• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
আজ রাতে ভারতের মেদিনীপুর যাবে ‘ওরশ স্পেশাল ট্রেন’
দেশের একমাত্র রাজবাড়ী থেকেই ওরশ স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে যাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে অনুষ্ঠিত ১২৩ তম বার্ষিক ওরশে। বাংলাদেশ থেকে ওরশে অংশগ্রহণ করতে ‘ওরশ স্পেশাল ট্রেনে’ মেদিনীপুরে যাবেন লটারির মাধ্যমে বাছাই করা ২ হাজার ২৫১ জন যাত্রী। ২৪টি কোচের বিশেষ আন্তঃদেশীয় ‘ওরশ স্পেশাল ট্রেন’ আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ১মিনিটে যাত্রা শুরু করবে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সভাপতি ও মেদিনীপুর ওরশ স্পেশাল ট্রেন ২০২৪-এর টিম লিডার মো. মাহাবুব উল আলম (দুলাল)। ওরশ শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী ফিরবে ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি। রাজবাড়ী জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমনাথ বসু বলেন, আজ রাতে ভারতের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ওরশ স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে যাবে। এ সময় ট্রেন দেখতে অনেক ভক্ত ও মুরিদ স্টেশনে আসবেন। প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার লোকের সমাগম হতে পারে। যাত্রী ও ভক্তবৃন্দদের নিরাপত্তার স্বার্থে রেলওয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়াও পুরো স্টেশন এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে। জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত রাতে ওরশ উদযাপিত হবে। ওরশ পরিচালনা করবেন আওলাদে রাসূল হজরত সৈয়দ শাহ্ ইয়াসুব আলী আল কাদেরী আল হাসানী আল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী। রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ কাদরী খোকন জানান, বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ওরশ স্পেশাল ট্রেনে ২ হাজার ১৫১ জন ভারতে যাবেন। যাত্রীদের মধ্যে ১ হাজার ৩১৬ জন পুরুষ, ৮৫২ জন মহিলা এবং ৮৩ জন শিশু (বালক ৫৫ ও বালিকা ২৮) রয়েছেন। বুধবার রাত ১০টায় রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে ট্রেন। তিনি বলেন, ওরশে যাওয়ার জন্য হাজার হাজার ভক্ত ও মুরিদান আবেদন করে থাকেন। কিন্তু ব্যবস্থা না থাকায় সবাইকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। লটারির মাধ্যমে স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী নির্বাচন করা হয়। যাত্রীরা পাসপোর্টের মাধ্যমে ভিসা সম্পন্ন করেন। ট্রেন ছাড়াও অনেকে সড়ক ও বিকল্পপথে মেদেনীপুরের ওরশে যান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে ওরশ স্পেশাল ট্রেন যায়নি। আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া বাংলাদেশ উভয় সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। একই সময়ে ওরশ খানকায়ে কাদেরীয়া বড় মসজিদ রাজবাড়ীতেও অনুষ্ঠিত হবে। রাজবাড়ীর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের রেলওয়ে বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৪টি বগির একটি বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ করা হয়েছে। ‘ওরশ স্পেশাল ট্রেন’-এর যাত্রা উপলক্ষে রাজবাড়ী রেলস্টেশনে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৯

ওরস স্পেশাল ট্রেনে বুধবার ভারতের মেদেনীপুরে যাচ্ছেন ২২শ’ যাত্রী
রাজবাড়ী থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে ওরস স্পেশাল ট্রেন। জোড়া মসজিদে ১২৩তম বার্ষিক ওরস শরীফ উপলক্ষে রাজবাড়ী থেকে ২ হাজার ২শ’ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাবে একটি ওরস স্পেশাল ট্রেন।   বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে ২৪টি বগি সম্বলিত ট্রেনটি ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। ওরস শেষে ট্রেনটি আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ফিরে আসবে। বাংলাদেশ-ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরস স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। তবে করোনার কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে উরস স্পেশাল ট্রেন যায়নি। ভারতের মেদিনীপুরের সঙ্গে মিল রেখে একইদিন রাজবাড়ীর বড় মসজিদ খানকা শরীফে নানা আনুষ্ঠানিকতা হয়। এদিকে ওরস স্পেশাল ট্রেনটিকে কেন্দ্র করে ওইদিন রেলস্টেশন এলাকায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে। রেললাইনের পাশ দিয়ে মুখরোচক খাবারসহ হরেক রকমের দোকান সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। এ সময় কেউ আসেন