• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ত্রাণের জন্য অপেক্ষারতদের ওপর হামলা, হতাহত দেড় শতাধিক
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ভিড়ে নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গাজার পৃথক দুটি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েল এই হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় অন্তত ২৯ নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে সংস্থাটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) গাজা উপত্যকায় দুটি আলাদা হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে প্রথম হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি এবং অপর হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, প্রথম ঘটনায় মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত ক্যাম্পে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের বিমান হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন।  এরপর দ্বিতীয় হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় উত্তর গাজার একটি গোলচত্বরে ত্রাণবাহী ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ভিড়ে ইসরাইলি বাহিনী গুলিবর্ষণ করলে অন্তত ২১ জন নিহত এবং আরও ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আহতরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে মেঝেতে পড়ে আছে। দুর্বল চিকিৎসা সক্ষমতার কারণে চিকিৎসা সেবা দানকারী দলগুলো এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অক্ষম। অবশ্য ত্রাণ কেন্দ্রে হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। একইসঙ্গে হামলার এসব রিপোর্টকেও ‘মিথ্যা’ বলে বর্ণনা করেছে তারা। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, যেহেতু আইডিএফ সকল ঘটনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খতার সাথে মূল্যায়ন করে, আমরা মিডিয়াকে একই কাজ করার এবং শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ওপর নির্ভর করার আহ্বান জানাই।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:০১

আগুন লাগার ‘গুজবে’ ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে বহু হতাহত 
ভারতের ঝাড়খণ্ডের কালাজারিয়া রেলস্টেশনে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এই স্টেশনটিতে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বহু মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন। খবর এনডিটিভির । এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভগলপুর থেকে বেঙ্গালুরুগামী অঙ্গা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার ‘গুজবে’ রেললাইনে লাফিয়ে পড়েন যাত্রীরা। তখন আরেকটি ট্রেন তাদের ওপর দিয়ে চলে যায়। কতজন মানুষ আহত বা নিহত হয়েছেন নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে  এনডিটিভি  জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই যাত্রীরা ট্রেনে আগুন লাগার ‘গুজবে জীবন বাঁচাতে রেললাইনে নেমে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই আরেকটি ট্রেন তাদের চাপা দেয়। এতে অনেকে কাটা পড়েন। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে জামতারায় আনতে মেডিকেল টিম, চারটি অ্যাম্বুলেন্স এবং তিনটি বাস পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন আধিকারিক । স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত একটি গুজবকে কেন্দ্র করে। ডাউন অঙ্গ এক্সপ্রেসে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ওই ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে। আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ইমারজেন্সি চেন টেনে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন যাত্রীরা। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা ঝাঁঝা-আসানসোল লোকাল ট্রেনের নিচে কাটা পড়েছেন শতাধিক যাত্রী। দুর্ঘটনার পর জামতাড়ার এসডিএম জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আমরা দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছি। একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করার জন্য আমরা রেলকে অনুরোধ জানিয়েছি। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তের পর জানা যাবে। জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। যারা গুজবের পেছনে রয়েছে তাদের যত দ্রুত সম্ভব খুঁজে বের করা হবে। এই ঘটনার বিষয়টি বিধানসভায় তুলব। যারা মারা গেছেন তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এদিকে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, অঙ্গ এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছিল বলে একটি গুজব ছড়ায়। ট্রেনের ভিতরে কেউ চেন টানেন। জামতাড়ার কাছে অঙ্গ এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে যায়। সেই সময় উল্টো দিকের লাইন ধরে একটি লোকাল ট্রেন আসছিল। সেই ট্রেনে দুই ব্যক্তি কাটা পড়েন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮

মিয়ানমারে আরাকান আর্মি-সেনাবাহিনী ব্যাপক সংঘর্ষ, বহু হতাহত
মিয়ানমারে আরাকান আর্মি ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এতে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ভোর থেকে আরাকান প্রদেশের বুচিডংয়ে এই সংঘর্ষ চলছে। জানা গেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আরাকান আর্মির সদস্যরা ফুমালি গ্রামে আশ্রয় নেয়। পরে সেখানে সেনাবাহিনীর ঘাঁটি থেকে আর্টিলারি গানসহ ভারী অস্ত্রের গোলা বর্ষণ করে। এতে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ছাড়া হামলার পর থেকে সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে রাখাইন রাজ্যের রামব্রী টাউনশিপে চলমান সংঘর্ষে মিয়ানমার বিমান বাহিনীর বোমারু বিমান বার বার শহরে উড়ে আসছে এবং শত্রুর সম্ভাব্য অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে। শুক্রবার বিকাল তিনটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে পাঁচবার বোমারু বিমান শহরটি প্রদক্ষিণ করে। দূরে শহর থেকে ধোঁয়া উঠতে লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে হামলায় আহতদের বুচিডং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন বলেও জানা গেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এর অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত ৪১ জন রোহিঙ্গাকে মংডু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা করার মতো অর্থও তাদের কাছে নেই। এরই মধ্যে হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়