• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উত্তপ্ত চুয়েট / হল না ছাড়ার ঘোষণা চুয়েট শিক্ষার্থীদের, অবরুদ্ধ উপাচার্য
বিক্ষোভের মুখে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদেরকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশ আরও বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে শিক্ষার্থীদের। জবাবে প্রশাসনিক ভবনের মূল দরজায় তালা দিয়ে হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সেইসঙ্গে জানা গেছে, তালাবদ্ধ ভবনে আটকে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে নিচে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল পৌনে পাঁচটায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে তারা জানান, দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। কোনভাবেই হল ছাড়বেন না। এসময় আবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব দাবির বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসবের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা একমত হননি। তাই আন্দোলন চলছে। কিন্তু প্রশাসন আলোচনায় না বসে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করবেন না। এর আগে আজ বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে ছাত্রদের এবং আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়তে হবে। এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বারবার আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আশানুরূপভাবে সাড়া দেননি। তাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হল না ছাড়লে কী হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ অবরুদ্ধ অবস্থাতেই মুঠোফোনে যোগাযোগ হয় সহ-উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হয়েছে। আমরা ভেতরে আছি। শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে। যেহেতু ক্যাম্পাস বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেহেতু আলোচনার আর পরিবেশ নেই।’ এদিকে হল ছাড়ার নির্দেশে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বরে থাকা ও মূল ফটকে রাখা শাহ আমানত পরিবহনের দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে পুরো ক্যাম্পাসে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় নিহত হন পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা (২২) ও দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসাইন (২১)। আহত হন জাকারিয়া হিমু (২১)। চুয়েটের কাছাকাছি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়ানগর এলাকায় পৌঁছালে তাঁদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বেপরোয়া গতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি যাত্রীবাসী বাস। দুর্ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত নয়টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীর। পরে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর গত বুধবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। আজও সড়ক বন্ধ।  
৩ ঘণ্টা আগে

আন্দোলনের জেরে চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের চলা অবরোধ ও বিক্ষোভের চার দিনের মাথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।  জানা গেছে, বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের আর শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা এবং জব্দ থাকা ২টি বাসের একটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক রেজাউল বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি একাডেমিক সভায় চুয়েট বন্ধ ঘোষণা করেছেন উপাচার্য। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বাসে আগুন দেওয়ার পর ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। এর আগে, ২৩ এপ্রিল বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। 
৬ ঘণ্টা আগে

রাবিতে জিয়াউর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির যাত্রা শুরু
‘দৃঢ় প্রত্যয়ে যুক্তিতে অঙ্গিকারবদ্ধ’ স্লোগানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জিয়াউর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির যাত্রা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে হল প্রাধ্যক্ষ কক্ষে আয়োজিত এক সভায় ২০২৩-২৪ সেশনে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে হলটিতে এই বিতর্ক সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। হলটির আবাসিক শিক্ষার্থী রিফাত হোসেনকে সভাপতি এবং অনাবিল চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন এই কমিটি গঠন করা হয়।  ১৭ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির অনুমোদন দেন হল প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন, হলটির আবাসিক শিক্ষক ও চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তপন কুমার বর্মন এবং ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হেমন্ত কুমার ভদ্র।   কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহসভাপতি মেহেদী শান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সজিব, দপ্তর সম্পাদক প্রত্যয় শিহাব, প্রচার সম্পাদক অন্তু, কোষাধ্যক্ষ জাকারিয়া আকিব, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শান্ত আহম্মেদ, অধিবেশন আয়োজন বিষয়ক সম্পাদক অরণ্য, পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক শিমুল। এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন শোভন, ক্লিনটন চাকমা, রুবাই, মাহদী, আসিফ এবং নাইমুল ইসলাম।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৭

