• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।   জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন তুকাজ্জেবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরবাড়িতে থাকা অবস্থায় ১ জুলাই সালাউদ্দিন তার স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পান প্রতিবেশীরা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদী হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।  এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন আইনজীবী আব্দুল খালেক।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

শ্রীপুরে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ 
গাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিক আব্দুল লতিফকে (২৮) মুঠোফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদক ব্যবসার জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টায় শ্রীপুর পৌরসভার বহেরারচাল মাদক ব্যবসায়ী শিরিনের বাড়িতে ওই যুবককে মারধরের অভিযোগ করে স্বজনেরা। সেখান থেকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাত সাড়ে ১০টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আব্দুল লতিফ শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (কড়ইতলা) এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। অনুপস্থিতির কারণে গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় কে এস এস পোশাক কারখানা থেকে চাকরিচ্যুত হয় সে। লতিফ নিজেও নিয়মিত মাদক সেবন করতো বলে জানান এলাকাবাসী। নিহতের ছোট বোন খাদিজা আক্তার (২৩) বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ঈদের দাওয়াতের কথা বলে মোবাইলে ফোন করে শ্রীপুর পৌরসভার বহেরারচালা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী শিরিনের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় তার বন্ধু একই এলাকার সরাফত আলীর ছেলে মোফাজ্জল হোসেন। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ির বাইরে বের হলে মোফাজ্জল আব্দুল লতিফকে বাঁশ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। একপর্যায়ে তার মাথায় আঘাত লাগলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে লতিফকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকাবাসী জানান, নাজমুল ইসলামের স্ত্রী শিরিন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয়রা সকলেই তার মাদক ব্যবসার সমন্ধে অবগত রয়েছে। ঈদের আগে শিরিনের বাড়িতে একাধিকবার পুলিশ হানা দেয়। শিরিনের বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার কারণে সন্দেহ করে ডেকে নিয়ে লতিফকে পিটিয়ে হত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে তারা। লতিফ মাদক সেবন করলেও কাউকে কখনো সে ডিস্টার্ব করতো না। তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাজমুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল করে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৬

লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
লক্ষ্মীপুরে শত্রুতার জেরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা আক্তারকে (৩০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি সিরাজ মিয়াসহ (৫০) সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।   বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার সিরাজ সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের রবু মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- এরশাদ (১৯), রিপন (২৩), জাকির (২১) রিমন (২৬), রাকিব (১৯), ইব্রাহিম (২৪) ও সাহেরা বেগম (৪০)।   এর মধ্যে রিপন, রাকিব, জাকির ও রিমন প্রধান আসামি সিরাজের ছেলে। এরশাদ ও ইব্রাহিম একই এলাকার মিজানের ছেলে। অপর আসামি সাহেরা মিজানের স্ত্রী।   র‍্যাব ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন ও পানি সেচকে কেন্দ্র করে ভিকটিম জোসনাদের সঙ্গে আসামি সিরাজদের ঝগড়া হয়। এর জেরে ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে হামলা চালিয়ে ঘরে ঢুকে জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে আহত অবস্থায় দুইজনকে আশপাশের লোকজন সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জোসনাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত অবস্থায় আলা উদ্দিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত জোসনার বাবা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পর থেকে র‍্যাব তদন্ত শুরু করে। র‍্যাব-১১ এবং র‍্যাব-৭ এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং লক্ষ্মীপুর জেলার ভিন্ন ভিন্ন থানা এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে মামলার ছয়জন এজাহারনামীয় ও একজন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৬

