• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে কারণে ইফতারে রাখবেন স্বাস্থ্যকর দই-চিড়া
সারাদিন রোজার পর ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। প্রয়োজন একটু সতেজতা। আপনার শরীরে সেই সতেজতা এনে দিতে পারে দই চিড়া। একই সঙ্গে বাড়বে হজম প্রক্রিয়া, দূর হবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। চিড়া কার্বোহাইড্রেটের অন্যতম উৎস। প্রোটিন, খাদ্য আঁশ, জিংক, আয়রনের উৎস। এ ছাড়া এতে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। সারাদিন রোজা রাখার পর আমাদের শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তি সরবরাহ করতে পারে এই চিড়া। সাদা চিড়ার পরিবর্তে লাল চিড়া খাওয়ার চেষ্টা করুন।  ইফতারে মিষ্টি দইয়ের চেয়ে টক দই বেশি উপকারী। ইফতারে চিড়া-গুড় কিংবা দই-চিড়াও খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই। চিড়া ভিজিয়ে তাতে চিনি, গুড় কিংবা দই মিশিয়ে খাওয়া হয়। চিড়া আমাদের পেট ঠান্ডা করে, পানির অভাব পূরণ করে এবং একইসঙ্গে ক্ষুধা মেটায়। পুষ্টিবিদদের মতে, স্বাস্থ্যের অবস্থা ও বয়সের ওপর ভিত্তি করে পরিবারের সবার জন্য স্বাস্থ্যকর, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ ইফতার হওয়া উচিত। যা শারীরিক শক্তি জোগাবে, কর্মচঞ্চল রাখবে, প্রোটিন, শর্করাসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে। শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করবে, ক্লান্তি ভাব দূর করতে কাজ করবে তেমনই একটি খাবার দই চিড়া। পুষ্টিবিদরা জানান, চিড়ায় পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সিলিয়াক ডিজিজের রোগীদের জন্যও চিড়া খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। চিড়া আমাদের পেট ঠান্ডা করে, পানির অভাব পূরণ করে এবং একইসঙ্গে ক্ষুধা মেটায়। চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে, যা ডায়রিয়া, ক্রনস ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে এর উপকারিতা অনেক। জেনে নিতে পারেন ইফতারে দই চিড়া খাওয়ার দারুণ এই রেসিপি। দই চিড়া তৈরিতে যা যা লাগবে- টক দই (২ কাপ), চিড়া (১/২ কাপ), পাকা কলা (স্কয়ার করে কাটা ১টি), চিনি (প্রয়োজন মতো), লবণ (প্রয়োজন মতো), এলাচি গুঁড়া (১/৪ চা চামচ), কিসমিস (১ টেবিল চামচ)। যেভাবে তৈরি করবেন- প্রথমে চিড়া ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপর বাটিতে টকদই, চিনি ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে ফেটে নিতে হবে। ফেটানো দইয়ে চিড়া মেখে ফ্রিজে রাখুন। এক ঘণ্টা পর ফ্রিজ থেকে বের করে কলা, এলাচি গুঁড়া ও কিশমিশ ভালোভাবে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৬

ইফতারে স্বাস্থ্যকর স্প্রাউট সালাদ
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আর তাই ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত স্প্রাউট সালাদ রাখতে পারেন। স্প্রাউড সালাদ সাস্থ‍্যের জন‍্য খুবি উপকারী। স্প্রাউডে ভিটামিন এ,বি,সি ভরপুর। এ ছাড়াও এ সালাদটি হজম শক্তি বাড়ায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক স্প্রাউট সালাদের রেসিপি। যা যা লাগবে- অঙ্কুরিত ছোলা আধা কাপ সবুজ অঙ্কুরিত মুগ ডাল সবুজ পেঁয়াজ (পেঁয়াজ শাকের পেঁয়াজ) ৪টি ১টা ছোট গাজর ক‍্যাপসিকাম আধা কাপ ডাবের শাঁস ১/৪ ভাগ শসা অর্ধেক টমেটো ১টি লেবু ১টি  আধা চা চামচ আমচুর পাউডার আধা চামচ গোলমরিচের গুঁড়া বিট লবণ স্বাদমতো  চিনা বাদাম ২ চা চামচ  ধনেপাতা, পুদিনা পাতা সামান্য পরিমাণ   যেভাবে তৈরি করবেন- প্রথমে একটি বাটিতে ছোলা আর মুগডাল ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ৮ ঘণ্টা পর পানি থেকে তুলে একটা ভেজা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে আরও ৮ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর তোয়ালে তুললেই দেখবেন অঙ্কুর বেড়িয়েছে। আপনি যদি চান আরও একটু বেড়ে উঠুক, তাহলে তোয়ালে ভিজিয়ে আবারও ৮-১০ ঘণ্টা রেখে দিলেই দেখবেন বেশ খানিকটা বড় হয়েছে। এবার এগুলোকে আধাঘণ্টার জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এবার সালাদ তৈরির পালা।  এর জন্য সবগুলো সবজি ধুয়ে কুচি করে কেটে একটি বাটিতে নিন। এরপর সবজি, অঙ্কুরিত ছোলা, ডাল, বিটলবণ, আমচুর পাউডার, বাদাম, সবুজ পেঁয়াজ, লেবুর রস মিশিয়ে হালকা করে মাখিয়ে নিতে হবে। এবার ওপর থেকে গোলমরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে দিন। ডেকোরেশনের জন্য ক্যাপসিকাম গোল করে কেটে নিয়ে তার মাঝখানে গোলাপ ফুলের শেইপে টমেটো কেটে মাঝখানে বসিয়ে দিন। দেখতে বেশ লাগবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৯

