• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কেন এত জনপ্রিয় ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ আসলেই টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে সব জায়গায় নতুন নতুন কনটেন্ট দেখা যায়। তবে সবার প্রিয় এই উৎসবটি এলেই সবার কানে বাজতে থাকে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি। এটি শোনেননি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছোট থেকে বড় প্রায় সব বয়সের মানুষই গানটির সঙ্গে এখন পরিচিত। গানটির এত জনপ্রিয়তা থাকলেও এটি কেন জনপ্রিয় এবং এর শুরু কীভাবে―তা হয়তো অজানা অনেকের। ২০০৯ সাল, অর্থাৎ দীর্ঘ পনেরো বছর আগে বেসরকারি একটি মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য গানটি লিখেন প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন কর্মকর্তা আনিকা মাহজাবিন। ২০১১ সালে অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে দেন তিনি। তবে ওই সময় তার লেখা গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেন তরুণ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ এবং এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী মিলন মাহমুদ। ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি বিজ্ঞাপনচিত্রের থিম সং হলেও গান হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে এটি। প্রকাশের প্রায় দেড় দশক হলেও এখনো এর কদর একদমই কমেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আবেগের সঙ্গে মিশে গেছে গানটি। প্রতিবছরই ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরা মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় গানটির কথা। আবার যেসব মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে পরিবারের সদস্য ছেড়ে কর্মস্থলে ঈদ করেন, তাদেরও অনেক অনুভূতির মিশেল পাওয়া যায় গানটির কথায়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে গানটি নিয়ে শ্রোতাদের উন্মাদনার ব্যাপারে এর গীতিকার আনিকা মাহজাবিন বলেন, আমাদের সময়ের কথা ভেবে খুবই ভালো লাগে। গানটির কথার সঙ্গে এর সুর ও কণ্ঠের জন্যও ভালোবেসে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছেন মানুষ। ২০০৯ সালের ঘটনা। ঈদের খুব বেশি বাকি নেই তখন। ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে একটি বিজ্ঞাপনচিত্র করতে হবে। আনিকা মাহজাবিন অতীত মনে করে বলেন, খন্দকার আশরাফুল হক সরোজ বলেন, কিছু একটা করতে হবে। তখন লিখে ফেলি কথাগুলো ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি, আমার পথ দেব পাড়ি, কাছে যাব ফিরে বারবার’। এরপর গানটি হাবিব ওয়াহিদ সুর করেন। তার ধানমন্ডির হোম স্টুডিওতে গানটির কথাগুলো পান সংগীতশিল্পী মিলন মাহমুদ। তিনি বলেন, গানটির সুর হওয়ার পর হাবিব নিজেই গাইছিল। আমি বললাম, তোমার কণ্ঠেই ভালো হচ্ছে। তখন হাবিব বলল, আপনি শুধু ভয়েসটা দিয়ে দেখেন, তারপর দেখেন কী ঘটে। ভয়েস দেয়ার পর তো অনুভূতিই পাল্টে গেল। এরপর গ্রামীণফোনের কাছে পছন্দ হয় গানটি। যা দিয়ে পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করেন কিসলু গোলাম হায়দার। এরপর গানটির ভিডিওচিত্র তৈরি করেন রম্য খান। যা বিভিন্ন রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও টেলিভিশনে দেখানো হয়েছিল। ‘স্বপ্ন বাড়ি যাবে’ প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেললে এর সাত বছর পর ২০১৬ সালে ‘স্বপ্ন বাড়ি যাবে-২’ তৈরি করা হয়। এটিও বিজ্ঞাপনের থিম সং ছিল। যার সুর ও সংগীতায়োজন করেন হাবিব ওয়াহিদ। রাসেল মাহমুদের লেখায় গানটিতে কণ্ঠ দেন সংগীতশিল্পী মিথুন চক্র।  এটিও প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেলে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন, ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গানটি হাবিব ওয়াহিদের বা মিলন মাহমুদের। আসলে তা নয়, এটি গেয়েছেন মিঠুন চক্র। দুটি গানের শিরোনাম একই হলেও কথা একদমই আলাদা। এর গীতিকারও আলাদা। কিন্তু দুটি গানেরই সুরে কিছুটা মিল থাকায় দ্বিধায় পড়তে হয় দর্শক-শ্রোতাদের। আর ২০২২ সাল থেকে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গান নিয়েই নিয়মিত বিজ্ঞাপনচিত্র করছে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানটি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৬

হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রবাসী ছেলে
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টার চড়বেন স্বামী। আর বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রবাসী ছেলে অর্নব চৌধুরী। হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টনকী শিকারমোড়া এলাকার সাবেক বিজিবি কর্মকর্তা বোরহান চৌধুরীর ছেলে মো. অর্নব চৌধুরী।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কসবার বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া খেলার মাঠ থেকে বাবা ও মাসহ দুইজন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রবাসী হেলিকপ্টারটি। প্রবাসী ছেলের বাবা সাবেক বিজিবি কর্মকর্তা বোরহান চৌধুরী বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে প্রতিটি সন্তান চাই। হেলিকপ্টারে চড়ব সেটা আমার দীর্ঘদিনের একটা লালিত স্বপ্ন ছিল। ছেলের মাধ্যমে আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। আমার ছেলে সৌদিআরব প্রবাসী। সবার কাছে প্রবাসীদের জন্য দোয়া প্রার্থী। জীবনের প্রথম হেলিকপ্টার চড়ব তা-ও আবার শেষ বয়সে কোনো দিন আশা করি নাই। প্রবাসী অর্নব চৌধুরী বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টার চড়বে সেটা জানার পর থেকেই পরিকল্পনা করি অন্তত বাবা-মামাকে তাদের এ স্বপ্নটা পূরণ করি। আল্লাহ সেই আশাটা পূরণ করেছে।  এদিকে এলাকায় প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এই দৃশ্য ও হেলিকপ্টার দেখতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশপাশের নারীপুরুষ-শিশুসহ অন্তত কয়েক হাজার উৎসুক জনতার ভিড় জমে। যা পুলিশ প্রশাসনের লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২০

রাজবাড়ীতে ‘কালো সোনা’ পেঁয়াজ বীজ চাষে স্বপ্ন দেখছে কৃষক
রাজবাড়ীতে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজ বীজের। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া বেশ অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার পাচটি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে কালো সোনার সাদা ফুল। আর এই সাদা ফুলের কদমেই লুকিয়ে রয়েছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। ‘কালো সোনা’ খ্যাত পিয়াজ বীজ।  বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে রাজবাড়ী জেলার অবস্থান। দেশে উৎপাদিত মোট পেঁয়াজের ১৪ শতাংশ উৎপাদন হয় রাজবাড়ীতে। এ জেলায় পেঁয়াজ আবাদের পাশাপাশি কদম পেঁয়াজ বীজের আবাদও হয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে। পেঁয়াজ আবাদে যে পরিমাণ বীজ প্রয়োজন তার অধিকাংশ বীজ জেলাতেই উৎপাদিত হয়ে থাকে। উৎপাদিত এসব বীজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। বেশি দাম হওয়ায় পেঁয়াজের এ বীজকে চাষি ও কৃষি অধিদপ্তর ‘কালো সোনা’ বলে ডাকেন। চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া ভালো হলে খরচ বাদে এই পেয়াজের বীজ চাষে লাভ হয় দ্বিগুণেরও বেশি, তাই এগুলো ‘কালো সোনা’ নামে খ্যাতি পেয়েছে। তাই কৃষকরা ‘কালো সোনা’ চাষে স্বপ্ন দেখছেন। এ বীজ আবাদ করে চাষিরা অন্যান্য ফসলের চাইতে অধিক পরিমাণে লাভবান হয়ে থাকেন। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুসারে, রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলা, পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী ও গোয়ালন্দে পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে জেলা সদর, পাংশা ও কালুখালী উপজেলাতে কদমের আবাদ বেশি হয়ে থাকে। চলতি বছর রাজবাড়ী সদরে ৪২ হেক্টর,পাংশা উপজেলায় ৪৪ হেক্টর, কালুখালী উপজেলায় ৪২ হেক্টর,বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১৫ হেক্টর ও গোয়ালন্দ উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের কদমের আবাদ হয়েছে। এদিকে সরেজমিনে পাংশা উপজেলার যশাই গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল। শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা।  পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার বোস বলেন, পেঁয়াজ বীজের গাছে শক্তি যোগানোর জন্য অনেকে কীটনাশক স্প্রে করছেন। মৌমাছি সংকট থাকায় অনেক কৃষক আবার হাত দিয়েই পেঁয়াজ ফুলের ‘মধু ফেলা’র কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত রোপন করা পেঁয়াজ বীজ গাছের ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন বুনছেন তারা। পেঁয়াজের কদম প্রথমে সাদা দেখতে হলেও পরে কালো রংয়ে ধারন করেন। প্রতি কেজি বীজ চলতি বছর প্রায় সোনার দামে আট হাজার টাকা দামে বিক্রি হয়েছে বলে কৃষকেরা পেঁয়াজের বীজ কে আদর করে ‘কালো সোনা’ বলে ডাকে। তবে এ মৌসুমে প্রচণ্ড গরমে ক্ষেতে মৌমাছির সংকট দেখা দিয়েছে। আর মৌমাছির না থাকায় পিয়াজের ফুলের পরাগায়ন কম হওয়ায় বীজ উৎপাদনে ঘাটতির শঙ্কা দেখা দেবে বলে কৃষকরা আশংকা করছেন। জেলায় চলতি মৌসুমে ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের কদমের চাষাবাদ হয়েছে। আর ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন হবে ৭০ মেট্রিক টন। এ পরিমাণ পেঁয়াজের বীজের বাজার মূল্য ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারনের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান,চলতি মৌসুমে জেলায় ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করা হয়েছে। রাজবাড়ীতে মূলত তাহের পুরী, কিং ব্যান্ড ও বারী-৪ জাতের পিঁয়াজ  দানা আবাদ করা হয়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষি কর্মকর্তাগণ নিয়মিত চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এবার জেলায় দেড় হাজার কৃষক পেয়াজ বীজ আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ বীজের ফলনও ভালো হবে। এতে করে লাভবান হবেন চাষিরা।      
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৬

মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চান পূজা চেরি
মৃত্যুর পরেও যেন মায়ের সঙ্গে সন্তানের বন্ধন অটুট থাকে। মা-ই যেন সব। ব্যতিক্রম নন চিত্রনায়িকা পূজা চেরিও। ছোটবেলা থেকেই মায়ের সঙ্গে আমার পথচলা চিত্রনায়িকার। সব কাজেই ছায়ার মতো পাশে থাকতেন তার মা। মেয়েকে নিয়ে মায়েরও অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সেসব পূরণের আগেই গত ২৪ মার্চ পূজাকে একা করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তার মা ঝর্ণা রায়। তবে মা বেঁচে না থাকলেও মায়ের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে চান এই নায়িকা। আর তাই মায়ের সব স্বপ্ন পূরণ করতে চান পূজা।  সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে নিজেক কাজ ও মাকে নিয়ে কথা বলেন পূজা। চিত্রনায়িকা বলেন, মাকে কতটা ভালোবাসি, সেটা বেঁচে থাকতে তাকে বলতে পারিনি। আসলে বুঝিনি, এত তাড়াতাড়ি মা আমাকে ছেড়ে চলে যাবেন না ফেরার দেশে। পূজা বলেন, মা সব সময়ই আমাকে শক্ত মনের মানুষ বলতেন। তোমার পথে যত বাধাই আসুক, তুমি ঠিক কাটিয়ে উঠতে পারবে, সেই বিশ্বাস আমার আছে। এখন সেসব কথাগুলো মনে করে আমি আরও উৎসাহিত হই।    এদিকে আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে পূজা অভিনীত সিনেমা ‘লিপিস্টিক’। গত ৩০ মার্চ বিকেলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সিনেমাটি ঈদে মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যার পর ‘বেসামাল—ড্যান্স নম্বর ওয়ান’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশের মধ্য দিয়ে সিনেমাটির প্রচার শুরু হয়। এটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান। এ প্রসঙ্গে পূজা বলেন, মায়ের রেখে যাওয়া কথা মাথায় রেখেই ঈদের সিনেমার প্রচার করতে হবে। নতুন নতুন কাজ করতে হবে। ছোটবেলা থেকেই আমার সব কাজে ছায়ার মতো পাশে থাকতেন মা। সেসময় থেকেই মা চাইতেন— আমি যেন আমার কাজ দিয়ে বড় জায়গায় পৌঁছাতে পারি। আজ মা নেই, মাকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু তার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই আমি। যেভাবেই হোক মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে আমাকে।  