বন কর্মকর্তা হত্যার রহস্য উন্মোচন
কক্সবাজার উখিয়া বন বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এই মামলার প্রধান আসামি ডাম্পার চালক মো. নুরুল ইসলাম বাপ্পিকে ৯ দিন পরে চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ১২টার দিকে উখিয়া থানার হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও উখিয়া সার্কেল মো. রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, গ্রেপ্তার বাপ্পি উখিয়া রাজা পালং ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড  হরিণ মারা গ্রামের মো. কাসেমের ছেলে। সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় থেকে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও উখিয়া সার্কেল মো. রাসেল জানান, উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা চিহ্নিত পাহাড় কাটা সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজসে বিভিন্ন সময়ে দোছড়ি বিটের হরিণমারা এলাকার সরকারি বনভূমির পাহাড় কেটে ড্রাম ট্রাক (ডাম্পার) গাড়ি ভর্তি করে মাটি চুরি করে নিয়ে যেত। ওই দিন  বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান মাটি পরিবহনে বাধা দিলে তাকে ডাম্পার ধাক্কায় গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে হত্যা করে আসামিরা পালিয়ে গিয়েছিল। পরে উখিয়া থানা পুলিশ এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছৈয়দ করিমকে (৩৫) গ্রেপ্তারে সক্ষম হলেও প্রধান আসামিসহ অন্যরা পলাতক ছিলেন। ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে। মামলার এক নাম্বার আসামি ডাম্পার চালক বাপ্পি চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় অবস্থান করছেন, এমন সংবাদে গত সোমবার ভোররাতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।    উল্লেখ্য, রোববার (৩১ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছিল একদল পাহাড়খেকো। খবর পেয়ে বনবিভাগের দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান সজলসহ কয়েকজন বনকর্মী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনিসহ মোটরসাইকেল আরোহী দুইজনকে পাচারকারীদের মাটিভর্তি ডাম্পট্রাক চাপা দেয়। এতে সাজ্জাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে মারা যান এবং মোহাম্মদ আলী নামের এক বনরক্ষী আহত হন। এ ঘটনায় সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সাজ্জাদুজ্জামান সজল (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে। ঘটনায় আহত বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার আবুল মনজুরের ছেলে।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০১

সর্বহারা নেতা রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৫
পাবনা সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর আত্মসমর্পণকৃত সর্বহারা নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুরের মো. বক্কর প্রামাণিকের ছেলে মো. ওহিদুল্লাহ (৪৫), পাবনা পৌর এলাকার পশ্চিম সাধুপাড়ার মহসিন রেজার ছেলে মো. আকাশ (৩০), একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শোভন ওরফে শুভ ওরফে ভালা (২৮), চর সাধুপাড়া এলাকার মৃত রুস্তম প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল হান্নান (৪৮) এবং চর শিবরামপুর এলাকার কালু বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৫)। পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদ এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডিএমপির গুলশান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী আসামি মো. ওহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আকাশ এবং শোভনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল হান্নানকে দুটি অস্ত্র এবং আব্দুর রহমানকে একটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও জানান, ওহিদুল্লাহ এবং আত্মসমর্পণকৃত সর্বহারা নেতা আব্দুর রাজ্জাক গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুরের বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। পরবর্তীতে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, মারামারি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয়ের মধ্যে চরম শক্রতা শুরু হলে ওহিদুল্লাহ নিজ এলাকা ছেড়ে শহরের সাধুপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করে। এরই জেরে ওহিদুল্লাহের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং আব্দুর রাজ্জাককে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন। ঘটনার দিন গত ১৭ মার্চ আসামি ওহিদুল্লাহ স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তার অপর দুই সহযোগীদের নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সাধুপাড়া থেকে মানিকনগর বাজারে যায় এবং সুযোগ বুঝে বিল্টুর দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৪

