• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মামুনুল হকের মুক্তি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা জানালেন
হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মুখ খুলেছেন। এর আগে তিনি মামুনুল হকের সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সোমবার (১২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের একটি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব। তিনি বলেন, নিঃশর্তভাবে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তিসহ বৈঠকে হেফাজতের নেতারা জোরালোভাবে দুটি দাবি উত্থাপন করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়। হেফাজত নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রমজানের মধ্যেই মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়তার সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন এবং হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ সময় নেতারা বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে শীর্ষ নেতাদের পরামর্শক্রমে হেফাজত কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হব। বৈঠকে হেফাজত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মুফতি জসীমুদ্দীন, মাও. মাহফুজুল হক, মাও. আব্দুল আওয়াল, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাও. বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাও. জুনায়েদ আল হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বশীরুল্লাহসহ অনেকে। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হক ও তার কথিত স্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পরে খবর পয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
১২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩১

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শর্তহীন বন্ধুত্ব এখনও বিদ্যমান : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি শর্তহীন বন্ধুত্ব ছিল, যা এখনও বিদ্যমান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি শর্তহীন বন্ধুত্ব ছিল, যা এখনও বিদ্যমান। এখনও যেকোনো বিষয়ে ভারত সত্যিকার অর্থে আমাদের পাশে থাকে। ভারতকে আমরা সামনেও বন্ধু হিসেবে পাব। যতদিন বাংলাদেশ ও ভারত থাকবে, ততদিন দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব বজায় থাকবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই স্বাধীনতা আনার জন্য অন্য দেশের সেনাবাহিনী প্রবেশ করেছে। তবে যুদ্ধের পর এত দ্রুত কেউই সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়নি। ভারত আমাদের বন্ধু বলেই এত দ্রুত সৈন্য প্রত্যাহার করেছিল।   তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের এক হাজার ৬৬১ জন জীবন দেন। এটি তাদের নিজের দেশ নয়, তবুও তারা এদেশের যোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেন। আমাদের কোটি লোক ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল।  মন্ত্রী বলেন, ভারতের সরকার তো বটেই, সাধারণ জনগণ যদি বাংলাদেশের মানুষকে আশ্রয় না দিত, তাহলে ইতিহাস বোধ হয় অন্যভাবেই লেখা হতো। সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সৈন্য প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন কূটনৈতিক দক্ষতা ছিল, অন্যদিকে ভারতীয় জনগণ আমাদের স্বাধীনতার অনিবার্যতা উপলব্ধি করেছিল। বঙ্গবন্ধু পৃথিবীকে আমাদের স্বাধীনতার অনিবার্যতা বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী প্রণয় কুমার ভার্মা উপস্থিত ছিলেন ।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

মজুতকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মজুতকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, কাউকে গুদামজাত করে কৃত্রিমভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে দেওয়া হবে না। রোববার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সার্বিক প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর রেস্তোরাঁগুলোতে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযানে যাচ্ছে না। পুলিশকে অনুরোধ করা হচ্ছে, তারা অভিযানে যাচ্ছে। যারা অভিযান পরিচালনা করছেন, তারা পুলিশকে অনুরোধ করছেন। পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো জায়গায় গিয়েছিল বলে আমার জানা নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে যাদের গাফিলতি ছিল, তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। আপনারা এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দেখেছেন। রাস্তার পাশের বাড়িগুলোতে রেস্টুরেন্ট করার অনুমতি ছিল না। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কার কি গাফিলতি আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে ১টি সংস্থাকে সব দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না সেটা দেখা হবে।  ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবসে’ রাতে এক মিনিট পুরো দেশ অন্ধকারে (ব্ল্যাক-আউট) থাকবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, রাত ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ থাকবে।
১০ মার্চ ২০২৪, ২৩:২০

রাজবন্দী না, কারাগারে আছে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রাজবন্দী বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। আছে, যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা আমার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমার আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে। অথচ তারা (বিএনপি) বলছে যে, হাজার হাজার রাজবন্দী। আমি বলবো রাজবন্দী বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। আমাদের কাছে বন্দী আছে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী অপরাধকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যেটা পুলিশ করছে।  শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে পুলিশ স্টাফ কলেজের কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অগ্নি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করতে চেয়ে ছিল। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।  গত নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী, বড় বড় নেতা ধরাশায়ী হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যেভাবে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করেছে। কাজেই আমরা সুনিশ্চিত করে বলতে পারি, এই নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বা কোনো ধরনের সাপোর্ট কেউ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি না, দেখিও নি। আর নির্বাচনকালে নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। এর আগে, কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) খুরশীদ হোসেন ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম। উল্লেখ্য, গত বছর কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গ করেছেন পুলিশের বিভিন্ন স্তরের ১৩৪ সদস্য। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দেশে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর জীবন দেওয়া সদস্যদের স্মরণ করা হয়। এজন্য তৈরি করা হয়েছে মেমোরিয়াল। বাংলাদেশ পুলিশের ১৯৯৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কর্মরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ২০১৭ সাল থেকে ১ মার্চ মেমোরিয়াল ডে পালন করছে। প্রতি বছর মেমোরিয়াল ডে-তে ওই বছরে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের উপস্থিতিতে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এ স্তম্ভের আন্ডারগ্রাউন্ডে ১৯৯৩-২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বীর পুলিশ সদস্যদের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৮

