• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৩ বছরের শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, সৎমা আটক
নড়াইলে সৎমায়ের বিরুদ্ধে ৩ বছরের এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত নুসরাত জাহান ওই গ্রামের সজীব কাজীর মেয়ে। সজীবের দ্বিতীয় স্ত্রী জোবায়দা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায়। নিহতের দাদি পান্না বেগম বলেন, তিন বছর আগে নুসরাতের বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে জোবায়দাকে বিয়ে করেন সজীব। বিয়ের পর থেকে নুসরাতকে ভালো চোখে দেখতো না সৎ মা জোবায়দা। এ নিয়ে সজীবের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো দ্বিতীয় স্ত্রীর। ওসি কাঞ্চন বলেন, দুপুরের দিকে বাড়ির বারান্দায় কাঁথা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় নুসরাতের মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।  ওসি কাঞ্চন আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৎ মা জোবায়দাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শিশু নুসরাতের গলায় আঙ্গুলের ছাপ দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০

স্কচটেপ পেঁচিয়ে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, মা ও সৎমা আটক
ফেনীর পরশুরামে হাতে-পায়ে স্কচটেপ পেঁচিয়ে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শিশুর বাবার ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুর মা ও সৎমাকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার বাসপদুয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ফেনী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহদাৎ হোসেন, সংশ্লিষ্ট থানার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ালী উল্যাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা। তদন্তে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনজিও সংস্থার গাড়িচালক নুরুন নবী ১৩ বছর আগে একই এলাকার কোলাপাড়ার আয়েশা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের দুই মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) ও লামিয়া আক্তার (৮)। পারিবারিক কলহের কারণে নবীকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেন আয়েশা। পরে অন্য একজনকে বিয়ে করে চট্টগ্রামে থাকেন। এদিকে এক ছেলের মা রেহেনা আক্তারকে বিয়ে করে চার বছর ধরে সংসার করছেন নবী। ভোলার লালমোহনে তার সঙ্গেই থাকে আগের ঘরের দুই মেয়ে। প্রথম সংসারের দুই মেয়ে, নতুন স্ত্রী রেহেনার সাত বছরের ছেলে এবং রেহেনা-নবী দম্পতির ঘরের মেয়ে নাবিলাকে নিয়ে তাদের সংসার। নবীর অভিযোগ, আগের স্ত্রী আয়েশা দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিত। গত সোমবার আয়েশা তার খালাতো ভাই জাবেদের ছেলের আকিকা অনুষ্ঠানে পরশুরামে এসে নবীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। মঙ্গলবার আয়েশার দুই মেয়ে ফাতেমা ও লামিয়াকে বাসায় রেখে নিজের দুই সন্তান নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যান রেহেনা। দুপুরে মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে লামিয়াকে হত্যা করে। এ সময় লামিয়ার হাত-পা স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। বড় বোন ফাতেমা থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ালীকে জানায়, দুজন লোক লাল মোটরসাইকেলে এসে গেট খুলে লামিয়াকে জাপটে ধরে। তারা চলে গেলে লামিয়ার দেহ টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়