ছেলেকে হত্যার পর প্রকৌশলীর আত্মহত্যা, নেপথ্যে যা জানা গেল
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের একটি বাসা থেকে এক প্রকৌশলী ও তার ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মরদেহের পাশ থেকে ‘ঘটনার জন্য কেউ দায়ী নয়’ এমন একটি চিরকুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।  রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। প্রকৌশলীর স্ত্রী ও স্বজনরা জানান, জমি কিনে প্রতারিত ও শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। জানা গেছে, এদিন সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সন্ধ্যায় মশিউর রহমান ও তার ছেলে মোদাব্বির হোসেনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মরদেহ মর্গে রাখা রয়েছে, সোমবার (৮ এপ্রিল) ময়নাতদন্ত করা হতে পারে। একই সময় আহত অবস্থায় প্রকৌশলীর মেয়ে সিনথিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি শ্যামলীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও সংকটাপন্ন। ঘটনার সময় তার স্ত্রী মজিদা খাতুন ডলি বাসায় ছিলেন না। তিনি শিক্ষার্থী পড়ানোর জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন। পরিবার নিয়ে আগারগাঁও তালতলার মোল্লাপাড়ার একটি বাসার দোতলায় ভাড়া থাকতেন। মোহাম্মদপুরে ঢাকা উদ্যান কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল সাদাবের। সিনথিয়া শেরেবাংলা নগরের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ছেলেকে হত্যার পর বাবা আত্মহত্যা করেছেন। চিরকুটটি মশিউরের লেখা হতে পারে। এর পরও সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্বজনরা বলছেন, মশিউর একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করতেন। পাঁচ-ছয় বছর আগে চাকরি ছেড়ে শেয়ার বাজারে ব্যবসায় লাগেন। এতে আর্থিক সংকটে পড়েন তিনি। অন্যদিকে, কয়েক বছর আগে দক্ষিণখান এলাকায় রতন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চার শতকের মতো জমি কেনেন তিনি। তবে পরবর্তীতে জানতে পারেন, জমির দলিল ভুয়া। রতন ১০ লাখ টাকা ফেরত দিতে রাজি হন। কিন্তু সেই টাকা দিচ্ছি-দেব করে ঘুরাতে থাকেন। কিছুদিন ধরে রতন মশিউরের ফোনও রিসিভ করছিলেন না। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। হতাশা থেকেই সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। মশিউরের স্ত্রী মজিদা খাতুন ডলি জানান, ‘পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়া ও ব্যবসায় মন্দা যাওয়ায় আর্থিক অনটনে ছিলাম আমরা। আমার টিউশনির টাকা দিয়ে দুই সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে সংসারের ব্যয় বহন করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এ কারণে আমার স্বামী হতাশায় ছিলেন। অভাব-অনটনের কারণে হতাশা থেকেই হয়তো ছেলেকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন। মেয়েকেও হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।’ তিনি জানান, ‘তার স্বামী আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে শেয়ারবাজারের সেকেন্ডারি লেভেলে ব্যবসা করতেন। তবে সেখান থেকে খুব একটা আয় হতো না। গত এক সপ্তাহ থেকে ওই ব্যবসার অবস্থা আরও খারাপ হয়। এছাড়া তার স্বামী পাঁচ–ছয় বছর আগে ১৪ লাখ টাকা দিয়ে জমি কিনে প্রতারিত হন। সেই টাকা তিন–চার বছর ধরে দিচ্ছি দেব বলে ঘোরানো হচ্ছে তাদের। সংসারের খরচ জোগান দিতে তিনি চারটি টিউশনি করেন।’  ডলি বলেন, ‘টিউশনি থেকে মাসে আয় হয় আট হাজার টাকা। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বাসা থেকে টিউশনি করার জন্য বের হই। এ সময় দুই সন্তান ও স্বামী বাসায় ছিলেন। টিউশনি শেষ করে পৌনে ৪টার দিকে বাসায় এসে দেখি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। পরে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বাসার নিরাপত্তাকর্মীর সহায়তায় ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যায় না।’  তিনি আরও বলেন,  ‘একপর্যায়ে দরজা ভেঙে দেখি ঘরের এক রুমে মেয়েটা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। আরেক রুমে খাটের ওপরে ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। ওই রুমের সিলিং ফেনের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে মশিউর। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বাবা ও ছেলেকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। আর মেয়ের অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে শ্যামলী ডক্টরস কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগানস্টিক সেন্টারের নিবির পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।’  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১২

নওগাঁয় প্রমি রানী সাহা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ডঙ্গাপাড়া গ্রামের প্রমি রানী সাহাকে হত্যার প্রতিবাদে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার পরিবার। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় মানববন্ধনে প্রমি রানীর পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মেয়ে প্রমি রানী সাহাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করার পর গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করার নাটক সাজানো হয়েছে তারা আরও বলেন, প্রমি রানী সাহার স্বামী স্বপন সরকার ও তার পরিবারের লোকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। হত্যারহস্য উদঘাটন করে খুনিদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার অনুরোধ জানান প্রমি রানীর পরিবারের সদস্যরা।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৮

মহাদেবপুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নওগাঁর মহাদেবপুর অটোরিকশা চুরির অভিযোগে আরমান সাকিদার (৩৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।  শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা সদরের পাইকারি কাঁচাবাজারে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত আরমান সাকিদার পার্শ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়খলি খাঁপাড়ার আমজাদ সাকিদারের ছেলে। জানা যায়, দুপুরে পাইকারি কাঁচাবাজার থেকে একটি অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাকে আটক করে। পরে হাত বেঁধে বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে হাটের ইজারাদারের লোকজন হাত বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তাদের অফিস কক্ষে আটকিয়ে রাখে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।  খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। এদিকে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

