• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
মাশরুম চাষ করে স্বাবলম্বী শাপলা আক্তার
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের বধু শাপলা আক্তার। ২টি মুরগি বিক্রি করে শুরু মাশরুম চাষ। পরে মাশরুম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার নারী উদ্যোক্তা শাপলা আক্তার। শুধু নিজে নয় ৩০ জন মাশরুম চাষিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন তিনি। তার এই সফলতায় খুশি স্বজনসহ এলাকার মানুষ। তার মাশরুম চাষ দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন অনেকেই। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের সুবিধা।  হিলির চন্ডিপুর গ্রামের পলাশ, সোহেল রানা বলেন, আমরা শাপলা আপার মাশরুম চাষ দেখতে এসেছি। এসে দেখলাম তার দুইটি ঘরে প্রায় ৭০০ টি স্পন রয়েছে। আমরা শাপলা আপার থেকে পরামর্শ নিলাম। আমরাও বাসাতে নিজেরাই মাশরুম চাষ করবো।  হিলির মাশরুম চাষী শাপলা আক্তার বলেন, ২০২২ সালে ইউটিউব দেখে মনে ইচ্ছে জাগে মাশরুম চাষ করবেন। পরে তিনি বাড়িতে থাকা ২টি সখের মুরগি বিক্রি করে ১২০০ টাকা দিয়ে শুরু করেন মাশরুম চাষ। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন সফল উদ্যোক্তা। শাপলা আক্তার জানান, ১২০০ টাকার মাশরুম কিনে ছোট একটি ঘরে মাশরুম চাষ করেন তিনি। যার নাম দেন স্নেহা মাশরুম ঘর। এখান থেকে প্রতিদিন তিনি ৫ থেকে ৭ কেজি মাশরুম তুলেন তিনি। তার এই মাশরুম সেন্টার পরিদর্শন করেন সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় আগ্রহীরা। জেনে নেন মাশরুম চাষের নানা দিক। ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধি করতে নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সদস্য অংশ নেন বিভিন্ন নারী উদ্যোক্তা মেলায়। নিজে সফল হবার পর আরও ৩০ জন উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন তিনি। বর্তমানে তার ঘরে ৭০০ স্পন রয়েছে।  হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের শাপলা আক্তার নামে এক নারী মাশরুম চাষ করছেন। আমরা উপজেলার কৃষি বিভাগ থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করছি। তিনি বর্তমানে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা চাই যারা বেকার রয়েছেন তারা মাশরুম চাষ করতে পারেন। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো। শাপলা আক্তারের মাশরুম ঘর দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন এলাকার মানুষ। ইচ্ছে পোষণ করছেন তারাও মাশরুম চাষ করবেন। নারী উদ্যোক্তার এমন সফলতায় মুগ্ধ তারা। নিচ্ছেন নানা পরামর্শ। শাপলা আক্তারের এই মাশরুম স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে মাশরুম বিক্রি হচ্ছে অনলাইনেও।   
১০ মিনিট আগে
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়