• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তথ্য সুরক্ষায় কোলোসিটির হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা
স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে দেশের ব্যবসা-শিল্পের প্রযুক্তিগত প্রসারকে আরো গতিশীল করতে কোলোসিটি দেশে প্রথমবারের মতো হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা নিয়ে এসেছে যা মাইক্রোসফট আয্যুর স্টাক হাব এবং ডেল টেকনোলজিস এর ইন্ট্রিগ্রেটেড প্লাটফর্ম। অ্যয্যুর স্টাক হাব মাইক্রোসফট অ্যয্যুরের এক্সটেনশন সার্ভিস এবং বাংলাদেশে একমাত্র কোলসিটি ডেটাসেন্টারে স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে এই সেবার বিস্তারিত জানানো হয়। কোলোসিটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাদ ইস্পাহানি বলেন, প্রযুক্তির এই যুগে তথ্য সংরক্ষণ ও নিরাপত্তায় ডেটা সেন্টার এবং ক্লাউড পরিসেবার গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে বিশ্বমানের হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা কোলোসিটি ক্লাউড একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মাইক্রোসফট অ্যযূর স্টাকহাব এবং ডেল টেকনোলজির সমন্বয়ে আমরা বাংলাদেশে বিশ্বমানের একটি হাইব্রিড ক্লাউড সলিউশন নিয়ে এসেছি যা বাংলাদেশে হোস্টেড। সেবাটি বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যবসায়িক পরিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হবে। কোলোসিটি সেবার মান উন্নয়ন এবং গ্রাহক সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে স্থানীয় ব্যবসাগুলো সাশ্রয়ী খরচে ডেটা সুরক্ষিত রেখে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সক্ষম হবে। কোলোসিটি লিমিটেডের কোলোসিটির বিক্রয় ও বিপণন প্রধান মো. আল-ফুয়াদ বলেন, ইন্টারকানেক্টেড এই বিশ্বে ব্যবসা পরিচায়নায় তথ্যের নিরাপত্তা এবং কমপ্লায়েন্সের গুরুত্বকে অবজ্ঞা করার কোনো সুযোগ নেই। তথ্যের নিরাপত্তা বিধানে সবশেষ প্রযুক্তির প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।  কোলোসিটি সেই কাজটি করতে দেশে প্রথমবারের মতো মাইক্রোসফট অ্যযূর স্টাকহাব এবং ডেল টেকনোলজির সমন্বয়ে হাইব্রিড ক্লাউড সুবিধা নিয়ে এসেছে যা আর্ন্তজাতিক মানদন্ড মেনে ব্যবসার ডিজিটাল রুপান্তরকে ত্বরাণিত করতে সহযোগিতা করবে। মাইক্রোসফট অ্যযূর যখন ডেল টেকনোলজির সাথে ইন্টিগ্রেটেড করা হয় তখন সিএস, সিসিএম, পিসিআই ডিএসএস এবং ফেডআরএএমপি’র মতো নিয়ন্ত্রক কাঠামোর জন্য একটি কমপ্লায়েন্ট হোস্টিং অবকাঠামো তৈরি হয়। তিনি বলেন, সেবার মান যাচাইয়ে ১৫ দিনের ফ্রি ট্রায়াল অথবা পিওসি করার সুযোগ দিচ্ছে কোলোসিটি যা কোনো প্রতিষ্ঠানকে জেনে-বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহনের সুযোগ দেয়। কোলোসিটি মনে করে, ডেল এবং মাইক্রোসফটের ইন্টিগ্রেটেড এই সেবার মাধ্যমে ব্যবসায়িক আইটি কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। ভবিষ্যতে এর পরিধি আরো বাড়াতে কোলোসিটি লিমিটেড এই ক্লাউডের রেপ্লিকা বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে বসানোর পরিকল্পনা আছে কোলোসিটির। আয়োজনে ডেল, মাইক্রোসফট, কোলোসিটির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ দেশের প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কোলোসিটি লি. দেশের প্রথম টায়ার-৩ স্ট্যান্ডার্ড বাণিজ্যিক পাবলিক ডাটা সেন্টার এবং হোস্টিং সলিউশন কোম্পানি যা ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে।
৪ ঘণ্টা আগে

আরটিভিতে আজ যা দেখবেন
মঙ্গলবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৬ চৈত্র ১৪৩০। একনজরে জেনে নিন আরটিভির আজকের আয়োজন- দুপুর ২টা ৩০মিনিটে ‘রমজানের আমল’।  দুপুর ২টা ৩২মিনিটে শিশুদের ইসলামী মূল্যবোধ বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘তোমাদের জন্য ইসলাম’।  দুপুর ২টা ৩৫মিনিটে ‘যমুনা স্মার্ট কিচেন’।  দুপুর ২টা ৪৫মিনিটে রজমানের সরাসরি ইসলামী আলোচনা অনুষ্ঠান ‘প্রশ্ন করুন’।  বেলা ৩টায় ‘নিউজ টপটেন’।  বেলা ৩টা ২০মিনিটে রান্নার অনুষ্ঠান ‘ইফাদ রসুই মজাদার রান্না’।  বেলা ৩টা ৩৫মিনিটে রান্নার অনুষ্ঠান ‘এসিআই পিউর গুড়া মসলা ইফতার এক্সপ্রেস’।  বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে লাইভ ‘বিআরবি কল্যাণময় রমাজান’।  