• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় আগ্রহী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় আরও আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি যেন সব জায়গায় খেলাধুলার চর্চা হয়। দেশীয় খেলাগুলোকেও সমান সুযোগ দিতে হবে। এর মাধ্যমেই ছেলেমেয়েদের মেধা আরও বিকশিত হবে। এছাড়া ফুটবল-ক্রিকেটর পাশাপাশি দেশীয় খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিতে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই ক্ষমতায় এসেছি খেলাধুলায় ছেলেমেয়েদের আরও উৎসাহিত করছি। খেলাধুলা শৃঙ্খলা, শরীরচর্চা, দেশপ্রেম শেখায়। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও বিদেশে দেশের হয়ে গৌরব বয়ে আনছে। আমার পরিবার খেলাধুলার প্রতি সবসময়ই অনুরাগী। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। পাশাপাশি তারা যেন অনুশীলন করতে পারি সেজন্য জায়গা ও একাডেমি তৈরি করছি। শিক্ষা-দীক্ষা-খেলাধুলা সব দিক থেকেই বিশ্বে কাছে মাথা উঁচু করে চলতে হবে।
৯ মিনিট আগে

‘ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব শেষ হওয়ার আগে ইরানে হামলা করবে না ইসরায়েল’
ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ৩০ এপ্রিলের আগে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা চালানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইসরায়েলের গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। এক মার্কিন কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে এ তথ্য জানান। তবে তিনি স্বীকার করেন, এই সময়সীমা যেকোনো সময় বদলাতে পারে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা চালালে হিতে-বিপরীত হতে পারে। ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পাসওভার উৎসব সোমবার সন্ধ্যা (২২ এপ্রিল) থেকে শুরু করে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এবিসি নিউজ ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে আরও জানায়, গত শনিবার রাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল অন্তত দুইবার পাল্টা হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিলেও শেষ মুহূর্তে সে পরিকল্পনা বাতিল করে। ইসরায়েলি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এ তথ্য জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। এই আলোচনার পরই তিনি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা পাল্টা হামলার পরিকল্পনা বাতিল করেন। এবিসির প্রতিবেদন মতে, পশ্চিমা কূটনীতিকদের ধারণা, ইসরায়েল অবশ্যই ইরানকে জবাব দেবে। তবে এর মাত্রা কম হবে। বুধবার এক্সিওসের অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে হামলা অনুমোদন পেলেও তা ‘কারিগরি কারণে’ বাস্তবায়ন করা হয়নি। বৃহস্পতিবার আবারও যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। 
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৯

টাকার বিনিময়ে অক্ষয়ের নায়িকা হওয়ার সুযোগ!
প্রেক্ষাগৃহে খুব একটা ভালো চলছে না ‘বড় মিঞা ছোট মিঞা’। সিনেবিশেষজ্ঞদের কথায়, এবারেও হয়তো ব্লকবাস্টার অধরা থেকে যাবে অক্ষয় কুমারের। বক্স অফিসে ভাঁটার মাঝেই এবার বিপাকে খিলাড়ি! তার নাম ভাঙিয়ে কাস্টিংয়ের ফাঁদ! অক্ষয় কুমারের প্রযোজনা সংস্থার নামে প্রতারণা চালাচ্ছিল জনৈক। টাকা দিলেই নাকি খিলাড়ির নায়িকা হওয়া যাবে কিংবা তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা যাবে, এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুয়া কাস্টিং এজেন্সি খুলে বসেছিল ওই ব্যক্তি। এবার হাতেনাতে ধরা পড়ল মুম্বাই পুলিশের হাতে। সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গেছে, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির নাম প্রিন্স কুমার সিনহা। ২৯ বছর বয়সি ওই যুবক পূজা আনন্দানী নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া ইন্সফ্লুয়েন্সারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং নিজেকে অক্ষয়ের প্রযোজনা সংস্থা ‘কেপ অব গুড ফিল্মস’-এর কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ওই নারীকে এও বলেছিলেন যে নির্ভয়া মামলার উপর একটি সিনেমা তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে পূজাকে কাজ দেওয়া হবে। সেই সিনেমার প্রলোভন দেখিয়ে সে মেয়েটিকে জুহুতে ডেকে তার সঙ্গে দেখা করে। দু’জনেরই প্রথম দেখা হয়েছিল একটি কফি শপে। শুধু তাই নয়, তিনি মেয়েটিকে বিগ বি অর্থাৎ অমিতাভ বচ্চনের ফটোগ্রাফারের সঙ্গেও দেখা করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তিও যদিও ভুয়া। যদিও সেই প্রতারণায় ফাঁদ পা দেননি পূজা আনন্দানী। তিনি সরাসরি মুম্বাইয়ের জুহু থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই অক্ষয়ের নাম করে ভুয়া কাস্টিং এজেন্সি চালানো ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। যদিও এই প্রতারণা জাল চলাকালীন এইসব বিষয়ে ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি খিলাড়ি কুমার নিজে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১২

