বছরের নূরজাহান, মায়ের জামিনের বিষয়ে যা জানা গেল
গত ২৯ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রচারিত ‘বাবা ঘরে আসুক, কারাগার থেকে ফিরুক মা’ শীর্ষক এক সংবাদে বলা হয়, ‘গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে হামিদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির কর্মী আবদুল হামিদ ভূঁইয়া পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মা হাফসা আক্তার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। মা-বাবার জন্য কাঁদছে চার বছরের ছোট্ট নূরজাহান।’ এবার মাকে ছাড়াতে হাইকোর্টে হাজির হয়েছিল চার বছরের ছোট্ট নূরজাহান।  সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন আদালত। হাইকোর্ট বলেন, এই মহিলা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন আসামি হিসেবে। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেন, ফুটেজ আছে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও আছে। পরে হাইকোর্ট বলেন, তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখবো। কাল আনেন। তবে গত ২৯ নভেম্বর পত্রিকার প্রতিবেদনটির প্রতিবাদ জানিয়েছিল ডিএমপি। পুলিশের এ বিভাগ জানায়, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল ও তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূইয়া সম্পর্কে ২৯ নভেম্বর যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা সঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে ডিএমপি জানায়, গত ২০ নভেম্বর বিকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত হাফসা আক্তার পুতুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ওই দিন ডিএমপির কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা রুজু হলে তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ককটেল হামলার সাথে জড়িত অভিযুক্তদের অবস্থান সনাক্ত করে পুলিশ। এরপর গত ২৬ নভেম্বর হাফসা আক্তার পুতুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার হেফাজত থেকে ককটেল হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও একটি ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ককটেল বিস্ফোরণের সময় ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও ফুটেজেও এই মোটরসাইকেল ও ভ্যানিটি ব্যাগ দেখা গেছে। পুতুলের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ২০ নভেম্বর অন্য একটি মামলায় তার দেবর আঃ রহমানকে কোর্টে আনবে এমন তথ্য পেয়ে পুতুল তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূইয়া ও তাদের ছোট মেয়েসহ মোটারসাইকেলে করে বাসা থেকে কোর্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। তারা প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাদের মোটরসাইকেলটি রাখে। তারা সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানকালে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী পুতুলের কাছে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে একটি ককটেল রাখতে দেয়। পরে তারা আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ৪র্থ তলায় উঠে। সেখানে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী পুতুলের ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা ককটেলটি বের করে আদালত প্রাঙ্গণে ছুড়ে মারে। যার ফলে ককটেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার পর তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার পুলিশ রিমান্ড শেষে হাফসা আক্তার পুতুলকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ডিএমপি জানায়, হাফসা আক্তার পুতুলের স্বামী হামিদ কোতোয়ালী থানায় ২০ নভেম্বর দায়ের করা মামলার আসামী। এই মামলা দায়েরের পর থেকে তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে। পলাতক অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ ওয়ারী থানা যুবদলের সদস্য।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৬

আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধে হাইকোর্টে রিট
রাজধানীর বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছে এক আইনজীবী। সেই সঙ্গে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ছাড়াও হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট ড. ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের। রিটকারী আইনজীবী জানান, বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩০

