• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কোটি টাকার ফি হিসাবরক্ষকের পকেটে, শাস্তির মুখে মিটফোর্ডের ৫ কর্মকর্তা
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল। ২০২২ সালের ১ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও বিভিন্ন পরীক্ষার ফি বাবদ ৩০ লাখ ৭২ হাজার ৪৮ টাকা আদায় হয় সরকারি এ হাসপাতালটিতে। নিয়ম অনুযায়ী এই ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার কথা। দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষক মো. আব্দুছ ছাত্তার মিয়া ইউজার ফি জমাও দেন। কিন্তু ২৬ সেপ্টেম্বর দুটি ট্রেজারি চালানে জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ৩০ লাখ এক হাজার ৪৪৮ টাকা। অর্থাৎ তিনি ৭০ হাজার ৬০০ টাকা পকেটে পোরেন। কৌশলে অর্থ আত্মসাতের এ বিষয়টি ধরা পড়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। ততদিনে সরকারি দুই কোটি ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪১ টাকা বেহাত হয়ে গেছে। ১১টি ট্রেজারি চালানে একই কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ করেন এ হিসাবরক্ষক। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা ও চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চার্জশিটে একমাত্র আসামি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. আব্দুছ ছাত্তার মিয়া। পাঁচ মাস ধরে আত্মসাতের এমন ঘটনা ঘটলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর কি কোনো দায় ছিল না— এমন প্রশ্ন ছিল সংশ্লিষ্টদের মনে। অবশেষে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পাশাপাশি এবার সংশ্লিষ্ট পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে দুদক। এই কর্মকর্তারা হলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ আলী হাবিব, সহকারী পরিচালক ডা. মো. মফিজুর রহমান, হিসাবরক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. জাহেদুর রহিম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন ও প্রধান সহকারী মো. আব্দুর রহিম ভূঁইয়া। গত ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে দেওয়া চিঠিতে যথাযথভাবে তদারকি না করে দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করার পর ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামলা ও চার্জশিটে একমাত্র আসামি আব্দুছ ছাত্তার মিয়া। তবে, তদন্তে আমরা ওই দপ্তরের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছি। সরকারি কোষাগারে জমার আগে এ সংক্রান্ত নথি হিসাবরক্ষক থেকে উপ-পরিচালক পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে যাচাই-বাছাই হওয়ার কথা। কিন্তু তারা সেখানে হয় সুবিধা নিয়েছেন কিংবা দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি। দালিলিকভাবে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলায় আসামি হিসেবে তাদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি; তবে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৩

রুমে ডেকে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন স্যার : চবি ছাত্রী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ হিসেবে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বিজ্ঞান অনুষদের রসায়ন বিভাগের জৈব শাখার অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী বলেছেন, ‘আমি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে মাস্টার্সের থিসিস করছি। থিসিস চলাকালে আমার সুপারভাইজারের মাধ্যমে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হই। থিসিস শুরু হওয়ার পর থেকে আমার সঙ্গে তিনি বিভিন্ন যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করেন। ওই ছাত্রী আরও বলেন, জোর করে হাত-পা চেপে ধরা, শরীরের বিভিন্ন অংশে জোরপূর্বক স্পর্শ করাসহ অসঙ্গত ও অনুপযুক্ত শব্দ ব্যবহার করেছেন। কেমিক্যাল আনাসহ আরও বিভিন্ন বাহানায় আমাকে রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক জাপটে ধরতেন। গত ৬ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে আমি ল্যাবে একা কাজ করা অবস্থায় তিনি জোর করে জড়িয়ে ধরেন। এরপর ১৩ জানুয়ারি নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা প্রকাশ না করতে ওই শিক্ষক বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন। এ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একই সঙ্গে আমার পক্ষে এ গবেষণাগারে থিসিসের কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, ‘এমনিতেই আমি বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ নিয়ে আছি, তার ওপর এ অভিযোগ। ৩১ বছরের শিক্ষকতা জীবন পার করছি, কিন্তু এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়নি। আমার বিরুদ্ধে একটি ভয়ংকর অভিযোগ তুলেছে, যার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ওই ছাত্রী বিভিন্ন সময় আমার ঘরে আসত। আমার স্ত্রীর সঙ্গেও তার ভালো সম্পর্ক। আমার বয়স হয়ে গেছে। এ ধরনের ঘটনা আমি কেন করব। আমার এক ছাত্রর কাছ থেকে দুপুরে অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। থিসিসের কারণে বিভিন্ন সময় কেমিক্যাল চাইতো ছাত্রীটি। আমি অনেক ক্ষেত্রে দিইনি। হয়তো সে কারণে আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য এই চেষ্টা বলে জানান অধ্যাপক।’ এ বিষয়ে রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান দেবাশীষ পালিত জানান, শিক্ষক হিসেবে আমাদের কাছে বিষয়টি লজ্জার। ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন অভিযুক্ত শিক্ষক। উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে  ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়