রাইমা সেনকে হত্যার হুমকি
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাইমা সেন। অভিনেত্রীর আরও একটি পরিচয় হচ্ছে তিনি কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের নাতনি। আগামী ৬ এপ্রিল সুচিত্রা সেনের জন্মদিন। কিন্তু তার আগেই হত্যার হুমকি পেলেন রাইমা। লাগাতার হত্যার হুমকি পাওয়ায় চিন্তায় পড়ে গেছেন পরিবারের সদস্যরা।   জানা গেছে, একটি হিন্দি সিনেমাকে কেন্দ্র করে হত্যার হুমকি পাচ্ছেন রাইমা। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।  এ প্রসঙ্গে রাইমা জানান, ‘১৯৪৬ ক্যালকাটা কিলিংস’র প্রেক্ষাপটে নির্মিত সিনেমা ‘মা কালী’। এই হিন্দি সিনেমার পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পরই নানানভাবে হুমকি পাচ্ছেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, আমাকে হিন্দি ও বাংলা, দুই ভাষাতেই লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যে ভাষায় আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেটা মুখে প্রকাশ কিংবা ছাপার অযোগ্য। রাইমা আরও বলেন, বর্তমানে মুম্বাইতে আছি আমি। তাই অনেকে আমাকে এটাও বলেছেন— কলকাতাতেই তো থাকতে হবে, কীভাবে থাকবেন দেখব! অনেকে আবার বলেছেন, সুচিত্রা সেনের নাতনি হয়ে কীভাবে এটা করলেন? সবকিছু মিলিয়ে আমার পরিবার আমাকে নিয়ে ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেছে।  এ সময় দুঃখ প্রকাশ করে অভিনেত্রী বলেন, সিনেমা না দেখে শুধু অনুমানের ওপর নির্ভর করে কাউকে হত্যার হুমকি দেওয়াটা সত্যি অবাক করে আমাকে। গেল বছর ‘ভ্যাকসিন ওয়ার’ সিনেমার কারণেও বিভিন্নভাবে ট্রলের শিকার হয়েছিলাম। তবে সিনেমা মুক্তির পর কারও নেতিবাচক মন্তব্য আর পাইনি।  তাই ‘১৯৪৬ ক্যালকাটা কিলিংস’ সিনেমার টিজার আর ট্রেলার প্রকাশের সময়টুকু অপেক্ষা করছি। টিজার আর ট্রেলার দেখার পরও তাদের ধারণা পাল্টে যাবে। আর যদি এরপরও অকারণে লাগাতার হত্যার হুমকি পাই তবে পুলিশের কাছে এফআইআর করা ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না।   সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস   
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীতে ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ের দেড় বছর পর বাবার বাড়ি থেকে মোছা. স্বর্ণা (১৮) নামের এক তরুণী মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামী মো. সোহেল মৃধা (২১) এর বিরুদ্ধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ ঘটনায় মামলা হলে সোহেল মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মৃত স্বর্ণা রাজবাড়ী সদরের জৌকুড়া গ্রামের মো. মুন্নাফ মৃধা ওরফে বোনা মৃধার মেয়ে। সোহেল রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের আলাউদ্দিন মৃধার ছেলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান জানান, দেড় বছর আগে সোহেল ও স্বর্ণার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে স্বর্ণা সোহেলের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে দুজন বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে সাংসারিক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। ১৫-১৬ দিন আগে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। তখন স্বর্ণা রাগ করে তার বাবার বাড়ি চলে যায়। সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে সোহেল শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে স্ত্রী স্বর্ণার সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করে সেখানে অবস্থান করে। বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে স্বর্ণার রুমের ভিতরে ডাকচিৎকারের শব্দ শুনে পরিবারের লোকজন রুমের ভিতরে গিয়ে স্বর্ণার নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। সে সময় স্বর্ণার স্বামী সোহেল ঘর থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা স্বর্ণাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক স্বর্ণাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার স্বর্ণার মা বাদী হয়ে সোহেলের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল স্বর্ণাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। তার দেয়া তথ্যমতে হত্যায় ব্যবহৃত ওড়না উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়