চিত্রনায়িকা বলেন, মা মারা যাওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল। কাজে ফিরতে হচ্ছে। তবে শত কাজের মধ্যেও মাকে ভুলে থাকা যাবে না। চলার পথে, কাজের পথে ঘুরেফিরে মায়ের স্মৃতি ডাকবে আমাকে। আমি যেমন মাকে বিশ্বাস করতাম, তেমনই মা–ও করতেন আমাকে। পরিচিতজনদের মা প্রায়ই বলতেন, পূজা আমার হাতের লাঠি, আমার শক্তি। তবে মা যেখানেই থাকুন, তার সঙ্গেই আছেন জানিয়ে পূজা বলেন, মায়ের ঘরটা এখন শূন্য কিন্তু আমি ভাবি, মা ঘরেই আছেন। আগে যেমন করতাম, এখনও বাসা থেকে কাজে বের হলে, রুমের সামনে দাঁড়িয়ে বলি, মা আমি বের হলাম।  
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৪

‘এখনও জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ’
চট্টগ্রাম টেস্টে ক্যাচ মিসের মিছিল শুরু করেছে টাইগাররা। যার সুযোগ নিয়ে ৫৩১ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছে লঙ্কানরা। এখনও প্রথম ইনিংসে ৪৭৬ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবুও এই ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশ দলের নতুন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। রোববার (৩১ মার্চ) ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন টাইগার ব্যাটিং কোচ। এ সময় ম্যাচের ভবিষ্যৎ কী দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনও জয়ের ব্যাপারে ভাবছি। এটা হয়তো কিছুটা অদ্ভুত শোনাবে, যেহেতু আমরা এখনও ৪৮০ রান পিছিয়ে আছি। মূল ব্যাপার হবে কালকে কীভাবে আমরা সামলাচ্ছি। যদি আমরা সেটা ভালোভাবে করতে পারি, এরপর দেখতে হবে এর পরদিন কীভাবে সামলাই।  ‘যদি আমরা সেটা করতে পারি, ব্যাটিংয়ের দিক থেকে, আপনি জানেন না কী হবে। প্রথম ইনিংস শুরুতে, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে কাল তিনটা সেশনে ভালো ব্যাট করছি।’ শেষ বিকেলে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ। শুরুটা ভালো করলেও এখন ৫৫ রানে ১ উইকেট নেই স্বাগতিকদের।  নতুন বলে আউট হওয়া নিয়ে হেম্প বলেন, নতুন বলটা হুমকি।র খেলোয়াড়রা নতুন বলে অনেক অনুশীলন করে নেটে। এটা আসলে চলমান প্রস্তুতি। আপনি ঠিকঠাক জাজ করতে পারছেন কি না বলটা? আপনি কি রান করার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারছেন?  ‘পা সামনে এগোচ্ছে নাকি পেছনে যাচ্ছে? আপনি মাঠে নিজেকে ঠিকঠাক থাকতে পারছেন কি না? এটা আসলে আপনার নিয়মিত খেলাটাকে আরও বিকশিত করা। সবকিছুই আসলে তাদের পারফরম্যান্সের প্রতিচ্ছবি। এরপর তারা চাইবে তাদের খেলাটাকে এগিয়ে নিতে।’ তিনি আরও বলেন, তারা ভালো খেলোয়াড়। আসল ব্যাপার হচ্ছে তাদের অ্যাপ্লিকেশন ও সিদ্ধান্ত নেওয়া। কোন বলটা আক্রমণ করবেন, কোনটা ঠেকিয়ে দেবেন- ডিফেন্ড করা বা ছেড়ে দেওয়া। দুনিয়ার ভালো দলগুলোর অনেক খেলোয়াড় থাকে যারা ভালো সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য আপনি এটা থেকে দূরে যেতে পারবেন না। আপনার বোলারকে চাপে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:২২

বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে যে কাণ্ড করলেন ৫ ভাই
বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন বর। আবার বিয়ে শেষে স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়িতে চলেও গেলেন। এই হেলিকপ্টার বরযাত্রী এবং আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে উৎসুক জনগণই ছিল বেশি। ঘটনাটি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ২টায় কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের এগারো বাড়ির মাঠে অবতরণ করে একটি হেলিকপ্টার। এখান থেকে এই হেলিকপ্টারে বর সেজে বাবা-মাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে নামেন বর মোরছালিন হাওলাদার (২৫)।  মোরছালিন হাওলাদার কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের ছোট ছেলে। প্রবাসী মোরছালিনের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী কালাম শেখের মেয়ে ফারিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। এই বিয়েতে ফারিয়া খাতুনের বাবা ব্যবসায়ী কালাম শেখ আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথিকে দাওয়াত করেছিলেন। মাংস, পোলাও, মাছ, ফিন্নি, দই, মিষ্টিসহ ছিল খাবারের নানা আয়োজন।  বর মোরছালিন হাওলাদারের বড় ভাই আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা ৫ ভাই মালয়েশিয়া থাকি। এই ৫ ভাইয়ের মধ্যে মোরছালিন সবার ছোট। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল তাদের ছোট ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসবে। তাই আমরা ৫ ভাই মিলে এই হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছি। বর মোরছালিন হাওলাদার বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা ৫ ভাই মিলে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ ঘণ্টার জন্য একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করেছি। এই হেলিকপ্টারে আমার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে আমি কনের বাড়িতে এসেছি। এ জন্য আমার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি। কনের বাবা কালাম শেখ বলেন, একই এলাকায় আমি আমার মেয়ে ফারিয়া খাতুনকে বিয়ে দিয়েছি। আমার জামাই তার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে আমাদের এখানে আসে। এই হেলিকপ্টার ওঠা-নামা দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেছিল। আমি আমার মেয়ে-জামাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৪

স্বপ্ন পূরণ হলো মন্দিরার
প্রত্যেক তারকারই কোনো না কোনো স্বপ্ন থাকে। ব্যতিক্রম নন ঢাকাই সিনেমার এ প্রজন্মের নায়িকা মন্দিরা চক্রবর্তী। এবার স্বপ্ন পূরণ হলো এই অভিনেত্রীর। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত দুটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। তবে দুটিই রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।     মন্দিরার প্রথম সিনেমা ‘কাজল রেখা’। এটি নির্মাণ করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।  চলতি বছরের ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এতে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মন্দিরাকে। আর এই সিনেমাতে অভিনয়ের মাধ্যমেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে সিনেমাটির নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মন্দিরা। এ সময় অভিনেত্রী জানান, ‘কাজল রেখা’ সিনেমায় অভিনয় করে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। মন্দিরা বলেন, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের মতো আমার কাছে ‘কাজল রেখা’ সিনেমাটি  ড্রিম প্রজেক্ট। কাজল রেখা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে চাই। যেন এভাবেই একটার পর একটা ভালো সিনেমায় অভিনয় করতে পারি। চরিত্রটি অবশ্যই কঠিন ছিল। তারপরও সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞ নির্মাতার কাছে। কারণ, আমাকে সবরকম সহযোগিতা করেছেন তিনি। আর সেই কারণে আমি কাজল রেখা হয়ে উঠতে পেরেছি। এমন একটি কাজ করার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।  ‘কাজল রেখা’ মুক্তির প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ঈদুল আজহায় দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখতে পারবেন কাজল রেখা। এটা আমার জন্য খুশির খবর। তবে এর আগেও সিনেমাটির মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। কিন্তু এবার সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছি আমি। প্রচণ্ড ভালো লাগার পাশাপাশি একটু টেনশনও হচ্ছে। তারপরও সিনেমাটি নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত আমি। মন্দিরা আরও বলেন, আমার বিশ্বাস দর্শকরা হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখবেন। এটি ৪০০ বছর আগের গল্প। মূলত এ কারণেই মানুষের আগ্রহ বেশি কাজ করছে। আর সিনেমাটির নির্মাতা হিসেবে আছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তার সিনেমা মানেই ভিন্ন কিছু। এ ছাড়া সিনেমার গানগুলোও সুন্দর। প্রসঙ্গত, ‘কাজল রেখা’ সিনেমায় মন্দিরা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন—  শরিফুল রাজ, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, খায়রুল বাশার, সাদিয়া আয়মানসহ অনেকে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এখন একটাই স্বপ্ন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়াই এখন আমার স্বপ্ন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা উন্নত করতে পারলে দেশের চিকিৎসাসেবা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তরুণ চিকিৎসকদের গ্রামে ও ঢাকার বাইরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা ঢাকার বাইরে কাজ করেন তাদের পদন্নোতি, বিদেশ যাওয়ার সুযোগসহ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। সেজন্য নীতিমালা তৈরি করা হবে।  তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়াই প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য। এটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, প্রধানমন্ত্রীরও স্বপ্ন। আমাদের সবার স্বপ্ন। ডা. সামন্ত লাল বলেন, চিকিৎসকদের তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে রোগীদের সেবা দিতে হবে। চিকিৎসকরা মানুষকে সেবা দিতে কাজ করবে, আমরাও তাদের সবকিছু দেব। এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ও নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. বদরুল আলমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৬

বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না সাগরের
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের ধানুয়াঘাটা গ্রামের কৃষক আবু তালেবের ছেলে সাগর হোসেন। পরিবারের অভাব অনটনের কারণে এইচএসসি পাস করে আর পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। ইচ্ছে ছিল ভাগ্যোন্নয়নে বিদেশ যাবেন কিন্তু অর্থাভাবে সেটিও হয়ে ওঠেনি। তাই স্বপ্ন পূরণে বিদেশ যাত্রার টাকা জোগাতে ঢাকায় এসে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হলো না সাগরের। লাশ হয়ে ফিরলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন সাগর হোসেন।  শুক্রবার (১ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আমতলায় বসে বিলাপ করছিলেন সাগরের কৃষক বাবা আবু তালেব। আগুনে পুড়ে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে ঢাকায় আসেছেন তিনি।     অভাব-অনটনের সংসারে লেখাপড়া বেশি দূর এগিয়ে নিতে পারেননি সাগর হোসেন (২২)। এইচএসসি পাসের পর বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা চালান। তবে অর্থাভাবে সেটিও সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ঢাকায় এসে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ইচ্ছে ছিল, বেতনের টাকা জমিয়ে বিদেশে যাবেন, ধরবেন সংসারের হাল। তবে তার সে ইচ্ছেও পূরণ হলো না। সাগরের বাবা আবু তালেব বলেন, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের ধানুয়াঘাটা গ্রামে আমাদের বাড়ি। দুই সন্তানের মধ্যে সাগর ছিল বড়। বিদেশে যাওয়ার টাকা দিতে পারিনি, তাই ছেলে গত বছরের জুলাই মাসে ঢাকায় এসেছে কাজ করে বিদেশে যাওয়ার টাকা জমাতে। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে মালয়েশিয়া থাকে, সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল। আমিও চেয়েছিলাম ফসল তুলে বিক্রির করে টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশে পাঠাবো। ঢাকায় কোন কোম্পানিতে কাজ করত সেটিও জানতাম না।  তিনি বলেন, গতকাল রাতেও ছেলে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে। আর কয়েক দিন পর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। এর মধ্যেই রাতে বিদেশ থেকে আমার ভাতিজা জানায় যে, সাগর যেখানে চাকরি করতো সেখানে আগুন লেগেছে। সকালে জানতে পারি, সে আর বেঁচে নেই।  আবু তালেব আরও বলেন, আমার ছেলের মুখমণ্ডল বাদে পুরো শরীর পুড়ে গেছে। তবে চেহারাটা চেনা গেছে। পাবনার ফরিদপুরের ইউনুস আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন সাগর।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:০১