পুলিশ মেমোরিয়ালের বেদিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির শ্রদ্ধা
কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।  শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে পুলিশ স্টাফ কলেজে স্থাপিত ‘পুলিশ মেমোরিয়াল’ বেদিতে ফুল দিয়ে এ শ্রদ্ধা জানান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) খুরশীদ হোসেন ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম। উল্লেখ্য, গত বছর কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গ করেছেন পুলিশের বিভিন্ন স্তরের ১৩৪ সদস্য। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দেশে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর জীবন দেওয়া সদস্যদের স্মরণ করা হয়। এজন্য তৈরি করা হয়েছে মেমোরিয়াল। বাংলাদেশ পুলিশের ১৯৯৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কর্মরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ২০১৭ সাল থেকে ১ মার্চ মেমোরিয়াল ডে পালন করছে। প্রতি বছর মেমোরিয়াল ডে-তে ওই বছরে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের উপস্থিতিতে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এ স্তম্ভের আন্ডারগ্রাউন্ডে ১৯৯৩-২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বীর পুলিশ সদস্যদের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৪১

গণতন্ত্র নিয়ে কোন দেশ কী বলল তা মুখ্য নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, অনেক দেশই তো অনেক কথা বলে, অনেক দেশে গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে হয় তা সবার জানা। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না। যে পারে সে নির্বাচন করবে। তাই আমরা মনে করি আমাদের দেশে যদি গণতন্ত্রের চর্চা না হয় যারা বলেন, তাদের দেশে কতখানি আছে তা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদকবিরোধী সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো দেশে ২০ পার্সেন্ট, ২৫ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়। এবার আমাদের নির্বাচনে ৪২ পার্সেন্ট কাস্ট হয়েছে। এরপরও যদি কেউ বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাহলে আর আমাদের কিছু বলার থাকে না। আমাদের একটি সংবিধান রয়েছে। এর ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য জনগণ ও দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী সে চিন্তা করছেন। কাজেই কোন দেশ কী বললো তা মুখ্য বিষয় নয়। আমাদের মুখ্য বিষয় হলো, জনগণকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব, গণতন্ত্রের চর্চাটা কীভাবে আরও সুন্দর করব। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এমপি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন প্রমুখ। 
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৫

রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের কাজ করার অনুরোধ জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর তাই আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের একটি কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান মন্ত্রী। অধিবেশনে ডিসিরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নতুন করে কিছু বলেননি জানিয়ে তিনি বলেন, তারা ছোট ছোট কিছু পয়েন্ট সভায় তুলেছেন। ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। বিশেষ করে রোজার আগে তারা যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করে। কারণ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ডিসিদের সভায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে— জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কোর কমিটির সভা যেন প্রতি মাসে করেন তারা। যাতে করে সবার সঙ্গে সবার একটা বোঝাপড়া থাকে। যেন কোনো অসুবিধা হলে সেটা দ্রুত সমাধান করা যায়। সভায় ডিসিদের আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা ইয়াবা ও এলএসডির মতো মাদকের বিরুদ্ধে সামজিক সচেতনতা গড়ে তোলেন। আমরা ধূমপানের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এখন দেখা যায় প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করে না। কেউ ধূমপান করলেও তা আড়ালে করে।  নদীপথে যেন যত্রতত্র বালু উত্তোলন না করা হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতেও ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এসব ক্ষেত্রে ডিসিদের যখন প্রয়োজন তখনই নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাশে থাকবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় ডিসিদের উত্থাপিত পয়েন্টগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিসিরা জানতে চেয়েছেন করোনার সময়ের মতো ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করা যায় কি না। তারা বলেছেন বিশেষ করে জঙ্গিদের আদালতে আনা-নেওয়া করায় কিছুটা ঝুঁকি থাকে। তাই ভার্চুয়াল কোর্টের কথা বলেছেন ডিসিরা। সারাদেশে ভার্চুয়াল কোর্ট করা যায় কি না আমরা সেটা পরীক্ষা করে দেখব।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৯

