• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো আরও একটি দেশ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ জ্যামাইকা।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) জ্যামাইকা সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে আলজাজিরা ও মেহের নিউজ এজেন্সি। গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক আগ্রাসন এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অনবরত গভীর মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, জাতিসংঘ সনদের প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে মিল রেখে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চায় তার দেশ। আর সেটা সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে হতে হবে বলেই মত তার। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হলে দীর্ঘদিনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে আবারও আলোচনায় আসে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিষয়টি। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবে, সেটাই দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মূলকথা। এরই অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এসব দেশের তালিকায় এবার যোগ হলো জ্যামাইকার নাম।
২ ঘণ্টা আগে

মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল
সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে ১৯৯০ সালের অভিভাবকত্ব আইনে মাকে কেন স্বীকৃতি দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে ১৯৯০ সালের অভিভাবকত্বের আইনে সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মাকে স্বীকৃতি দিয়ে কেন নীতিমালা করা হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইন সচিব, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, ব্যারিস্টার আনিতা গাজী রহমান, অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৮

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত অস্ট্রেলিয়ার
শান্তি ফেরানোর বিষয়ে দ্রুততা আনতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। তবে সেক্ষেত্রে সরকার চালানোয় হামাসের যে কোনও ভূমিকা থাকতে পারবে না সে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল এবং জায়নিস্ট ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়া অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করে। তাদের মতে, ফিলিস্তিনের বিষয়ে নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার এ ধরনের সিদ্ধান্ত হবে অপরিপক্ক পদক্ষেপ। ক্যানবেরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যস্থতার মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অংশ হিসেবেই একমাত্র ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আসতে পারে। তবে পেনি ওংয়ের মন্তব্যে কিন্তু এই বছরের গোড়ার দিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের একটি বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা গেছে। সে সময় ডেভিড ক্যামেরন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইসরায়েলের সমর্থন ছাড়াই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাজ্যও। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন অস্ট্রেলিয়ান ত্রাণকর্মী এবং আরও ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনাতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে তার ভাষণে পেনি ওং জানিয়েছেন ‘সহিংসতার অন্তহীন চক্র’ ভাঙতে একমাত্র আশার আলো হতে পারে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান যেখানে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিরা পৃথক দেশে পাশাপাশি বসবাস করবে। তিনি বলেছেন, এই পন্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে দশকের পর দশক ধরে চলে আসা ব্যর্থতা এবং তার পাশাপাশি নেতানিয়াহু সরকারের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করতেও অস্বীকার করা ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি করেছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রশ্নকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের দিকে গতি বাড়ানোর উপায় হিসেবে বিবেচনা করছে। বিরোধীদের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র সাইমন বার্মিংহাম বলেছেন যে তারা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে না এবং প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজের সরকার ‘কয়েক দশক ধরে চলে আসা দ্বিপাক্ষীয় অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রনীতি ভঙ্গ করার’ হুমকি দিচ্ছে। এক বিবৃতিতে সাইমন বার্মিংহাম বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আগাম স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আলবানিজ সরকারের যুক্তিতে নিরাপত্তার আগে রাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যে সন্ত্রাসীরা বর্তমানে এই ভয়াবহ সংঘাতের সূচনা করেছে এতে তাদেরই জয় হবে। জায়নিস্ট ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট জেরেমি লেবলার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির যেকোনো আলোচনার জন্য এখনও সঠিক সময় আসেনি। তিনি বলেন, রাষ্ট্র গঠনের কোনো আলোচনা বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার আগে হামাসকে অবশ্যই অপসারণ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের একটি নতুন প্রজন্মের উত্থান ঘটাতে হবে, যারা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেবে না এবং ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দেবে। অন্যদিকে, পেনি ওং জানিয়েছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলে ‘শত্রুকে পুরস্কৃত’ করা হবে এই দাবি ‘ভুল’। তার মতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের ওপর নির্ভর করে এবং রাষ্ট্রের স্বীকৃতি হামাসকে দুর্বল ও দূরে সরাতে সাহায্য করবে। প্রায় ১৪০টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া-সহ অনেক দেশ তা স্বীকার করে না। বর্তমানে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে থাকা ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিক সংস্থার পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার বিষয়টা বিবেচনা করতে চলেছে জাতিসংঘ। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাতই অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় যাতে প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি নেওয়া হয়েছিল তার উত্তরে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণ চালায়। এর ফলে ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলটির বিরাট অংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং বহু ফিলিস্তিনি খাবারের দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চললেও এর সমাধানের জন্য তা কোন চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে তবে আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৬

