• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবীবের (৬৫) মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আহসান হাবীব এবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার প্রার্থিতা বৈধ ছিল। আহসান হাবীবের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মুসা আলআরী বলেন, গত ১২ মার্চ সড়ক দুর্ঘটনায় তার বাবা আহসান হাবীব গুরুতর আহত হন। এর পর থেকে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তার বাবার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানেই গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। আহসান হাবীব ২০০৪ সাল থেকে মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ সালে মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল ৪টায় মহাদেবপুর উপজেলা সদরের ডাকবাংলো মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৫টায় তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে। প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হবে কি না জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান বলেন, প্রার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থীর মৃত্যু এবং নির্বাচন কার্যক্রম নিয়ে আইনে কি আছে, তা দেখে সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি। এ বিষয়ে খুব শিগরিই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসির সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৯

সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ক্ষতি ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি : বিআরটিএ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি জিডিপি লস হয়, এটাকে যদি পার্সেন্টে হিসাব করা হয় তাহলে সেটি মোট জিডিপির ১ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। আর এটা হয় শুধু সড়ক দুর্ঘটনার কারণে। এটা শুধু আর্থিক হিসাব। একটা কর্মক্ষম ব্যক্তি যদি কোনো পরিবারের মারা যায়, তাহলে তো পুরো পরিবার ধ্বংস।  শনিবার (২০ এপ্রিল) মহাখালী বাস টার্মিনালে বিআরটিএ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন,  চালকেরা স্বেচ্ছায় একটা পিঁপড়েও মারতে চায় না। কিন্তু নানা পারিপার্শ্বিক কারণে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। শুক্রবারও সারা দেশের ৬৪টি জেলায় আমরা ওভার স্পিড নিয়ন্ত্রণে ৪০৫টি মামলায় ১০ লাখের বেশি টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ এই অভিযান প্রতিদিন চলমান থাকবে।  নানা সীমাবদ্ধতার কারণে হার্ডকপি ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে হার্ড কপির জন্য কেউ মরিয়া যেন না হয়। এটা ওয়েল সার্কুলেটেড। ই ড্রাইভিং লাইসেন্সই মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স। এটা মোবাইলে প্রদর্শন করে গাড়ি চালানো যাবে। কেউ যদি মনে করেন পুলিশ এটা মানছে না, ই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখানোর পরও পুলিশ মামলা দিচ্ছে তাহলে নির্দিষ্ট করে সেই পুলিশের নাম ফোন নম্বর লিখে আমাদের জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব। কোনো পুলিশ সদস্য যদি বিষয়টি না জানেন তাহলে আইনের লোক হিসেবে সেটা তার ব্যর্থতা। সেটার জন্য ওই পুলিশ সদস্য দায়ী থাকবেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রস্তাবে ডোপ টেস্ট ডিজিটাল করার প্রস্তাব এসেছে। ডোপ টেস্ট নিয়ে প্রথমে আমরা কিছু সমস্যা ফেস করেছিলাম। এখন এটা নেই বললেই চলে। আমরা কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে একাধিক মিটিং করে একটা অ্যাপস প্রস্তুত করেছি এটা এখনো চালু হয়নি। চালু হলে বারবার অফিসে যেতে হবে না। ফিটনেসবিহীন গাড়ি পেলেই ডাম্পিং করার হুঁশিয়ারি দিয়ে নূর মোহাম্মদ বলেন, গাড়ির রুট পারমিট অবশ্যই আপ টু ডেট থাকতে হবে। সেটার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার আমরা করব। কোনোভাবেই সড়কে রুট পারমিটবিহীন ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে নামা যাবে না। এক্ষেত্রে চালকদের যত ধরনের সহযোগিতা দরকার আমাদের জানাবেন। সর্বোচ্চ সহযোগিতা আপনাদের করব। কিন্তু কেউ যদি ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে সড়কে নামেন, তাহলে আমরা ধরতে পারলেই সোজা ডাম্পিং স্টেশনে পাঠিয়ে দেব। এখানে কিন্তু জরিমানা করা হবে না, জরিমানা করে খুব একটা লাভ হয় না। প্রয়োজনে আমরা সময় দেব। ওই সময়ের মধ্যে যদি কাগজপত্র আপ টু ডেট করে না নেয়, ওই গাড়ি আমরা সিস্টেম থেকে ডিলিট করে দেব। বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা ট্রেনিংয়ের কথা বলেছেন, পেশাদারদের ট্রেনিং ব্যবস্থা চালু আছে। আর ব্যাপক ট্রেনিংয়ের জন্য আমরা চিন্তা করেছি টার্মিনালভিত্তিক ট্রেনিং দেব৷ আর এ ধরনের অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামও আমরা ঘন ঘন করব। যাতে চালক, যাত্রী থেকে শুরু করে সকল স্টেকহোল্ডাররা আরও বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার আবুল মোমিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কালাম প্রমুখ।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৫

পটিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মহাসড়কের পটিয়া অংশে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কের খরনা চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও চকরিয়াগামী যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ২ অটোরিকশার যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং ৪ জন গুরুতর আহত হন।   নিহতরা হলেন, চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের ইউনুচ মার্কেট এলাকার আবু তৈয়বের ছেলে আবু বক্কর তাসিব (১৮) ও কক্সবাজার জেলার রামু থানার আহমদ হোসেনের ছেলে নুরুল আলিম (২৭)। আহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের রাকিব হোসেন (২০), মোহাম্মদ জাবেদ (১৯), মোহাম্মদ সিহাব (২২), চকরিয়ার সিএনজি অটোরিকশা চালক লিটন (৩৫)।   স্থানীয়রা বাসের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশার যাত্রীদের উদ্ধার করে চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আবু বক্কর তাসিব ও নুরুল আলিমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চারজনকে হাসপাতালেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। অপরদিকে একইদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পটিয়ার মনসা বাদামতল থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখী একটি মিনিবাস বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে মহাসড়কের পাশে উল্টে যায়। এসময় বাসটির হেলপার রফিক (২৩) লাফ দিলে বাসের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান। নিহতের বাড়ি পটিয়ার কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামে।   পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৪

‘এখন আমার কি হবে, মনুরে লইয়া কোন পথে যামু’
জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী শহিদুল খান (৪৬)। মানসিক অবস্থা ভালো থাকলেও তার দু'পা ছিলো বিকলাঙ্গ। হাতে ভর করে পাছায় টিউব বেধে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভিক্ষা করে সংসার চালাতেন শহিদুল। ৮ বছর বয়স থেকেই ঝালকাঠির গাবখান ফেরিঘাটে ও ফেরিতে তার ভিক্ষা করা শুরু । গত ৪/৫ বছর যাবৎ তাকে নিয়মিত দেখা যেতো গাবখান সেতুর পূর্বপাড়ে টোল প্লাজায়। সেতুর টোল প্লাজার কর্মী হিসেবে কাজ করে তার আপণ দুই ছোট ভাই। বুধবার দুপুরে প্রতিদিনের মত রামনগর গ্রামের বাড়ি থেকে মাত্র দুইশগজ দূরত্বে গাবখান সেতুর টোলে ভিক্ষা করছিল শহিদুল। সেদিন সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেভটকার ও ৩টি অটোরিক্সাকে চাপা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। গুরুতর আহত হন প্রতিবন্ধী শহিদুলও।বিকেল ৪টায় বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল)সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। গাবখান সেতুর টোলে আর কোনদিন দেখা যাবে না শহিদুলকে। শহিদুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্ত্রী হেলেনা বেগম স্বামী হারানোর শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। আড়াই বছর বয়সি ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে করুণ ভাষায় বিলাপ করে বলছেন ‘আল্লাহরে এখন আমার কি হবে, মনুরে লইয়া কোন পথে যামু, কেমনে বাঁচমু। ও আল্লাহ তুমি এ কেমন বিচার করলা’। দাম্পত্য জীবনে শহিদুলের আড়াই বছর বয়সী সায়মা আক্তার নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ভিক্ষার টাকায় চলতো শহিদুলের সংসার। শহিদুলের বাবা বাদশা খান ছিলেন নৌকার মাঝি। ঝালকাঠির অতুল মাঝির খেয়াঘাট আর গাবখান নদীতে সে খেয়া নৌকা চালাতো। তার আপন দুই ভাই সাইদুল ও  সাদ্দাম গাবখান সেতুর টোলে টোল আদায়ের কাজ করে। ছোট ভাই সাদ্দাম বলেন, আমি বুধবার টোলের ডিউটি শেষ করে দুপুরে খাবারের জন্য বাড়িতে আসার পরে গোসলে যাই। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। পরে দৌড় দিয়ে টোলের সামনে গিয়ে দেখি আমার ভাই ঘাতক ট্র্রাকের নিচে চাপা পড়ে আছে। সাদ্দাম আরও বলেন স্থানীয়রা তাকে ট্রাকের নিচ থেকে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিমে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থা ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যায়। ভাই আর কোনদিন ফিরেও আসবে না, আর মানুষের কাছে হাতও পাতবে না।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৪