ঈদে তিন অভিনেতাকে নিয়ে হল মাতাবেন বুবলী
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। ক্যারিয়ারে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এবার আসন্ন ঈদে তিন অভিনেতাকে নিয়ে হল মাতাবেন বুবলী। জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বুবলী অভিনীত সিনেমা ‘মায়া : দ্য লাভ’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন তরুণ পরিচালক জসিম উদ্দিন জাকির। সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি এর চিত্রনাট্যও লিখেছেন এই নির্মাতা। মুক্তিকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। সেই ধারাবাহিকতায় সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশ করা হয়। তবে পোস্টার একটি হলেও এতে লুকিয়ে রয়েছে চারজন অভিনয়শিল্পী।     সিনেমায় বুবলীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিন অভিনেতা— আনিসুর রহমান মিলন, সাইমন সাদিক এবং জিয়াউল রোশান। ইতোমধ্যে পোস্টারটি নিজেদের ফেসবুকে শেয়ার করে তিন অভিনেতাই লিখেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছবি ‘মায়া’। এ প্রসঙ্গে বুবলী জানান, তিন নায়কের বিপরীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার জন্য  নতুন ছিল। তাই কাজটাও খুব আনন্দের সঙ্গেই করেছেন তিনি।  সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা বলেন, রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘মায়া: দ্য লাভ’। কারণ ঈদের সময় সিনেমা হলে দর্শক বেশি থাকে। ফলে প্রচারণার কাজও শুরু করে দিয়েছি আমরা।  প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে আলিনুর আশিক ভূঁইয়ার প্রযোজনায় শুরু হয় সিনেমাটির কাজ। গত দুই বছরে কখনও সিনেমার কাজ টানা চলেছে, কখনও আবার বাধাও পড়েছে। অবশেষে সব জটিলতা কাটিয়ে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে বুবলীর ‘মায়া’।      
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৯

অছাত্ররা হল না ছাড়লে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে অধিকাংশ অবৈধ, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা চলে গেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এবং প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা কিছু সংখ্যক মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এখনও হলে অবস্থান করছেন। নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হলেও যারা হল ছেড়ে যাবেন না, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ছাত্র বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী বা অনুসারী যিনি হউক না কেন, অনিয়মিত বা মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তাকে আবাসিক হল ছেড়ে যেতেই হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না।’ সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক এই ইস্যুগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা তুলে ধরেন উপাচার্য। হল থেকে অছাত্রদের বের করতে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, ‘হলগুলোতে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অন্য হলের শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সংখ্যা নিরূপণ এবং তাদের নামে বরাদ্দকৃত হলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের রিপিটার শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বের করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া, অনিয়মিত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের শিক্ষা সনদ বাতিল এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হবে।’ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘মাদকের বিস্তাররোধে র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।’ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার এবং তাদের শিক্ষা সনদ বাতিল করা হয়েছে।’ পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ যথাযথ কমিটি কর্তৃক তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তিনি ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের বাসা ছেড়ে চলে গেছেন।’ দীর্ঘদিন ধরে চলমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ঘটনা প্রবাহে কয়েকটি দাবি উল্লেখপূর্বক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আন্দোলন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সেসব বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে এবং তদনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও গতিশীলতার জন্য ২/১টি পদে পরিবর্তনের বিষয়টিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিনসহ আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনার পর বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা-সংকট নিরসনে পাঁচ দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে আসছে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা লাগাতার আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় টনক নড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করা, মাদক নির্মূল, ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্তদের বিচারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৮