গণহত্যার স্বীকৃতি চাইলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে নৃশংসভাবে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। স্বাধীনতা দিবসে করা এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে নির্মম গণহত্যার একটি এই ঘটনা (২৫ মার্চ)। এটির পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও এখনও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পায়নি, যা মানবাধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থনকারী বিশ্বশক্তির বিবেকের এক স্পষ্ট ব্যর্থতা। সজীব ওয়াজেদ জয় তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের মধ্য রাতে কুখ্যাত অপারেশন সার্চলাইটের নামে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ঢাকায় এক ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করে। গণহত্যা, সন্ত্রাসের কারণে শহরে ছড়িয়ে পরে আতঙ্ক। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বাধীনতার উদ্দীপ্ত শিখা নেভাতে পাকসেনারা দেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও সাহসী মানসিকতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যবস্তু করে। নিরস্ত্র হলেও তাদের গণহত্যা করা হয়। এমনকি তাদের যথাযথ দাফনও করা হয়নি। তিনি লেখেন, বেশ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিক সেই ঘটনা পরবর্তীতে প্রকাশ করে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সার্বভৌমত্ব, জাতীয়তা, ভাষা ও সংস্কৃতির আন্দোলনের কারণে পাকসেনারা ভয়ে ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সেই ভয় থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভয়ের বিষয়টি বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে দুই পাক অফিসারের মধ্যে পাঠানো একটি বার্তার মাধ্যমে। ‘বড় পাখি খাঁচায় আছে’, মুজিবকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এভাবেই বার্তা দিয়েছিলেন পাক অফিসাররা। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, পাকবাহিনীকে সমর্থনকারী বাহিনী এখনও আমাদের রাজনৈতিক ভূখণ্ডে সক্রিয়। আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করতে প্রস্তুত। তবে আওয়ামী লীগের প্রতি জনসমর্থনের জন্য তারা ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি লেখেন, আসুন ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। আমাদের বীর যোদ্ধারা যারা দেশের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন দেশকে তাদের স্বপ্নের মতো বিশ্বের জন্য একটি মডেলে রুপ দেওয়ার অঙ্গীকার করি।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২১:২৫

‘বিএনপির কারণে এখনও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির কারণে আমরা এখনও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। হানিফ বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা মুক্তিযুদ্ধের সব ইতিহাস মুছে দিয়েছিল। তারা বলে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়নি। এই মিথ্যাচারের কারণে আমরা এখনও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি।  তিনি বলেন, এইদিন আমাদের নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে পাকিস্তান গণহত্যা শুরু করেছিল। আজকে ২৫ মার্চ, সে ২৫ মার্চ যেদিন গণহত্যা শুরু হয়েছিল। এই গণহত্যায় ৩০ লাখ প্রাণ হারিয়েছে কিন্তু এখনও স্বীকৃতি পাইনি। নাৎসি বাহিনীর হাতে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল সেটার স্বীকৃতি আছে, রুয়ান্ডার গণহত্যা, বসনিয়ার গণহত্যার স্বীকৃতি আছে; কিন্তু আমাদের ত্রিশ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল সেটার স্বীকৃতি নেই। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, রাতের অন্ধকারে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খানদের নির্দেশে নির্মম হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে। এই গণহত্যার স্বীকৃতি আমরা এখনও জাতিসংঘ থেকে পাইনি। যতদিন স্বীকৃতি আমরা আদায় করতে না পারব, আমাদের যে বীর সন্তানরা নির্মম হত্যার স্বীকার হয়েছে, তাদের মর্যাদা আমরা দিতে পারব না। নাছিম বলেন, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। ত্রিশ লাখ শহীদের হত্যার স্বীকৃতি আমাদের আদায় করতে হবে। খুনি মুশতাক, জিয়ারা স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। খুনি জিয়া ক্ষমতা দখল করে খুনিদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। পাকিস্তানিদের দোসর সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়াদের প্রতিহত করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এই গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী হবে যুদ্ধাপরাধী সেনাবাহিনী আর পাকিস্তান হবে যুদ্ধাপরাধী দেশ। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৫

শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতি পেলেন মধুদা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত মধুর ক্যান্টিনের মধুসূদন দে শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতি পেয়েছেন। মূলত তিনি ছিলেন একজন চা দোকানি। কিন্তু পর্যায়ক্রমে এই চা দোকানি নিজেকে স্বাধিকার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের ভূমিকার সঙ্গে যুক্ত করে নেন। ছাত্রদের কর্মসূচি থেকে শুরু করে নানাভাবে তিনি সহযোগিতা করেন। রোববার (২৪ মার্চ) প্রকাশ করা হয়েছে আরও ১১৮ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা। তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ নিয়ে চার দফায় ৫৬০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করা হলো। তাতে নাম আছে মধুর ক্যান্টিনের মধুসূদন দের। তালিকা সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকার ক্ষেত্রে আমরা দু-এক জায়গায় ব্যতিক্রম করেছি। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুদা, যিনি শিক্ষক, লেখক ও গবেষক নন‌। তবে এমন‌ একজন মানুষ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই তাকে চেনেন। দেশের স্বাধীনতাসংক্রান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক যত আন্দোলন হয়েছে, সবগুলোতেই তার ভূমিকা ছিল। মন্ত্রী বলেন, মধুদা সাধারণ একজন চায়ের দোকানদার ছিলেন। প্রশ্ন উঠতে পারে তিনি আবার বুদ্ধিজীবী হয় কী করে। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে যত নেতাকর্মী দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন, মধুদা তাদের সহযোগিতা করেছেন। বিনা পয়সায় চা খাইয়েছেন। মিটিং মিছিল করে সহযোগিতা করেছেন। মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত তার একটা সনদও আছে, যেখানে বঙ্গবন্ধু তাকে (মধুদা) বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তালিকায় মধুসূধন দে বা মধুদার বাবার নাম লেখা হয়েছে আদিত্ত্ব চন্দ্র দে, মায়ের নাম লেখা হয়েছে যোগমায়া দে। গ্রাম বা মহল্লা-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, থানা-রমনা, জেলা-ঢাকা।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৭

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে ইউরোপের ৪ দেশ
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপের চার দেশ স্পেন,  আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্লোভেনিয়া। এ বিষয়ে এরইমধ্যে দেশগুলো প্রাথমিক পদক্ষেপও নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে গত শুক্রবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর আশা প্রকাশ করে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, গত বছর শুরু হওয়া তার সরকারের চার বছরের মেয়াদকালের মধ্যে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি মিলবে। এদিকে আয়ারল্যান্ড এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা সম্মত হয়েছি, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের একমাত্র উপায় হলো একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়ন করা। তাহলেই কেবল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিরা শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করতে পারবে।’ উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৩৯টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে।  প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩২ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা ৭৪ হাজার ছাড়িয়েছে। চলমান এই সংঘাত ঘিরে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জোর দাবি উঠছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:১১

সেবা ও সাহসিকতার স্বীকৃতি পেলেন ১২০ র‍্যাব সদস্য
পেশাগত কাজে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) পদক পেয়েছেন সংস্থাটির ১২০ জন সদস্য। সেবা ও সাহসিকতার জন্য তাদেরকে এ পদক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘র‍্যাব মেমোরিয়াল ডে’ অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেন র‍্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন।  এ সময় পদক প্রদান ছাড়াও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত ৩৩ র‍্যাব সদস্যের পরিবারের হাতে সম্মাননা ও আর্থিক অনুদান তুলে দেন র‍্যাব মহাপরিচালক। এ ছাড়াও আভিযানিক কার্যক্রমে শহীদ র‍্যাব সদস্যদের স্মৃতি স্মরণে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও শহীদ র‍্যাব সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন তিনি।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৬

