• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু, সরানো হচ্ছে ডিএনসিসি কার্যালয়
কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। কার্যালয়টি মোহাম্মদপুরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার সরানোর প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৫) মোতাকাব্বীর আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসির কার্যালয় স্থানান্তরের মাধ্যমে কারওয়ান বাজারের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ঈদের আগে অফিসের সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হলেও ভবনটি ভাঙা হবে পরে। আপাতত কাঁচাবাজার সরানোর কথা ভাবছি আমরা। ব্যবসায়ীদের যেখানে স্থানান্তর করা হবে, সেখানেও কাজ শুরু হয়েছে।’ ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় সরিয়ে মোহাম্মদপুর নেওয়া হচ্ছে। শিয়া মসজিদের পাশের মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারে হবে অস্থায়ী আঞ্চলিক কার্যালয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই আঞ্চলিক কার্যালয়টি এতদিন কারওয়ান বাজার পাকা আড়ত মার্কেটে ছিল। ঢাকা সিটি করপোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় যে আটটি মার্কেট পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে, সে তালিকায় এ মার্কেটও আছে। গত ১৮ মার্চ কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে ডিএনসিসি। সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কারওয়ান বাজারের যে ভবনে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, সেটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। সেই ভবনে ১৭৬টি দোকান রয়েছে। ওই ভবন ঈদের পরে ভাঙা হবে। ভবনে থাকা ব্যবসায়ীদের গাবতলীতে স্থানান্তর করা হবে।
২৩ ঘণ্টা আগে

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে।    বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা চেয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে কমিশনারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছেন। তবে, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত দেননি তারা। বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ যাচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসনের শরীর; ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে শারীরিক অবস্থার।  এর আগে গত ১৩ মার্চ জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। পরে সেখানে তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই অসুস্থতা জেঁকে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। সে যাত্রায় হাসপাতালে ১৫৬ দিন থেকে গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কিছুদিন বিরতি দিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:৪৮

বিক্রি হচ্ছে না তরমুজ, বিপাকে কৃষক
বাজারে তরমুজ থাকলেও নেই ক্রেতা। পাইকাররাও দিচ্ছেন না দাম। তাই বিক্রি হচ্ছে না তরমুজ। পচনশীল হওয়ায় নামে মাত্র দামে পাইকারদের কাছে তরমুজ বিক্রি করছেন পটুয়াখালীর কৃষকরা। এবার জেলায় প্রচুর তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। তবে দাম খুব কম। তরমুজ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা। স্থানীয় কৃষকরা জানান, তরমুজ পাইকারি বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, পরিবহন খরচই উঠছে না। ফলে কৃষকদের মাথায় হাত। তরমুজ চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। পটুয়াখালী চরবিশ্বাসের কৃষকরা জানান, যারা খেত কিনে রেখেছিলেন বৈরি আবহাওয়ার কারণে তারা গত দুদিন অপরিপক্ক তরমুজসহ সব তরমুজ কেটে বাজারে তুলেছেন। ফলে বাজারে তরমুজ সরবরাহ থাকলেও ক্রেতা নেই। আবার কাঁচা থাকার কারণে সাধারণ ক্রেতারাও তরমুজ কিনছেন না। পাশাাপশি খেতে এখনও ৪০ থেকে ৫০ ভাগ তরমুজ রয়েছে। কৃষকরা আরও জানান, কয়েক দিন আগেও এক ট্রাক তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৭-৮ লাখ টাকায়। এখন তা ২-৩ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে খেতের তরমুজ ৪-৫ দিনের মধ্যে পেকে যাবে। তখন তরমুজ সরবরাহ আরো বাড়বে। তখনো দাম কম থাকলে কৃষকেরা পকেটের টাকা গচ্চা দিয়ে পরিবহন খরচ করে তরমুজ নিয়ে হয়তো বাজারে যাবেন না। তখন খেতেই পঁচে যাবে সব তরমুজ। কৃষকেরা বলছেন, কয়েক দিন আগে সবচেয়ে ভালো মানের ৮-১২ কেজি ওজনের ১০০টি তরমুজ পাইকারি বিক্রি ছিল ৪ হাজার টাকা। যা এখন কমে হয়েছে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। যা দিয়ে উৎপাদন খরচও উঠবে না। এরপর তা পরিবহন খরচ করে বাজারে নেওয়াতো আর সম্ভব না।  পটুয়াখালীতে এবার আগাম তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে এবং নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে উৎপাদিত এ ফসলের দাম না পেয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৮

চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনে লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখনো ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনি কাজ করছে। পানির স্বল্পতা ও রাসায়নিকের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। শনিবার (২৩ মার্চ) ভোরে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, আশপাশে পানির উৎস না থাকায় এবং রাসায়নিকের কারণে প্রচণ্ড ধোঁয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের মাত্রা বেশি হওয়ায় এরপর আরও আটটি ইউনিট পাঠানো হয়। ভোর ৫টার দিকে আগুনের তীব্রতা কমে গেলেও ধোঁয়া রয়েছে চতুর্দিকে। এছাড়া আশপাশে বিকল্প পানির উৎস না থাকায় পানির সংকট রয়েছে। রাশেদ বিন খালিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।
২৩ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩২

সন্দ্বীপে রাতের আঁধারে কাটা হচ্ছে খাসজমির মাটি 
সন্দ্বীপের রাতের আঁধারে খাসজমির মাটি কেটে বিক্রি করছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাত ১০ টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত আইন অমান্য করে এস্কেভেটর দিয়ে বেড়িবাঁধ এর বাহির থেকে ও ফসলি জমির থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একাধিক চক্র দেদারছে রাতে মাটি কেটে বিক্রি করলেও তেমন কোনো আইনি পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে দু’য়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করলেও তা আমলে নিচ্ছেন না মাটি ব্যবসায়ীরা। এসব অভিযান আর জরিমানা তার গায়ে মাখছে না। এতে চুনোপুঁটিরা আইনের আওতায় আসলেও অধিকাংশ মাটিখেকো রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। গত ১৮ মার্চ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম অবৈধ মাটি কাটার দায়ে ২টি ট্রাক জব্দ করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বলে জানান।  তিনি বলেন, অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক মালিকদের জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে। তবুও থামছে না মাটি কাটা।  ২০-৩০ ফুট গভীর করে মাটি কাটার ফলে ধীরে ধীরে ফসলি জমি পুকুরে পরিণত হচ্ছে। সন্দ্বীপের বিভিন্নপ্রান্তে  এভাবে লাগামহীন মাটিকাটা হলে পুনরায় ভাঙ্গন শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবেশ ও মানবতাবাদী আইজীবী অ্যাডভোকেট আকবর মাহমুদ বাবর বলেন, মৃত্তিকার (মাটি) এভাবে ক্ষতি করা মারাত্নক ধরনের অপরাধ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সন্দ্বীপের প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।  উপজেলার রহমতপুর, মগধরা, আজিমপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সরকারি খাস জমি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি  মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা রাতের সময়কে উত্তম সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বা আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ও পাহাড়, ফসলি জমি এবং টিলা কর্তন বা বিলুপ্ত করা নিষিদ্ধ থাকলেও মাটিখোকে সিন্ডিকেটরা তা মানছে না। এ বিষয়ে সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলনের সভাপতি হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি বলেন, বালিমহাল ও মাটিব্যবস্থাপনা আইন অতিক্রম করে দিনে রাতে মাটিকাটছে একটি চক্র। কাঁচা-রাস্তাগুলো ধ্বংস করে ও রোজাদারদের ঘুম হারাম করার পরও কেউ যেন দেখার নেই। উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাটিকাটা বন্ধে আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। অধিকাংশ এলাকায় প্রকাশ্যে রাতে ও দিনে দেদারছে মাটি মাটলেও রহস্যজনক কারণে ওইসব স্থানে কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয় না। জনস্রোতি আছে মাটি ব্যবসায়ীরা এসব করছেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে।   এ বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন পিপিএম বলেন, মাটি কাটার জন্য এখন আর কেউ বলে কয়ে কাটে না। আমরা যতটুকু পারছি ব্যবস্থা নিচ্ছি।  এ ব্যাপারে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিগ্যান চাকমা বলেন, সরকারি খাসজমির মাটি কাটা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে ব্যক্তি নিজের জমিতে থেকে কী পরিমাণ মাটি কেটে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে সেটা আইনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে। কিন্তু কোনো অবস্থায়ও সে মাটি বিক্রি করা যাবে না। তিনি সদ্য যোগদান করেছেন উল্লেখ করে বলেন, সার্বিক বিষয়ে জেনে তিনি সরকারি খাসজমি ও বেড়িবাঁধের বাইরের জমি থেকে মাটি কাটা ও বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবেন।
২২ মার্চ ২০২৪, ১২:২৮

দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আইন হচ্ছে
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ায় এ নিয়ে আইন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।  মন্ত্রী বলেন,  বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) ব্যবহারের গুরুত্ব বাড়ছে। ফলে এআইয়ের ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগানো এবং নেতিবাচক দিকগুলো পরিহার করার মাধ্যমে সার্বিক পরিকল্পনা নিয়ে এ বিষয়ে একটি আইন করা হবে। তিনি বলেন, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে খসড়া আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হবে। আনিসুল হক বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত জনপ্রিয়তার মধ্যে এর নিয়ন্ত্রণেও বিভিন্ন দেশ উদ্যোগী হয়েছে। পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোও এআই নিয়ন্ত্রণে আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে।   আইনমন্ত্রী বলেন, গুগলের জেমিনি বা মাইক্রোসফটের চ্যাটজিপিটির মতো এআইগুলো এখন বিশ্বের আলোচিত বিষয়। লেখালিখি থেকে শুরু করে প্রশ্নোত্তরসহ নানা ধরনের সৃষ্টিশীল কাজ এখন এআই দিয়েও করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে একটা ড্রাফট (খসড়া) করা হবে। সেখানে কী কী থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। উল্লেখ্য, দেশের টেলিযোগাযোগ, মোবাইল ফোন আপারেটর, ব্যাংক, অনলাইন ও কৃষিখাতসহ অনেক খাতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাব্যবহার হচ্ছে। দিনে দিনে এর গ্রাহকও বাড়ছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২০:১৫

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন বাধ্যতামূলক হচ্ছে
সর্বজনীন পেনশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে দেশের সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। আগামী ১ জুলাই বা তার পরবর্তী সময়ে যারা চাকরিতে যোগদান করবে, তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে। বুধবার (২০ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, চলতি মাসের ১৩ মার্চ সরকারের জারিকৃত এস.আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪ এর মাধ্যমে সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করবেন তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভূক্ত করেছে। এছাড়া, গত ১৩ মার্চ জারিকৃত এস.আর.ও. নং-৪৮-আইন/২০২৪-এর মাধ্যমে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য প্রত্যয় স্কিমের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিম চালুর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যমান কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং তাদের বিদ্যমান পেনশন/আনুতোষিক সুবিধা অক্ষুণ্ন  থাকবে। তবে যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবসর জীবনে মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন বিধায় ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদানকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় খুব কম সংখ্যক স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর পেনশন স্কিম চালু রয়েছে। এ ধরনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা আনুতোষিক স্কিমের আওতাভুক্ত এবং তাদের জন্য সিপিএফ ব্যবস্থা প্রযোজ্য। এ ব্যবস্থায় কর্মচারীরা চাকরি শেষে অবসর সুবিধা হিসেবে এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্য হন, কিন্তু মাসিক কোনো পেনশন প্রাপ্য হন না। এর ফলে অবসরোত্তর জীবনে প্রায় ক্ষেত্রেই আর্থিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হন। কর্মচারীদের অবসরোত্তর জীবনের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে সরকার ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রবর্তন করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা; যা কম হয় তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন হতে কর্তন করা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে দিতে হবে। উভয় অর্থ এই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত উক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্পাস হিসাবে জমা করবে। এ প্রক্রিয়ায় এই কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন ফান্ড গঠিত হবে এবং উক্ত ফান্ড জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্য মুনাফা এবং চাঁদা হিসেবে জমাকৃত অর্থের ভিত্তিতে পেনশন প্রদান করা হবে। মন্ত্রণালয় জানায়, সিপিএফ ব্যবস্থায় কর্মচারী মূল বেতনের ১০ শতাংশ এবং প্রতিষ্ঠান মূল বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ দিয়ে থাকে। প্রত্যয় স্কিমে প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে মূল বেতনের ১০ শতাংশ যা সিপিএফ ব্যবস্থা থেকে ১.৬৭ শতাংশ বেশি। প্রত্যয় স্কিমে একজন ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা নিজ বেতন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে একই পরিমাণ টাকা ৩০ বছর চাঁদা প্রদান করলে তিনি অবসর গমনের পর অর্থাৎ ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ৬২ হাজার ৩৩০ টাকা হারে পেনশন প্রাপ্য হবেন। এ ক্ষেত্রে ৩০ বছর ধরে মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ বেতন থেকে প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারী মিলিয়ে সর্বমোট চাঁদার পরিমাণ হবে ১৮ লাখ টাকা। তিনি যদি ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তবে ১৫ বছরে পেনশন প্রাপ্য হবেন ১ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা। যা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ জমার ১২.৪৭ গুণ। আজীবন পেনশন প্রাপ্য হবেন বিধায় এ পরিমাণ আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগ হতে প্রাপ্য মুনাফার হার বৃদ্ধি পেলে মাসিক পেনশনের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের যাবতীয় খরচ সরকারের নির্বাহ করা হবে বিধায় চাঁদাদাতার কর্পাস হিসাবে জমাকৃত অর্থ এবং বিনিয়োগলব্ধ আয় সম্পূর্ণ চাঁদাদাতার অ্যানুইটি হিসাবায়নের মাধ্যমে মাসিক পেনশন নির্ধারিত হবে। জমাকৃত চাঁদার উপর বিনিয়োগ রেয়াত পাওয়া যাবে এবং প্রাপ্য পেনশন আয়করমুক্ত হবে। স্কিমটি রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টিযুক্ত হওয়ায় এটি শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ। এ স্কিমে নিবন্ধিত কর্মচারী পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পরবর্তী মাস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাসিক পেনশনের অর্থ পেতে থাকবেন, যা তাকে মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে অবহিত করা হবে। এক্ষেত্রে তাকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো দপ্তরে যাওয়ার বা কোনোপ্রকার প্রমাণক দাখিলের প্রয়োজন হবে না। প্রত্যয় স্কিমটি নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আকর্ষণীয় এবং আর্থিক নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর।  
২০ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৪

