• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড দিতে যেসব নির্দেশনা মানতে হবে
আবেদনের মাধ্যমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার স্মার্টকার্ড দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের চারটি নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) উপপরিচালক (তথ্য অনুসন্ধান) মো. রশিদ মিয়া নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন। এতে ইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য নিম্নের চার নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো ১) বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির নিমিত্ত উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন দাখিল করবেন। আবেদনের সঙ্গে এতদসংক্রান্ত গেজেটসহ সাম্প্রতিককালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রদত্ত এমআইএস নম্বরসহ স্মার্ট কার্ড এবং ডিজিটাল সনদের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে। ২) মাসিক ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসাররা যথাযথ প্রক্রিয়ায় সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে ওই আবেদনসমুহ মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করবেন। ৩) আঞ্চলিক/সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসাররা একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাসিক/ত্রৈমাসিকভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। ৪) বিতরণের ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি রেজিস্ট্রারে এবং ডিজিটালি এনআইডি সিস্টেমে প্রাপ্তি স্বীকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এর আগে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর ইসির মাসিক সমন্বয় সভায় নেওয়া এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এতে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তাদের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট অনুসারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে যাচাইপূর্বক বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্টকার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জানা গেছে, কে এম নূরুল হুদার বিগত কমিশন জাতির সূর্য সন্তানদের সম্মানার্থে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে স্মার্টকার্ড ‍তুলে দিয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতে অনুষ্ঠিত সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপসের নিচে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ দুটি স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পত্রের মাধ্যমে তাদের সম্মতি দেয়। তবে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা এ আবেদন করলে তা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভেটিং করিয়ে সন্নিবেশের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময় কে এম নূরুল হুদার কমিশন গেজেট অনুযায়ী ১ লাখ ৮৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ এ স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য প্রথমবারের মতো কোনো একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য স্মার্টকার্ডের নকশায় পরিবর্তন আনে। তবে আলোচনা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেওয়ার আপত্তি জানায় মন্ত্রণালয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় উদ্যোগটি। এবার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই স্মার্টকার্ড দিচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ এ কার্ড নিতে শুধু নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলেই হবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৭

যেসব উপজেলায় দেওয়া হবে সাড়ে ২৪ লাখ স্মার্টকার্ড
জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মোট ১২ দিনে দেশের ১৫টি উপজেলার নাগরিকের মধ্যে মোট ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪০০টি জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড বিতরণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সূত্রে জানা গেছে, এ সংক্রান্ত নির্দেশনা এরই মধ্যে মাঠ-পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এতে ২৩ থেকে ২৫ জানুয়ারি বরিশালের বাকেরগঞ্জ, কুমিল্লার সেনানিবাস, দিনাজপুরের বিরামপুর ও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়;  ২৬ থেকে ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লোহাগড়া, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, নাটোরের লালপুর, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ও বাগেরহাটের চিতলমারীতে; ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা, পাবনার ভাঙ্গুড়া, সিলেটের বিয়ানীবাজার ও শরিয়তপুরের ডামুড্যায় এবং ৪ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি খুলনার ফুলতলা ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্মার্টকার্ড বিতরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। এ ১৫ উপজেলায় ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪০০ জনকে প্রদান করা হবে স্মার্টকার্ড। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে স্থগিত স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রমও চালু করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পাঠিয়েছে ইসি। সংস্থাটির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশনস) ফয়সল কাদেরের পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে চলমান স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম ৩০ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া যেসব উপজেলা বা থানা পর্যায়ে স্মার্ট কার্ড মুদ্রণপূর্বক প্রেরণ করা হয়েছিল, কিন্তু বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়নি, তাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল।  ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় যেসব উপজেলা বা থানায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল, সেসব উপজেলা বা থানায় আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৩

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড দিচ্ছে ইসি
আবেদনের মাধ্যমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে যারা ২০ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করবেন তাদেরটা আগে দেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর ইসির মাসিক সমন্বয় সভায় নেওয়া এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তাদের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট অনুসারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে যাচাইপূর্বক বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্টকার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জানা গেছে, কে এম নূরুল হুদার বিগত কমিশন জাতির সূর্য সন্তানদের সম্মানার্থে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে স্মার্টকার্ড ‍তুলে দিয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতে অনুষ্ঠিত সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপসের নিচে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ দুটি স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পত্রের মাধ্যমে তাদের সম্মতি দেয়। তবে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা এ আবেদন করলে তা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভেটিং করিয়ে সন্নিবেশের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময় কে এম নূরুল হুদার কমিশন গেজেট অনুযায়ী ১ লাখ ৮৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ এ স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য প্রথমবারের মতো কোনো একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য স্মার্টকার্ডের নকশায় পরিবর্তন আনে। তবে আলোচনা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেওয়ার আপত্তি জানায় মন্ত্রণালয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় উদ্যোগটি। এবার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই স্মার্টকার্ড দিচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ এ কার্ড নিতে শুধু নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলেই হবে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়