উচ্চ বৈষম্যের দেশ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ 
উচ্চ বৈষম্যের দেশে পরিণত হওয়ার  খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো দেশের ক্ষেত্রে বৈষম্যের নির্দেশক জিনি সহগ সূচক দশমিক ৫০০ পয়েন্ট পেরোলেই সেই দেশকে উচ্চ বৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ সূচক বেড়ে এখন দশমিক ৪৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।  বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি, বেসরকারি ও বিশেষায়িত মিলিয়ে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে ৪০টি। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন তিনটি, বেসরকারি মালিকানাধীন ৩২টি ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাঁচটি। এই ৪০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গত ডিসেম্বর শেষে গ্রাহক বা আমানতকারীর হিসাব ছিল চার লাখ ৩১ হাজার ২২১টি। যেখানে আমানতের পরিমাণ ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা।  শঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে, এই আমানতের অর্ধেকেরও বেশি কোটিপতিদের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোটিপতিদের আমানত ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০০ কোটি টাকার বেশি আমানত হিসাব মোটে ছয়টি। এ ছয় আমানতকারীর হিসাবেই আছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।  আর কোটি টাকার বেশি আমানত জমা আছে, এমন হিসাবের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৮৭। পক্ষান্তরে, পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক কোটি টাকার কম আমানত রেখেছেন এমন আমানতকারীর হিসাব আছে চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যত আমানত ছিল, তার প্রায় ৫৫ শতাংশই রয়েছে মাত্র সোয়া এক শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে। আর পৌনে ৯৯ শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে ছিল মোট আমানতের সাড়ে ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪ জন আমানতকারী মিলে জমা রেখেছেন ১৯ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। তার বিপরীতে মাত্র পাঁচ হাজার ২৮৭ জন আমানতকারী জমা রেখেছেন ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা।  এদিকে অর্থনীতিবিদরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, দেশে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। একশ্রেণির মানুষ রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে উঠছেন। তার বিপরীতে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তসহ বিপুল জনগোষ্ঠীর সঞ্চয়ে টান পড়ছে। দেশে বৈষম্য এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটিকে চরম উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাই বৈষম্য কমাতে ধনীদের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব করে আসছেন তারা। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় যে আমানত রয়েছে, তার মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণির আমানত যেমন আছে, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও আছে। ফলে কোটি টাকার বেশি আমানত যেসব হিসাবে আছে, তার সবই ব্যক্তিশ্রেণির আমানত নয়, প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও আছে এর মধ্যে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনই নয়, দেশের প্রকট বৈষম্যের তথ্য উঠে এসেছে সরকারি পরিসংখ্যানেও। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএসের খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এর তথ্য বলছে, দেশের সবচেয়ে বেশি ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতেই এখন দেশের মোট আয়ের ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয় দেশের মোট আয়ের মাত্র ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।   
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৭

মা হওয়ার খবর গোপন রাখার কারণ জানালেন অভিনেত্রী
চলতি বছরের  মার্চর মাসের ৪ তারিখে পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী আরতি ছাবরিয়া। সন্তান জন্মলাভের পরেও বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন এই অভিনেত্রী। ভক্তদের সঙ্গে সুখবরটি শেয়ার করেছেন ঠিক একমাস পরে। অভিনেত্রীর মা হওয়ার খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। প্রশ্ন উঠে― কেন এত দেরিতে মা হওয়ার খবর জানালেন আরতি? ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪১ বছর বয়সে মা হলেও অন্তঃসত্ত্বা ও মা হওয়ার খবর লুকিয়ে রেখেছিলেন অভিনেত্রী আরতি। সন্তানের নাম ইউভান। তবে এই সুখবর এতদিন গোপন রাখার পেছনে রয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। এ বলি তারকা জানিয়েছেন, এবারই প্রথম নয়। এর আগেও অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন তিনি। তখন গর্ভেই মৃত্যু হয় সেই সন্তানের। এ কারণে তখন মানসিকভাবে একদমই ভেঙে পড়েছিলেন আরতি। এছাড়া গর্ভপাত হওয়ার পর ব্যক্তিজীবনে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এ জন্য দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর কাউকে জানাতে চাননি।  এ ব্যাপারে আরতি বলেন, আমি এটা নিয়ে দ্বিধা বোধ করি না কখনো। এটাই তো স্বাভাবিক। আমিও একজন মানুষ। মানুষের ধারণা তিনি একজন অভিনেত্রী, তার জন্য এটা সহজ। টাকা দিয়েই সব হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এই যন্ত্রণা ভোলার নয়। এর চিকিৎসা শরীরকে শেষ করতে পারে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের ওষুধের খারাপ প্রতিক্রিয়ায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলাম আমি। আর ৪১ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দেয়া সহজ নয়, যতটা ২০ বা ৩০ বছর বয়সে সম্ভব।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৩৭