সৌম্যর কনকাশন বিশ্বাস হচ্ছে না লঙ্কানদের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে বাউন্ডারি লাইনে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য সরকার। প্রথমে মনে হচ্ছিল হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছেন তিনি। তবে পরে জানা যায়, মাথায় আঘাত পেয়েছেন সৌম্য। যার কারণে তার কনকাশন বদলি হিসেবে ইনিংস উদ্বোধন করেন তানজিদ হাসান তামিম।  বদলি হিসেবে খেলতে নেমে ৮১ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। তার এই বিধ্বংসী ইনিংসেই ম্যাচের ব্যবধান গড়ে যায়। তবে সৌম্য কনকাশন সাব নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি লঙ্কানরা। সিরিজ হারের পর লঙ্কানদের সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজ বলেন, কনকাশন সাব দেখে আমরা খুবই অবাক হয়েছি। আমরা ফুটেজ দেখেছি। সে বল ধরার জন্য ডাইভ দেয়। মাথায় চোট লাগার মতো কিছু দেখিনি। তবে ম্যাচ অফিসিয়ালদের সিদ্ধান্তকে তো সম্মান জানাতে হবে। অন্যদিকে বিসিবি জানিয়েছে, আইসিসির কনকাশন রিপ্লেসমেন্টের নিয়ম মেনেই সৌম্যর বদলি হিসেবে তানজিদ তামিমকে নেয়া হয়েছে। সৌম্য মূলত একাধিক চোট পেয়েছেন। হাঁটুতে আঘাত তো পেয়েছেনই, মাটিতে পড়ে যাওয়ার সময় মাথায়ও আঘাত লেগে মাথাব্যথা শুরু হয়েছে তার। এমনকি চোখেও ঝাপসা দেখছেন তিনি। এ ব্যাপারে জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম খান বলেন, সৌম্য বাউন্ডারি বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে পড়ে যায় এবং বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে ধাক্কা খায়। তার মাথা এ সময় মাটিতে আঘাত পায় এবং কাঁধেও জোরে চোট লাগে। এরপর তার মাথাব্যথা শুরু হয় এবং দেখতে সমস্যা হচ্ছিল। সে মাঠ ছাড়ার পরপরই এসসিএটি৫ করানো হয়েছে। সে হাঁটুতেও চোট পেয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:২০