ট্রেন দেখতে, কেউবা আসেন ঘুরতে। আবার কেউ আসেন ট্রেনে চুম্বন ও সালাম করতে। এছাড়া কাদেরীয়া তরিকার ভক্ত ও মুরিদানরা আসেন মানত করা টাকা, হাঁস, মুরগি, কবুতর, ছাগলসহ ইত্যাদি দিতে। এদিন সকাল থেকেই ট্রেনটি সাজানো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ করতে থাকেন ভক্ত ও মুরিদানরা। সে এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, ট্রেন ছাড়া উপলক্ষে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই আসে। কেউ আসে দেখতে, কেউ সালাম আবার অনেকে আসে ভক্তি-শ্রদ্ধা করতে। এই ট্রেনটিতে ২ হাজারে বেশি মানুষ গেলেও স্টেশনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। ওই দিন বিকেল থেকে ট্রেন ছাড়া পর্যন্ত স্টেশন এলাকা মানুষে পরিপূর্ণ থাকে। রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ কাদেরী খোকন বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম ‘মওলাপাক’র ১২৩তম উরস শরীফ উপলক্ষে রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার ২ হাজার ২শোর বেশি উরস যাত্রীর ভিসাসহ প্রায় সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। এখন তারা যাত্রা শুরুর অপেক্ষায় আছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ট্রেনটি ছেড়ে যাবে এবং উরস শেষে ফিরে আসবে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে। মেদেনীপুরের সঙ্গে মিল রেখে রাজবাড়ীর বড় মসজিদ খানকা শরীফেও ওরস অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, ওরস শরীফে যাওয়ার জন্য হাজার হাজার ভক্ত ও মুরিদান আবেদন করেন। কিন্তু ব্যবস্থা না থাকায় সবাইকে নিতে পারেন না। যে কারণ লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করে পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা সম্পন্ন করেন। তবে অনেকে সড়ক পথসহ অন্যান্যভাবে মেদেনীপুরের ওরস শরীফে যান। রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমনাথ বসু বলেন, উরস স্পেশাল ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে স্টেশন এলাকায় ওরস যাত্রীসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। যাত্রী ও জনগণের জানমাল রক্ষায় তারা সর্বচ্চো নিরাপত্তা দেবেন। এ ছাড়া স্টেশন এলাকা সিসি টিভির আওতায় থাববে। রাজবাড়ী রেলস্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, ১৯০২ সাল থেকে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার উদ্দ্যোগে রাজবাড়ী থেকে ভারতের মেদেনীপুরে একটি ওরস স্পেশাল ট্রেন যায়। এবারও আগামী বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় ২৪টি বগি সম্বলিত উরস স্পেশাল ট্রেন রাজবাড়ী থেকে ভারতের মেদেনীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। ট্রেনটিতে ২ হাজারের বেশি ওরস যাত্রী থাকবে এবং ট্রেনটি ভারতীয় কোচ দ্বারা চলবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক সুন্দরভাবে ট্রেনটি মেদেনীপুরে যাবে এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ফিরে আসবে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১১

ইজতেমায় চলবে ১৭টি স্পেশাল ট্রেন
মুসল্লিদের সহজ যাতায়াতের জন্য আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় ১৭টি স্পেশাল ট্রেন চালু করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রেলভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. কামরুল আহসান এই তথ্য জানান ৷ এ সময় রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন। কামরুল আহসান বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও মুসল্লিদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে। শুধু ২ ও ৯ ফেব্রুয়ারি (শক্রবার) ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-ঢাকা রুটে দুটি জুম্মা স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এ ছাড়া ৩ ও ১০ ফেব্রুয়ারি জামালপুর-টঙ্গী রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। আখেরি মোনাজাতের দিন (৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা-টঙ্গী রুটে পাঁচটি ও টঙ্গী-ঢাকা রুটে পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। টঙ্গী-ময়মনসিংহ রুটে চলবে একটি স্পেশাল ট্রেন। পাশাপাশি টঙ্গী-টাঙ্গাইল রুটে একটি এবং ঈশ্বরদী-টঙ্গী-ঈশ্বরদী রুটে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এদিকে সব আন্তঃনগর মেইল, এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেনে কোচের প্রপ্যতা এবং যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী যথাসম্ভব অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়