• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সিএনজিচালককে হত্যায় ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড 
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের শুভপুর এলাকার বাসিন্দা সিএনজিচালক রাসেলকে (১৮) হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এ রায় দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাহাঙ্গীর হোসেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের অলি ও গিয়াস উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুজিবুর রহমান জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গিয়াস উদ্দিনের প্রেমিকার কাছে গিয়াস উদ্দিন একজন মাদকসেবী এমন অভিযোগ করে সিএনজিচালক রাসেল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গিয়াস উদ্দিন পরিকল্পনা করে। ২০১৭ সালের ১৮ জুন গিয়াস উদ্দিন ও অলি মিলে রাসেলের সিএনজিটি ভাড়া করে। পরে দিনভর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি শেষে তারা কুমিল্লা এয়ারপোর্টের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে মাদকসেবন করে। মাদক সেবনের পর রাসেল অচেতন হয়ে গেলে গিয়াস উদ্দিন ও অলি মিলে রাসেলকে শাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় রাসেলের স্বজনরা চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রোববার আদালত অলি ও গিয়াস উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৪

বন কর্মকর্তা হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি নাগরিক সমাজের
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অতিসত্বর আইনের আওয়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। রোববার (৩১ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর পাঠিয়েছে সংগঠনটির নেতারা। চিঠিতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেন, দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের আওতাভুক্ত রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় বনের জমি রক্ষা করতে গিয়ে ভূমি দস্যুদের নির্মমতার শিকার হন সাজাদুজ্জামান। উখিয়া রেঞ্জের হরিণমারা অংশ থেকে পাহাড় কেটে বালু সরবরাহ করার সময় একটি মিনি ট্রাক (ডাম্পার) তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ ঘটনায় আহত হন আরও এক বন কর্মকর্তা। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে ২০২০ সালের ৭ আগস্ট মহেশখালীতে মো. ইউসুফ উদ্দীন নামে আরও এক বন রেঞ্জ কর্মকর্তা পাহাড় ও বনখেকোর হাতে অপহত্যার শিকার হয়েছিলেন। সে ঘটনারও সঠিক ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়নি। পাহাড় ও বন খেকোদের দমন করতে না পারার ব্যর্থতা এসব অপরাধীকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। এর ধারাবাহিকতায়ই সাজাদুজ্জামানকেও অপহত্যার শিকার হতে হলো। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের নেতারা। একইসঙ্গে প্রয়াত মো. ইউসুফ ও সাজাদুজ্জামানের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহত বন কর্মকর্তার চিকিৎসা দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা। চিঠিতে বনভূমি রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানানোসহ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানিয়েছেন নেতারা। প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে সই করেছেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করি এর সমন্বয়কারী খুশী কবির, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞানবিভাগ ও ডিন, বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪০

ষাটোর্ধ্ব নারীকে গলাকেটে হত্যায় জড়িত আসামি গ্রেপ্তার
নরসিংদীতে ষাটোর্ধ্ব বয়সী এক নারীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মঞ্জুরুল ইসলাম রিজুকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।  রোববার (৩১ মার্চ) নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ওই নারীর কাছ থেকে লুণ্ঠন করা কানের দুল, নাকের ফুলসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় জেলা পুলিশ। নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুত্রের সঙ্গে হাজতে পরিচয়ের সূত্রে গত ২৬ মার্চ বিকেলে পলাশ উপজেলার চরগরদী এলাকার ওই নারীর বাড়িতে যায় হত্যাকারী রিজু। একা পেয়ে ওই নারীর পরনে থাকা গয়না ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করার চেষ্টা করলে ষাটোর্ধ্ব ওই নারীকে নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় রিজু। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তী তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত রিজুকে। রিজু সদর উপজেলার চিনিশপুর এলাকার মাইনউদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিনি গত দেড় বছর আগে তার নিজ দাদিকে হত্যার পর জেলে ছিলেন।  এ সময় নারীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় স্বর্ণের দুল, নাকের ফুল এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটিও উদ্ধার করে পুলিশ।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৭

ফরিদপুরে স্কুলশিক্ষার্থী অন্তর হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি
ফরিদপুরের নগরকান্দার স্কুলছাত্র আলাউদ্দিন ওরফে অন্তর হত্যায় তিনজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।  ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মাহাবুব আলম, কামাল মাতুব্বর ও খোকন মাতুব্বর। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন আশরাফ শেখ, আজিজুল শেখ ও সুজন মাতুব্বর।  রায় ঘোষণার সময় আজিজুল শেখ ছাড়া বাকি পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) স্বপন কুমার পাল জানান, বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। এ রায়ের ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে এবং দেশে আইনের শাসনের পথ সুগম হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ জুন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের চর মানিকদী এলাকার ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র আলাউদ্দিন ওরফে অন্তরকে অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়। 
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৫

নুসরাত হত্যায় বিভাগীয় দায় থেকে অব্যাহতি পেলেন এসপি জাহাঙ্গীর
ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বিভাগীয় দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। সোমবার (১১ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা শাখা-১ এর জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ অব্যাহতি দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত এবং ফেনী জেলার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ, লিখিত জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে উভয়পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন এবং পুনঃতদন্ত প্রতিবেদনে দেওয়া মতামত, প্রাসঙ্গিক অন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র পর্যালোচনা মোতাবেক ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভাগীয় দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ার পর তৎকালীন ফেনীর পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৬