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শাবিপ্রবিতে হল থেকে বহিষ্কার ৮ শিক্ষার্থী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ২০২১-২২ সেশনের ব্যাচের নামকরণ নিয়ে কোন্দল এবং ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় জড়িত আট শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃতরা শাবি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সাময়িক বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকা অবস্থায় তারা আবাসিক হলে প্রবেশ করতে পারবে না। বহিষ্কৃতরা হলেন- সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাদমান হাফিজ ও রিফাত চৌধুরী রিয়াজ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের মোবাশ্বির বাঙালি, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মহসিন নাইম ও ইংরেজি বিভাগের তৈমুর সালেহীন তাউস, সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের হৃদয় মিয়া, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শান্ত তারা আদনান ও পরিসংখ্যান বিভাগের তানভীর আহমেদ। জানা যায়, ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ব্যাচের নামকরণ নিয়ে মেসেঞ্জার গ্রুপে এক শিক্ষার্থীর মন্তব্যের জের ধরে শাহপরাণ হলের সামনে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরে সমাধানের উদ্দেশ্যে ওই হলের গেস্ট রুমে ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপের কর্মীরা বসে। বিষয়টি সমাধান না হয়ে আবারও তর্কাতর্কিতে রূপ নেয় এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মামুন শাহের অনুসারীরা বঙ্গবন্ধু হলে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ নেতা সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক সজীবুর রহমান, সাবেক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়াসহ অন্যান্য গ্রুপের কর্মীরা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং হলের প্রভোস্ট বডির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বহিষ্কার ও ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, হল প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাদের হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্যরা জড়িত কিনা চূড়ান্ত তদন্ত করার জন্য আরও একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক আজিজুল বাতেন। আশাকরি, তিনি খুব দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪২

জবিতে সেই শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাসমিম সানজানা সৃষ্টিকে স্থায়ীভাবে হল (হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল করে) ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হল ছাড়ার বিষয়ে তাকে রোববার দাপ্তরিক চিঠি দেবে প্রশাসন।  শুক্রবার (৮ মার্চ) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক দীপিকা রানী। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় হলের শৃঙ্খলা কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। রোববার তাকে অফিসিয়ালি চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ হল প্রভোস্ট আরও বলেন, ‘এমন ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি কোনোভাবেই কাম্য নয়। পাশে একটা চুলা ছিল চাইলে তারা পরিবর্তন করে অন্য চুলায় রান্না করতে পারত। তারা সেটা না করে মারামারি, ভাষা খারাপ করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ গত মঙ্গলবার সকালে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইতি খাতুনকে হলের রান্নাঘরে সংগীত বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসমিম সানজানা মারধর করেছেন জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। ইতি খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, আমার রান্নার মধ্যে চুলা ফাঁকা থাকায় আপু (তাসমিম) ডিম ভাজতে চাইলে ছেড়ে দিই। কিন্তু রান্না শেষ করতে দেরি হওয়ায় এবং ক্লাসের সময় হওয়ায় দ্রুত রান্না শেষ করতে বলি। তখন তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। প্রতিবাদ করায় চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারেন। এরপরের ঘটনা মনে নেই। কারণ, মারধরে আমি অচেতন হয়ে পড়ি। জানতে চাইলে তাসমিম সাংবাদিকদের বলেন, জুনিয়র হয়ে ইতি আমার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। আমার দিকে তেড়ে আসে। আমি কি বসে থাকব? 
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:২৪

দাড়ি ছেঁড়ার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকে হল থেকে বহিষ্কার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ক্যানটিন মালিক বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে বলায় তাকে মারধর করে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত হোসাইন অভিকে হল থেকে বহিষ্কার করেছে হল প্রশাসন। তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই বহিষ্কারের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আপনি ক্যান্টিনে যেয়ে দুপুরের খাবার নিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাকি খাতায় লিখে রাখতে বলেন। এ সময় ক্যান্টিনের ক্যাটারার মো. ফাহিম আপনার নিকট পূর্বের বাকি ২ হাজার ৬৫০ টাকা চাওয়ায় আপনি পরে পরিশোধ করবেন বলে জানান। পরে ক্যান্টিনের ক্যাটারার তার ম্যানেজারকে বলে পরবর্তীতে আপনাকে আর বাকি খাবার না দিতে। এতে আপনি মেজাজ হারিয়ে ফাহিমের কলার চেপে ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং চর থাপ্পড় দেন। এক পর্যায়ে আপনি ফাহিমের শার্টের কলার এবং দাড়ি ছিঁড়ে ফেলেন। ছাত্ররা আপনাদের দুইজনকে আলাদা করে দিলে আপনি পরবর্তীতে ফাহিমকে ডেকে নিয়ে শাসান এবং এই ঘটনা নিয়ে কোনোরূপ বাড়াবাড়ি না করতে বলেন। এ ঘটনায় ক্যান্টিন ক্যাটারারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রদত্ত রিপোর্টে ও সকল সাক্ষ্য-প্রমাণ, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে আপনি দোষী হিসেবে প্রমাণিত।  এ ছাড়া গত ২০২১ সালের বিএ (সম্মান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় এবং এমএ শ্রেণিতে ভর্তি না হওয়ায় বর্তমানে আপনার ছাত্রত্বও নেই, তথাপি আপনি হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন। এ ধরনের ঘটনা ঘটানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন, মর্যাদা ও আইনের পরিপন্থি। উল্লেখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার বরাদ্দকৃত সিট বাতিলসহ আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আপনাকে হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করা হলো। ভবিষ্যতে আপনাকে হলে অবস্থান করতে দেখা গেলে আপনার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আরাফাত হোসেন অভি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এবং মাস্টারদা সূর্যসেন হলে দ্বৈতাবাসিক ১৭৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা থানার আরামডাঙ্গা গ্রামের মো. জুলফিকার আলীর ছেলে। অভি হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। একই ঘটনার প্রেক্ষিতে তাকে ছাত্রলীগ থেকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৩

মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হল অদম্য মেধাবী অপুর
যশোরের মণিরামপুরে দরিদ্র চর্মকার পরিবারে জন্ম অপু দাসের। ছোটবেলা থেকেই অর্থকষ্টে বেড়ে উঠলেও পড়াশোনায় ছিলেন সবসময়ই প্রথম সারির মেধাবীদের একজন। মণিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে এসএসসি এবং মণিরামপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী অপু দাস। কোন প্রকার কোচিং না করেই এমবিবিএস পরীক্ষায় ৭৫ নম্বর পেয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পান তিনি। যশোরের মণিরামপুরের খানপুর ঋষি পল্লীর বাসিন্দা অপু দাস। ২০২৩-২০২৪  শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান অপু। অপু দাসের বাবা অসিত দাশের পেশা জুতা ঠিক করা। যশোরের মণিরামপুরে খানপুর ঋষি পল্লীতে দুই ছেলে এবং স্ত্রী নিয়ে বাস করেন অসিত দাস। অর্থাভাবে মেডিকেলে ভর্তির স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তার। অপুর মেডিকেল পড়া নিয়ে যখন চরম অনিশ্চয়তা দেখা যায় তখন একটি স্থানীয় পত্রিকায় ‘চর্মকারের ছেলের মেডিকেল জয়, টাকার অভাবে দুশ্চিন্তায় বাবা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের সকলের নজরে আসে বিষয়টি। সংবাদ প্রকাশের পর অপু দাসের ভর্তির বিষয়ে এগিয়ে আসেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব। অপুর মেডিকেল ভর্তি এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নেন তিনি। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ছেলের এমন সাফল্যে খুশি অপুর পরিবার এবং প্রতিবেশীরাও। তানজীব নওশাদ পল্লব অপুর সাথে যোগাযোগ করে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও মিষ্টি মুখ করান এবং মেডিকেলে ভর্তি এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। ইতোমধ্যেই মেডিকেলে ভর্তির জন্য ২০ হাজার টাকা অপু এবং তার বাবার হাতে তুলে দেন পল্লব। যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব বলেন, দেশের অদম্য মেধাবীরা অর্থের অভাবে ঝড়ে পরবে এটা মেনে নেয়া যায় না। সে যেন ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারে এবং তার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনা যেন নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য আর্থিক এবং সামগ্রিক সহায়তার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। জেলা ছাত্রলীগ পরিবার তার পাশে থাকবে।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১২