বিকেল ৪টা ২০মিনিটে ‘জর্ডান’ দেশের ইসলামী ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমনমূলক অনুষ্ঠান ‘আরাবী কাফেলা’।  বিকেল ৪টা ৫০মিনিটে কোরআনে হাফেজদের প্রতিযোগিতামূলক জপিএইচ ইস্পাত ‘আলোকিত কোরআন’।  বিকেল ৬টা ১০মিনিটে ইফতারের পূর্ববর্তী সময়ের ‘ক্রাউন সিমেন্ট মোনাজাত’।  সন্ধ্যা ৬টা ২২মিনিটে চায়না সংস্কৃতি ও সংবাদ ভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘চীনা আওয়ার’।  সন্ধ্যা ৬টা ৪৫মিনিটে ‘সন্ধ্যার সংবাদ’।  সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটে ‘এক্সপার্ট রান্না’।  রাত ৮টায় ‘নির্বাচিত নাটক’।  রাত ৯টা ২০মিনিটে প্রতি সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক নাটক- ‘গোলমাল’।  পরিচালনা- কায়সার আহমেদ ও আল হাজেন। অভিনয় করেছেন- আনিসুর রহমান মিলন, শ্যামল মাওলা, রওনক হাসান, নাদিয়া আহমেদ, সালহা খানম নাদিয়া, প্রাণ রায়, মুনিরা ইউসুফ মেমী, আজিজুল হাকিম প্রমুখ।   রাত ১০টায় প্রতি মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক নাটক- ‘জাদুনগর’। রচনা- আহমেদ শাহাবুদ্দীন ও পরিচালনা- কাওসার আহমেদ।  অভিনয় করেছেন- মীর সাব্বীর, নাদিয়া আফরীর মীম, জয়রাজ ওবিদ রেহান, শায়েদ আলী, ড: এজাজ, ওলিউল হক রুমি, বিনয় ভদ্র প্রমুখ।  রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘বেক্সিমকো ইসলামিক আইকন সিজন ৩’।  রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ‘রাতের সংবাদ’।  রাত ১২টায় ‘নিউজ টপ টেন’।   রাত ১২টা ১০মিনিটে ‘উন্নয়নের বাংলাদেশ’।   রাত ১টায় ‘মধ্যরাতের সংবাদ’।   
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৭

২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান
জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভায় এ আহ্বান জানান দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির পক্ষে তাদের প্রতিনিধি ইকবাল আনোয়ার। সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সিগারেটকে বিদায় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এমন বাস্তবতায় নিম্নস্তরের সিগারেটের ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সরকারের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিদেশি ভালো মানের ব্র্যান্ডের সিগারেট দাম ও কর হার বাড়িয়ে এবং শুধুমাত্র মধ্যমস্তরে উৎপাদনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে ধূমপায়ীর সংখ্যা হ্রাস এবং জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়।  দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির দৃঢ় বিশ্বাস উপরোক্ত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়িত হলে চলতি বছরের সমপরিমাণ শলাকা বিক্রয় করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ খাতে প্রাক্কলিত রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমানোর ধারাবাহিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অপরিহার্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আর্ন্তজাতিক বিখ্যাত ভালো ব্র্যান্ডের সিগারেট নিম্নস্তরে কমমূল্যে বাজারজাত করার সুযোগ থাকায় তা গ্রামগঞ্জে, হাটবাজারে, শহরের অলিগলিতে সর্বত্র সহজলভ্য হয়েছে। ফলে ধূমপায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা উদ্বেগজনক অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে। বর্তমানে নিম্নস্তরের বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, বিদেশী কোম্পানীর অতি উচ্চ ও ভালো ব্র্যান্ডের  সিগারেট প্রায় ৯০% বাজার শেয়ার দখল করে আছে। ফলে ধূমপায়ীর সংখ্যা হ্রাসের সম্ভবনা দিন দিন কমে যাচ্ছে। দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির প্রস্তাব, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে এবং ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে এনে সিগারেটকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাজার থেকে বিদায় করার জন্য এদের দাম ও কর হার বাড়িয়ে মধ্যমস্তরে উৎপাদন এবং নিম্নস্তরের বর্তমান দাম ও কর হার অপরিবর্তিত রাখা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এফবিসিসিআই যৌথভাবে এই পরামর্শক কমিটির সভা আয়োজন করে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইডিয়ালে আলোচনা সভা