চেলসির স্বপ্ন গুড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
হয়ে গেল ইংলিশ লিগ কাপের (কারাবাও কাপ) ফাইনাল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বির দ্বৈরথ দেখলো ফুটবল বিশ্ব। একদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে দারুণ ছন্দে থাকা লিভারপুল। অন্যদিকে চিরচেনা জৌলস হারিয়ে শীর্ষ লীগে খোঁড়াতে থাকা চেলসি। কিন্তু, কাপ ফাইনালে এ ব্যবধান বোঝাই গেল না তেমন একটা। মৌসুমে  শিরোপা ছোঁয়ার একমাত্র সুযোগটা কাজে লাগাতে প্রাণপণ লড়ে গেছেন মারিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। কিন্তু, বিধি বাম! একেবারে শেষ সময়ে গিয়ে আর গোলবার আগলে পারলেন না চেলসির সার্বিয়ান গোলরক্ষক দোর্দে পেত্রোভিচ। খেলা শেষের দুই মিনিট আগে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ট্রেডমার্ক হেডে চেলসির স্বপ্ন গুড়িয়ে দেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো অল রেড শিবির।  ম্যাচের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ ক্লপ শিষ্যদের দখলে থাকলেও খুব একটা পিছিয়ে ছিল না চেলসি। মূহুর্মূহু আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের ভীড়ে উত্তেজনায় ঠাসা এক ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে ফুটবল ফ্যানরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে অক্ষত ছিল দুই দলের গোলবারই। নির্ধারিত সময়ের দুই অর্ধে গোলের দেখা অবশ্য পেয়েছিল দুই দলই। কিন্তু দুবারই দুই শিবিরকে হতাশায় পোড়ায় ভিএআর। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেও নিজেদের অতিমানবীয় রূপ ধরে রেখেছিলেন কেলেহার ও পেত্রোভিচ। রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারের দিকেই এগোচ্ছিল ম্যাচ। কিন্তু, হঠাৎই দৃশ্যপটে ৮৭ মিনিটে মাঠে নামা কন্সটেন্টিনোস সিমিকাস। অতিরিক্ত সময়ে মাত্র ২ মিনিট বাকি থাকতে কর্ণার পায় লিভারপুল। আর ম্যাচের অন্তিম ওই মূহুর্তেই কর্ণার থেকে দূর্দান্ত এক কিক নেন অল রেডদের তরুণ গ্রিক লেফটব্যাক। খুব সহজেই উড়ে আসা সেই বল খুঁজে নেয় ডাচ ডিফেন্ডার ভ্যান ডাইকের মাথা। আর তাতেই বাজিমাত! নিজের দারুণ ট্রেডমার্ক হেডে এবার ফাঁকি দিতে সক্ষম হন চেলসির সার্বিয়ান ওয়ালকে। একইসঙ্গে মৌসুমের প্রথম শিরোপা উপহার দেন বিদায়ী কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে।  ফাইনালে নিজেদের আক্রমণভাগের তিন কাণ্ডারি মোহাম্মদ সালাহ, ডিয়েগো জোটা ও ডারউইন নুনেজকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিলো লিভারপুর। ইনজুরির কারণে ছিলেন না তারা। ক্লপকে শেষ পর্যন্ত তাদের অভাব বোধ করতে দেয়নি অল রেড শিবির। আর এফএ কাপের এ ফাইনাল হারার সঙ্গে সঙ্গে ধূলিস্মাৎ গেল পচেত্তিনো শিবিরের এ মৌসুমে শিরোপা জেতার একমাত্র বাস্তব সুযোগটাও।  ম্যাচে সব মিলিয়ে ৫৪ শতাংশ বল পসেশন ধরে রেখেছিল লিভারপুল। আর ৪৬ শতাংশ বল পসেশন ছিল চেলসির। যেখানে অল রেড শিবিরের ২১টি ফাউলের বিপরীতে ১৪টি ফাউল করেছে ব্লুজ শিবির। পুরো ম্যাচে সব মিলিয়ে গোলবারের দিকে ২৪টি শট নিয়েছেন ক্লপ শিষ্যরা। এর মধ্যে ১১টি ছিল অন টার্গেট শট, যার ১০টিই পরাস্ত হয়েছে চেলসির সার্বিয়ান ওয়ালের সামনে। আর বিপরীতে প্রতিপক্ষের গোলবারের দিকে ১৯টি শট শানিয়েছেন পচেত্তিনো শিষ্যরা। এর মধ্যে ৯টি ছিল অন টার্গেট শট, যার সবকটি রুখে দিয়েছেন লিভারপুলের আইরিশ গোলরক্ষক কোয়াইমিন কেলেহার। 
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়