• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় সৎ মেয়েকে হত্যা
স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় মেয়ে জোনাকিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন সৎ মা নার্গিস বেগম। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে লাশ উদ্ধারের ১০ ঘন্টা পর হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। এসব তথ্য জানান যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম। তিনি জানান, এ ঘটনায় নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নার্গিস পুলিশকে জানান, এ পর্যন্ত তিনবার তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছেন স্বামী। সেই ক্ষোভে তিনি সৎ মেয়ে জোনাকিকে কৌশলে বাড়িতে এনে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। জোনাকি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহীন তরফদারের মেয়ে। সে তার নানির কাছে থাকত। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে পুকুর থেকে জোনাকির (৯) লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মুখ, হাত, পা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় তার সৎ মাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন জোনাকির সৎ মা নার্গিস বেগম। হত্যার দায় স্বীকারের পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নার্গিস বেগমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেয়। এ সময় জোনাকির কাপড় ও জুতা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নার্গিস জানান, তার স্বামী গর্ভে আসা তিনটি সন্তান নষ্ট করেছে। এ কারণে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। জোনাকি বেড়াতে আসার পর তিনি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাকে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ দরজার পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। বাড়ির সবাই জোনাকিকে খুঁজে না পেয়ে থানায় জিডি করতে গেলে লাশ নিয়ে পুকুরে ফেলে আসেন। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, জোনাকি সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হয়। ঘটনার দিন রাতেই যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় ডিজি করে শিশুটির পরিবার। মঙ্গলবার বাসার পিছনের ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঈদের আগে বেড়াতে এসে সৎ মায়ের হাতে খুন হয় শিশু জোনাকি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১০

সৎ ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন ইহসানুল করিম
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে কখনো আপস করেননি সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিম। ৫২ বছরের সাংবাদিকতায় তিনি সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতা করে গেছেন। চরম দুঃসময়েও নৈতিকতার সঙ্গে আপস করেননি। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যাস কমিউনিকেশন (আইআইএমসি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমকাবিডি) আয়োজিত এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা। ইহসানুল করিম ছিলেন এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৭৯ সালে ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত আইআইএমসিতে বাংলাদেশ থেকে বৃত্তি নিয়ে যাওয়া প্রথম শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ইহসানুল করিম গত ১০ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ছিলেন। ইমকাবিডির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভুইয়ার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তার সাংবাদিকতার পথচলায়  সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন ইহসানুল করিম। বন্ধুসুলভ আচরণ দিয়ে তিনি ছোট–বড় সব সাংবাদিকদের আপন করে নিতেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকতা জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। ইহসানুল করিম স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত একটি স্মারকগ্রন্থ করার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক কিছু করার মাধ্যমে ইহসানুল করিমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হবে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভালো সাংবাদিকতার পাশাপাশি মানুষ হিসেবেও ভালো মানুষ ছিলেন ইহসানুল করিম। স্মরণসভায় ইহসানুল করিমের ছেলে মঈন করিম বলেন, তিনি সাংবাদিক হিসেবে যেমন বিপদে–আপদে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তেমনি পরিবারের প্রতিও ছিলেন যত্নশীল। তার বাবা সব সময় বলতেন, মানুষের জীবন এক রকম যায় না। যেকোনো পরিস্থিতি হাসিমুখে মেনে নিতে হয়। কখনো সততার সঙ্গে সমঝোতা না করার পরামর্শ দিতেন পরিবারের সদস্যদের। ইমকাবিডির জ্যেষ্ঠ সদস্য ফরিদ হোসেন বলেন, একজন সাংবাদিকের মধ্যে যে ধরণের গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তা ছিল ইহসানুল করিমের মধ্যে। স্বাগত বক্তব্যে ইমকাবিডির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান বলেন, ইহসানুল করিম বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তিনি কখনো আপস করেননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সততা হৃদয়ে ধারণ করে সাংবাদিকতা করলে তাঁর প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা হবে। স্মরণসভায় ইহসানুল করিমকে স্মরণ করে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিকাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ (বাদল), বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান, বাসসের প্রধান বার্তা সম্পাদক সমীর কান্তি দে, বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মনোজ কান্তি রায় এবং ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল করিম। ইহসানুল করিমের পরিবারের সদস্যেদর মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন তার চাচাতো বোন কঙ্কা করিম।  স্মরণসভায় কেন্দ্রীয় অ্যালামনাইয়ের শোকবার্তা পাঠ করেন ইমকাবিডির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন এটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক ও ইমকাবিডির সদস্য গনী আদম। সভায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ ইমকাবিডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  
২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:৫৩

ছেলেকে হত্যার দায়ে সৎ মায়ের যাবজ্জীবন
রাজবাড়ীতে সৎ ছেলেকে কীটনাশক খাইয়ে হত্যা মামলায় আকলিমা আক্তার নামে এক মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছা. জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন। রায় প্রদানের সময় মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামি আকলিমা আক্তার আদালতে হাজির ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আকলিমা আক্তার রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের শাহ্মীরপুর এলাকার হজরত আলীর স্ত্রী। আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১০ আগস্ট সকালে সতীনের সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে চার বছর বয়সী ছেলে রিপনকে কীটনাশক খাইয়ে হত্যা করে হজরত আলীর ছোট স্ত্রী আকলিমা আক্তার। এ ঘটনায় হজরত আলী পাংশা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আকলিমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেন। রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযুক্ত আকলিমা আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯

মেয়েকে হত্যা করে পুঁতে রাখেন সৎ বাবা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ৯ বছরের শিশু সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিশুর সৎ বাবা শরিফুল ও প্রতিবেশী মামা হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার সলঙ্গা থানার অলিদহ পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধানখেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু সানজিদা খাতুন (৯) আমশড়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে।  গ্রেপ্তার শরিফুল অলিদহ গ্রামের মো. নুরালের ছেলে ও হাসমত আলী একই গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে।  সলঙ্গা থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিনের বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী। তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে দেড় মাস আগে জরিনা শ্বশুড়বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান। শরিফুল তাকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু ফিরে না আসায় জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমতের শরণাপন্ন হন শরিফুল।  হাসমত আলী তাকে বলেন, সানজিদাকে অপহরণ করে তার হাতে তুলে দিলেই তোমার স্ত্রীকে ফেরত পাবে। এরই অংশ হিসেবে গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাদরসায় যাওয়ার পথে হাসমত ও শরিফুল সানজিদাকে চিপসের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় সানজিদা চিৎকার করলে তাকে গলাটিপে হত্যার পর কবরস্থানের জঙ্গলে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। ওই রাতেই তারা মরদেহ পাশের একটি ধানখেতে পুঁতে রাখে। এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সানজিদার সন্ধান না পেয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তার নানা জহুরুল ইসলাম থানায় জিডি করেন। ওসি বলেন, জিডি হওয়ার পর পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে শরিফুল ও হাসমত আলী আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন তারা। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ধানখেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৯

‘আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক। নিজে সারাজীবন সৎ থেকেছি। তাই আমি প্রত্যাশা করি, দেশের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিটি ডাক্তারও সততা ও স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের সেবা করে জীবন পার করে দেবেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, এবারের মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য সময়ের তুলনায় স্বচ্ছ ও সুন্দর হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেটসহ কারও কাছেই কোনোরকম মোবাইল বা যন্ত্র এলাউ ছিল না। এমনকি প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাংকে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যে কারণে এবার প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ ছিল না। তিনি বলেন, এবারের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সকল কেন্দ্রেই বিশেষ সতর্কতা নেওয়া ছিল। প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাংকে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যার মাধ্যমে অধিদপ্তর হতে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা-নেওয়ার কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোনো মেডিকেল কোচিং গত এক মাস খোলা ছিল না। পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে কোনোরকম প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর সুযোগ দেয়নি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা। মোট কথা, এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যতরকম সতর্ক থাকা যায়, আমরা থেকেছি। স্বাস্থমন্ত্রী জানান, এ বছর এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে বিগত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা হতে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে মেডিকেল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫১

সৎ মাকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যা করান মা
ফেনীর পরশুরামে নিজের মেয়েকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে হত্যার ঘটনায় মা আয়েশা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  পুলিশ জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহত শিশু লামিয়ার বাবা মো. নূর নবী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মা আয়েশা আক্তার ও সৎ মা রেহানা আক্তারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে আয়েশাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সৎ মা রেহানাকে বাদীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে নিহত লামিয়ার বাবা নূর নবী বলেন, বিচ্ছেদের পরেও আমার আগের স্ত্রী আয়েশার সাথে বিরোধ চলে আসছিল। আমাকে ও আমার বর্তমান স্ত্রীকে ফাঁসাতেই সে এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছে। পরশুরাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা আক্তার তার উম্মে সালমা লামিয়াকে (৭) হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন। তবে হত্যার সঙ্গে জড়িত দুই যুবককে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এর আগে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে হেলমেট পরিহিত দুই যুবক বিদ্যুতের লোক পরিচয় দিয়ে নূর নবীর ঘরে প্রবেশ করে তার ছোট মেয়েকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে হত্যা করে। তার অপর মেয়ে কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পায়। তাকে ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২

সৎ মায়ের বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ
যশোরে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে আয়েশা নামে দেড় বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।  এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা পিন্টু ও সৎ মা পারভিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আয়শার বাবা পিন্টু মিয়া পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রি। কাজের জন্য প্রতিদিন সকালে বাসা থেকে বের হয়ে যান পিন্টু। এরই সুযোগে গত ৪দিন ধরে আয়শাকে মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করে সৎ মা পারভীনা খাতুন। শনিবার শিশু আয়শাকে মারধর করে তার সৎ মা। মারধরে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আয়েশা। এরপরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) পলাশ বিশ্বাস বলেন, শিশুটিকে মারধরে হত্যার কথা শোনা যাচ্ছে। তার মা ও বাবাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহত শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শুভাশিস রায় জানান, শনিবার বেলা ১টার দিকে আয়েশা খাতুনকে তার পরিবারের সদস্যরা জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিলো। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে আয়েশার মৃত্যু হয়। এদিকে আটক আয়শার সৎ মা পারভীন জানিয়েছেন, হঠাৎ মাটিতে পড়ে গিয়ে আয়েশা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। আয়েশার বাবা পিন্টু মিয়া জানান, শনিবার সকালে কাজের উদ্দেশ্যে তিনি বাসা থেকে বের হন। দুপুর ১২টার দিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আয়শাকে মৃত দেখতে পান। কিন্তু কি কারণে কি হয়েছে তিনি এখনও জানেন না।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়