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৪ মার্চ) প্রতিষ্ঠানের অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গভর্নিং বডির সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম। প্রধান অতিথি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নেতৃত্বমূলক ভূমিকা রাখবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মোহম্মদ এমাম হোসাইন। সভায় উপস্থিত ছিলেন ডা. এ কে মোহাম্মদ কুদরত-ই-হাসান, অভিভাবক সদস্য, গভর্নিং বডি (এডহক কমিটি), শাহেলী পারভীন, সাধারণ শিক্ষক সদস্য ও কলেজ তত্ত্বাবধায়ক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকরা।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০১:৩০

এক স্মার্ট কার্ডে অনেক সেবা 
স্মার্ট যাত্রীসেবায় সরকারের উদ্যোগ র‍্যাপিড পাস। এটি স্মার্ট কার্ডভিত্তিক একটি স্বয়ংক্রিয় ভাড়া সংগ্রহ ব্যবস্থা যা দেশের গণপরিবহন এমনকি মেট্রোরেলেও ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি র‍্যাপিড পাসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এটি মেট্রো স্টেশন, রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্টপ ও টার্মিনাল এবং বিভিন্ন পরিবহন ব্যবস্থার যানবাহনে ব্যবহার করার মতো করে চালু করা হয়েছে। র‍্যাপিড পাস উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমরাও পিছিয়ে নেই। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা চলতে চাই। দেশের জনগণকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সুযোগ দিতে র‍্যাপিড পাস চালু করছি। র‌্যাপিড পাস হলো একটি স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা। এই পাসের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডে রিচার্জ করে এর মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করে নির্দিষ্ট দূরত্ব পারি দেওয়া যাবে। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুযোগ থাকবে না পরিবহন শ্রমিকদের। র‌্যাপিড পাস কার্ড দিয়ে কী হবে : সড়ক ও সেতুর টোল, সুপারমার্কেটের কেনাকাটা থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের বেতন পরিশোধ; সব একটি কার্ডের মাধ্যমেই করা যাবে। এটি দিয়ে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার বিলও পরিশোধ করা যাবে। গ্রাহকরা তাদের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট থেকে কার্ডটি রিচার্জ করতে পারবেন। পার্সে বা মানিব্যাগে একাধিক কার্ড নিয়ে চলাফেরা, তারপর নির্দিষ্ট বিল পরিশোধে বিশেষ একটি কার্ড খুঁজে বের করার ঝামেলা নেই। মেট্রোরেলে র‍্যাপিড পাস ব্যবহারে ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায়। এই পাসের মাধ্যমে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে সারা দেশে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি), বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), বিআরটিসি বাস, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত সব বাস, নৌ পরিবহন এবং ট্রেনসহ বিদ্যমান পরিবহন পরিষেবার–সব ধরনের ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, র‌্যাপিড কার্ড চালুর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ক্যাশলেস (নগদ টাকাহীন) লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের সময় বাঁচানো। পাশাপাশি ঝামেলামুক্ত ভ্রমণ নিশ্চিত করা। এ ছাড়া গণপরিবহনে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। র‌্যাপিড পাস কার্ড পেতে যা করবেন : র‍্যাপিড পাস কার্ড পেতে প্রথমে নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হবে। অনলাইনে গিয়ে খুব সহজেই ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তারপর সেটি পূরণ করে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকের শাখায় জমা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দুই কার্যদিবস সময় লাগবে। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নিন্মবর্ণিত শাখা বা উপশাখাগুলো থেকে র‍্যাপিড পাস কিনতে পারবেন। উওরা সোনারগাঁও জনপদ শাখা, উওরা শাখা, রবীন্দ্র সরণি শাখা, পল্লবী শাখা, মিরপুর, মিরপুর সার্কেল ১০ শাখা, ইব্রাহিমপুর শাখা, শেওড়াপাড়া শাখা, কর্পোরেট শাখা, মতিঝিল, ইন্দ্রিরারোড শাখা, খালপাড় উপশাখা, উত্তরা, তালতলা উপশাখা, কাফরুল, সচিবালয় ফাস্টট্র্যাক। এ ছাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের ডিবিবিএল বুথ থেকেও র‍্যাপিড পাস কেনা যাবে। এ ছাড়াও র‍্যাপিড পাস অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করে অনলাইনে কার্ড অর্ডার করার সুযোগ রয়েছে।   