হাতির ওপর নির্যাতন বন্ধে হাইকোর্টে জয়া আহসানের রিট
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঢালিউড-টালিউডে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়ানোর পর বলিউডেও বাজিমাত করেছেন এই অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রাণীদের প্রতি তার ভালোবাসা চোখে পড়ার মতন। মানুষের নিয়ন্ত্রণে রেখে হাতিকে সার্কাসে ব্যবহার, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধন এবং বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র‍্যালিতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদনের কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রোববার (১৮ ফ্রেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল। বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব বলেন, বাংলাদেশের ক্যাপটিভ হাতিকে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধ, হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহার এবং হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সংগঠনটি বেশ কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি দিয়ে আসছে। এর মাঝে দুইবার বন ভবন ঘেরাও করেন প্রাণী অধিকারকর্মীরা। এ সময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোনো ফলপ্রসূ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। নির্যাতিত হাতিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উপযুক্ত জবাব আসেনি বিভাগটির পক্ষ থেকে। এ কারণে রিট দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্যাতনের মাধ্যমে বাধ্য হাতিরা প্রায়শই নিজের ভেতরে থাকা ক্ষোভ ও যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ফলশ্রুতিতে লোকালয়ে তাণ্ডব ঘটিয়ে বিভিন্ন সময় অনেকেরই প্রাণহানি ঘটিয়েছে। কতিপয় অসৎ ব্যক্তির অনৈতিক ব্যবসা ও বেআইনি চাঁদা বাণিজ্যকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে জনগণের জানমালের এ ক্ষতি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, আইইউসিএনের লাল তালিকাভুক্ত প্রাণী হিসেবে এশিয়ান হাতি বর্তমানে মহাবিপদাপন্ন হওয়া সত্ত্বেও এই হাতিকে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ ব্যক্তি মালিকানায় সার্কাসের কাজে ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে প্রশ্নবিদ্ধ। সার্কাস ও চাঁদাবাজিতে বাধ্য করতে শৈশব থেকেই মা হাতির কাছ থেকে শাবককে ছাড়িয়ে নিয়ে নির্মম অত্যাচারের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়। হাতির মাহুত চাঁদাবাজির সময় একটি ধাতব হুক হাতে নিয়ে বসে থাকে। যা দিয়ে সে হাতির শরীরের বিভিন্ন দুর্বল স্থানে আঘাত করে, চাঁদাবাজিসহ মানুষের ওপর চড়াও হতে বাধ্য করে। এই প্রক্রিয়াটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এবং প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯ এর পরিপন্থি। আর এ কারণে হাতির ওপর নির্যাতন বন্ধ, বিনোদনের কাজে এই মহা বিপদাপন্ন প্রাণীর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষতি বন্ধ করতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন রিটকারীরা। এর আগেও রাজধানীতে কুকুর অপসারণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন জয়া আহসান।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৭

হাইকোর্টে হারলেন ড. ইউনূস
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীন টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল ফাইল করার রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। হাইকোর্ট জানান, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অন্য ৩ শীর্ষ কর্মকর্তা। এর আগে গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা এক মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনুস এবং এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাদের ৪ জনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২৫ দিন কারাদণ্ড দেন আদালত। আর রায়ের পরই পৃথক জামিন আবেদন করলে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৪ জনকেই জামিন দেন আদালত। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান। মামলার নথি অনুসারে, আইএফইডি কর্মকর্তারা ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশকিছু লঙ্ঘন খুঁজে পান। সেই বছরের ১৯ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি। এ ছাড়া, কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনো গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ করা হয়নি।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৪

কারাগারে ১৩ বিএনপি নেতাকর্মীর মৃত্যু : তদন্তে হাইকোর্টে রিট
বিগত কয়েক মাসে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে ১৩ বিএনপি নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট দায়ের করা হয়েছে। বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ রিট দায়ের করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজি প্রিজন্সসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, বিগত কয়েক মাসে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী মারা গেছেন। এসব মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে দেশে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট দায়ের করেছি। রিটে কারাগারে বিএনপি নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করেছি।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০০

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফের আবেদন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬ মাস সাজা স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। একই সঙ্গে তিনি যাতে বিদেশ যেতে না পারেন সেটাও উল্লেখ করা হয় আবেদনে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি যাতে বিদেশ যেতে না পারেন এবং শ্রম আপিল আদালতে ড. ইউনূসের মামলা ৬ মাসে নিষ্পত্তি জেনো হয় হাইকোর্টে সেই আবেদনও করা হয়েছে।   শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল গত ২৮ জানুয়ারি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন। ওই দিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন। আদালত সেই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এসময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চান। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে এ আপিল করেন তিনি।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়