মান্না ভাইয়ের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয় : স্বাগতা
ঈদে মুক্তির তালিকায় আছে ডজন খানেক চলচ্চিত্র। সেই তালিকায় আছে শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী অভিনীত ‘দেয়ালের দেশ’ ছবিটি। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর সিনেমায় ফিরেছেন জিনাত শানু স্বাগতা। সম্প্রতি সিনেমাটিতে কাজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি প্রয়াত নায়ক মান্নাকে স্মরণ করেন এবং স্মৃতিচারণা করেন।  এ সময় তিনি বলেন, মান্না ভাই অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তার মতো একজন মানুষ চলচ্চিত্রশিল্প থেকে চলে গেছেন, এটা অনেক বড় লস। তিনি চলে যাওয়ার পর আমরা অনেক বছর সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখার সুযোগ পাইনি। মান্না ভাইয়ের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। তিনি লিজেন্ড। শাকিব খান মান্না ভাইয়ের জায়গা ধরেছেন, এটা আমি স্বীকার করছি না। কারণ, শাকিব খান মান্না ভাই বেঁচে থাকতেও শাকিব খানই ছিলেন। আমি বলব, মান্না ভাই চলে যাওয়ায় শাকিব খানের ওপর চাপ পড়ে গেছে বেশি। ইন্ডাস্ট্রিতেও চাপ পড়ে গেছে। শুধু একজন নায়ক থাকলে দর্শকের জন্য বিপদ, ইন্ডাস্ট্রির জন্যও বিপদ। শরীফুল রাজের সঙ্গে শাকিব খানের তুলনা করতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, এবারের ঈদে দারুণ ব্যাপার হলো শরীফুল রাজের তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছে, শাকিব খানের একটি। তাই বলতে চাই, হয়তো আমরা এমন একজন নায়ক পেয়ে গেলাম, যার চলচ্চিত্র দেখতে গিয়ে উপচে পড়বে হল। শরীফুল রাজের তিনটি সিনেমা আসছে, হয়তো শাকিব খানের ওপর চাপ কমছে। মিশুক মনি পরিচালিত ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমায় রাজ-বুবলী ছাড়াও সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, শাহাদাত হোসেন, সমাপ্তি মাশুকসহ  অনেকে।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২০

দিল্লির অধীনস্ত হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি : মেজর হাফিজ
দিল্লির অধীনস্ত হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।  মেজর হাফিজ বলেন, দিল্লির অধীনস্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। আওয়ামী লীগ এ দেশকে একটি নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা সবসময় বিদেশি শক্তির দিকে তাকিয়ে থাকে। যে গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই গণতন্ত্র নস্যাৎ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণের আজ নাভিশ্বাস অবস্থা। কিন্তু এটা নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথাই নেই। বিএনপির আন্দোলনে যোগ না দিলে জনগণ দায়ী থাকবেন উল্লেখ করে এরপর তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের জন্য আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনে জনগণকে অংশ নিতে হবে। জনগণ অংশ না নিলে এর জন্য তারা দায়ী থাকবেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:১২

মন্ত্রী হওয়ার পর দেখলাম ভেতরটা একদম ফাঁকা : রেলমন্ত্রী
'মন্ত্রী হওয়ার পর দেখলাম ভেতরটা একদম ফাঁকা।' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার (১৭ মার্চ) রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন রেলপথমন্ত্রী ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। বাংলাদেশ রেলওয়ের লোকবল সংকটের দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, আমি রেলমন্ত্রী হওয়ার পর দেখলাম ভেতরটা একদম ফাঁকা। গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে দক্ষ জনশক্তি রেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু রেল থেকে না সারা বাংলাদেশে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষ জনশক্তি বাদ দেওয়া হয়েছে।  তিনি বলেন, আমি কিছুদিন আগে সৈয়দপুরে গিয়েছিলাম। সৈয়দপুরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলের কারখানা। সেখানে কাজ করার জন্য ২৮০০ লোকের দরকার। কিন্তু সেখানে এখন আছে মাত্র ৮৫০ জন লোক। এসব জনশক্তি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। শিগগিরই রেলওয়ের শূন্যপদ পূরণ করে রেলওয়েকে সুবিধাজনক অবস্থায় আনা হবে। দেশব্যাপী ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে জানিয়ে মো. জিল্লুল হাকিম এরপর বলেন, আমাদের এখন বগি সংকট। পুরোনোগুলো মেরামত করে আমরা ঈদের মধ্যে এগুলো যুক্ত করবো। ইনশাআল্লাহ আগামী ১ বছরের মধ্যে আমাদের ৮০০ বগি হাতে এসে পৌঁছাবে। নতুন ইঞ্জিন আসবে। তখন আমরা বিভিন্ন রুটে ট্রেনও বাড়াবো। ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন রুটে বন্ধ থাকা ট্রেন চালু করছি। সম্প্রতি বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হয়েছে। রাজবাড়ী রুটে আরেকটি লোকাল ট্রেন দেওয়া হবে, যেটা পোড়াদহ থেকে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত যাবে। খুব শিগগিরই এটা দেওয়া হবে। রেলমন্ত্রী এ সময় রেলের খাবারের মান নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রেলের যে বুফে কার রয়েছে সেখানে খাবারের মান খুবই খারাপ ছিল। আমি তাদের সঙ্গে রেল ভবনে বসেছিলাম। তাদের আমি বলেছিলাম খাবারের দাম আপনারা বেশি নেন তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু মান খারাপ হলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। রেলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাড়ানোর জন্য বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি সব সমস্যা সমাধানের। এছাড়া টিকিট কালোবাজারি প্রসঙ্গে বলেন, রেলওয়েতে টিকিট কালোবাজারি রয়েছে। এরা একটি বিরাট সিন্ডিকেট। আমি রেলমন্ত্রী হওয়ার পরে ইতোমধ্যে তিনটি সিন্ডিকেট ও টিকিট কালোবাজারিদের ধরেছি।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৭