রোজায় খাবারের তালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার
সিয়াম সাধনার মাস রমজানে ভোররাতে সাহরি খেয়ে দিনভর খাদ্য ও পানীয় বর্জন করে সংযম পালন করবেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা। এ সময়টা যেহেতু অনেক লম্বা, সে ক্ষেত্রে কী খেলে দিনটা ভালো কাটবে, তা জানা জরুরি। এবারের রোজা হচ্ছে প্রচণ্ড গরমের সময়ে। তাই শরীরকে হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পানি, মৌসুমি ফল ও সবজির জুস বা স্মুদি এ ধরনের তরল, ঠাণ্ডা খাবার ও আঁশজাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত জুস বা খাবার না খেয়ে প্রাকৃতিক খাবার থেকে এনার্জি নেওয়াই ভালো। এই মাসে চা, কফি পানের মাত্রা কমাতে হবে। তা না হলে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ঘুমের সমস্যা হতে পারে। ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত খাবার বেশি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, তাই এসব যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। এ সময় অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। তৈলাক্ত খাবার খেলে লিপিড প্রোফাইল খারাপ হয়ে যেতে পারে, মানে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে। যারা রোজায় চর্বিজাতীয় খাবার মেনে চলবেন, তারা এই ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এমনকি যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে, এ নিয়ম মেনে চললে তারা ভালো হয়ে যেতে পারেন।  খাবার পরিমিত খেলে রোজায় সুস্থ থাকা যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তারা অবশ্যই খাবার গ্রহণে সচেতন থাকবেন। কারণ যাদের কিডনি রোগ বা গেটে বাত (ইউরিক অ্যাসিড) আছে, তাদের ডালজাতীয় খাবার পরিমাণে খুব কম খাওয়া বা একেবারেই না খাওয়া উচিত। রোজার সময় অনেকের পেটের সমস্যা দেখা দেয়। এটি সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত খাবার গ্রহণের জন্য হয়। তাই তারা চাইলে রোজ ইফতারে দই-চিড়া খেতে পারেন। কারণ দই রয়েছে প্রোবাওটিক, যা পেটের গাট ব্যাক্টেরিয়াকে ধ্বংস করে। এই সময়ে খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খাবেন, যা আপনার হজমে সহায়ক হবে। ইফতার ও সাহরিতে আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করুন। গ্লাস গুনে পানি খেতে অসুবিধা হলে সমপরিমাণ পানি বোতলে ভরে রাখুন এবং ইফতার থেকে সাহরির সময়ের মধ্যে তার পুরোটা পান করুন।  যা খাবেন সাহরিতে-  রমজানে সুস্থ থাকতে ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহরিতে পরিমিত খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহরিতে সহজপাচ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। সাহরি খেতে হবে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে। চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে, যাতে বদহজম না হয়।   অতিরিক্ত তেল, ঝাল, চর্বিজাতীয় খাবার মোটেও খাওয়া  যাবে না। অনেকের ধারণা মনে করেন, যেহেতু সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে, তাই সাহরির সময় প্রচুর খেতে হবে। এই ধারণা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কারণ, চার–পাঁচ ঘণ্টা পার হলেই খাদ্যগুলো পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে গিয়ে হজম হয়ে যায়। তাই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি না খাওয়াই ভালো বরং মাত্রাতিরিক্ত খেলে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। সাহরিতে ভাতের সঙ্গে মিশ্র সবজি, মাছ অথবা মাংস খেতে পারেন। রাখতে পারেন দইও। অনেকে ভাত খাওয়ার পর হালকা চিড়ার সঙ্গে দই খান, এটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এতে পানির তৃষ্ণাও মেটে।  