পাকিস্তানের সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে মার্কিন আইন প্রণেতাদের আহ্বান
নির্বাচনে হস্তক্ষেপের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে লেখা এক চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩১ জন আইন প্রণেতা। এর আগে পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপি, নির্বাচনী সহিংসতা এবং দেশব্যাপী ইন্টারনেট বন্ধের ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। অস্বাভাবিকভাবে বিলম্বিত ফলাফলের কারনে ভোটে কারচুপির অভিযোগও উঠেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলো এবং তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলো। এখন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নাওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) শাহবাজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী করে চারটি ছোট দলের মধ্যে একটি জোট সরকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও কারাবন্দী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা বেশিরভাগ আসন জিতেছে। সেনাবাহিনী কর্তৃক দমন-পীড়ন সত্ত্বেও ইমরান সমর্থিত প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদে ৯৩টি আসনে জয়ী হলেও সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের ছিল না। তিনি এবং তার দল নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করে এবং কমপক্ষে ১৮০ টি আসন জয়ের দাবি করে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং ফলাফল কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করে পাকিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বুধবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৩১ জন ডেমোক্র্যাট সদস্যের চিঠিতে বাইডেন ও ব্লিঙ্কেনের প্রতি ‘নির্বাচনে হস্তক্ষেপের পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে নতুন সরকারের স্বীকৃতি না দেওয়ার’ আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বক্তব্য বা কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাতে। একই সাথে এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও তাদের মুক্তির পক্ষে কথা বলার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে। আপিলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিনিধি গ্রেগ কাসার এবং সুসান ওয়াইল্ড। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন প্রতিনিধি প্রমীলা জয়পাল, রাশিদা তালিব, রো খান্না, জেমি রাসকিন, ইলহান ওমর, কোরি বুশ এবং বারবারা লি।  ‘গণতন্ত্র এবং সকল পাকিস্তানির স্বার্থে আমরা বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যতক্ষণ না তদন্তে প্রমাণিত হয় যে নির্বাচনে কারচুপি হয়নি ততক্ষণ নতুন সরকারের স্বীকৃতি স্থগিত রাখতে,’ বলেন কাসার। আইন প্রণেতারা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে এই বার্তা দেওয়ার তাৎপর্যের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন যে, মার্কিন আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্রকে দুর্বল করা বা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার জন্য জবাবদিহিতার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব, নির্যাতনের ভিডিও প্রমাণ এবং ভোটের সংখ্যায় অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করে তারা ভোট পরবর্তী কারচুপি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আইন প্রণেতারা যুক্তি দেখিয়েছেন যে, পাকিস্তানে গণতন্ত্র রক্ষা করা এবং নির্বাচনের ফলাফলে অভিজাত ও সামরিক বাহিনীর পরিবর্তে জনগণের স্বার্থের সত্যিকারের প্রতিফলন নিশ্চিত করা মার্কিন স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তারা একটি বিস্তৃত তদন্ত এবং গণতান্ত্রিক নীতি মেনে চলার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ‘শক্তিমান’ সামরিক বাহিনীর সাথে বিরোধের পরে ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উপরন্তু, তার দলের বেশ কয়েকজন সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এবং পিটিআইয়ের একটি নির্বাচনী প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যার অর্থ তাদের সদস্যরা কেবল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন। সাধারণ নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষের শোরগোল বিক্ষোভের মধ্যে ৩০২ জন সংসদ সদস্য প্রথম দিনে শপথ গ্রহণ করেন। পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা যাদের বেশিরভাগই সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়েছেন, তারা ইমরান খানের মতো ফেসমাস্ক পরেছিলেন এবং তার মুক্তির দাবিতে ব্যানার বহন করেছিলেন। পিটিআইয়ের এমএনএ’রা ‘ইমরান খানকে মুক্তি দাও’, ‘বন্দী নম্বর ৮০৪’, ‘কে পাকিস্তানকে বাঁচাবে: ইমরান খান, ইমরান খান’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিল। অন্যদিকে পিএমএল-এন নেতারা হাতঘড়ি পড়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা মামলার প্রসঙ্গ তুলেছেন। বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়া নাওয়াজ শরিফ ও শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন পিটিআই সমর্থকরা।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:০০

পাকিস্তানের নবগঠিত সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে বাইডেনকে চিঠি
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ২১ দিন পর জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয় গতকাল বৃহস্পতিবার। অধিবেশনের প্রথম দিনে ব্যাপক হট্টগোল আর বিক্ষোভের মধ্যে শপথ নেন পার্লামেন্টের নতুন সদস্যরা। এদিকে দুদিন বাদেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের নবগঠিত সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লিখেছেন মার্কিন কংগ্রেসের ৩১ জন সদস্য। একই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকেও।  শুক্রবার (১ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন কংগ্রেসের ৩১ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। এতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। চিঠিতে এই অনুরোধের পাশাপাশি রাজনৈতিক বক্তৃতা বা কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য যাদের আটক করা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দিতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের এই ধরনের মামলার তথ্য সংগ্রহ করার এবং তাদের মুক্তির পক্ষে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে চিঠিতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে লেখা চিঠিটিতে কংগ্রেসম্যানরা আরও অনুরোধ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে যেন স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয় যে, নির্বাচনে সহিংসতা ও জালিয়াতির ব্যাপারে প্রাসঙ্গিক কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক ও অন্যান্য সহযোগিতা স্থগিতের মতো পদক্ষেপ ব্যবহার করতে পারে। রয়টার্স বলছে, মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৩১ জন ডেমোক্র্যাটিক সদস্যের স্বাক্ষরিত ওই চিঠির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রতিনিধি গ্রেগ ক্যাসার এবং সুসান ওয়াইল্ড। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আরও আছেন প্রমিলা জয়পাল, রাশিদা তালাইব, রো খান্না, জেমি রাসকিন, ইলহান ওমর, কোরি বুশ এবং বারবারা লির মতো আইনপ্রণেতারা। প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিনে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের পাশাপাশি ভোট ঘনিয়ে আসার আগে গ্রেপ্তার, সহিংসতা এবং ভোটগ্রহণের পর অস্বাভাবিক বিলম্বিত ফলাফল ঘোষণার পর ভোটে ব্যাপক কারচুপি অভিযোগ ওঠে। পরে দেশটির নির্বাচনী অনিয়ম সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে তদন্তের আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে, নির্বাচনের পূর্ণ ফল ঘোষণার আগেই আবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানে যারাই সরকার গঠন করুক, তাদের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।   
০১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়