• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কলেজ শিক্ষককে গলাকেটে হত্যাচেষ্টা
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে শফিকুল ইসলাম বাদল (৫৮) নামে এক কলেজ শিক্ষককে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার জামতৈল কলেজপাড়ার তার শ্বশুর বাড়ির পাশের পুকুরের পার থেকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।  তিনি উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে ও চৌবাড়ী ড. সালাম জাহানারা ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি জামতৈল কলেজপাড়া শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. রেজাউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সেহরি খাওয়ার পর নামাজ শেষে শফিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় শফিকুল ইসলাম বাড়ির পাশের পুকুরে ময়লা ফেলতে যান। তখন দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো চাপাতি দিয়ে গলাকেটে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার পরিবারে খবর দিলে তার স্বজনরা তাকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তাক্ত ধারালো চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৮

তরকারি আনতে দেরি হওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা
জামালপুরের বকশীগঞ্জে মাকে গলা করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের মরারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত চান মিয়া (২৮) ওই এলাকার নুর হোসেন ও ফুলবানু দম্পতির ছেলে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে চান মিয়ার স্ত্রী মারা যাওয়ায় মায়ের সঙ্গে তিনি বসবাস করছেন। আজ বিকেলে খাবার খাওয়ার জন্য মায়ের কাছে তরকারি চান ছেলে চান মিয়া। তরকারি আনতে দেরি হওয়ায় মাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করেন তিনি। পরে ফুলবানুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে চান মিয়া পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ফুলবানুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, এখনো কিছু জানি না। খবর নিয়ে জানাতে পারবো।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৬

হত্যাচেষ্টা মামলায় পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
হত্যাচেষ্টা ও অর্থ ছিনতাইয়ের মামলায় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম সরদার রেজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে হাজিরা দিতে গেলে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ। রেজাউল করিম রেজা পাংশা পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর গ্রামের খালেক শেখের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর পাংশা পৌর শহরের আজিজ সরদার বাসস্ট্যান্ডে একটি মারামারির সময় ৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সময় তাপস কুমার পাল (৫০) নামের এক ব্যক্তি আহত হন। পরে তাপস কুমার পাল বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।  অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ বলেন, মারামারি ও ছিনতাইয়ের একটি মামলায় পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম সরদার রেজা আদালতে হাজিরা দিতে আসলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০ মার্চ ২০২৪, ০৯:২০

লিমন হত্যাচেষ্টা মামলা পুনঃতদন্তে সিআইডিকে নির্দেশ
ঝালকাঠিতে ছয়  র‌্যাব সদস্যর বিরুদ্ধে তৎকালীন কলেজ ছাত্র লিমন হত্যাচেষ্টার মামলা পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতের বিচারক এএইচএম ইমরানুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে ছয় র‌্যাব সদস্যকে অব্যহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম নারাজি দাখিল করেন। বুধবার দুপুরে নারাজির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অংশ নেন লিমনের মায়ের আইনজীবী আক্কাস সিকদার। লিমনের মায়ের আইনজীবী আক্কাস সিকদার জানান, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এ সময় তৎকালীন কলেজ ছাত্র লিমন হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। লিমনকে বাঁচাতে তাঁর একটি পা কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় লিমনের মা বাদী হয়ে ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল তৎকালীন সময়ে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর ডিএডি লুৎফর রহমানসহ ছয় র‌্যাব সদস্যর নামে ঝালকাঠির আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে রাজাপুর থানার তৎকালীন এসআই আব্দুল হালিম তালুকদার তদন্ত করেন। তিনি ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। লিমনের মা ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন। আদালত রিভিশন মঞ্জুর করে পুনরায় মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে পিবিআই এর প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, লিমন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা সত্য, তবে কারা তাকে গুলি করেছে তার কোন সাক্ষি প্রমান পাওয়া যায়নি। এ কারণে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম আদালতে নারাজি দাখিল করেন। লিমনের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে কোন সন্ত্রাসী ছিল না। একটি ভালো ছেলেকে র‌্যাব গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে। এ ঘটনার তিনি সুষ্ঠু ও সঠিক বিচার দাবি করেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৯

মনপুরায় হত্যাচেষ্টা মামলায় ২ আসামি কারাগারে
ভোলার মনপুরায় এক ধান মাড়াই কলের ড্রাইভারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মনপুরা থানা পুলিশ। ধান মাড়াইকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় মাড়াই মেশিনের ড্রাইভার মো. শামীমকে (২৬) হত্যার উদ্দেশ্যে মেশিনে হাত ঢুকিয়ে হাত কেটে ফেলার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার কাজীরচর এলাকার ২নং ওয়ার্ড থেকে মামলার আসামি কামাল (৫০) ও হাসানকে (২৮) গ্রেপ্তার করে ভোলা জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে মনপুরা থানা পুলিশ। সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে অভিযান চালিয়ে উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের কাজীরচর গ্রাম থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের কাজীরচর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের আদর্শ কলোনি-সংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা কৃষক মো. মোখলেছুর রহমান হেজুর বাড়িতে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) মাড়াই মেশিনে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিল ভুক্তভোগী ড্রাইভার মো. শামীম (২৬)। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় একই গ্রামের পাশাপাশি বাড়ির কামাল, নুরুদ্দিন ফরাজী, হাসান, আবদুল্লাহ তাদের অপর একটি ধান মাড়াই মেশিন নিয়ে কৃষক মোখলেছুর রহমান হেজুর বাড়িতে উপস্থিত হয়। এই ধান তারা মাড়াই করবে বলে দাবি করেন। এ সময় ভুক্তভোগী ড্রাইভার শামীমকে ধান মাড়াই করতে দেখে তারা বাধা দেয়। এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাদের মেশিন দিয়ে ধান মাড়াই না করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে শামীমকে মারধর শুরু করে। এ সময় তারা শামীমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধান মাড়াই মেশিনের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ড্রাইভার শামীমের বাম হাত মেশিনের মধ্যে ঢুকে হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহত শামীমের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্তরা স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। শামীমকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আহতের বাবা মো. ইলিয়াছ বাদী হয়ে মনপুরায় থানা মামলা করেন। মামলায় কৃষক মো. মোখলেছুর রহমান হেজুসহ অভিযুক্ত পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে কাজীরচরে অভিযান চালিয়ে মামলারে ২ আসামি কামাল (৫০) ও হাসানকে (২৮) গ্রেপ্তার করে ভোলা জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে মনপুরা থানা পুলিশ। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়