বাবা-মাকে খুঁজছে ৫ বছরের অবুঝ শিশু জুনায়েদ
বাবা-মাকে খুঁজছে ৫ বছরের শিশু জুনায়েদ ইসলাম। গত বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান জুনায়েদ মা-বাবা। গুরুতর আহত হয় সে নিজেও। তবে মা-বাবার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও বুঝতে পারেনি ছোট্ট এই অবুঝ শিশু। এ বাড়ি, ও বাড়ি মা-বাবাকে খুঁজে ফিরছে অসহায় নিষ্পাপ শিশু জুনায়েদ। সে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার নারিকেলি গ্রামের নিহত আনসার ভিডিপি সদস্য এনামুল হক (৪০) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুনের (৩২) ছেলে। স্থানীয়রা জানান, অসুস্থ জুনায়েদকে নিয়ে বুধবার ভোরে মোটরসাইকেলে নওগাঁর নওহাটা এলাকায় এক কবিরাজের বাড়িতে গিয়েছিল এনামুল ও বৃষ্টি। বাড়ি ফেরার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সান্তাহার-নওগাঁ সড়কের সাহাপুর মোড়ে অপর মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সড়কে ছিটকে পড়া এনামুল ও বৃষ্টিকে দ্রুতগতির একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় ৫ বছরের জুনায়েদ। যদিও তার মাথা ও মুখে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নারিকেলি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জুনায়েদ বসে আছে ফুফুর কোলে। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর থেকেই এদিক ওদিক মাকে খুঁজছে সে। স্বজনরা বিভিন্নভাবে তাকে ভোলানোর চেষ্টা করছেন। আক্কেলপুর আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কাজী মাকামাম মাহমুদা জানান, দাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, এ ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৩

সড়ক দুর্ঘটনায় কণ্ঠশিল্পী পাগল হাসানসহ নিহত ২
সুনামগঞ্জে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে কণ্ঠশিল্পী পাগল হাসানসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে জেলার ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের সুরমা সেতু টোলপ্লাজার পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা গ্রামের আবদুল কাদিরের ছেলে লায়েছ মিয়া (৩০), ননদু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৪) ও সিরাজ আলীর ছেলে সিএনজিচালক রুপন মিয়া (৩০)। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংগীতশিল্পী পাগল হাসানকে বহনকারী সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে গেছে। এতে ঘটনাস্থলেই পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। শিল্পী পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়ার বাড়ি ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা গ্রামে। পাগল হাসানের দুই ছেলেসন্তান রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে সংগীতশিল্পী পাগল হাসানসহ একই গ্রামের পাঁচজন সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দোয়ারাবাজার থেকে ছাতকে ফিরছিলেন। এ সময় অপরদিক থেকে একটি বাস দোয়ারাবাজারে যাচ্ছিল। পথে সুরমা সেতুর টোলপ্লাজার কাছে মুখোমুখি সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার ও ঘাতক বাসটিকে জব্দ করে। তবে ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছে। ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, সংগীতশিল্পী পাগল হাসানসহ দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক পালিয়ে গেছে। আহতদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৫

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন / মার্চে সড়কে ঝরল ৫৬৫ প্রাণ, আহত ১২২৮
গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২২৮ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ। একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।  ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হন। বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ছয় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় তিন লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক শতাংশ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো। দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৬