র‍্যাপিড পাস কার্ড রিচার্জ করবেন যেভাবে : মেট্রোরেলের টিকেট বিক্রয় মেশিন থেকে র‍্যাপিড পাস কার্ড রিচার্জ করা যাবে। র‌্যাপিড পাসের প্রাথমিক মূল্য ৪০০ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা কার্ডের মূল্য এবং প্রাথমিকভাবে রিচার্জ করে দেয়া হবে ২০০ টাকা। একটি কার্ড একবারে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা রিচার্জ করা যাবে। তবে কার্ডের ব্যাল্যান্স ১০,০০০ টাকার বেশি হতে পারবে না। কার্ডে অপার্যাপ্ত ব্যাল্যান্স থাকলেও কার্ড ব্যবহারকারী প্রতিবার রিচার্জে একবার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পরবর্তী রিচার্জে ওই পরিমাণ টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হবে। বর্তমানে অনলাইনেও র‍্যাপিড পাসের ব্যালেন্স চেক করা যায় খুব সহজেই। ডাচ বাংলা ব্যাংকের নির্দিষ্ট ব্রাঞ্চ ও সাব-ব্রাঞ্চে, র‍্যাপিড পাস বিক্রির এজেন্ট পয়েন্টে (ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পেইনে রিচার্জ হয় না), মেট্রোরেল স্টেশনের টিকেট ভেন্ডিং মেশিন থেকে। মেট্রোরেল স্টেশনের টিকেট কাউন্টার বা এক্সেস ফেয়ার অফিস থেকে কার্ড রিচার্জ করা যাবে। এদিকে যাত্রীসেবা সহজ ও আধুনিক করার লক্ষ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসে র‍্যাপিড পাস সার্ভিস চালু করলো রাষ্ট্রায়ত্ব পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর গুলিস্তানে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী। উদ্বোধনকালে এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী জানান, এখন থেকে বিআরটিসি বাসে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা র‍্যাপিড পাস ব্যবহারের মাধ্যমে চলাচল করতে পারবেন। ফলে আশা করা হচ্ছে, যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে ভাড়া নিয়ে বাক-বিতণ্ডার ঝামেলার নিরসন হবে।
২০ মার্চ ২০২৪, ২১:১৭

কয়রায় স্মার্ট পোস্ট সার্ভিস পয়েন্টের যাত্রা শুরু
খুলনার কয়রায় স্মার্ট পোস্ট সার্ভিস পয়েন্টের প্রথম যাত্রা শুরু হলো। সহসাই আরও ৫০০টি স্মার্ট পোস্ট পয়েন্ট করা হবে। এর ফলে ডাকঘরসমূহ ৩২৫টিরও বেশি ই-গভর্নমেন্ট সেবার পাশাপাশি নিয়মিত ডাকসেবা দেবে বলেছেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খুলনার কয়রায় স্মার্ট পোস্ট পয়েন্ট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ইউএনডিপি’র সফররত শুভেচ্ছা দূত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া স্মার্ট পোস্ট পয়েন্ট কয়রার উদ্বোধন করেন।   প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন,  স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় সরকার স্থানীয় ডাকঘরগুলো স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে প্রত্যন্ত  গ্রাম থেকেও  জনগণ সে সব স্মার্ট পোস্ট সার্ভিস পয়েন্ট থেকে ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিষেবাসহ সব ই-গভর্নমেন্ট সেবা অনায়াসে গ্রহণ করতে পারবেন। যা অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি দেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫টি ডাকঘরকে পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট পোস্ট পয়েন্টের রূপান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া সরকারের লক্ষ্য।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের ঠিকানা আমরা ২০২১ সালে অতিক্রম করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি স্বপ্নের ঠিকানায় ২০৪১ সালের মধ্যে পৌঁছানোর অভিযাত্রা শুরু করেছি। স্মার্ট ডাক ব্যবস্থায় দেশের ১০ হাজার পোস্ট অফিসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হাবের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে।   এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, এটুআইর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী প্রমুখ।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৪