দ্রুত শেষ হবে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত বিচার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পিলখানার হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত বিচার অল্পদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পিলখানায় একটি বড় হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। তদন্ত সম্পন্ন করা একটা বিরাট কর্মকাণ্ড ছিল। এগুলো শেষ হয়েছে। প্রাথমিক একটা বিচার হয়েছে। চূড়ান্ত বিচার হয়তো অল্পদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। এটা সম্পূর্ণ আমাদের বিচারিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে। আশা করছি খুব শিগগিরই চূড়ান্ত বিচারটাও আমরা দেখব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচার কবে শেষ হবে সেটা বিচারকরাই জানেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই ফাইনাল সিদ্ধান্ত। আমাদের আদালত স্বাধীন। আদালত একটি ন্যায্য বিচার করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তিনি আরও বলেন, এখানে কারও গাফিলতি নেই। আমি আগেই বলেছি এখানে বিরাট ধরণের হত্যাকাণ্ড ছিল। সবগুলো সঠিকভাবে তদন্ত শেষে বড় ধরণের বিচার কার্য ছিল। এই সবগুলোই সময় লেগেছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর (যা এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা সংক্ষেপে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিপথগামী কিছু বিডিআর সদস্য ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী-শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই ঘটনায় একটি হত্যা ও একটি বিস্ফোরক মামলা করা হয়। মামলায় ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে হাইকোর্টে এসে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৪৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৬

বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একইসঙ্গে তাদেরকে রাজনৈতিক বিরোধীদল হিসেবেও গণ্য করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি জাতীয় সংসদেই নেই, সে কারণে রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদল হিসেবে গণ্য হতে পারেন না। গত ২৮ অক্টোবর বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ বিভিন্ন ধরনের হামলার প্রেক্ষিতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছিল। আদালত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অনেককেই মুক্তি দিয়েছেন। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আলদুহাইলানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। সাক্ষাতে আলোচনার বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্দি প্রত্যাবর্তন চুক্তি করতে আগ্রহী সৌদি সরকার। এ ক্ষেত্রে আপত্তি নেই বাংলাদেশেরও। প্রস্তাব পাওয়ার পর সরকার ভেবে দেখবে বিষয়টি। চুক্তি হলে দুই দেশে থাকা অপরাধীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সহজ হবে। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশি কেউ অপরাধ করলে তারা তাদের ফিরিয়ে দিবে এবং সে দেশের কেউ আমাদের দেশে অপরাধ করলে আমরা তাদেরকে ফিরিয়ে দেব। এরপর মিয়ানমার সংকট প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের অস্থিরতা নিয়ে আমরা শঙ্কিত না। রোহিঙ্গাদের পাঠানোর বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি খুব দ্রুত মায়ানমারের অবস্থা ভালো হবে এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিবে। সীমান্ত দিয়ে আর কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩১

ড. ইউনূসের বিষয়ে সরকার হস্তক্ষেপ করছে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আইনের বাইরে আমরা কিছু করছি না। ড. ইউনূসের বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের ব্যাপার। আদালতের নির্দেশনা যেভাবে আসছে, সেভাবে কাজ হচ্ছে। এর বাইরে সরকার কিংবা পুলিশ কেউ কিছু করছে না। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কার্যালয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান জবরদখল ও পুলিশের কাছে প্রতিকার চেয়েও না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর পরিত্যক্ত অস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে আসছে, এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরাকান আর্মির কয়েকজন হয়তো দুই-চারটা পরিত্যক্ত অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তারা সবাই ধরা পড়েছে। বিজিবি তাদের আটক করেছে। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কেউ অস্ত্র নিয়ে ঢোকার অবস্থা নেই। আমরা সজাগ রয়েছি। মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলে দু’জন নিহত প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটিই কথা ছিল- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। সেই নীতি অবলম্বন করছি  আমরা। তারা যতই গোলাগুলি করুক, আমরা প্রতিবাদ করছি। বিজিবির জনবল বাড়িয়েছি। কোস্টগার্ড, নেভি ও পুলিশ সজাগ রয়েছে। কাজেই ওখান থেকে কেউ আসবে, সেটি হবে না। বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তারা আগেও ‘সরকার পতন হয়ে যাচ্ছে’ এবং ‘খালেদা জিয়া যা বলবে তাই হবে’ এসব কথা বলেছিল। দেশের মানুষ এসব কথা শুনে হাসছিল। জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি সুনিশ্চিতভাবে বুঝে গেছে, বিদেশি প্রভুরা হস্তক্ষেপ করতে না পারলে তারা নির্বাচনে জিতবে না। এজন্য এবারও তারা নির্বাচনে আসেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দলের সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য নির্বাচনে নৌকা প্রতীক আর ব্যবহার করব না। আমরা চাই, জনপ্রিয় মানুষ নির্বাচনে আসুক। এ সময় সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা ও পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়