পিপাসা নিবারণ হয়, সেই পরিমাণ পানি নিজের অভ্যাস অনুযায়ী পান করতে হবে। দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং পানিশূন্যতার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়।  অনেকেই সাহেরির সময় একসঙ্গে বেশি পানি খেয়ে ফেলেন, এটা করা যাবে না। ইফতারের পর থেকে রাত পর্যন্ত অল্প অল্প করে পানি বা অন্যান্য তরল খেয়ে দেহকে আর্দ্র রাখতে হবে।ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করবেন।  অনেকে পানির পরিবর্তে লেমন অথবা রোজ ওয়াটার, শরবত, ভিটামিন ওয়াটারসহ নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত পানীয় পান করেন। এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদদের অভিমত, রোজাদারদের শুধু বিশুদ্ধ পানি পান করাই ভালো। রোজাদারদের প্রচুর সবুজ শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন। সাহরিতে সবচেয় ভালো হয় যদি লাল ভাতের সঙ্গে মিক্সড সবজি যেমন লাউশাক, মিষ্টিকুমড়া, শসা, পটোল, ঝিঙে, কচুশাক, কচু ইত্যাদি ১ কাপ, মাছ বা মুরগি ১ টুকরা, ডাল আধা কাপ, সঙ্গে দই বা লো ফ্যাট দুধ ১ কাপ খাওয়া যায়। সঙ্গে ১-২টি খেজুর খেলে সারাদিনের ক্যালরি পূরণ হবে। 
১০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩০

স্বাস্থ্যকর স্যুপ তৈরি করুণ ৫ টিপস মেনে
শীতের বিকেলে আরামদায়ক সঙ্গী হতে পারে একবাটি গরম ধোঁয়া ওঠা স্বাস্থকর স্যুপ। স্যুপকে স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি করতে পারলে এটি জোগান দেবে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানা পুষ্টিও। এজন্য স্যুপে সঠিক উপাদান যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে শীতের সময় নানা ধরনের শাকসবজিতে ভরপুর থাকে। এগুলো দিয়ে ঝটপট বানিয়ে ফেলতে পারেন একবাটি পুষ্টিকর স্যুপ। জেনে নিন কোন কোন টিপস মেনে স্যুপকে স্বাস্থ্যকর করে তুলবেন- ১। শীতকালীন সবজি থাকুক স্যুপে  প্রচুর পরিমাণে রঙিন এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি পাওয়া যায় শীতকালে। স্যুপে মৌসুমি সবজি যোগ করুন। এগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস। পাশাপাশি স্যুপে নিয়ে আসে চমৎকার স্বাদও।  ২। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ব্রোথ বেছে নিন স্যুপের মূল ভিত্তি হচ্ছে ব্রোথ। সবজি, মুরগির মাংস বা হাড়ের ব্রোথের মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ ব্রোথ বেছে নিন। এগুলো স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে। তাজা ভেষজ এবং মসলা দিয়ে সেদ্ধ করা বাড়িতে তৈরি ব্রোথ পুষ্টির মান এবং স্বাদ উভয়ই বাড়ায়। ৩। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন খাদ্যতালিকায় প্রোটিন থাকা খুবই জরুরি, তাই স্যুপে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। স্যুপে পনির, সয়াবিন, ছোলা, সবুজ মুগ বা মুরগির মাংস যোগ করতে পারেন। এটগুলো স্যুপকে একটি পরইপূর্ণ খাবারে পরিণত করবে। অনেকক্ষণ পেটও ভরা থাকবে। স্যুপকে পুষ্টিকর করতে গ্রিলড চিকেন বা সামুদ্রিক খাবারের মতো চর্বিহীন প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এই প্রোটিনগুলো অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড যোগ করে যা পেশীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।  ৪। শস্যজাতীয় খাবার যোগ করুন  ওজন কমানোর জন্য লাঞ্চ বা ডিনারে স্যুপ রাখতে চাইলে এতে অল্প পরিমাণে শস্য যোগ করতে পারেন। পাস্তা, বাদামী চাল, বার্লি ইত্যাদির মতো শস্য মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন স্বাস্থ্যকর স্যুপ। এতে এক বাটি স্যুপ পান করলেও পেট ভরবে। ৫। গুরুত্ব দিন সিজনিংয়ে ভেষজ এবং মসলা শুধুমাত্র স্বাদ বাড়ায় না বরং অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও প্রদান করে। হলুদ, আদা এবং রসুনের মতো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী মসলা বেছে নিন সিজনিংয়ের জন্য। থাইম, রোজমেরি এবং পার্সলের মতো ভেষজ স্বাদ এবং অতিরিক্ত পুষ্টির জোগান দেবে। 
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়