মার্চে সড়কে ঝরেছে ৫৫০ প্রাণ
গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে। গত মার্চ মাসে সারাদেশে ৬২৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৫৫০ জন মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৬৮৪ জন। যেখানে গত বছরের মার্চে ৩৮৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হন ৪১৫ জন। দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে আর সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে।       বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের গত ৯ এপ্রিল স্বাক্ষরিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএর বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি। প্রতিবেদনের তথ্যে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে ১০৫টি দুর্ঘটনায় ৯৮ জন নিহত এবং ৯০ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ১২২টি দুর্ঘটনায় ১০৪ জন নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়েছেন; রাজশাহী বিভাগে ১১৯টি দুর্ঘটনায় ১০৩ জন নিহত এবং ৭৮ জন আহত হয়েছেন; খুলনা বিভাগে ৮৪টি দুর্ঘটনায় ৭১ জন নিহত এবং ৮৯ জন আহত হয়েছেন; বরিশাল বিভাগে ৩২টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং ৮৪ জন আহত হয়েছেন; সিলেট বিভাগে ৩৭টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়েছেন; রংপুর বিভাগে ৬৭টি দুর্ঘটনায় ৬০ জন নিহত এবং ৬৫ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৮টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত এবং ৫৫ জন আহত হয়েছেন। মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ৩০টি, বাস/মিনিবাস ৯০টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ২০৪টি, পিকআপ ৪০টি, মাইক্রোবাস ১৯টি, অ্যাম্বুলেন্স ৪টি, মোটরসাইকেল ২০৪টি, ভ্যান ২৯টি, ট্রাক্টর ৩০টি, ইজিবাইক ৪১টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৪৪টি, অটোরিকশা ৭২টি ও অন্যান্য যান ১৪৮টিসহ সর্বমোট ৯৫৫টি যানবাহন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মোটরকার/জিপ দুর্ঘটনায় ১২ জন, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৪৬ জন, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৮৫ জন, পিকআপ দুর্ঘটনায় ১৬ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ১৩ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬১ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ১৫ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ১৬ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ২২ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ২০ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৫৯ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ৮৪ জনসহ সর্বমোট ৫৫০ জন নিহত হয়।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৮

গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রাইভেটকারের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সিএনজি আরোহী এক নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সিএনজির আরও ৩ যাত্রী আহত হয়েছেন।  রোববার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের কুন্দেরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, রোববার বেলা ১১টায় বগুড়ামুখী একটি প্রাইভেটকার কুন্দেরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি আরোহী এক নারী যাত্রী নিহত হন। আর আহত হন আরও ৩ যাত্রী।   দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবর রহমান। তিনি বলেন, আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে। প্রাইভেট কার ও সিএনজি হাইওয়ে থানায় আটক রাখা হয়েছে। নিহত নারী যাত্রীর পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৩

ঈদের প্রথম দুদিনে রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
রাজশাহীতে ঈদের প্রথম দুদিনে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। নিহতরা সবাই বয়সে তরুণ।  নিহতরা হলেন পবা উপজেলার কয়রা গ্রামের সাধু মিয়ার ছেলে শান্ত হোসেন (২০), আক্কাস আলীর ছেলে ফাহিম ইসলাম (২০) ও ভড়ুয়া গ্রামের আকানির ছেলে আজিজুল ইসলাম (১৮)।  এর মধ্যে শান্ত ও ফাহিম বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ও আজিজুল শুক্রবার (১২ এপ্রিল) মারা গেছেন। মতিহার থানার ওসি এসএম মোবারক পারভেজ বলেন, ঈদের দিন শান্ত ও ফাহিম দুই বন্ধু তাদের পরিচিত আরও কয়েকজন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল। নগরীর বুধপাড়া ফ্লাইওভারের কাছে অতিরিক্ত গতির কারণে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তারা। দুজনই সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। তাদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শান্ত মারা যান। ফাহিম রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  রাতেই তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। এ দিকে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় বাসের ধাক্কায় এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এই তরুণের নাম আজিজুল ইসলাম (১৮)। তিনি পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর থানার ভড়ুয়া গ্রামের আকানির ছেলে। কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন, বেলপুকুর থেকে একটি পিকআপ নিয়ে এসেছিল বেশ কিছু যুবক। পিকআপে সাউন্ডবক্স ছিল। পিকআপটিতে আজিজুল মাথা বের করে ছিল। রাজশাহীগামী একটি বাসের সঙ্গে তার মাথার ধাক্কা লাগে। তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও জানান, নিহত আজিজুলের পরিবারের সদস্যরা এসেছেন। তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়