১৯ ফেব্রুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ৫০তম দিন। ঘটনাবহুল এ বিশ্বে প্রতিদিন ঘটে কত না ঘটন-অঘটন। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্মের পাশাপাশি মৃত্যু হয় অনেকের। রোজকার সব ঘটনা মনে রাখা সম্ভব না হলেও, বিশেষ কিছু ঘটনা স্থায়ীভাবে দাগ কেটে থাকে মানুষের মনে। এর মাঝে কিছু ঘটনা জায়গা করে নেয় ইতিহাসের পাতায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তেমনই কিছু ঘটনা- ঘটনাবলী ১৩৮৯ - সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলক (দ্বিতীয়) দিল্লীতে নিহত হন। ১৬১৮ - ডেনিস-অস্ট্রেলিয়া যুদ্ধের অবসান হয়। মাদ্রিদ শান্তি চুক্তি অনুমোদন হয়। ১৮০৩ - সুইজারল্যান্ডে মধ্যস্থতা আইন পাস হয় (যে আইনের অধীনে ক্যান্টনস পুনরায় স্বাধীনতা অর্জন করে)। ১৮৫৫ - লিভারপুলে খাদ্য দাঙ্গা শুরু হয়। ১৮৭৮ - টমাস আলভা এডিসন ফনোগ্রাফ পেটেন্ট করেন। ১৮৯১ - ‘অমৃত বাজার পত্রিকা’ দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়। ১৯০৪ - ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন ঢাকাতে কার্জন হলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯২৪ - জেনেভায় আন্তর্জাতিক মাদক কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৪১ - কেনিয়ায় অবস্থানরত ব্রিটিশ বাহিনী ইতালীয় সোমালিল্যান্ড দখল করে নেয়। ১৯৪২ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখন্ডে প্রথমবারের মতো বিমান হামলা করে জাপান। ২৪৩ কর্মকর্তা নিহত হন। ২৩ টি বিমান বিধ্বস্ত হয় এবং ৮টি জাহাজ ডুবে যায়। ১৯৫১ - নেপালে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ১০৪ বছরের পুরনো রানা শাসনামলের পতন হয় এবং রাজ পরিবার ক্ষমতায় পুনঃঅধিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩ - সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবা থেকে সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহারে সম্মত হয়। ১৯৭৪ - বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রমনা থানার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮০ - ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী ইরানের প্রথম অভিভাবক পরিষদের জন্য ইসলাম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বা ফকিহদের মনোনয়ন দান করেন। ১৯৮৮ - ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমানের উপর ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসকের সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হোজ্জাতুল ইসলাম ফাজল্লাহ মাহলাদী শহীদ হন। ১৯৯৩ - হাইতিতে ১৫শ যাত্রীবাহী ফেরী ডুবে যায়। জীবিত উদ্ধার হয় মাত্র ২৮৫ জন। ২০১৮ - বাংলাদেশে ফোরজি সেবা চালু হয়। জন্ম ১৪৭৩ - বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস কোপার্নিকাস জন্মগ্রহণ করেন। ১৬৩০ - ভারতের মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা যোদ্ধা রাজা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ জন্ম গ্রহণ করেন। ১৭৩২ - ইংরেজ নাট্যকার রিচার্ড কাম্বারল্যান্ড জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু ১৮৬১ - কলকাতার দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ও জন হিতৈষী লোকমাতা রাণী রাসমণি প্রয়াত হন। ১৯৪৭ - সমাজসেবক স্যার আজিজুল হক মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫১ - বিখ্যাত ফরাসি লেখক, নৈতিকতাবাদী, দার্শনিক আন্দ্রে জিঁদ পরলোকগমন করেন। ১৯৭৮ - ভারতীয় বাঙালি কণ্ঠশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক ও অভিনেতা পঙ্কজ কুমার মল্লিক মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৭ - চীনের শীর্ষ নেতা দেন শিয়াও পিং মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৯ - ভারতের বাঙালি সাহিত্যিক ও বাংলা সাহিত্য পত্রিকা 'দেশ' এর প্রখ্যাত সম্পাদক সাগরময় ঘোষ প্রয়াত হন। ২০১৭ - প্রবাদপ্রতিম ভারতীয় বাঙালি গায়িকা বনশ্রী সেনগুপ্ত পরলোক গমন করেন। ২০১৯ - বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ মুহম্মদ খসরু মারা যান।  ২০২৩ - সাবেক যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন।   
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়