১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বেগুন
মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পাবনায় অস্বাভাবিকভাবে কমেছে বেগুনের দাম। কিছুদিন আগেই যেখানে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বেগুন, সেখানে এখন মাত্র ১০ টাকা কেজিতে বেগুন বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন সবজি বিক্রেতারা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে উপজেলার বরইচরা হাটে বেগুন ১০ টাকা কেজি দরে কেনাবেচা করতে দেখা যায়। নিম্নমানের বেগুন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫ টাকায়। এর আগে রমজানের প্রথম দিন (১২ মার্চ) সকালে পাবনার ঈশ্বরদী বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি হয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় বরইচরা হাটের কয়েকজন সবজি বিক্রেতার সঙ্গে। তারা বলেন, গেল রোববার (১৭ মার্চ) হাটে ব্যাপক সবজির আমদানি হয়েছে। বিশেষ করে বেগুন ও পাতা কপিতে হাট ভরপুর। বাজারের সবচেয়ে ভালো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজিতে। আর একটু নিম্নমানের বেগুন ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সবজি বিক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, এত বেশি বেগুনের আমদানি হয়েছে যে বেগুন কেনার ক্রেতাই পাওয়া যাচ্ছে না। যে যার মতো কমদামে বেগুন বিক্রি করছে। আমি ৪৫০ টাকা মণ বেগুন কিনে ৪০০ টাকা মণ বিক্রি করছি। কিছু তো করার নেই কাঁচামালের ব্যবসা এমনই হয়। অসময়ের বেগুন চাষে গত বছর রমজানে চাষিরা বেগুনের ভালো দাম পেয়েছিল। তাই এবারও অনেকেই বেগুন চাষ করেছে। কিন্তু এবার বেগুনের দাম তুলনামূলক অনেক কম। বেগুন চাষিদের এবার লোকসান গুনতে হবে। এ দিকে ঈশ্বরদীর বৃহৎ সবজির বাজারের আড়তদাররা বলছেন, ঈশ্বরদীতে প্রচুর সবজির আবাদ হয়। পাশাপাশি বেগুন, আলু ও কাঁচামরিচ, পেঁয়াজসহ বেশ কিছু সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্য পাশের জেলা-উপজেলা থেকে আড়তে আনা হয়। প্রথম রমজানে বেগুনের যে দাম ছিল এখন তার চার ভাগের একভাগ দামও নেই। প্রথম দিন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বেগুন কেনাবেচা হয়েছে। গত দুই দিন ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বেগুন কেনাবেচা হচ্ছে। আড়তদাররা জানান, কাঁচামালের বাজার আমদানির ওপর নির্ভর করে। তবে ২ থেকে ৪দিনের মধ্যে বেগুনের দাম আবার বেড়েও যেতে পারে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৯

সাকিব ও আমাকে নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে সংবাদ করা হচ্ছে : মেজর হাফিজ
সাকিব ও তাকে জড়িয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে মনের মাধুরী মিশিয়ে সংবাদ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বনানীতে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এ দাবি করেন তিনি। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের ছবির প্রসঙ্গ তুলে ধরে মেজর হাফিজ বলেন, সাকিব ও আমার একটি ছবি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আমি সামান্য ব্যক্তি। তারপরও ৩৭ বছর ধরে রাজনীতি করছি। দুইবার মন্ত্রী ও ৬ বার এমপি ছিলাম। ওইসব সংবাদে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা লক্ষ্য করছি। দলের নেতাকর্মীরাও এতে বিচলিত হন। তিনি বলেন, সাকিব আল হাসান আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিল। তাকে বিএনএমের দুইজন কর্মকর্তা নিয়ে এসেছিল। আমি বলেছি, তুমি এখনও খেলাধুলা করো। রাজনীতি করবা কিনা চিন্তাভাবনা করে দেখো। আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়। এই ঘটনা নির্বাচনের ৪ থেকে ৫ মাস আগে হবে। ‘যখন ক্ষমতাসীনদের চাপ বাড়তে লাগলো, তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদও ঘোষণা দিয়ে দিলেন মেজর হাফিজ আলাদা নতুন দল গঠন করে নির্বাচনে যাবেন। পরদিনই আমি সংবাদ সম্মেলন করেছি। তখনই বলেছি আমি ৩২ বছর ধরে বিএনপিতে আছি। এই দলেই থাকবো। বিএনএম বা অন্য দলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমি শেষ পর্যন্ত এ দলেই থাকবো।’- যোগ করেন মেজর হাফিজ। বিএনপির এ নেতা এরপর বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি অত্যন্ত নোংরা। দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। এখানে বিভিন্ন ধরনের কলাকৌশল করা হয়। যে দলই ক্ষমতায় থাকে তারা প্রতিপক্ষকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে। সেখান থেকে কিছু লোক বাগিয়ে এনে নিজের দলে কিংবা অন্যদলে সন্নিবেশ করে নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে চায়। নিজের জীবন খোলা বইয়ের মতো বলে উল্লেখ করে মেজর হাফিজ বলেন, সেখানে এমন কিছু করিনি যে আমাকে লজ্জিত হতে হবে। আমি সামান্য হলেও আমার এলাকার মানুষ অনেক সম্মান করেছে। ৬ বার নির্বাচিত করেছে।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়