স্কুলছাত্র হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
স্কুলছাত্র অপহরণের দায়ে বগুড়ার শাজাহানপুরে সুজন সরকার (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় দেন। রায়ে হত্যার পর মরদেহ গুমের অপরাধে আসামিকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সুজন সরকার শাজাহানপুর উপজেলার লক্ষ্মীকোলা গ্রামের জাফর সরকারের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিরি কারাগারে ছিলেন। স্কুলছাত্র বুলবুল হোসেন বিজয় ওই গ্রামের সাইদুল ইসলাম সরকারের ছেলে। তিনি লক্ষীকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। মামলার এজাহারে জানা গেছে, সুজন ও বুলবুল প্রতিবেশী। ২০২২ সালের ৫ অক্টোবর সকালে বুলবুল খেলাধুলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সুজন তাকে মধু খাইয়ে খেলার কথা বলে বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে মাছ মারার টোপ খুঁজতে সহযোগিতা করতে বলে। টোপ না পেয়ে বুলবুল আসামি সুজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।  পরে রাগে দুই হাতে গলা চেপে বুলবুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সুজন। এরপর বাড়িতে গিয়ে ধারালো চাকু নিয়ে আবারও বাঁশঝাড়ে এসে বুলবুলের হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি। পরে মরদেহ গুম করার জন্য পাশের একটি বন্ধ ইট ভাটার চুল্লির মধ্যে ফেলে দেন আসামি। এ ঘটনায় ওই বছরের ১১ অক্টোবর মরদেহ পচে গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে বুলবুলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। প্রায় চারমাস পর ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানা পুলিশের এসআই ফারুক আহমেদ আদালতে সুজনকে একমাত্র আসামি করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন এবং ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।
১০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৬

বাংলাদেশিকে হত্যায় ৫ পাকিস্তানির শিরশ্ছেদ
সৌদি আরবে বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করায় পাঁচ পাকিস্তানি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) মক্কা নগরীতে তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয়। খবর গালফ নিউজের। প্রতিবেদনে থেকে জানা গেছে, ওই পাকিস্তানিদের হাতে নিহত বাংলাদেশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালানোর সময় বাংলাদেশিসহ দুই নিরাপত্তারক্ষীকে বেধড়ক পেটান ওই পাকিস্তানিরা। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।  এ ঘটনায় তদন্ত শুরু পর পাঁচ পাকিস্তানিকে বিচারিক আদালতে পাঠালে তারা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আসামিরা আবেদন করলে সর্বোচ্চ আদালত সেটি খারিজ হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে রাজকীয় ডিক্রি জারি করা হয়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঙ্গলবার মক্কায় শিরশ্ছেদের মাধ্যমে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এক ভারতীয় নাগরিককে হত্যার দায়ে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
০৭ মার্চ ২০২৪, ২০:০০

যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার দায়ে দশজনকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম মোছা. মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী এই রায় ঘোষণা করেন। জাহাঙ্গীর মনোহরগঞ্জের সরসপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।  রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৮ জন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জনই অনুপস্থিত ছিলেন।  মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের তিন ছেলে মো. রিয়াদ হোসেন, মীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সামছুল হক পাটোয়ারীর দুই ছেলে মো. ইউসুফ, মো. ইসমাইল হোসেন, ছালেহ আহম্মদের ছেলে মিশু, শহীদ উল্লাহ মেম্বারের ছেলে মো. রাজন, তাজুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া, আবুল হোসেনের ছেলে মো: মিজানুর রহমান, একই এলাকার সুলতান আহমেদের ছেলে মো. রাশেদ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে নোমান, সিরাজুল ইসলামের ছেলে সালাহ উদ্দিন, হাজী আবদুস সামাদের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে পিচ্চি কাশেম, মৌলভী আলী আকবরের ছেলে মো. শহীদউল্লা মেম্বার, নূর আহম্মদের দুই ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ ও মো. সোহাগ, মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে মো. স্বপন, মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. রাশেদ, মৃত মন্তাজুর রহমানের ছেলে মো. টিপু। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ মে পূর্বশত্রুতার বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মনোহরগঞ্জ দক্ষিণ বাতাবাড়িয়ার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলা চালায় আসামিরা। এ সময় তারা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীর আলমের ভাই মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোহরগঞ্জ থানার এসআই মো. নাছির উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটির চার্জগঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জন সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন। 
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৪

জয়পুরহাটে কৃষক হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে কৃষক নুরুল হত্যা মামলায় ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার সোটাহার ধারকী গ্রামের মৃত ফেরাজ উদ্দিনের ছেলে আ. রউফ, মোহাম্মদ আলীর ছেলে রুহুল আমিন, আবদুর রউফের ছেলে আলী হোসেন, খোকন হোসেন, মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন, আক্তারুজ্জামানের ছেলে রোকন হোসেন, বাবু হোসেন, মৃত আবু সাঈদের ছেলে মিজানুর রহমান তার ছেলে সিরাজুল। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমি গ্রামের কৃষক নুরুল হক দিনমজুরদের নিয়ে হিচমি মাঠে ধান কাটতে যায়। এ সময় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামিরা দলবদ্ধভাবে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে। এতে নুরুল হক গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত এ রায় দেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০২

কুমিল্লায় দিনমজুর হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, অপরজনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫) হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছাম্মদ ফরিদা ইয়াসমিন এই রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌশলী (এপিপি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিনগর (নদরী পূর্ব পাড়) মো. লিটন (২৬) এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার খোলপাশা গ্রামের আব্দুস সোবহান তুফান (৫০)।  রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. লিটন পলাতক থাকলেও কাঠগড়ায় অপর আসামি আবদুস সোবহান তুফান উপস্থিত ছিলেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পরিকল্পিতভাবে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই বাদীর ভগ্নিপতি দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৫৫) কোদাল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১ আগস্ট নিহতের শ্যালক চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আগানগন্ডা গ্রামের মো. ফুল মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই সুলতান উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ৯ জনের সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন। 
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়