• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
লালমনিরহাটের দুর্গাপুর দীঘলটারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক লিটন পারভেজের (২২) মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যরাতে হাতীবান্ধা উপজেলার জাওরানী সীমান্তে তার মরদেহ ফেরত দেয় ভারতীয় পুলিশ।  বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার রাতে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী পশ্চিম বর্ডার এলাকায় ৯২৩ নম্বর পিলারে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। লিটন পারভেজ ওই এলাকার দীঘলটারী সাংকাচওড়া গ্রামের মোকছেদুল হকের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে ভারতীয় গরু পাচারের সময় দীঘলটারী পশ্চিম বর্ডার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে একদল রাখাল। গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কোচবিহার জেলার দিনহাটা কৈমারী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে ঘিরে ফেলে। এ সময় গরু পাচারকারীরা এলাকায় ফোন করলে লিটন পারভেজসহ ২০/২৫ জন বাংলাদেশি তাদেরকে উদ্ধার করতে ভারতে প্রবেশ করে। লিটন পারভেজ লাঠি নিয়ে একজন বিএসএফ সদস্যকে ধাওয়া করলে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি ছোড়ে। বাকিরা পালিয়ে ফিরলেও সেই গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে পড়েছিলেন লিটন পারভেজ। পরে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। ভারতের এমজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে মারা যান যুবক লিটন। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠকের পর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। একই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বুধবার দিনগত মধ্যরাতে জাওরানী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও ভারতীয় পুলিশ লিটনের কফিনে মোড়ানো মরদেহ বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের কাছে ফেরত দেয়। এ সময় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ভারতীয় পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বাংলাদেশি যুবক লিটনের মৃত্যুর ঘটনায় বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটনোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভারতীয় পুলিশ আমাদের পুলিশের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৩

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ হস্তান্তর
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় কে এম মিনহাজ উদ্দিন (২৬) নামে আরও একজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে রমনা থানা পুলিশ। রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেইলি রোডে আগুনে নিহত কে এম মিনহাজ উদ্দিনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তার মরদেহ চাঁদপুরে জানাজা শেষে দাফন হবে।  প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে রাত ৯ টা ৫০ মিনিটের দিকে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটির দোতলায় ছিল ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের শাখা। তিনতলায় ছিল পোশাকের ব্র্যান্ড ইলিয়েন। নিচের তলায় স্যামসাংয়ের শোরুমসহ ছিল আরও বেশ কিছু দোকান। স্যামসাংয়ের শোরুমের পাশেই ছিল একটি কফি শপ। এরকম কফির দোকানসহ ফাস্টফুডের অনেকগুলো দোকান ও রেস্তোরাঁ ছিল ভবনটির নিচ থেকে উপর পর্যন্ত। ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপনের কোনো ব্যবস্থাও ছিল না ভবনটিতে। ফলে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই আসতে থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর। শেষ পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া ৪৫ জন ও পুলিশ হাসপাতালের একজনসহ মোট ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং আট জন শিশু‌। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হন অন্তত ২২ জন।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৯:১২

ডিএনএ পরীক্ষার পরই হস্তান্তর হবে ওই সাংবাদিকের মরদেহ
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির (২৬) পরিচয় শনাক্তের জন্য তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় তার পরিবারের সঙ্গে ম্যাচ করলেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। শনিবার (২ মার্চ) রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই আমেনা খাতুন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় নিহতের পরিচয় শনাক্তে তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা তার জাতীয় পরিচয় পত্রে পেয়েছি বৃষ্টি খাতুন এবং আমরা জানতে পেরেছি তার অন্য একটি নাম আছে, সেটি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। এ কারণে আমরা তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করিয়েছি। তবে তার পরিবারের কাছে এখন পর্যন্ত মরদেহ হস্তান্তর করতে পারিনি। তবে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর তার পরিবারের সঙ্গে ম্যাচ করলেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।  এর আগে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তবে এখনই তার মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মর্গ কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সহকর্মী তুষার হাওলাদারের সঙ্গে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন ওই নারী সাংবাদিক। সেসময় ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে মোট ৪৬ জনের। ওই নারী সাংবাদিকও রয়েছেন তাদের মধ্যে। প্রাথমিকভাবে যাকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে শনাক্ত করেন সহকর্মীরা। বৃষ্টি খাতুন নাকি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী এ দুই নামের জটিলতায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের মর্গে পড়ে আছে মরদেহ। হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। জানা গেছে, অভিশ্রুতি কিংবা বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম প‌শ্চিমপাড়া। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি। তবে তার বায়োডাটায় দেখা গেছে তিনি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর বাবা দাবি করে মরদেহ নিতে আসেন শাবলুল আলম সবুজ নামের একজন। তার দাবি, মুসলমান হলেও নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিতেন অভিশ্রুতি। শাবলুল আলম সবুজ বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ের আসল নাম নয়। আমার মেয়ের নাম বৃষ্টি খাতুন। আমি কেন মিথ্যা বলব? দুইদিন আগে বৃষ্টির (নিহত অভিশ্রুতির) সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। বৃষ্টি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলব? আমাদের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ ছিল না। শুধু জানতাম ও হিন্দুদের সঙ্গে চলাফেরা করতো। বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির ফুফু রোজিনা আক্তার জানান, তিনি সাভারে থাকেন। বৃষ্টি তার সঙ্গেই সাভারে থাকতেন। যাতায়াতের দূরত্ব কমানোর চিন্তা করেই বৃষ্টি হোস্টেলে ওঠেন। এখন নাম জটিলতায় তার মরদেহটিও পেতে পরিবারের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসন থেকে জানিয়েছে। তিনি বলেন, ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি তার মা বিউটি বেগমকে ফোন করে জানিয়েছিল অনুষ্ঠান শেষ হলো। সে হোস্টেলে ফিরবে। তারপর রাতে কথা বলবে। কিম্তু আর কথা হয়নি। পরের দিন ১ মার্চ খবর আসলো বৃষ্টি আর নেই।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৭