রোজা শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিয়ত কি আবশ্যক
নিয়ত একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ উদ্দেশ্য। এটি একটি ইসলামি ধারণা যেখানে একজন ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোনো ইবাদত করার আগে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। এ বিষয়ে ইবনে রজব আল হাম্বলী বলেন, যেকোনো ইবাদত শুধুমাত্র এটির উদ্দেশ্য অনুসারে বিচার করা হয়: উমর ইবনুল খাত্তাব বর্ণনা করেন যে মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন, একজন ব্যক্তির কেবল তাঁর ইচ্ছা (নিয়ত) অনুসারে পুরস্কৃত হন। ক্ষমার মহান বার্তা নিয়ে সমহিমায় হাজির হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। তাই রোজা শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিয়ত করা আবশ্যক। রমজানের প্রতিদিনই রোজার নিয়ত করতে হবে। নিয়তের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তির আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (বুখারি, হাদিস, ১)। তাই আমলের গ্রহণযোগ্যতার নিয়ত অত্যন্ত একটি জরুরি বিষয়। রমজানে রোজা রাখার জন্য নিয়ত করতে হয়। সেহেরি খাওয়ার পর মনে মনে শুধু এটুকু ভাবলেই নিয়ত হয়ে যাবে, আমি আজ রোজা রাখব। তবে এ নিয়ত পুরো রমজানের রোজার জন্য যথেষ্ট হবে না।  ইসলামি গবেষকরা বলছেন, রোজা রাখার জন্য রোজার নিয়ত জরুরি। তবে রমজান মাসে শেষ রাতে রোজা রাখার জন্য ঘুম থেকে ওঠা ও সেহরি খাওয়াটাই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। আলাদাভাবে আর কোনো নিয়তের প্রয়োজন নেই। তবে কেউ আলাদাভাবে নিয়ত করতে চাইলে করতে পারবেন। এ ছাড়া কেউ মুখে নিয়ত না করলেও তার রোজাগুলো আদায় হয়ে যাবে। (সূত্র : আল-বাহরুর রায়েক : ২/৪৫২; আল-জাওহারুতুন নাইয়্যিরাহ : ১/১৭৬; রাদ্দুল মুহতার : ৩/৩৩৯, ৩৪১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৫) রোজা সহিহ হওয়ার শর্ত রোজা সহিহ হওয়ার শর্ত দুটি। এক. রোজার নিয়ত করা। সুতরাং কেউ নিয়ত না করে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার এবং স্ত্রী মিলন থেকে বিরত থাকলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে তা রোজা হিসেবে গণ্য হবে না। দুই. নারী হায়েজ ও নেফাস থেকে পবিত্র হওয়া। অতএব মাসিক পিরিয়ড বা নেফাস চলাকালীন কোনো মহিলা রোজা রাখলে তার রোজা শুদ্ধ হবে না। (ফাতাওয়া আলমগিরি-১/১৯৫)
১২ মার্চ ২০২৪, ০৫:২৪

শিশু গর্ভবতী হওয়ার ঘটনায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সোহরাব আলী (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকালে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহরাব আলী কাজীপুর উপজেলার কিনারবেড় গ্রামের মৃত আবুল শেখের ছেলে। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. আব্দুল হামিদ লাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর বিভিন্ন সময় আসামী সোহরাব আলী শিশুকে (১৫) জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেন। যার ফলে শিশুটি ২৬ সপ্তাহের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ সোহরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।  
০৭ মার্চ ২০২৪, ২০:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়