স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে প্রশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা : স্পিকার
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের রূপকল্প এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারাই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। রোববার (১৭ মার্চ) রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ‘জয় স্মার্ট সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার’ নির্মাণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ট্রেনিং সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়। শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুরের কৃতী সন্তান। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তার নামে এই ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীরা তথ্যপ্রযুক্তির সেবা গ্রহণ করে নিজেদের দক্ষতার উন্নয়ন করে দেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করবে। স্পিকার বলেন, শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের পাশাপাশি আরও অধিকতর নতুন সেবা দিতে জয় সেট সেন্টার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য নতুন দক্ষ উদ্যোক্তা তৈরি করবে। স্পিকার আরও বলেন, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের পঞ্চম তলায় পাঁচ হাজার বর্গফুটবিশিষ্ট ফ্লোরে জয় সেট সেন্টার স্থাপন করা হবে। পীরগঞ্জবাসী এই সেন্টার থেকে তথ্যপ্রযুক্তি সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি ই-সার্ভিস পাবেন।   ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট উপহার নারী উদ্যোক্তাদের একটি ল্যাপটপ বিতরণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতার উৎকর্ষ সাধন করা হবে। রংপুরকে স্মার্ট ইকোনমিক হাব হিসেবে রূপান্তর করা হবে।   অনুষ্ঠানের শুরুতে স্পিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।   পরে শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘হার পাওয়ার প্রকল্প: প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন’ প্রকল্পের আওতায় নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে মোট ১ হাজার ১৯০টি ল্যাপটপ বিতরণ করেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২০:৪১

আজকের শিশুরাই ২০৪১ সালের স্মার্ট জনগোষ্ঠী : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের শিশুরাই হবে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশুরাই। দলমত নির্বিশেষে সকলে মিলে একযোগে কাজ করে শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ, আত্মবিশ্বাসী এবং মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী’ এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং দেশের সকল শিশুসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতীয় শিশু দিবসে এবছরের প্রতিপাদ্য- ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি ছিলেন নির্ভীক, দয়ালু এবং পরোপকারী। স্কুলে পড়ার সময়েই তার নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ লাভ করতে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই বিশ্ববরেণ্য নেতার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলার নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের শেষ আশ্রয়স্থল। শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। ১৯৪৮ সালে তার প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট পালনকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। কখনও জেলে থেকে কখনও বা জেলের বাইরে থেকে তিনি ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনে কারান্তরীণ অবস্থায় থেকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায়, ’৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮-র আইয়ুব খানের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ’৬২-র শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-র ছয় দফা, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন এবং ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শিশুদের প্রতি অপরিসীম মমতা ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ; শিশুরাই তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। শিশুদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে- এই ভাবনা থেকেই জাতিসংঘ শিশুসনদের ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে তিনি শিশু আইন প্রণয়ন করেন। শিশু শিক্ষার বিকাশ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে ১৭ মার্চ ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং শিশুদের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আমরা ‘জাতীয় শিশুনীতি’, ‘শিশু আইন’, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ প্রণয়ন করেছি। এছাড়া সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিকাশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে বিনামূল্যে নতুন বই প্রদান করা হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় শতভাগ শিশু আজ স্কুলে যাচ্ছে। আমরা শিশুদের জন্য জাতির পিতার জীবন ও কর্মভিত্তিক বই প্রকাশ এবং পাঠ্য বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেছি। এছাড়াও শিশুদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার উপযোগী সবরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী’ এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১০:১২

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারীদের আত্মকর্মস্থানের কোনো বিকল্প নেই’
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘হার পাওয়ার প্রকল্প প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় নারীদের ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।  পলক বলেন, নারীরা স্মার্ট বাংলাদেশ জয়ের সারথি। নারীদের কর্মস্থান ও প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুব দ্রুত সমায়ের মধ্যে ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরায় শেখ কামাল আইটি সেন্টার গড়ে তোলা হবে। সেখান থেকে প্রতিবছর দুই হাজার ছেলে-মেয়ে প্রযুক্তি সর্বোত্তম সুবিধা নিয়ে নিজেদের আত্মকর্মশীল করতে পারবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত প্রধানমন্ত্রীর নারী পুরুষ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন সুসংহতকরণে গৃহীত বহুমুখী কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল বিশ্বের রোল মডেল।   তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে সংগ্রামী ও সম্ভাবনাময় নারীদের সহযোগিতা, দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পটি হয়ে উঠতে পারে একটি অনবদ্য মাইলফলক। অনুষ্ঠানে উক্ত প্রকল্পের সাতক্ষীরায় হার পাওয়ার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কলারোয়া, তালা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নারী আইটি সেবাদাতা ক্যাটাগরির মোট ২৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে ল্যাপটপ দেওয়া হয়।   
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৮

পোশাকে নয়, মানসিকতায় স্মার্ট হয়ে কাজ করতে হবে : কুজেন্দ্র লাল
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে শুধু পোশাকে নয়, মানসিকতায় স্মার্ট হয়ে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ লাইন্স হাই স্কুলে আন্তঃ হাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকেও ঠিক একই পথে কাজ করতে হবে। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে খাগড়াছড়িকে অনন্য একটি জেলা হিসেবে গঠন করতে চাই। এজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স হাই স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার নাথ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) এবং সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোপ্রাপ্ত মাহমুদা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস্) মো. জসীম উদ্দিন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শতরূপা চাকমা, খাগড়াছড়ি  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মনিরুজ্জামান চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো. তানভীর হাসান, জেলা পুলিশের ডিবির ওসি মো. শামসুজ্জামান, ডিএসবির ডিওয়াইওয়ান মো. আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়