বেইলি রোড ট্রাজেডি / ৪৩ জনের মরদেহ বুঝে পেলেন স্বজনরা
রাজধানীর বেইলি রোডে 'গ্রিন কোজি কটেজ' নামক বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারানো ৪৬ জনের মধ্যে থেকে ৪৩ জনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দুজন এবং শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে একজনের মরদেহ পড়ে আছে। শনিবার দুপুর ১টায় ঢাকার অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গতকাল (১ মার্চ) ৪০ জনের মরদেহ বুঝে পান স্বজনরা। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে যে দুজনের মরদেহ আছে, তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি এখন পর্যন্ত। অপরদিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া ঝুলে আছে পরিচয় জটিলতার কারণে।  ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ওই তিনজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন হেদায়েতুল ইসলাম।  প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে রাত ৯ টা ৫০ মিনিটের দিকে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটির দোতলায় ছিল বিরিয়ানির জন্য সুপরিচিত ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের শাখা। তিনতলায় ছিল পোশাকের ব্র্যান্ড ইলিয়েন। নিচের তলায় স্যামসাং এর শোরুমসহ ছিল আরও বেশ কিছু দোকান। স্যামসাংয়ের শোরুমের পাশেই ছিল একটি কফি শপ। এরকম কফির দোকানসহ ফাস্টফুডের অনেকগুলো দোকান ও রেস্তোরা ছিল ভবনটির নিচ থেকে উপর পর্যন্ত। ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। এছাড়া অগ্নিনির্বাপনের কোনও ব্যবস্থাও ছিল না ভবনটিতে। ফলে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ভয়াবহ আকার ধারণ করে তা।  প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই আসতে থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর। শেষ পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া ৪৫ জন ও পুলিশ হাসপাতালের একজনসহ মোট ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এছাড়া, দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন ৫ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে হাসপাতাল সূত্রে।   
০২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৭

বেইলি রোডে আগুন : ২৯ মরদেহ হস্তান্তর
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৯ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।  শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর থেকে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল-নূর জানান, চেহারা, জামাকাপড় দেখে স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে।  হস্তান্তর করা মরদেহের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন নাজিয়া (৩৫), আরহান মোস্তফা (৮), সংকল্প পোদ্দার (১২), মিমু (২০), জান্নাতিন (২৩), সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা (১৭), রিয়া (২৩), স্বপ্না আক্তার (৩৭), পম্পি সাহা (৪৬), মেহেরা কবির দোলা (২৫), মাইশা কবির মাহী (২০)। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভয়াবহ এই আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ২২ জন। এরমধ্যে ৮ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এবং ১৪ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। আহতদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।    
০১ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৬

স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর শুরু
রাজধানীর বেইলি রোডের লাগা আগুনে মৃতদের মরদেহ একে একে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে রাখা এসব মরদেহ স্বজনদের বুঝি দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মরদেহ হস্তান্তর করছে পুলিশ। স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে রক্তের সম্পর্ক আছে এমন ব্যক্তি বা নিকটাত্মীয়দের ডাকা হচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ ও জরুরি বিভাগের সামনে মরদেহ বুঝে নিতে অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা । অনেকেই মরদেহ নিতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রেখেছেন। শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রথমে একটি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ নিয়ে স্বজনরা ঢামেক হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এর কয়েক মিনিট পর আরেকটি মরদেহ বুঝে নেন স্বজনরা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের কেএফসি ভবনের পাশে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিট। আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩

মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিককে হস্তান্তর করল বিজিবি
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিজিপি) সদস্যসহ ৩৩০ জন নাগরিককে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নাগরিকদের বিজিপির কাছে হস্তান্তর করা হয়। কক্সবাজারের টেকনাফের নীলা সরকার ও বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের পালিয়ে আসা ৩৩০ নাগরিককে ভোর ৫টা থেকে ১২টি বাসে করে উখিয়ার ইনানী উপকূলের নৌবাহিনীর জেটি ঘাট এলাকায় আনা হয়। এসব নাগরিকদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য। তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও পুলিশের সদস্য রয়েছেন। এর আগে সকালে স্পিডবোটযোগে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুলিশ কর্নেল মিউ থুরা নাঙয়ের নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট বিজিপির একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের ইনানী নৌ-বাহিনী জেটিঘাটে এসে পৌঁছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।  তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, একজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ৩৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিককে সেদেশের বিজিপির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে রাখাইন সীমান্তে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী আর বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে। সংঘাত চলাকালে প্রায় দুই ব্যাটালিয়ানের অফিসার, সৈনিক, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ এবং কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। প্রথমে তাদের বিমানে ফেরত পাঠাতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে মিয়ানমার রাজি হয়নি। পরে সমুদ্রপথে তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৯

মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিককে বৃহস্পতিবার হস্তান্তর
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ নাগরিককে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বিজিবি জানায়, বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের ইনানী নৌবাহিনী জেটি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার বিজিপির সদস্যসহ নাগরিকদের দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে রাখাইন সীমান্তে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী আর বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে। সংঘাত চলাকালে প্রায় দুই ব্যাটালিয়ানের অফিসার, সৈনিক, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ এবং কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। প্রথমে তাদের বিমানে ফেরত পাঠাতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে মিয়ানমার রাজি হয়নি। পরে সমুদ্রপথে তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। ইতোমধ্যে মিয়ানমারের জাহাজ এসে পৌঁছেছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দেশটির বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যসহ মোট ৩৩০ নাগরিককে বর্তমানে টেকনাফের দুটি স্কুলে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তত্ত্বাবধানে তারা সেখানে রয়েছেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৪

৩৩ হারানো মোবাইল উদ্ধার, প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর
জিডি ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মডেলের ৩৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তা প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। রোববার (১১ই ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উদ্ধার হওয়া এসব মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুুক্তা ধরের তত্ত্বাবধানে থাকা ৯টি থানা থেকে মোবাইল ফোন সংক্রান্ত জিডি ও অভিযোগগুলো সংগ্রহ করে সাইবার ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ইউনিট তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে মাত্র ৭ দিনের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন মডেলের ৩৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। হারিয়ে যাওয়া মোবাইল পিরে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত মোবাইল ফোন মালিকেরা।  এ বিষয়ে পানছড়ি থানা থেকে আগত মো. হালিম (২৫) বলেন, আমি পেশায় একজন শ্রমিক। আমি পানছড়ি সীমান্তগামী মহাসড়কে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছি। গত ২ মাস আগে আমার মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়। আমি অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে মোবাইল ফোনটি কিনেছিলাম। শখের মোবাইল ফোনটি হারিয়ে আমি মনে প্রচণ্ড কষ্ট পাই। কোন উপায় না পেয়ে আমি পানছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। আমি ভেবেছিলাম হারানো মোবাইল ফোনটি আর কখনোই ফিরে পাবো না। আজ যখন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার স্যার আমার হাতে আমার হারানো মোবাইলটি তুলে দিলেন তখন আমার কাছে স্বপ্ন মনে হচ্ছিল। আমি পুলিশ সুপার মহোদয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করি এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।  একইভাবে খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম এলাকা তাইন্দং থেকে আগত আব্দুল সবুর (৫৫) তার মেয়ের হারানো মোবাইল ফোনটি পুলিশ সুপার মহোদয়ের হাত থেকে গ্রহণ করে কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি একজন দিনমজুর। আমার মেয়ে কলেজে পড়াশোনা করে। কলেজের পড়াশোনার জন্য আমার মেয়েকে আমি অনেক কষ্ট করে ধার-দেনা করে একটি টাচ্ মোবাইল কিনে দেই। বাড়িতে চার্জ দেওয়ার সময় আমার মেয়ের মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়। আমার মেয়ে মোবাইল ফোনটি হারিয়ে প্রচণ্ড কান্নাকাটি করে। আমি আল্লাহর নিকট বিচার দেই। আজ আল্লাহ আমার ডাক শুনেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপারের মত যদি স্যার থাকতো তাহলে আমার মত গরিব দুঃখি মানুষের অনেক উপকার হতো। আল্লাহ স্যারের মঙ্গল করুন। স্যার অনেক দিন বেঁচে থাকুক। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারের আমাদের এ কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং পাশে থাকব। আমাদের খাগড়াছড়ি সাইবার ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ইউনিট আপনাদের সার্বক্ষণিক সকল প্রকার সাইবার সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৩ পণ্যের জিআই সনদ হস্তান্তর
মন্ত্রিসভার বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ৩ পণ্যের জিআই সনদ হস্তান্তর করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। শিল্প মন্ত্রণালয়ের নকশা ও ট্রেডমার্ক বিভাগের টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার জিআই সার্টিফিকেট এবং টাঙ্গাইলের শাড়ি বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের কবিতার বই ‘পিতারই প্রতিচ্ছবি’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়